হারাম উপার্জনের ভয়াবহ পরিণতি
কুরআন ও হাদিসের আলোকে কেয়ামতের আলামতসমূহ সম্পর্কে জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে আল কুরআন ও হাদিসের আলোকে হারাম উপার্জনের ভয়াবহ পরিনতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ননা করা হয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তারা হারাম হালাল সম্পর্কে কোন ধারন রাখেন না। আর্টিকেলটি পড়লে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। এতে আপনার মধ্যে হারাম উপার্জন সম্পর্কে ভয় সৃষ্টি হবে।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন হারাম উপার্জন সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়ালােইহিস সাল্লাম কি বলেছেন, কোন বস্তুকে হালাল বা হারাম করার অধিকার কেবলমাত্র আল্লাহর, এছাড়া হারাম উপার্জনের নানা ধরনের ক্ষতি রয়েছে যা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।
হারাম উপার্জনের ভয়াবহ পরিণতি
প্রতিটি মুসলিম নরনারীর জন্য হালার উপার্জন ও হালাল খাদ্য গ্রহণ করা ফরজ। মহান আল্লাহতালা বলেছেন, হে মুমিনগণ আহার করো আমি তোমাদের যে হালাল রিজিক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শোকর কর যদি তোমরা তারই ইবাদত করো। (সূরা বাকারা : ১৭২) এর বিপরীতে আল্লাহতালা অবৈধ উপার্জনকে হারাম করেছেন।
অবৈধ উপায়ে উপার্জন করে সহজে উপরে উঠা যায় কিন্তু এর বহু ক্ষতি রয়েছে। হারাম উপার্জন ইহকাল ও পরকালকে নষ্ট করে দেয়। পৃথিবীতে ও আখেরাতে শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। হারাম উপার্জনের ভয়াবহ পরিনতি নীচে উল্লেখ করা হলো।
আল্লাহর অসন্তুষ্টি
লোভ লালসা থেকে মানুষের মনে হারাম উপার্জনের ইচ্ছা জাগে। যারা লোভি তারা তাদের স্বার্থের জন্য যত নীচে নামার প্রয়োজন তত নীচে নামতে দ্বিধাবোধ করেনা। দুনিয়ার সুখ শান্তি, লোভ লালসা ও সম্পদের লোভে মানুষ হালাল হারামের তোয়াক্কা করেনা। যার কারনে আল্লাহ সুবহানাহুয়া তায়ালা তাদের উপরে অসন্তুষ্ট হয়ে যান, যা ভয়াবহ একটি ব্যাপার।
পবিত্র কোরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন “নিশ্চই যারা আল্লাহর সঙ্গে করা প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথের বিনিময়ে তুচ্ছ মুল্য খরিদ করে, আখেরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। আর আল্লাহ তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না এবং তাদের দিকে তাকাবেন না কেয়ামতের দিন। আর তাদের পরিশুদ্ধ করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক শাস্তি”। (আল ইমরান : ৭৭)
রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, যারা সুদ খায়, সুদ দেয়, সুদের লেখন লিখে ও সুদের সাক্ষদেয় তারা সকলেই সমানভাবে অপরাধী। (মুসলিম : ৩৯৮৫) এদের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিসম্পাত করেছেন।
আরেকটি হাদিসে রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, ঘুষদাতা ও গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিশাপ।(ইবনে মাজাহ : ২৩১৩)
দোয়া কবুল হয় না
হারাম উপায়ে অর্জিত উপার্জন করে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলে তা কবুল হয় না। রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিস একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বললেন, একজন মানুষ যিনি দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে থাকায় তার মাথার চুল ছিল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত ও জামা কাপড় ছিল ধুলিময়।
তিনি আকাশের দিকে হাত তুলে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করলেন হে প্রভু, হে আমার প্রতিপালক বলে। অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক ও জীবন জীবিকা হারাম। এ অবস্থায় তার দোয়া কিভাবে কবুল হতে পারে। (তিরমিজি : ২৯৮৯)
বরকত কমে যায়: মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন আর দান সাদকা বাড়িয়ে দেন। (আল বাকারা : ২৭৬)
তাফসীর গন এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, যে সম্পদের সঙ্গে সুদ মিশ্রিত হয়ে আছে যার বেশিরভাগ সময় সেগুলো ধ্বংশ হয় ও আগে যা ছিল তাও সঙ্গে নিয়ে যায়। সুদ ও জুয়ার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা প্রচুর টাকার মালিক অর্থাৎ কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও একদিন ফকির হয়ে যায়।
যেমন: হারাম উপায়ে অর্জিত কোটি টাকর মালিকদের দেখলে বোঝা যায় তাদের অবস্থা সম্পর্কে হয় সে নিজে মারাত্মক অসুস্থ না হয় তার পরিবারের অন্য কোন সদস্য অসুস্থ। যাদের চিকিৎসার জন্য অর্থ খরচ করতে করতে একসময় ফকির হয়ে যায়।
কবরের শাস্তি
হারাম উপার্জনকারীগন দুনিয়াতে যেমন শাস্তি পায় ঠিক তেমনি কবরেও ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হয়।সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রাঃ) বলেন, রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, আজ রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি, দুই ব্যক্তি আমার কাছে এসে আমাকে এক পবিত্র ভুমিতে নিয়ে গেল। আমরা যেতে যেতে এক রক্তের নদীর কাছে আসলাম।
দেখলাম নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে ও আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে।রক্তের নদীর মাঝখানের লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চাচ্ছে তখন নদীরে তীরে থাকা ব্যক্তি মুখে পাথর মেরে আবার নদীর মাঝখানে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে ততবার পাথর নিক্ষেপ করে সস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম ব্যক্তিটি কে ? উত্তরে তিনি বললেন যাকে আপনি রক্তের নদীতে দেখেছেন সে লোকটি সুদখোর। (বুখারি : ২০৮৫)
দান খয়রাত কবুল হয় না
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মনে করেন হারাম উর্পাজনের মধ্যে থেকে কিছু সাদকা করলে হয়ত শাস্তি কিছুটা কম হবে বা আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন এই মনে করে প্রচুর দান সাদকা করে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই দান তার কোন কাজে আসবে না।
রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতা ছাড়া কোন সালাত কবুল করেন না এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের দান বা সাদকা গ্রতন করেন না। (নাসায়ি : ১৩৯)। তািই সকলের উচিত হারাম থেকে বেঁচে থাকা।
হারাম উপার্জন নিয়ে কোরআন ও হাদিস
হে মুমিনগণ, তোমরা অন্যায় ভাবে পরস্পরের ধন সম্পদ গ্রাস করো না কেবলমাত্র পরস্পর সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা কর তা বৈধ। এবং তোমরা নিজেদের হত্যা করো না নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল। (সূরা নিসা ২৯)
আমি ইহুদীদের জন্য পবিত্র বস্তু সমূহ যা তাদের জন্য হালাল ছিল, তা হারাম করে দিয়েছি তাদের বাড়াবাড়ির কারণে আর বহু লোককে আল্লাহর পথে বাধা দেয়ার কারণে, এবং তাদের সুদ গ্রহণের কারণে যদিও তা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল।
এবং তাদের অন্যায় ভাবে লোকদের ধন সম্পদ গ্রাস করার কারণে এবং তাদের মাঝে যারা অবিশ্বাসী আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা নিসা : ১৬০-১৬১)
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এমন এক যুগ আসবে যখন মানুষ পরোয়া করবে না যে কোথা থেকে সে উপার্জন করল হালাল থেকে না হারাম থেকে। (বুখারী ১৯২৬)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নফরমানি, কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া, কারো প্রাপ্য অধিকার না দেয়া, অন্যায় ভাবে কিছু নেয়া, অনর্থক বাক্য ব্যয় করা, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা ও সম্পদ নষ্ট করা। (বুখারী ২২৪১)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন পবিত্র ও হালাল জিনিস ছাড়া আল্লাহর দিকে কোন কিছু অগ্র গমন করতে পারে না। (বুখারী ৬৯১১)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বলেছেন বান্দার পা কেয়ামতের দিন নড়বে না যতক্ষণ না তাকে প্রশ্ন করা হবে তার বয়স সম্পর্কে যে, কি কাজে সে তা ব্যয় করেছে, তার ইলম সম্পর্কে তদনুঅনুযায়ী সে কি আমল করেছে, তার সম্পদ সম্পর্কে, কোথা থেকে তা অর্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে তার শরীর সম্পর্কে সে কিসে তা বিনাশ করেছে। ( তিরমিজি ২৪২০)
মানুষ যে অর্থ উপার্জন করে তা নিম্নের শ্রেনীতে ভাগ করা হয়েছে
- যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে উপার্জন করা হয় এবং তারই সন্তুষ্টির পথে ব্যয় করা হয়। আর এটা হল পবিত্রতম ও সর্বোত্তম অর্থ।
- তা আল্লাহর অবাধ্য হয়ে উপার্জন করা হয় এবং পাপের পথে ব্যয় করা হয়। আর এই হল অপবিত্র ও নিকৃষ্ট অর্থ।
- যা কোন মুসলিমকে কষ্ট দিয়ে উপার্জন করা হয় এবং কোন মুসলিমকে কষ্ট দেয়ার পথে ব্যয় করা হয়। তাও নিকৃষ্ট অর্থ।
- যা বৈধ পথে অর্জন করা হয় এবং বৈধ প্রবৃত্তির পথে ব্যয় করা হয়। যাতে আসলে কোন উপকার বা অপকার নেই।
- প্রথম প্রকার অর্থ হলো মুমিনের। এই অর্থ দ্বারা সে উপকৃত হয় দুনিয়ায় ও আখিরাতে। অবশ্য চতুর্থ প্রকার অর্থ থাকা দূষণীয় নয়।
কোন বস্তুকে হালাল বা হারাম করার অধিকার কেবল আল্লাহর
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তুমি বলোঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু রিজিক পাঠিয়েছিলেন, অতঃপর তোমরা ওর কত অংশ হারাম এবং কতক অংশ হালাল সাব্যস্ত করে নিলে, তুমি জিজ্ঞেস করঃ আল্লাহ কি তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করছে ? (সূরা ইউনুস-৫৯)
হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা বৈধ করেছেন তা তুমি নিষিদ্ধ করছ কেন ? তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাচ্ছ? আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(সূরা তাহরীম ১)
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি হারাম করেছেন মৃত জীব, রক্ত ও শুকরের মাংস এবং সেই দ্রব্য যার প্রতি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নেয়া হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে পড়ে। কিন্তু সে নাফরমান ও সীমালংঘনকারী নয় তার কোন পাপ নেই নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। (সুরা বাকারা ১৭৩)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন, হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট। আর উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়। অনেকেই জানেনা তা হালাল এর অন্তর্ভুক্ত, নাকি হারামের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি স্বীয় দিন ও সম্মান বাঁচাতে তা পরিত্যাগ করল সে নিরাপদ হলো। আর যে ব্যক্তি এর কিছু অংশে ও নিপতিত হয়, আশঙ্কা হয়, সে হারামে নিপতিত হবে।
যেমন: কেউ যদি সংরক্ষিত তৃণভূমির পাশে পশ চরায় তাহলে আশঙ্কা আছে যে, সে তাতে নিপতিত হবে। সাবধান প্রত্যেক শাসকের সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার নির্ধারিত হারাম সমূহ।( তিরমিজি -১২০৮, বুখারী ১৯১৮)
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, এমন এক যুগ আসবে মানুষ পরোয়া করবে না যে, কোথা থেকে সে উপার্জন করলো, হালাল থেকে না হারাম থেকে। (বুখারী ১৯২৬)
কোন কিছুকে হারাম জানা, মানা ও বলার পূর্বে একথা জানতে হবে যে, হালাল অথবা হারাম ঘোষণা করার অধিকার একমাত্র মহান আল্লাহর। কোন মানুষ নিজের তরফ থেকে কোন কিছুকে হারাম ঘোষণা করতে পারেনা, যেহেতু প্রত্যেক জিনিসের সৃষ্টিকর্তা তিনিই এবং তিনি মানুষকে আহার দান করেন। অতএব তারই অধিকারে থাকবে হারাম হালালের বিধান।
তাছাড়া কোন সৃষ্টি সঠিক রূপে জানে না যে, কোন খাদ্যের ভিতর কোন শ্রেণীর অনিষ্টকারিতা রয়েছে। আর একথা অবশ্যই জানতে হবে যে, যে জিনিস ইসলামে হারাম, অপবিত্র বা নিষিদ্ধ সে জিনিসে বান্দার কোন না কোন অনিষ্টকারিতা ও ক্ষতি আছে। মানুষ সৃষ্টি হয়েছে একমাত্র আল্লাহর বন্দেগীর উদ্দেশ্যে।
আরোও পড়ুনঃ সেহরিতে ও ইফতারে কি খাবেন ও কি খাবেন না
হারাম-হালাল এর বিধান দিয়ে তিনি তার অনুগত ও অবাধ্য বান্দাদেরকে পরীক্ষা ও পার্থক্য করে নিতে পারেন। ইসলাম এসেছে মানুষের ঈমান, সম্মান, জ্ঞান ও ধন এগুলোর মঙ্গল সাধনের জন্য এবং যাতে উক্ত বিষয়ে মুসলিম কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার বিশেষ বিধান নিয়ে। সুতরাং মহান আল্লাহই জানেন মানুষের অমঙ্গল ও ক্ষতি কিসে নিহিত।
একমাত্র তিনিই আনুগত্য ও ইবাদতের যোগ্য। তিনি মানুষের পথ দেখান এবং অপূর্ণ জ্ঞানের মানুষ সেই পথে চলতে বাধ্য। তার সেই পথে না চললে মানুষ অংশীবাদী বলে বিবেচিত হবে। যেমন অত্যন্ত ক্ষুধা লাগলে যখন না খেয়ে মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা হয় এবং পানিতে বা স্থলে খোঁজ করেও হারাম ছাড়া অন্য কোন খাবার না পাওয়া যায় তাহলেই উপায়হীন অবস্থা বুঝা যায়।
আর সেই সময় বিষাক্ত দ্রব্য ছাড়া যেকোনো হারাম কৃত খাদ্য কেবল জীবন বাঁচানো সম্ভব ঠিক ততটুকু খাওয়া বৈধ। এক্ষেত্রে হারাম খাদ্যের মজা গ্রহণ করে পেট পুরে খাওয়া বৈধ নয়। সেই খাদ্যের ওপর ভরসা করে হালাল খাদ্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা না করা। এমনকি কোন হারাম বস্তু খাওয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হারাম।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন আল কুরআন ও হাদিসে বর্নিত কেয়ামত সম্পর্কে। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url