গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায়

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে বর্ননা করা হয়েছে গলা খুস খুস ও কাশি দুর করার উপায়গুলো নিয়ে। বিভিন্ন কারনে কাশি হতে পারে। ফুসফুসের সংক্রমন , নিউমোনিয়া, ও যক্ষা ইত্যাদির কারনে কাশি হতে পারে। এই কাশি যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে তাহলে বুকে ব্যথা হতে পারে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায়

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন বিরক্তিকর খুসখুসে কাশি কিভাবে দুর করবেন, কাশি যদি আপনার বেশি হয় তাহলে কি ওষুধ খাবেন, বুকে কফ জমলে কিভাবে দুর করবেন, গলা যদি খুশখুশ করে তাহলে কিভাবে দুর করবেন, শুকনো কাশির লক্ষনগুলো কি, অতিরিক্ত কাশি কমানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো কি।

গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায়

শীতকালে জীবানু বেশী সক্রিয় থাকে। যার ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় কমবেশী সকলে আক্রান্ত হন। একটিু ঠান্ডা লাগলেই গলায় খুশখুশে ভাব অনুভুত হয়। এছাড়া আপনাদের মধ্যে যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, তাদের সামান্য ঠান্ডা লাগলেই গলা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। স্বাভাবিক খাবার ও পানি পান করতে প্রচন্ড গলা ব্যথা অনুভুত হয়।

আদা, মধু ও গোল মরিচের মিশ্রন:গলা খুসখুস ও কাশি সাধারনত ঠান্ডা, অ্যালার্জি, দুষন ও ধুলার কারনে হয়ে থাকে। যুগ যুগ ধরে আমরা এই সমস্যায় ভুগছি। তবে আমাদের দেশে কিছু সহজলোভ্য পন্থা অবলম্বন করে এই অসুখের চিকিৎসা করা হয়ে আসছে। নীচে আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি।

উপাদান
  • আদা কুচি - ১ চা চামচ
  • গোল মরিচ - ১/২ চা চামচ
  • মধু - ১ চা চামচ
প্রনালী
প্রথমে ১ কাপ পানি নিয়ে ভালোভাবে পানি ফোটাতে হবে। তারপর আদা ও গোলমরিচ দিয়ে হালকা আঁচে ফুটাতে হবে। মিশ্রনটিতে ভালোকরে তাতে মধু মেশাতে হবে। এরপর ২ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সকালে ২ চামচ করে পান করুন। এই উপাদানগুলোর মধ্যে যে আদা রয়েছে তা শরীরকে শক্তিশালী করে।
গোল মরিচে থাকা ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েডস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কাশি ও ঠান্ডা লাগার প্রবনতা কমিয়ে দেয়।মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ডি, ই, কে , বি কমপ্লেক্স ও বিটা ক্যারোটিন যা গলার খুশখুশিভাব ও কাশি দুর করতে সহায়তা করে।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় 

সাধারনত ভাইরাস সংক্রমনের কারনে শুকনো কাশি হয়ে থাকে। এই কাশি ৮ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের কাশি ৮ সপ্তাহ ও শিশুদের কাশি ৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। যদি এর বেশি সময় ধরে কাশি থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার মারাত্মক কোন রোগ হয়েছে। এটা ফুসফুসের ক্যান্সারও হতে পারে। শুকনো কাশি রাতে হলে ব্যাপারটা খুব বিরক্তিকর।

মধু ও গরম জল: আপনি যদি ১ কাপ চা বা ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে খুসখুসে কাশি দুর হয়। National Center for Biotechnology Information এ প্রকাশিত একটি গবেষনায় দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ও ১ বছরের শিশু এই পদ্ধতিতে তৈরি সিরাপ খেলে খুব তাড়াতাড়ি খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাই। কারন এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।

হলুদ ও গোলমরিচ: হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন ও প্রদাহরোধী যৌগ। এছাড়া আরোও রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। আপনি যদি কমলার রসের সাথে ১ চা চামচ হলুদ ও ১/৪ ভাগ গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে পারেন খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।

আদা ও নুন: একটি গবেষনায় দেখা গেছে আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। তাই ১ চিমটি লবনের সাথে আদা মাখিয়ে দাঁতে চাপ দিয়ে একটু একটু করে রস খেলে খুশখুশি কাশির উপসম হয়। কারন আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান।

ঘি ও গোলমরিচ: ঘি ও গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুন। ঘিয়ের সাথে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল, বিকাল ও রাতে নিয়মিত ১ চামচ করে খেলে ৩ দিনের মধ্যে এর কার্যকারীতা খেয়াল করবেন।

লবন পানি: ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ লবন মিশিয়ে গড়গড়া করলে খুশখুশে কাশির অনেকটা উপসম হয়। এই কাজটি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নিয়মিত করত পারলে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার খুশখুশে কাশি সেরে উঠবে।

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে গলাব্যথা খুশখুশে কাশি অনুভুত হয়। সাধারনত এই ধরনের কাশি রাতের বেলা বেড়ে যায়। যদি ধুলোবালি, ফুলের রেনু, এসির কারনে এই কাশি হয়ে থাকে তাহলে সেটা অ্যালার্জির কারনে। এই ধরনের কাশি সাধারন কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু এই কাশি যদি ৮ সপ্তাহ ছাড়িয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হতে হবে।

যে কারনে কাশি হয়
পোস্টনাসাল ড্রিপের কারনে কাশি হতে পারে। এক্ষেত্রে নাকে উৎপাদিত তরল ফোটায় ফোটায় গলায় নিঃসরিত হলে প্রতিনিয়ত আলাজ্বিহবা ও স্মরযন্ত্রকে প্রভাবিত করে ফলে কাশি হয়। সাধারনত ভাইরাস সংক্রমন, ব্যাকটেরিয়াল সাইনোসাইটিস ও অ্যালর্জি ও অনবরত হাঁচির কারনে পোস্টনাসাল ড্রিপ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রো ইসোফাজিয়েল রিফ্লাক্স ডিজিজ কারনে কাশি হতে পারে। এক্ষেত্রে পাকস্থলীতে নিঃসরিত এসিড খাদ্যনালির দিকে চলে আসলে এই সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা হলে কাশির সাথে বুক জ্বালাপোড়া, মুখে টকভাব স্বাদ অনুভুত হয়। সাধারনত মশলাদার খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, ক্যাফেইন, চকলেট, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খেলে এই সমস্যা হতে পারে।
শ্বাসনালিতে ভাইরাস সংক্রমিত হলে শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে কাশির প্রকোপ বেকেড় যায়।

কিছু ওষুধের কারনেও কাশি হতে পারে। যেমন: উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগের প্রচলিত ওষুধ খেলেও কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারনত এক-তৃতীয়াংশ রোগী এই ধরনের ওষুধ সেবনের কারনে দীর্ঘস্থায়ী কাশিতে ভুগতে পারেন। উক্ত রোগের ওষুধগুলো খাওয়ার কারনে যদি কাশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কাশির ওষুধ
চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘদিনের কাশি সারানোর জন্য কফ সিরাপ খেতে হবে।যেমন:অ্যান্টিহিস্টামিন, কর্টিকোস্টেরয়েড, ডিকনজেস্ট্যানট ইনহেলার, এসিড ব্লকার বা ওমেপ্রাজল সেবন করতে হবে।

প্রচুর পরিমানে জুস ও পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত তরল সেবন করলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যায় যা কাশি কমাতে সহায়তা করে। গরম চা, গরম স্যুপ, কুসুম গরম পানি যদি নিয়মিত পান করেন তাহলে গলায় বেশ আরাম পাওয়া যায়।

মধু দীর্ঘমেয়াদী কাশি সারাতে কার্যকর ভুমিকা পালন কর। গরম চা, আদা ও আঙ্গুরের রসের সাথে মধু যোগ করে খেলে কাশি সেরে যায়।

সর্তকতা
  • শ্বাসনালীর আর্দ্রতা বজায় রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত।
  • ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বাদ দিতে হবে।
  • ধুলোবালি ও ধোঁয়া থেকে দুরে থাকতে হবে।
  • কুসুম গরম পানি ও লবন দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।
  • আপনার শিশুর হুপিং কাশির চিকিৎসা টিকা দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

কফ কাশি দূর করার উপায়

আপনি যদি সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হন তাহলে বুকে কফ জমতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত কফ বেশ চিন্তার কারন হতে পারে। বুকে যদি আপনার কফ জমে তাহলে বুক থেকে অস্বাভাবিক শব্দ বের হয় ফলে রাতের বেলা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। 

বিভিন্ন কারনে বুকে কফ জমতে পারে যেমন: অ্যালার্জি, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, সিওপিডি, সিস্টিক ফাইব্রোসিস ইত্যাদি। আজ আমরা আর্টিকেলটিতে কিভাবে বুকে জমাকৃত কফ কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

গরম পানির ব্যবহার: আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করেন তাহলে আপনার বুকে জমা কফ পাতলা হয়ে কাশির মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত গরম পানি পান করলে বুকে জমা কফ দুর হয় ব্যাথা ও অস্বস্তিকর অনুভুতি অনেক কমে যায়। 

তাই আপনাদের গরম পানির খাওয়ার পাশাপাশি গরম পানীয় জাতীয় খাবার যেমন: গরম স্যুপ, ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, হার্বাল টি খেতে পারেন।

আর্দ্র বাতাস গ্রহন: আপনার বাড়ির ঘরগুলোকে যদি আর্দ্রতা যুক্ত করতে পারেন তাহলে কফ পাতলা হবে ও কাশির প্রবনতা কমে যাবে। National heart, lung & blood institute of UK ঘরের বাতাসের মধ্যে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য Steam Vaporizer বা Humidity Fire ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেছেন। 
রাতে যদি ঘুমের সমস্যা হয় তাহলে দরজা, জানালা বন্ধ করে এগুলো ব্যবাহর করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি গরম পানির ভাপ নিতে পাবেন কফ পাতলা হয়ে যাবে এবং কাশি প্রবনতা কমে যাবে।

লবন পানির ব্যবহার: হালকা উসুম গরম পানিতে লবন মিক্স করে গড়গড়া করলে বুকের কফ দুর হয় ও কাশি উপসম হয়। ১ গ্লাস উসুম গরম পানিতে ১ চামচ লবন মিক্স করে সেই পানি মুখে নিয়ে ২০ সেকেন্ড রাখার পর ফেলে দিতে হবে। এভাবে ১০/১২ করলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। ঠান্ডা পানির গড়গড়া এক্ষেত্রে কার্যকর নয়।

মধুর ব্যবহার: বুকে কফ জমা প্রতিরোধে মধুর জাদুর মত কাজ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাস ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কফ জমা ও কাশির বিরুদ্ধে ব্যপক কার্যকর। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতি ৪ ঘন্টা পরপর ১ চামচ করে মধু খেলে তার বুকের কফ ও কাশি কমে যায়। তবে ১২ মাসের কম বয়সি শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

মসলার ব্যবহার: আদা, রসুন, লেবু শুকনো মরিচ, গোলমরিচ, জিনসেং ও যষ্ঠিমধু কফ ও কাশির বিরুদ্ধে দারুন কাজ করে। তাই উক্ত মসলাগুলো ভালোভাবে পিষে পাওডার ফর্মে এনে তা কাঁচের বোতলে রাখতে হবে। তারপর ১ কাপ পানিতে ১ চামচ পাওডার নিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে সেবন করলে কফ ও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার: বাসিল, সিনামন বার্ক, ইউক্যালিপটাস, পিপারমেন্ট, রোজমেরি ও ট্রি টি এসেনশিয়াল অয়েল বুকের কফ ও কাশি কমাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। আপনি যদি এই এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ সরাসরি নিতে পারেন অথবা পানিতে মিশিয়ে ভাপ নিতে পারেন তাহলে কফ ও কাশি থেকে বেশ উপকার পাবেন। 

আবার আপনি যদি ১/৪ ভাগ নারিকেল তেলের সাথে এসেনশিয়াল ১২ ফোঁটা মিশিয়ে বুকে মালিশ করতে পারেন তাহলে বুকে জমা কফ ও কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।

অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়

  • আপনি যদি বাসক পাতার রস পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি খেতে পারেন তাহলে কাশি কমে যাবে।
  • তুলসী পাতা বেঁটে পানি দিয়ে খেলে তা কাশি উপসমে ব্যপক কাজ করে।
  • গরম দুধে কাঁচা হলুদের রস দিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে তা কাশি উপসমে ব্যপক কাজ করবে।
  • কাশি হলে লবঙ্গের রস গলায় পড়লে বেশ উপসম হয়।
  • ১ চা চামচ মধুর সাথে যদি ১ চা চামচ পেঁয়াজের রস খাওয়া যায় তাহলে তা কাশি উপসমে কার্যকর ভুমিকা রাখবে।
  • শুকনো কাশির জন্য হলুদ খুব কার্যকর ভুমিকা পালন করে। তাই ১ টেবিল হলুদের সাথে যদি ১/৮ টেবিল চামচ গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে তা চা, দুধ বা জুসের সাথে খেতে পারেন তাহলে তা শুকনো কাশি উপসমে কার্যকর ভুমিকা রাখবে।

শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ 

আপনার যদি আট সপ্তাহের বেশী কাশি স্থায়ী হয় , কাশির সাথে যদি রক্ত বের হয়, কফের রং যদি সবুজ বা হলুদ হয়, নিঃশ্বাসে যদি দুর্বলতা থাকে, বুকে ব্যথা থাকে, রাতে জ্বর হয় , রাতে ঘাম হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার অসুখটি বেশ জটিল। তাই দেরী না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে।

লেখকের শেষকথা

আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন কাশির কারনগুলো কি কি। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩