রোজায় হৃদরোগীদের যে নিয়ম মানতে হবে

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে রোজায় হৃদরোগীদের যে নিয়ম মানতে হবে সেই সম্পর্কে।রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তবে হৃদরোগীদের জন্য দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকা এবং ওষুধের সময়সূচি পরিবর্তন স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। 
রোজায় হৃদরোগীদের যে নিয়ম মানতে হবে
তাই রোজায় হৃদরোগীদের সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পানসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এসব নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগীরা ঝুঁকিমুক্তভাবে রোজা রাখতে পারেন।

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে রোজায় হৃদরোগীদের নিয়ম মেনে চলতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, কিভাবে নিয়মিত ওষুধ গ্রহন করবেন, কিভাবে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনবেন। নিয়মিত রক্তচাপ ও সুগার পরীক্ষা করবেন। হালকা ব্যায়াম করতে হবে। 

রোজায় হৃদরোগীদের যেসব নিয়ম মানা জরুরি

রমজান মাসে হৃদরোগীরা যদি চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে রোজা রাখেন, তবে তাদের বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। কারণ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, পানি শূন্যতা বা অনিয়মিত ওষুধ গ্রহণ হৃদরোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য নিচের নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত:

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

রোজা রাখার আগে অবশ্যই আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে জানিয়ে দেবেন আপনি রোজা রাখতে পারবেন কিনা এবং কীভাবে ওষুধ খেতে হবে।

নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ

ওষুধের সময়সূচি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে।
যেসব ওষুধ দিনে একবার বা দুইবার খেতে হয়, সেগুলো সেহরি ও ইফতারের সময় গ্রহণ করতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকা ওষুধ নিয়মিত নিতে হবে।

পানির পরিমাণ ঠিক রাখা

  • রোজার সময় পানি শূন্যতা হৃদরোগের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

পানি পান করার নিয়ম

  • ইফতারের পর থেকে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পানি পান করতে হবে।
  • অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা, কফি) এড়িয়ে চলা ভালো।

খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা

  • অতিরিক্ত লবণ, তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • ভাজা-পোড়া খাবারের পরিবর্তে সিদ্ধ, ঝোল ও গ্রিল করা খাবার খাওয়া উচিত।
  • ফলমূল, শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া ভালো।
  • ইফতারে বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

হালকা ব্যায়াম

ইফতারের পর হালকা হাঁটা বা অল্প ব্যায়াম হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ভারী ব্যায়াম করা যাবে না।

যেসব লক্ষণ দেখলে রোজা ভাঙতে হবে
  • বুকে ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট
  • অতিরিক্ত দুর্বলতা
  • মাথা ঘোরা
  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
  • এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।

নিয়মিত রক্তচাপ ও সুগার পরীক্ষা

যদি আপনার হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে রোজায় নিয়মিত রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি।

লেখকের শেষকথা

রোজায় হৃদরোগীরা সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হবে। খাদ্যাভ্যাস, পানি গ্রহণ, ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে হৃদরোগীদের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ হতে পারে। তবে নিজস্ব শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।এই নিয়মগুলো মেনে চললে হৃদরোগীরা ঝুঁকিমুক্তভাবে রোজা রাখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩