ফ্রিল্যান্সারদের বাংলাদেশ সরকার কত শতাংশ প্রনোদনা দেয়

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের বাংলাদেশ সরকার কত শতাংশ প্রনোদনা দেয় সেই সম্পর্কে। ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশাগত কাজ যেখানে ব্যক্তি বা কর্মী নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজ না করে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করে। 
ফ্রিল্যান্সারদের বাংলাদেশ সরকার কত শতাংশ প্রনোদনা দেয়
এটি আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি বড় বৈশ্বিক কাজের বাজারে পরিণত হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ব্যক্তি তার বিশেষ দক্ষতা ব্যবহার করে অনলাইন বিভিন্ন কাজ করতে পারেন যেমন : ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।

ভুমিকা

আজকের আটিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিংকে বিশ্বে কত ডলারের বাজার রয়েছে। এই ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশ কি সুবিধা পাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশীদের শতকরা হার কত। পৃথিবীতে নারী ও পুরষত্ব কত শতাংশ এই কাজের সাথে জড়িত। ফ্রিল্যানিংয়ের টাকা পাওয়ার জনপ্রিয় বাংলাদেশি মাধ্যমগুলো কি কি। 

আরোও আলোচনা করা হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং এ জনিপ্রিয় কাজগুলো কি কি। এই সেক্টরে বাংলাদেশ সরকার কত শতাংশ প্রনোদনা দেয়। ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত ইত্যাদি।

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল আকারের বাজার তৈরি করেছে, এবং এর মুল্য বর্তমানে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং বাজারের মোট মুল্য প্রায় ৫৬২ বিলিয়ন ডলার। এই সংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারন আরও বেশি মানুষ ফ্রিল্যান্স কাজের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে এবং কোম্পানিগুলোও ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে কাজ করাতে আগ্রহী।

বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি, ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, মার্কেটিং এবং প্রোগামিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ভবিষ্যতে এই বাজার আরও বড় আকার ধারন করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কী সুবিধা হচ্ছে

বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক সুবিধা হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং ব্যাক্তি পর্যায়ের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রধান সুবিধাগুলো হলো:
  • কর্মসংস্থান বৃদ্ধি : ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম ঘরে বসে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। এটি বেকারত্ব হ্রাসে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখছে, বিশেষ করে যারা প্রথাগত চাকুরি পাচ্ছেন না।
  • বিদেশি মুদ্রা অর্জন : ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রায় আয় করেন। এটি দেশের রেমিট্যান্স বাড়াতে সহায়ক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
  • স্বাধীন কাজের পরিবেশ : ফ্রিল্যান্সাররা সময় ও স্থানের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই কাজ করতে পারেন। এটি তাদের জন্য একটি স্বাধীন ও মনের মতো কাজ করার সুযোগ তৈরি করেছে।
  • ডিজিটাল দক্ষতার উন্নয়ন : ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ফলে তরুনরা তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদিতে দক্ষ হয়ে উঠছেন।
  • উদ্যোক্তা মানসিকতার বিকাশ : ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেকেই এককভাবে কাজ শুরু করে পরবর্তীতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন। এটি দেশের উদ্যোক্তা সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করছে।
  • নারীর ক্ষমতায়ন : অনেক নারী ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করছেন। এটি নারীদের আর্থিক স্বনির্ভরতা এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখছে।
  • উন্নত জীবনযাত্রা : ফ্রিল্যান্সিং আয় দিয়ে অনেকেই উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে পারছেন। এটি তাদের পরিবার এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।
  • নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার : ফ্রিল্যান্সাররা আধুনিক প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন যা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।
ফ্রিল্যান্সিং এর এই সুবিধাগুলো বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশে রুপান্তরিত করতে সহায়ক।

সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন 

সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারর প্রায় ১৬% শেয়ার ধারণ করছেন। বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ভারতের পরে পাকিস্থান এবং বাংলাদেশ এ তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা মুলত তথ্যপ্রযুক্তি (IT) সেবা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয়। ফ্রিল্যান্সারদের এই সাফল্য দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখছে।

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হলো Upwork। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট কাজের জন্য একত্রিত হন। তবে Fiverr এবং Freelancer.com ও অত্যন্ত জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। Fiverr সাধারনত ছোট প্রকল্পের জন্য পরিচিত, যেখানে Freelancer.com বড় এবং জটিল প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও, বিশেষায়িত মার্কেটপ্লেস যেমন : Toptal, People Per Hour এবং Guru নির্দিষ্ট দক্ষতা বা ক্ষেত্রের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা Upwork এবং Fiverr এ বেশি সক্রিয় এবং এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা উল্লেখযোগ্য আয় করছেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে এখনও উল্লেখযোগ্য বৈষম্য রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে
  • পুরুষদের অংশগ্রহন প্রায় ৭৫-৮০%
  • নারীদের অংশগ্রহন প্রায় ২০-২৫%
তবে এই হার ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। বাংলাদেশেও নারীরা এখন ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা নারীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কে আরও আকর্ষনীয় করে তুলছে। 

প্রতিবন্ধকতা সত্বেও, নারী ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। সামাজিক ও প্রযুক্তিগত সুবিধা বৃদ্ধি পেলে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং থেকে উপার্জিত টাকা পাওয়ার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো হলো:
  • Payoneer : পায়োনিয়ার বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি ব্যবহার কর সহজেই আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তোলা যায়। পায়োনিয়ার থেকে সরাসরি স্থানীয় ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের সুবিধাও রয়েছে।
  • Skrill : স্ক্রিল হলো আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যা সহজে এবং টাকা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ব্যাংক ট্রান্সফার : অনেক মার্কেটপ্লেস সরাসরি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পাঠানোর সুবিধা দেয়। এটি নির্ভরযোগ্য হলেও তুলনামুলকভাবে সময় বেশি লাগে।
  • PayPal : বাংলাদেশে পেপাল সরাসরি উপলভ্য না হলেও অনেক ফ্রিল্যান্সার বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে এটি ব্যবহার করে থাকেন।
  • বিকাশ ও নগদ : সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিকাশ এবং নগদ প্ল্যাটফর্ম বিশেষ সেবা চালু করেছে।এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স টাকা সহজে তুলতে পারা যায়।
সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাধ্যম হলো পায়োনিয়ার, তবে বিকাশ ও নগদের মতো স্থানীয় বিকল্পগুলোর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। এগুলো আরও সহজলভ্য হলে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কয়েকটি কাজ

ফ্রিল্যান্সং এ বর্তমানে অনেক ধরনের কাজ জনপ্রিয়। এর মধ্যে কিছু কাজ বেশি চাহিদাসম্পন্ন এবং প্রায়ই ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। জনপ্রিয় কাজগুলো হলো:
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট : ওয়েবসােইট তৈরি এবং রক্ষনাবেক্ষনের কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর শীর্ষে রয়েছে। HTML, CSS, JavaScript, WordPress এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
  • গ্রাফিক ডিজাইন : লোগো ডিজাইন, ব্যানার তৈরি, ব্র্যান্ডিং এবং ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনের কাজ ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে খুবই জনপ্রিয়। Adobe Photoshop এবং Illustrator এ দক্ষতা এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং : সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) এবং পেইড অ্যাডভার্টজিং এর মতো কাজগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ যা বর্তমানে খুব চাহিদাসম্পন্ন।
  • কনটেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং : আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট, প্রোডাক্ট রিভিউ এবং কপিরাইটিং এর কাজের জন্য ফ্রিল্যান্স লেখকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
  • ভিডিও এডিটিং এবং অ্যানিমেশন : ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি এবং এডিটিং, ২ডি/৩ডি অ্যানিমেশন এবং মোশন গ্রাফিক্সের কাজ খুবই জনপ্রিয়।
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট : অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে।
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট : ডাটা এন্ট্রি, ইমেল ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদের মাধ্যমে করা হয়, যা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সহজ এবং জনপ্রিয় কাজ।
  • ডাটা এন্ট্রি এবং ডাটা অ্যানালাইসিস : ডাটা এন্ট্রি এবং বিশ্লেনমুলক কাজ ফ্রিল্যান্সিং এর একদাম শুরুতে কাজ করতে ইচ্ছুকদের জন্য একটি সহজ উপায়।
  • ই-কমার্স সাপোর্ট : ই-কমার্স সাইটের জন্য পণ্যের তালিকা আপডেট, অর্ডার প্রসেসিং এবং কাস্টমার সাপোর্টের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
  • আইটি সাপোর্ট এবং টেকনিক্যাল সেবা : সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, আইটি সাপোর্ট এবং ক্লাউড সেবা প্রদানের কাজ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এই কাজগুলোতে অর্জন করলে দীর্ঘমেয়াদে ভালো আয় করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সারদের বাংলাদেশ সরকার কত শতাংশ প্রনোদনা দেয়

বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ প্রনোদনা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থ দেশে আনতে ২% নগদ প্রনোদনা প্রদান করা হয়। এই প্রনোদনা ফ্রিল্যান্সাদের বৈদেশিক মুদ্রা আনার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে একটি গুরুত্বপুর্ন পদক্ষেপ। ফ্রিল্যান্সারা পায়োনিয়ার , স্ক্রিল, ব্যাংক ট্রান্সফার , বিকাশ , নগদ বা অন্যান্য বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের আয় দেশে আনলে এই প্রনোদনা পাওয়ার যোগ্য হন।

এছাড়াও, সরকার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম, নেটওয়ার্ক সুবিধা এবং ট্যাক্স ছাড়ের মতো আরও বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা করছে, যাতে ফ্রিল্যান্সিং খাতে আরও উন্নয়ন ঘটানো যায়।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে বিশ্বে তৃতীয়। বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা উল্লেখযোগ্য পরিমান আয় করছেন, এবং এটি প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের পর পাকিস্থান এবং বাংলাদেশ এই তালিকায় শীর্ষ তিনটি অবস্থানে রয়েছে। 

বিশেষ করে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মতো সেক্টরে দক্ষতা প্রদর্শন করে ভালো পরিমানে আয় করছে।

লেখকের শেষকথা 

ফ্রিল্যান্সিং আজকের যুগে একটি খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক পেশা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং খাত দ্রুত উন্নতি করছে এবং হাজার হাজার তরুন তরুনী নিজস্ব দক্ষতা ও প্রতিভা ব্যবহার করে আয় করছেন। এটি তাদের স্বাধীনতা ও নমনীয় সময়সুচী দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখছে। 

তবে, সফল হতে হলে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন এবং বিশ্বমানের কাজের মান বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপুর্ন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩