ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় কিভাবে করবেন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
ইউটিউব থেকে ইনকামের ৫টি কৌশল সম্পর্কে জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে। হলো একটি ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা যা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ এবং বিকেন্দ্রীকৃতভাবে লেনদেন সম্পাদন করে। এটি ব্লকচেইন নামক একটি সুরক্ষিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এটি লেনদেনের তথ্যগুলোকে সুরক্ষিত এবং স্বচ্ছ রাখে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাংক বা কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীদের মধ্যকার সরাসরি লেনদেনের মাধ্যমে কাজ করে। বিটকয়েন, ইথেরিয়াম প্রভৃতি বেশ কিছু জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হয়।
ভুমিকা
আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার? ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে? ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় কিভাবে করবেন? ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লাভের উপর করের হার কত?ক্রিপ্টোকারেন্সি কোন কোন দেশে বৈধ? ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় হালাল নাকি হারাম? বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে ব্যবহৃত হয় ?
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি
ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা যা ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় না, বরং এটি একটি বিকেন্দ্রীকৃত (Decentralized Technology) প্রযুক্তি ব্লকচেইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রধান বৈশিষ্ট্য
- বিকেন্দ্রীকরন : এটি কোনো নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না।
- ডিজিটাল লেনদেন : লেনদেন পুরোপুরি অনলাইনে এবং দ্রুত সম্পন্ন হয়।
- নিরাপত্তা : ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেন encrypt করা হয়।
- গোপনীয়তা : ব্যবহারকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হয়।
- সীমিত সরবরাহ : বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সির নির্দিষ্ট সীমা থাকে যেমন:বিটকয়েনের সর্বোচ্চ সীমা ২১ মিলিয়ন কয়েন।
জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি
- Bitcoin : ১ম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি।
- Ethereum : স্মার্ট চুক্তি সমর্থন করে।
- Binance Coin : Binance Exchange নিজস্ব মুদ্রা।
- Dogecoin : মজার ভিত্তিতে তৈরি হলেও এটি বেশ জনপ্রিয়।
ব্যবহারের ক্ষেত্র
- অনলাইন পন্য ও সেবা কেনা।
- বিনিয়োগি এবং ট্রেডিং।
- স্মার্ট চুক্তি বা ব্লকচেইন ভিত্তিক সিস্টেম।
সতর্কতা
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগে ঝুঁকি রয়েছে, কারন এর দাম দ্রুত ওঠানামা করে। তাই বিনিয়োগের আগে বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার
ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রধানত এর উদ্দেশ্য, কার্যকারীতা এবং ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যায়। যেমন:
- Coin : এগুলো স্বতন্ত্র ব্লকচেইনে পরিচালিত হয় এবং সাধারনত লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন : Bitcoin এটি লেনদেনের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি, Litecoin এটি দ্রুত লেনদেনের জন্য বিটকয়েনের বিকল্প।
- Token : এগুলো বিদ্যমান ব্লকচেইনের উপর তৈরি হয় এবং মুলত অ্যাপ্লিকেশন বা প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হয়। যেমন : Utility Token এটি নির্দিষ্ট সেবা বা পণ্যের অ্যাক্সেস প্রদান করে, Security Token এটি বিনিয়োগের একটি রুপ যা শেয়ারের মতো কাজ করে।
- Stable Coin : এগুলোর মুল্য স্থিতিশীল থাকে কারন সেগুলো কোনো ফিয়াট মুদ্রা (যেমন:ডলার) বা পণ্যের (যেমন: স্বর্ন) সঙ্গে সংযুক্ত। যেমন : Tether যা ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত, USDC যা মার্কিন ডলারের মুল্য ধরে রাখে।
- Privacy Coins : ব্যবহারকারীর লেনদেন ও পরিচয় সম্পুর্ন গোপন রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন : Monero & Zcash
- DeFi Token : বিকেন্দ্রীকৃত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন : Uni swap & Aave
- Gaming & NFT Token : এগুলো গেমিং ইকোসিস্টেম বা ডিজিটাল সম্পদ (NFT) কিনতে ব্যবহৃত হয়।উদাহরন : Axie Infinity - AXS, Sandbox - SAND
- Meme Coin : উদাহরন : Doge Coin & Shiba Inu
প্রত্যেক প্রকারের ক্রিপ্টোকারেন্সির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং উদ্দেশ্য রয়েছে। সঠিকভাবে বুঝে নেওয়ার পর ব্যবহার বা বিনিয়োগ করা উচিত।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে
ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য এটি কীভাবে তৈরি হয়, কিভাবে লেনদেন পরিচালিত হয় এবং ব্লকচেইনের ভুমিকা কী, সেগুলো জানা গুরুত্বপুর্ন। নীচে এর কাজ করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো।
- Block Chain Technology : ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন নামক একটি বিকেন্দ্রীকৃত ডিজিটাল লেজারে কাজ করে। ব্লকচেইন হলো একধরনের ডাটাবেস, যেখানে প্রতিটি লেনদেন ব্লকের আকারে সুরক্ষিত এবং চেইনের মতো সংযুক্ত থাকে। এটি নির্ভুলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কারন এটি একবার লেখা হলে পরিবর্তন করা যায় না।
- ক্রিপ্টোগ্রাফি : ক্রিপ্টোকারেন্সি নিরাপদ রাখার জন্য শক্তিশালী ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। Public key এটি ব্যবহারকারীর ডিজিটাল ঠিকানা, যা অন্যরা লেনদেন করতে ব্যবহার করে। Private key এটি গোপন থাকে এবং ব্যবহারকারী নিজেই তা দিয়ে লেনদেন অনুমোদন করেন।
- লেনদেন প্রক্রিয়া : ব্যবহারকারী একটি লেনদেন শুরু করে যেমন: কয়েন পাঠানো।এই লেনদেনটি একটি নেটওয়ার্কে (বিটকয়েন বা ইথেরিয়ামের মতো) সম্প্রচারিত হয়।নেটওয়ার্কের নোডগুলো (কম্পিউটার) লেনদেন যাচাই করে।যাচাইকৃত লেনদেনটি একটি ব্লকে সংযুক্ত করা হয়।নতুন ব্লকটি ব্লকচেইনে যুক্ত হয় এবং লেনদেন সম্পন্ন হয়।
- মাইকিং : বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন:বিটকয়েন) মাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি হয়। মাইকিং হলো কম্পিউটারে জটিল গানিতিক সমস্যার সমাধান করে ব্লকচেইনে নতুন ব্লক যোগ করার প্রক্রিয়া। মাইনররা এই কাজের জন্য পুরস্কার হিসেবে কয়েন পান।
- বিকেন্দ্রীকরন : ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এটি বিশ্বব্যাপী নোড বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত হয়। এর ফলে লেনদেন দ্রুত এবং সস্তায় সম্পন্ন হয়।
- স্মার্ট চুক্তি : কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন:ইথেরিয়াম) স্মার্ট চুক্তি ব্যবহার করে।এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট শর্ত পুরন হলে কার্যকর হয়।
উদাহরন
- ধরা যাক, আপনি আপনার বন্ধুকে ১ বিটকয়েন পাঠাতে চান।
- আপনি একটি লেনদেন শুরু করবেন।
- এই লেনদেনটি ব্লকচেইন সংযুক্ত করার জন্য যাচাই করা হবে।
- যাচাইয়ের পর, এটি চিরস্থায়ীভাবে ব্লকচেইনে যুক্ত হবে।
- আপনার বন্ধু তখন ডিজিটাল ওয়ালেটে বিটকয়েনটি পাবে।
সুবিধা
- দ্রুত এবং সস্তা লেনদেন।
- নিরাপদ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি।
- কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজন নেই।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় কিভাবে করবেন
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। এই আয়ের পদ্ধতিগুলোর মধ্যে কিছু পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদী কিছু পদ্ধতি স্বল্পমেয়াদী এবং কিছু পদ্ধতি ঝুঁকিপুর্ন। নীচে ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে আয় করার কিছু মুল পদ্ধতি বিস্তারীতভাবে তুলে ধরা হলো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভ করা। এর মধ্যে দুই ধরনের ট্রেডিং রয়েছে।
- ডে ট্রেডিং : এটি একটি স্বল্পমেয়াদী পদ্ধতি যেখানে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি দিনে কয়েকবার কেন-বেচা করে ছোট ছোট লাভ করতে পারেন।
- সুইং ট্রেডিং : এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি, যেখানে আপনি কয়েকদিন বা সপ্তাহ ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ধরে রাখেন এবং বাজারের ওঠানামার মধ্যে লাভ করার চেষ্টা করেন।
- পজিশন ট্রেডিং : এখানে আপনি দীর্ঘমেয়াদীভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ধরে রাখেন এবং মুল্যের বৃদ্ধি বা কমার ওপর ভিত্তি করে লাভ অর্জন করেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ডিং
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি দীর্ঘমেয়াদীভাবে ধরে রাখা, যতক্ষন না তার মুল্য বড় ধরনের বৃদ্ধি পায়। এই পদ্ধতি সাধারনত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযুক্ত। আপনি মুল্য যদি বিশ্বাস করেন যে, ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সির মুল্য বৃদ্ধি পাবে, তাহলে এটি ভালো পদ্ধতি হতে পারে।
স্টেকিং
স্টেকিং হলো একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে রাখেন এবং এর মাধ্যমে আপনি নিয়মিতভাবে রিটার্ন পান। এটি প্রমান করে যে, আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি Lock করেছেন এবং এটি ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে।
- PoS(Proof of Stake) এর ভিত্তিতে স্টেকিং করা হয়, যেখানে আপনি ব্লকচেইন একটি নির্দিষ্ট পরিমান ক্রিপ্টোকারেন্সি রেখে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। সাধারনত আপনার রাখা ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিমান এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে আয় হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং
ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি কম্পিউটার বা স্পেশালাইজড মেশিন ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করেন। মাইনিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Proof of work (PoW) সিস্টেমে কাজ করে, যেখানে একটি ব্লকচেইনে নতুন ট্রানজ্যাকশন যোগ করার জন্য কম্পিউটেশনাল শক্তি ব্যবহার করা হয়।
আরোও পড়ুন: ফেসবুক সম্পর্কে ৫টি পদ্ধতি শিখলে ইনকাম হবেই হবে
মাইনিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বড় এবং শক্তিশালী কম্পিউটার বা ASIC (Application-Specific Integrated Circuit) মেশিন দ্বারা করা হয় এবং এর জন্য একটি বড় পরিমান শক্তির প্রয়োজন।
এফটিসি
এফটিসি বা Yield farming হলো এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি বিভিন্ন ডিফাই (DeFi) প্ল্যাটফর্মে জমা দিয়ে পুরষ্কার লাভ করেন। এই পদ্ধতি সাধারনত স্টেকিংয়ের সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু এতে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে অন্যান্য এক্সচেঞ্জ বা লেনদেনের মাধ্যমে উচ্চ রিটার্ন অর্জন করতে পারেন।
এয়ারড্রপ
এয়ারড্রপ হলো এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিতরনের প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো প্রকল্প নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি বা টোকেন বাজারে নিয়ে আসে এবং তা বিনামুল্যে বিতরন করে। কিছু ক্ষেত্রে, আপনি শুধুমাত্র একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট তৈরি করে বা কোনো বিশেষ কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে এয়ারড্রপের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লোন
ক্রিপ্টোকারেন্সি লোন একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্যদের Loan হিসেবে দেন এবং এর বিনিময়ে লাভ পান। কিছু প্ল্যাটফর্মে আপনি নিজের ক্রিপ্টোকারেন্সি রেখে লোন প্রদান করতে পারেন এবং অন্যরা আপনার Loan গ্রহন করলে আপনি লাভ করেন।
NFT (Non-Fungible Token) বিক্রি
NFT (Non-Fungible Token) হলো একটি ডিজিটাল অ্যাসেট যা একটি নির্দিষ্ট মালিকানা এবং অতুলনীয়তার পরিচয় দেয়। আপনি যদি ডিজিটাল আর্ট, গেমিং আইটেম বা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারেন, তাহলে সেগুলিকে NFT হিসেবে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এটি একটি মার্কেটিং পদ্ধতি, যেখানে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বা ওয়ালেটের জন্য রেফারেল প্রোগ্রাম চালান। এতে আপনি অন্যদের সেই এক্সচেঞ্জ বা প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করতে উৎসাহিত করেন এবং প্রতি রেফারেল থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লগিং এবং কনটেন্ট ক্রিয়েশন
ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট তৈরি করেও আয় করা যায়। আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে টিউটোরিয়াল, সংবাদ, পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষন প্রদান করে আয় করতে পারেন। এছাড়া আপনার কনটেন্ট বিজ্ঞাপন বা স্পন্সরশিপ থেকেও আয় হতে পারে।
কিছু সর্তকতা
- ঝুঁকি : ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার খুবই অস্থির, তাই এখানে বিনিয়োগ করার সময় আপনার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকা দরকার।
- নকল বা স্ক্যাম : কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্ম ও প্রকল্প নকল বা স্ক্যাম হতে পারে, তাই খেয়াল রাখুন এবং ভালো রিভিউ ও সতর্কতা যাচাই করুন।
- ট্যাক্স : ক্রিপ্টোকারেন্সি আয়ের উপর ট্যাক্স আরোপ হতে পারে। তাই সঠিকভাবে আয় ও খরচ হিসাব রাখা গুরুত্বপুর্ন।
এইভাবে আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে পারেন। তবে, যে কোনো পদ্ধতি গ্রহন করার আগে যথেষ্ট গবেষনা এবং ঝুঁকি মুল্যায়ন করা উচিত।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লাভের উপর করের হার
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লাভের উপর করের হার নির্ভর করে যে দেশে আপনি বসবাস করছেন, সেই দেশের কর ব্যবস্থার ওপর। প্রতিটি দেশের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ও বিনিয়োগের জন্য আলাদা কর নিতী রয়েছে। নীচে সাধারন তথ্য দেওয়া হলো।
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির কর ব্যবস্থা
বাংলাদেশে বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন বা বিনিয়োগ আইনত স্বীকৃত নয়।
- সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে অবৈধ ঘোষনা করেছে।
- তবে যদি ভবিষ্যতে এটি বৈধ হয়, তাহলে করের হার নির্ধারন করা হতে পারে।
- এখন যেহেতু এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ, তাই করের হার সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য নেই।
বিভিন্ন দেশের কর নিতী
যদি আপনি এমন কোনো দেশে থাকেন যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ, তাহলে করের হার নিম্নরুপ হতে পারে।
- Capital Gains Tax : ক্রিপ্টো বিক্রি বা বিনিয়োগ থেকে লাভ করলে এই কর প্রযোজ্য। উদাহরন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করের হার 0% - ৩৭% এটি লাভের পরিমান ও ব্যক্তির আয়ের স্তরের উপর নির্ভর করে।
- Income Tax : যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং বা কাজের বিনিময়ে আয় করেন, তাহলে এটি আয়ের অংশ হিসেবে গণ্য হয়। উদাহরন:যুক্তরাজ্যে আয় করের হার ২০% - ৪৫% হতে পারে।
- স্টেবল কয়েন বা ট্রেডিং লাভ : নিয়মিত ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভ হলে, এটি ব্যবসায়িক আয়ের অংশ হতে পারে।
কিভাবে কর গণনা করা হয়
কেনার মুল্য : ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার সময় যে মুল্য পরিশোধ করেছেন।
বিক্রির মুল্য : বিক্রি করার সময় প্রাপ্ত অর্থ।
লাভ : বিক্রির মুল্য থেকে কেনার মুল্য বাদ দিলে যে পরিমান লাভ হয়।
আপনার কর পরামর্শ
- নিজের দেশের কর ব্যবস্থার নিয়ম জানুন।
- পেশাদার কর পরামর্শ দাতার সঙ্গে পরামর্শ করুন।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন বা বিনিয়োগের রেকর্ড রাখুন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ এমন দেশসমূহ
- এল সালভাদর : বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২১ সালে বিটকয়েনকে সরকারিভাবে বৈধ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
- রাশিয়া : ২০২৪ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংকে বৈধতা দিয়ে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছে।
- ভারত : ২০২৪ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে বৈধতা দিয়েছে এবং এপ্রিল মাসে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ বা সীমিত এমন দেশসমূহ
- বাংলাদেশ : বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২১ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে অবৈধ ঘোষনা করেছে এবং ব্যবহারকারীদের এ ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
- চীন : চীন সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ও মাইনিং নিষিদ্ধ করেছে।
- নেপাল : নেপাল ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য : যদিও কিছু দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন অবৈধ, তবুও সেসব দেশে সীমিত আকারে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন : বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও, ২০২৪ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৩৫তম।
দ্রষ্টব্য : প্রতিটি দেশের আইন ও নীতিমালা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ঘোষনাপত্র বা নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম অনুসরন করা উচিত।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় হালাল নাকি হারাম
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় হালাল না হারাম তা একটি বিতর্কিত বিষয় যদিও এ সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। নীচে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি আলোচনা করা হলো।
হালাল হওয়ার পক্ষে মতামত
- বিকেন্দ্রীকরন ও স্বচ্ছতা : ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ব্লকচেইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা স্বচ্ছ এবং সরাসরি। কোনো সুদ বা অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত না হলে এটি হালাল হতে পারে।
- সম্পদের মালিকানা : যদি ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তা বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তবে আয় হালাল হতে পারে।
- ব্যবসা ও বিনিয়োগ : ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে বৈধ উপায়ে আয় করলে এটি হালাল হতে পারে, যেমন স্বর্ন বা রোপ্য দিয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে হয়।
হারাম হওয়ার পক্ষে মতামত
- অবৈধ কার্যক্রম : অনেক সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি অপরাধমুলক কার্যক্রম (যেমন মানি লন্ডারিং বা মাদক ব্যবসা) চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ইসলাম অবৈধ বা অনৈতিক উপায়ে আয় নিষিদ্ধ করেছে।
- অনিশ্চয়তা : ক্রিপ্টোকারেন্সির মুল্য খুব অস্থির এবং ভবিষ্যৎবানী করা কঠিন। ইসলামিক অর্থনীতিতে বেশি ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তা থাকা লেনদে নিষিদ্ধ।
- সুদ : কিছু ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং বা লেনদেনে সুদ সম্পর্কিত কার্যক্রম জড়িত থাকতে পারে, যা ইসলামিক আইনে হারাম।
সমাধানের প্রস্তাব
- ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শ : ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের আগে ইসলামিক স্কলার বা ফতোয়া বোর্ডের মতামত নেওয়া উচিত।
- বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার : ক্রিপ্টোকারেন্সি যদি বিনিয়োগ পন্য কেনা বা বিক্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং তা অবৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হয়, তবে এটি হালাল হতে পারে।
- বিশুদ্ধ উৎস : ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় যদি কোনো অপরাধমুলক কাজের সঙ্গে যুক্ত না হয়, তবে তা হালাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সবশেষে বলা যায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় হালাল নাকি হারাম এটি নির্ভর করে এর ব্যবহারের উদ্দেশ্য, পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট নীতি-নৈতিকতার উপর। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শ নেওয়া এবং নিজের জ্ঞান বাড়ানো জরুরি।
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে ব্যবহৃত হয়
ক্রিপ্টোকারেন্সির বৈধতা বাংলাদেশে
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনকে অবৈধ ঘোষনা করেছে।
- বাংলাদেশ ব্যাংকদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা : ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে লেনদেন করলে তা অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন এবং সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘন বলে গন্য হবে।
- ফৌজদারি শাস্তি : যদি কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে শাস্তি হিসেবে জরিমানা এবং কারাদন্ড হতে পারে।
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের বাস্তবতা
যদিও সরকারিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ ব্যক্তিগতভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে থাকেন।
- বিনিয়োগ : অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ (যেমন Binance, Coinbase) ব্যবহার করে বিনিয়োগ করেন। তারা বিটকয়েন ইথেরিয়াম বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে মুনাফা করার চেষ্টা করেন।
- ফ্রিল্যান্সিং : ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহন করেন। পরবর্তীতে তারা এ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় রুপান্তর করেন।
- ট্রেডিং ও হোল্ডিং : কিছু ব্যবহারকারী ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভ করার চেষ্টা করেন। আবার কেউ দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ধরে রাখেন।
- মাইনিং : যদিও এটি বাংলাদেশে তুলনামুলক বিরল, কিছু প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি মাইনিংয়ে যুক্ত আছেন। তবে মাইনিংয়ে উচ্চমানের হার্ডওয়্যার ও বিদ্যুতের প্রয়োজন যা অনেকের জন্য সহজলভ্য নয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের ঝুঁকি
আইনি জটিলতা : ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীরা সরকারের আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে থাকেন। অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়ছে।
মুল্য অস্থিতিশীলতা : ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম দ্রুত উঠানামা করে, যা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারন হতে পারে।
প্রতারনা : অনলাইনে অনেক ভুয়া প্ল্যাটফর্ম বা স্ক্যাম রয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই প্রতারিত হতে পারেন।
ট্যাক্স বা নিয়ন্ত্রনের অভাব : সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় কর বা নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা কার্যকর নয়।
বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
একনো বাংলাদেশ সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ করার বিষয়ে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়নি। তবে অনেক দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা দিয়ে লাভবান হচ্ছে দেখে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তিকে স্বীকৃতি দিতে পারে।
কীভাবে সচেতন থাকবেন
- বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করলে আইন মেনে চলার চেষ্টা করুন।
- বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে গবেষনা করুন।
- প্রতারকদের থেকে সতর্ক থাকুন এবং শুধুমাত্র বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন।
- কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে পেশাদার পরামর্শ গ্রহন করুন।
- বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনো আইনি সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তবে প্রযুক্তির প্রসার ও আন্তর্জাতিক প্রবনতা বিবেচনায়, ভবিষ্যতে এটি বৈধতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যারা এটি ব্যবহার করছেন বা আগ্রহী তাদের সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
লেখকের শেষকথা
ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি বিকেন্দ্রীকৃত ডিজিটাল মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের নিয়ন্ত্রনে নয় এবং প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে লেনদেনের সুযোগ প্রদান করে। ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রধান সুবিধা হলো এর নিরাপত্তা, দ্রুত লেনদেনের গতি এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের সম্ভাবনা।
তবে এর মুল্যের অস্থিরতা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক নিয়ন্ত্রন ও জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি ভবিষ্যতে আর্থিক খাতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে পারে।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url