শীতকালে জলপাই কেন খাবেন
ড্রাগন ফল কেন খাবেন এর উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারীতভাবে জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে বর্ননা করা হয়েছে শীতকালে জলপাই কেন খাবেন এই সম্পর্কে। বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় ফল। সাধারণত অক্টোবার মাস থেকেই জলপাই পাওয়া যায়।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কি কারনে শীতকালে আপনারা জলপাই খাবেন। সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা সম্পকেও জানতে পারবেন। আরোও জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়ার উপকারিতাগুলো নিয়ে। জলপাই অতিরিক্ত খেলে কিছু ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হয় তা আলোচনা করা হয়েছে।
শীতকালে জলপাই কেন খাবেন
জলপাই শীতকালের একটি জনপ্রিয় ফল। এই ফলটি অত্যন্ত টক হওয়ায় এর তৈরি আচার খুব সুস্বাদু। শীতে সাধারনত রোগ বালাই বেড়ে যায়। তাই এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব জরুরী হয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় জলপাইয়ের কোন জুড়ি নেই। জলপাইয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ই। জলপাই শরীরের ভালো কোলেষ্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শরীরে ভালো কোলেষ্টরল বাড়লে হৃদরোগ, লিভার ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে।
জলপাইয়ের পুষ্টিগুন
১০০ গ্রাম জলপাইয়ে রয়েছে
- খাদশক্তি - ৭০ কিলোক্যালরি
- শর্করা - ৯.৭ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম - ৫৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি - ১৩ মিলিগ্রাম
হার্টের সুরক্ষায় কার্যকর: মানুষের রক্তে যদি খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জলপাইয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে কোলেষ্টোলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহয়তা করে: ভিটামিন ই এর এক বড় উৎস হলো জলপাই। যা রক্তে ক্ষতিকর কনিকাগুলো ধ্বংস করে। যাতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। জলপাইয়ে ভিটামিন ই থাকায় তা কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা প্রদান করে। যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়:বাজারে যে কালো জলপাই পাওয়া যায় সেই জলপায়ে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। যা চুল পড়ে যাওয়া রোধে সহায়তা করে। জলপাইয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা ভাব আনে।সুর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
হাড়ের ক্ষয়রোধ করে:জলপাইয়ের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা যেকোন প্রদাহর বিরুদ্ধে কাজ করে। আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা আছে। জলপাই হাড়ক্ষয় রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে:আপনি যদি নিয়মিত জলপাই খান তাহলে গ্যাস্টিক ও আলসার কম হয়। বিপাকক্রিয়া সঠিকভাবে সংগঠিত হয়।
চোখের যত্নে ভুমিকা রাখে:জলপাইয়ে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ রয়েছে। যাদের চোখে সমস্যা আছে, তারা যদি নিয়মিত জলপাই খান তাহলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।জীবানুর আক্রমন,চোখ ওঠা ও চোখের পাতার ইনফেকশন রোধে সহায়তা করে।
পিত্তথলিতে পাথর জমতে বাঁধা দেয়:আপনি যদি নিয়মিত জলপাই খান তাহলে পিত্তথলির পিত্তরস সঠিকভাবে কাজ করে ও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রবনতা কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: জলপাইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আরোও রয়েছে ভিটামিন সি। নিয়মিত জলপাই খেলে সর্দি, জ্বর দুর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কোলেষ্টরল কমায়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেউ যদি জলপাইয়ের সময় নিয়মিত জলপাই খায় তাহলে তা কোলেষ্টরল কমাতে সাহায্য করে। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটমিন সি, পেকটিন ও ফাইবার রয়েছে যা শরীরের কোলেষ্টরল কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখে। তাই পরিমিত পরিমানে প্রতিটি মানুষের জলপাই খাওয়া উচিত।
শরীর সুস্থ রাখে: একটি জলপাইয়ে থাকে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম যা শরীরের রক্ত স্বল্পতা দুর করতে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া জলপাইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করতে সহয়তা করে। জলপাইয়ে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দাঁতের রোগ: দাতেঁর সুস্থতায় জলপাই কার্যকর ভুমিকা পালন করে। জলপাই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ খেয়ে আসছে। জলপাই শুকিয়ে গুড়া করে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাাঁত মজবুত হয়। জলপােই নির্যাস পানিতে গুলিয়ে সেই পানি দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে দাঁতের পচন, দাঁতের রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জলপাই খুব কার্যকর ভুমিকা পালন করে। জলপাই রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করে। জলপাই রক্তের নালীগুলোকে প্রসারিত করে ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন ১ টি করে জলপাই ও ৫টি গোলমরিচের সাথে বেটে খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস কমাতে সহায়তা করবে।
সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা
জলপাই সাধারনত আমাদের দেশে শীতকালে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে টক জাতীয় ফলের মধ্যে জলপাই অন্যতম। জলপাইয়ে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা শীতকালে প্রয়োজন। শীতকালে আচার ও টকডাল রান্নায় জলপাই ব্যবহার করা হয়।
- জলপাই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি ফল যা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
- সাধারনত মানুষের হৃৎপিন্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে যা হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী জলপাইয়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তনালীতে চর্বি জমতে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়া এর মধ্যে থাকা মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্টের জন্য খুব উপকারী।
- জলপাইয়ের মধ্যে থাকা মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের মধ্যে থাকা ফ্যাটি সেল ভাঙতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলে কোনো কোলেস্টরল নেই। এই ফলটি নিয়মিত খেলে ওজন ও ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক থাকে।
- কালো জলপাই আয়রনের খুব ভালো উৎস। আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি খনিজ যা আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- জলপাই এলার্জি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় তা ত্বকের সংক্রমন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
- জলপাই এর মধ্যে থাকা ফাইবার মানুষের শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখে ও হজম প্রকৃয়ায় সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
- জলপাই এর তেলে ফ্যাটি এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ত্বক ও চুল ভালো রাখে।জলপাই এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ই চুল পড়া রোধে সহায়তা করে।
- জলপাই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ যা চোখের অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- আপনি যদি নিয়মিত জলপাই খান তাহলে পিত্তথলীতে পাথর জমবে না ও বাতের ব্যথা বাড়বে না।
- জলপাই এ প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ত্বককে অতি বেগুনে রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
- জলপাই এর তেল খারাপ কোলেষ্টরলের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে ধমনীতে খারাপ কোলেষ্টরর জমতে দেয় না। এতে হার্ট ভালো থাকে।
- গবেষনায় দেখা গেছে জলপাই এর তেল Glucose নিয়ন্ত্রন করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়ার উপকারিতা
জলপাই এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন। তাই গর্ভবতী মায়েরা যদি জলপাই খান তাহলে তার নিজের ত্বকসহ শিশুর ত্বক ও চুল সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জলপাই খাওয়া প্রয়োজন। এই ফলটি খাওয়ার ফলে লাইপো-প্রোটিনের পরিমান কমে যায় ও গর্ভবতী হার্টকে ভালো রাখে।
একজন গর্ভবতী মায়ের যেন কোনভাবেই কোষ্ঠকাঠিন্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারন কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত জলপাই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হয় কারন এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। গর্ভকালীন সময়ে রক্তশুন্যতা দেখা দেয় এটি হয়ে থাকে মুলত আয়রনের অভাবজনিত কারনে।
তাই আয়রনের অভাব দুর করতে জলপাই খাওয়া উচিত কারন জলপাই এ প্রচুর পরিমানে আয়রন আছে। এছাড়া গর্ভবতী মায়ের শরীরে আয়রন কমে গেলে শিশুর অক্সিজেনের অভাব ঘটে এতে শিশুর ক্ষতি হয়। তাই নিয়মিত জলপাই খাওয়া উচিত। জলপাই এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এছাড়া জলপাই শিশুর ত্বক, হাড় ও রক্তনালী সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই গর্ভবতীকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জলপাই খেতে হবে।
জলপাইয়ের অপকারিতা
- জলপাই আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে অতিরিক্ত পরিমান জলপাই খেলে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়।
- যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা যদি অতিরিক্ত জলপাই খায় তাহলে ত্বক ফুলে যেতে পারে, চুরকানি হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- যাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা আছে তাদের পরিমিত পরিমানে জলপাই খাওয়া উচিত। পরিমিত পরিমানে জলপাই না খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরোও বেড়ে যেতে পারে।
- আপনারা যদি কেউ রক্ত পাতলা করা ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে এই ওষুধ খাওয়া অবস্থায় জলপাই না খাওয়ায় উচিত কারন জলপাই খেলে রক্তক্ষরনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের জলপাই খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। কারন জলপাইয়ের মধ্যে পটাসিয়াস রয়েছে, অতিরিক্ত পটাসিয়াম গ্রহন কিডনির রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- আপনাদের মধ্যে কেউ যদি মস্তিষ্কের রোগে ভুগেন তাহলে তাদের জলপাই খাওয়ার ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিত। কারন জলপাইয়ের মধ্যে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট মস্তিষ্কের রোগের ঝুঁকি আরোও বাড়িয়ে দেয়।
জলপাই আচার এর উপকারিতা
- জলপাই - ১ কেজি
- গুড় - ১/২ কেজি
- মরিচের গুঁড়া - ২ টেবিল চামচ
- সরষে বাটা - ১ চা চামচ
- সরষের তেল - ১ কাপ
- পাঁচফোড়ন - ১ টেবিল চামচ
- ধনে গুঁড়া - ১ চা চামচ
- রসুন কুচি - ১/২ কাপ
- দারুচিনি - ৩-৪ টি
- তেজপাতা - ১ টি
- এলাচ - ২ টি
- ভিনেগার - ২ কাপ
- লবন - স্বাদমত
রন্ধন প্রনালী: জলপাইগুলোকে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে। এরপর হালকা ঠান্ডা করার পর চটকে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও রসুন ভেজে তাতে পাঁচফোড়ন দিতে হবে। কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করার পর বাঁকি মশলার গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে।
জলপাই এর সাথে ভালোভাবে মশলাগুলো মেশানোর জন্য নাড়াচাড়া করতে হবে। ভিনেগার দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হালকা আঁচে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর আচার ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাচের পাত্রে রেখে দিতে হবে। এই আচার ১ বছর পর্যন্ত অনায়াসে রেখে খাওয়া যায়।
উপরোক্ত পদ্ধতিতে আচার রান্না করলে এর সকল পুষ্টিগুন বজায় থাকে। নিয়মিত ভাত, খিঁচুড়ী ও রুটির সাথে এই আচার খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
জলপাই এর আরবি নাম কি
আরবরা যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হিসেবে জয়তুনের পাতা ও মানুষের শরীরের শান্তির দুত হিসেবে জলপাইয়ের তেল বা আরবিতে যাকে বলে জয়তুনের তেল ব্যবহার করে থাকে।
জলপাই গাছের ইংরেজি নাম
জলপাইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম Elaeocarpus serratus এর ইংরেজি নাম Olive oil.
জলপাই গাছের বৈশিষ্ট্য
জলপাই এর গাছ মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে। এই গাছটি ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতার হয়ে থাকে। এই গাছের বাকল কালো ও ধুসর। পাতা সরল, লম্বাটি ও বল্লমাকৃতির। গোড়ার দিক গোলাকার, উপরিভাগ মসৃন ও উজ্জর হয়ে থাকে। ফুল হয় সাদা রংয়ের। ফল হয় সবুজ, ডিম্বাকার ও লম্বায় ৩ থেকে ৫ সে.মি।বছরে ৮ থেকে ৯ বার ফল ধরে।
লেখকের শেষকথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন জলপাই ফলের উপকারিতাগুলো নিয়ে এবং এটি নিয়মিত খেলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে জলপাই খান তাহলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url