খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
শরীরে চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারীত জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে। নিম গাছ এমন এক গাছ যার কোন অংশ বাদ যায় না। নিমের বিচি, ফুল,পাতা ও ছাল দিয়ে নানা ধরনের ওষুধ তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত হয়।নিমের বিচি সংরক্ষন করে রেখে তা গুঁড়ো করে নিয়মিত খেলে শরীর থাকবে রোগমুক্ত।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন নিম পাতার রস খালি পেটে খেলে কি হয়, নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি, নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম, নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়, গুড়ো করে নিমপাতা খেলে কি ধরনের উপকার পাবেন, আপনার যদি শরীরে চুলকানি হয় তাহলে কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং নিম পাতার ক্লিনজিং মুখে দিলে কি হয়।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
নিম গাছ এমনই একটি গাছ যার ডাল, পাতা, রস ও ছাল সবই কাজে লাগে। আপনি যদি শুধু নিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে ২২ টি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। বর্তমানে নিমপাতা প্রসাধনী তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। নিমপাতার রস কৃমিনাশক হিসাবে খুব কার্যকর। নিমের কাঠও খুব শক্ত। এই কাঠ কখনোই ঘুন বা কোন পোকা ধরেনা।
তাই নিম গাছকে ২১ শতকের গাছ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মর্যাদা দিয়েছে।
খোঁস পাঁচড়া বা চুলকানি: আপনি যদি নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে খোঁস পাঁচড়া দুর হবে। নিমের পাতা ও ফুল বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি ভালো হয়ে যায়। পাতা ভেজে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানির জায়গায় লাগালে চুলকানি কমে যায়। নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ একসাথে পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাবে।
নিম পাতার সাথে সামন্য কাঁচা হলুদ পিষে আক্রান্ত স্থানে ৭ থেকে ১০ দিন প্রয়োগ করলে খোঁস পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপসম হয়।আবার নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে ক্ষত স্থানের লাগালে ক্ষতস্থান খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
কৃমিনাশক: শিশুদের পেটে যদি কৃমি হয় তাহলে শিশু রোগা পাতলা হয়ে যায়। পেট বড় হয়ে যায় ও চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। নিম পাতা শিশুদের কৃমি নাশ করতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। সাধারনত শিশুরায় কৃমিতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই ৫০ মিলিগ্রাম নিম গাছের মুলের ছালের গুঁড়া গরম পানির সাথে মিশিয়ে ৩ দিন খেলে কৃমি নির্মুল হয়।
নিমের ছালের চুর্ন ৩/৪ গ্রাম পরিমান সৈন্ধব লবনসহ সকালে খালি পেটে ১ সপ্তাহ খেলে কৃমির উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ত্বক: প্রাচীনকাল থেকে রুপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দুর করতে নিম পাতা জাদুর মত কাজ করে। ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও নিমের পাতা ব্যবহার করা হয়। ব্রনের বিরুদ্ধেও নিমপাতা ব্যপক কাজ করে। নিমপাতা খাওয়ার কার্যকর পদ্ধতি হলো ১ কেজি পরিমান পাতা প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
তারপর ২/৩ দিন কড়া রোদে শুকিয়ে নিয়ে বেল্ডারে পিসে পাওডার করে নিতে হবে। এই পাওডার একটি এয়ারটাইট প্যাকেটে রেখে নিয়মিত খেতে হবে।নিম পাতার গুঁড়াকে পেষ্ট বানিয়ে ব্রনের উপর নিয়মিত লাগালে ব্রন ভালো হয়ে যায়।
দাঁতের রোগ: দাতেঁর সুস্থতায় নিমের ডাল কার্যকর ভুমিকা পালন করে। নিমের ডাল প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমের পাতা, নিমের ছালের গুঁড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাাঁত মজবুত হয়। নিম পাতার নির্যাস পানিতে গুলিয়ে সেই পানি দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করলে দাঁতের পচন, দাঁতের রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে নিম খুব কার্যকর ভুমিকা পালন করে। নিমের রস রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করে। নিমপাতা রক্তের নালীগুলোকে প্রসারিত করে ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।আপনি যদি নিয়মিত খালি পেটে ১০টি কচি নিম পাতা ও ৫টি গোলমরিচের সাথে বেটে খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস কমাতে সহায়তা করবে।
চুলের যত্নে: সুন্দর, সুস্থ, উজ্জল ও প্রানবন্ত চুল গঠনে নিম পাতা কার্যকর ভুমিকা পালন করে। চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ৭ দিন ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দুর হয়। প্রতি সপ্তাহে কিছু নিমপাতা বেটে মাথায় ১ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন তারপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল হবে নরম, কোমল ও মসৃন। এছাড়া মধুর সাথে নিমপাতার রস মাথায় লাগালেও চুল পড়া কমবে চুল হবে নরম ও কোমল।১ চা চামচ নিমপাতার রস ১ চা চামচ লেবুর রস ও ৩ টেবিল চামচ টক দই একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করে তা মাথায় সপ্তাহে ২ দিন লাগিয়ে আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু করলে চুল হবে নরম, কোমল, মসৃন ও প্রানবন্ত।
মাথার উকুন দুর করে: মাথার উকুন বিনাশে নিমপাতা কার্যকর ভুমিকা পালন করে। কচি নিমপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে ঐ পেস্ট মাথার তালুতে ম্যাসেজ করে কিছুক্ষন রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২/৩ বার ৩ মাস ব্যবহার করলে উকুন দুর হবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: নিমের জুস ওজন কমাতেও দারুন ভুমিকা রাখে।নিমের জুস পান করলে তা শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ও শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে। নিমফুলের চূর্নের সাথে ১ চামচ মধু ও ১/২ চামুচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন খালে পেটে পান করলে ৩ মাসের মধ্যে ওজন কমে যাবে।
রক্ত পরিষ্কার করে: রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ও নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। নিমপাতার রস রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিন্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে।
বুকের ব্যথা দুর: সাধারনত বুকে কফ জমে ব্যথা হতে পারে। গরম পানিতে নিম পাতার রস মিশিয়ে ৩ থেকে ৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমে যায়। তবে অবশ্যই গর্ভবতী নারীরা এটা সেবন করবেন না।
জন্ডিস থেকে মুক্তি: প্রতিদিন একটু মধুর সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে খালি পেটে খেলে জন্ডিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভাইরাস রোগ: চিকেন পক্স, হাম ও অন্যান্য চর্ম সাধারনত ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে। এই ভাইরাস রোধ করতে নিম পাতার কোন জুড়ি নেই। তাই এই রোগগুলি হলে নিমপাতা বেটে মধুর সাথে খেলে এবং আক্রান্ত স্থানে নিমপাতার পেষ্ট লাগালে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মুক্তি পাওয়া যায়।
ইনফেকশন দুর করতে: নিমের রসে নিম্বিডল ও জেডুনিন নামক ফাঙ্গাস ধ্বংসকারী উপাদান থাকায় শরীরে যেকোন ধরনের ফাঙ্গাস হলে তা নিরাময়ে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। নিম পাতার পেস্ট আক্রান্ত স্থানে ১০ থেকে ১৫ দিন লাগালে ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
- নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-ভাইরাস উপাদান, আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমানে নিমের রস সেবন করেন তাহলে তা কিডনিতে জমা হয় যা কিডনির ক্ষতি করে।
- কোন গর্ভবতী নারী যদি নিম পাতা খায় তাহলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে।
- নিম পাতা অতিরিক্ত পরিমানে সেবন করলে অ্যালার্জির মাত্রা বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত পরিমানে নিমপাতা খেলে বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা হতে পারে।
- অতিরিক্ত নিমপাতা সেবন বন্ধ্যাত্বতার কারন হতে পারে।
- যেকোনো ধরনের অপারেশনের আগে নিমের ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
- নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা যেন নিম পাতা খাওয়া থেকে দুরে থাকে।
- নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়মঃ
- খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো।
- প্রতিদিন নিম পাতা খাওয়া ঠিক নয় এতে ক্ষতি হতে পারে। সপ্তাহে ২/৩ দিন নিমপাতার রস খাবেন।
- মধু বা গুড়ের সাথে নিম পাতা মিশিয়ে খাওয়া ভালো।
- পাতার রস ও নিম চা হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
- সবচেয়ে ভালো হয় ৫ টি গোলমরিচ ও ১০ টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
- আয়ুর্বেদিকের মতে, নিম চিনি ও চিনির মিশ্রির সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়
- নিম পাতায় গ্যাডোনিন সমৃদ্ধ উপাদান থাকায় তা ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া নিমপাতা সিদ্ধ পানি ঠান্ডা করে বোতলে রাখুন তারপর ঘরে স্প্রে করুন তাহলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।
- নিমের পাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাত, ব্যথা সারাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
- নিম পাতা সিদ্ধ পানি ঠান্ডা করে চোখেমুখে দিলে আরাম অনুভুত হয়।
- নিম পাতার পেস্ট ব্রনের উপরে লাগালে ব্রন ভালো হয়ে যায়।
- অনেকদিনের পেটের অসুখ থাকলে ২০ ফোটা নিম পাতার রস ও ১ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে সকাল বিকাল খেলে পেটের অসুখ দুর হয়।
- আপনাদের ত্বকে যদি একজিমা হয় তাহলে সকাল ও দুপুরে নিম পাতার বড়ি খেলে উপসম পাওয়া যায়।
নিম পাতার গুড়া খেলে কি হয়
- খুশকি মুক্ত করতে নিমপাতা গুড়া কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
- ত্বকের সংক্রমন রোধে নিমপাতার গুড়া জাদুর মত কাজ করে।
- ত্বকে ব্রনের সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
- টুথপেস্টের সাথে নিম পাউডার মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাঁতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
- নিম পাতার গুড়া মাথার উকুন প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
- ত্বকের একজিমা প্রতিরোধে নিমের গুড়া দারুন কাজ করে।
- চুল ঝরে পড়া রোধে নিমপাতা ব্যপক কাজ করে।
- কারো যদি সাইনোসাইটিসের সমস্যা থাকে নিমপাতার গুড়া সেবন করলে এই সমস্যা দুর হয়।
- নিমপাতার গুড়া প্রেস্টিসাইড হিসেবে ব্যপক কার্যকর।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
আপনি যদি নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহার তাহলে চুলকানি সহজে দুর হয়। প্রাচীনকাল থেকে নিমপাতা চুলকানি প্রতিরোধে ঘরোয়াভাবে আমাদের মা, খালারা ব্যবহার করে আসছে। যাদের চোখে চুলকানি আছে তারা নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে চুলকানি দুর হয়। আবার যাদের শরীরে এলার্জি আছে তারা যদি নিমপাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে গোসল করে তাহলে এলার্জি দুর হয়।
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
ত্বক ভালো রাখতে নিমপাতার কোনো জুড়ি নেই। ত্বক ভালো রাখতে নিমের ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে।নিমপাতা শুধুমাত্র জীবানু দুর করেনা ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সহয়তা করে।ত্বকে নিমপাতা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করলে এর উপকার সব থেকে বেশী পাওয়া যায়। নিমপাতা সব আবহাওয়াতে ব্যবহার করা যায়।
নিমপাতার ক্নিনজার: নিমের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যকটেরিয়াল উপাদান থাকায় তা ত্বকের অনেক সমস্যা দুর করে। আপনাদের যাদের ব্রন, ব্ল্যাকহেডের সমস্যা রয়েছে তা দুর করতে নিমপাতা বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এছাড়া ত্বকের তৈলাক্ততা দুর করতে ও ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে নিম পাতার কার্যকারিতা অপরিসীম।
নিমপাতার ক্লিনজার তৈরি করতে ২৫০ গ্রাম নিমপাতা নিন। তারপর পরিষ্কার হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে নিন, ফুটন্ত পানিতে নিমপাতা দিয়ে আরেকবার ফোটান যতক্ষন পর্যন্ত না পানি সবুজ হয়েছে ততক্ষন ধরে পানি ফোটাতে থাকুন। এরপর পানি ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এই মিশ্রনটি একটি পরিষ্কার বোতলে ভর্তি করে সংরক্ষন করুন। এটি টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
নিমপাতার ফেসপ্যাক: নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরিতে প্রথমে ২৫০ গ্রাম পরিমান পাতা রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে পাউডার করে নিন।
- নিমপাতার গুড়া - ২ টেবিল চামচ
- চন্দন পাউডার - ২ টেবিল চামচ
- পানি - ১ টেবিল চামচ
- গোলাপ জল - ১ টেবিল চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন।তারপর উক্ত মিশ্রনটি মুখে দিয়ে অন্ততপক্ষে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ১ সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হবে উজ্জল ও প্রানবন্ত।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন নিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে নিম পাতা, নিমের বিচী ও নিমের ছাল খান তাহলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url