ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো ? বিস্তারীতভাবে জেনে নিন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো।ডিজিটাল মার্কেটিং হলো তথ্য প্রযুক্তির সর্বচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা সমুহকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া। আগে কর্পোরেট কোম্পানীগুলো পণ্য বা সেবাসমূহ নিশ্চিত করার জন্য মার্কেটিং অফিসার নিয়োগ করতো এখন ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কি কারনে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, ডিজিটার মার্কেটিং কি, এর কাজ কি, কোন প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করলে তা ভালোভাবে শিখতে পারবো, আরোও উল্লেখ করা হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার পদ্ধতিগুলো নিয়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ও ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বোঝানো হয়েছে।আবার ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেমন: টিভি, রেডিও, ইলেকট্রিক বিলবোর্ড, মোবাইল ম্যাসেজ ও মোবাইল অ্যাপস ইত্যাদির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবো
এই ইন্টারনেটের যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান যুগের বেশিরভাগ মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ দোকানে যেয়ে পন্য ক্রয় করতো। কিন্তু মডার্ন যুগের মানুষ আর দোকানে যেয়ে পন্য কিনতে রাজি নয় তারা ঘরে বসে এই সেবাটি পেতে চায়।
তারা এখন e-commers website বা social media থেকে কেনাকাটা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। আজকের যুগে social media ব্যবহারের মাত্রা বেড়ে চলেছে,বাংলাদেশের বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬৭ মিলিয়ন যার মধ্যে ৪৫ মিলিয়নই social media ব্যবহারকারী অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ যারা ৪ থেকে ৫ ঘন্টা এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করে।
তাই কোন পন্যের বিজ্ঞাপন যদি ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা যায় তাহলে তা বিদ্যেুতের বেগে ছড়িয়ে পড়ে এবং এ ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীর ছোট বড় প্রতিষ্ঠান তাদের পন্যের প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকছে। দিন যতই যাচ্ছে Digitalized Marketing ব্যবসা ততই বাড়তে আছে।
পণ্যের মার্কেটিং অল্প খরচে করা যায়
আপনার পণ্যের মার্কেটিং যদি Physically করেন তাহলে তার খরচ বেশী হয়। কিন্তু যদি এই পণ্যের মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে করেন তাহলে খুব কম খরচে ঘরে বসে লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এতে সময় ও অর্থ খরচ কম হবে। ফলে পণ্যের মান উন্নয়নে মনোযোগ দিতে পারবেন।
কম সময়ে অধিক মানুষের কাছে মার্কেটিং করা যায়
আপনি যদি নিমিষেই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছাতে চান তাহলে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে হবে। বর্তমান পৃথিবীর সকল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানে একটি করে ডিজিটাল মার্কেটিং ডিভিশন রেখেছে যেখান থেকে প্রতিনিয়ত তাদের পন্য বা সেবা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিচ্ছে।
সহজেই মানুষের চাহিদা চিহ্নিত করা যায়
এনালগ সিস্টেম যেমন:পোষ্টারিং, বিলবোর্ড, পেপারিং, মাইকিং ইত্যাদির মাধ্যমে যদি আপনার পন্যের প্রচার চালান তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার পন্যের বা সেবার প্রসার কতজন মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলেন। অথচ ডিজিটাল মার্কেটিং করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন মানুষ কি ধরনের পন্য খুঁজছে, পণ্যটি কতজন দেখছে, পন্যের মান নিরুপনে মন্তব্য করছে।
এতে মানুষের চয়েস বোঝা সহজ হচ্ছে ও আপনার পন্য বা সেবার মান নিয়ন্ত্রন ঘরে বসেই করতে পারছেন।
কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক সহজে করা যায়
বর্তমান বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনষ্টাগ্রাম ইত্যাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। যারফলে এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই কাস্টমারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারছেন। এতে আপনার পণ্য বা সেবা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন যা আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটাতে সহায়তা করছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ঝামেলামুক্ত ইনকামের নিশ্চয়তা
আপনি যখন ইচ্ছা তখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন যদি আপনার কাছে একটা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকে। আপনি ইচ্ছামত যেকোন সময়, স্থানে নিজে অথবা টিম নিয়ে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটি করতে পারেন।
পেশা হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং
আপনি ক্যারিয়ার গড়তে ডিজিটাল মার্কেটিং কে গ্রহন করতে পারেন। বিভিন্নভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় যেমন:ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি। এগুলোর যেকোন একটি সেক্টরে যদি স্পেসালিস্ট হতে পারেন তাহলে ক্যারিয়ার নিয়ে আর কোন চিন্তা থাকবে না।
কারন এই কাজগুলো শুধু দেশে বসেই নয় সারা পৃথিবীব্যাপি করা যায়। এই সেক্টরগুলোতে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করার সযোগ আছে। এখন আপনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায়,কিভাবে, কি কি বিষয় নিয়ে করবেন তার বিস্তারীত বর্ননা এই আর্টিকেলে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক মার্কেট প্লেস থেকে ইনকাম
ফেসবুকের এই সার্ভিস দ্বারা যেকেনো প্রডাক্ট, সার্ভিস বা অফার এখানে লিস্ট করে মানুষকে দেখাতে পারবেন।যেকোনো ফেসবুক একাউন্ট থাকা ব্যক্তি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের মতোই নিজের প্রডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইনে Display করে কেনা বেঁচা করতে পারবেন ও এর দ্বারা টাকা কামাতে পারবেন।
ভিডিও আপলোড করে ইনকাম
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে গুগল অ্যডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যেভাবে আমরা টকা ইনকাম করে থাকি ঠিক সেভাবেই ফেসবুক পেজে নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করে In-stream ads এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিযে টাকা আয় করা যায়।
এই ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে ইউটিউবে যেসকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় ঠিক তেমনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।
অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম
অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট থেকে অনেক রকমের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো জিনিষ বা প্রডাক্ট নিজের ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুকের Fan পেজে দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
বড় বড় অনলাইন শপিং সাইট যেমন:অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ও স্ন্যাপডিল তাদের যেকোনো অ্যাফিলিয়েট লিংকের দ্বারা মানুষের সাথে শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়।যখন আমাদের শেয়ার করার প্রডাক্ট এর লিংক থেকে কেউ সেই অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে কিছু কেনা কাটা করেন তখন আমরা কিছু কমিশন পেয়ে থাকি। বিভিন্ন প্রডাক্টের কমিশন প্রডাক্ট ভেদে বিভিন্ন হতে পারে।
এটিই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
লোকাল প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম
মনে করেন আপনার একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে অনেক ফ্রেন্ডস আছে অথবা আপনার একটা ফেসবুক Fan পেজ আছে যেখানে হাজার হাজার Like রয়েছে তাহলে সেখানে লোকাল প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি আয় করতে পারেন।
এছাড়া নতুন কোনো দোকানের বিজ্ঞাপন, কোনো জায়গা, Restaurant বা যেকোনো মার্কেটের বিজ্ঞাপনের ছবি নিজের ফেসবুক পেজে দেখিয়ে আয় করতে পারেন।আপনার ফেসবুক পেজে যদি ১০ থেকে ৫০ হাজার Like থাকে তাহলে লোকাল কোনো বিজ্ঞাপন দাতা পেয়ে যাবেন যারা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজে তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেবেন।
আবার অনেক ইউটিউবার ও ব্লগের মালিক তাদের ভিডিও বা ব্লগের বিজ্ঞাপন আপনার পেজে দেখানোর জন্য আপনাকে টাকা দেবে।
ফেসবুক পেজ বিক্রি
অনেক ব্লগার ও ইউটিউব মালিকগন তারা নিজেদের ব্লগ ও চ্যানেলের প্রমোশনের জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজার Like সমৃদ্ধ Fan পেজ কিনতে চান। আপনি যদি এই ধরনের পেজ তৈরি করতে পারেন তাহলে বেশ ভালো দামে পেজ বিক্রি করতে পারবেন।এ ধরনের একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে আপনার ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম
ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এরপর গ্রুপে নিয়মিত মজার মজার কনটেন্ট, ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর পর্ব, ব্লগ পোষ্ট, ইমেজ ইত্যাদি পোস্ট করে পেজটিকে Fan পেজে পরিনত করতে হবে। এভাবে আপনাকে ১০ হাজার Active member তৈরি করতে হবে।
যদি একবার ১০ হাজার বা তারও বেশি Active member তৈরি করতে পারেন তাহলে Paid survey করে, Sponsored content গুলো পাবলিশ করে, আপনার নিজের প্রডাক্ট বিক্রি করে, অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং করে, নিজের গ্রুপ বিক্রি করে, গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে Traffic বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুকে নিজের বিশেষ দক্ষতা বিক্রি করে ইনকাম
আপনি যদি বিশেষ কোনো কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে তা বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানাতে হবে। আপনার দক্ষতার কোনো Documents থাকলে তা গ্রুপে পোষ্ট করতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি আপনার দক্ষতা পছন্দ করে কাজ করাতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তাহলে আপনার ইনকামের একটা সুযোগ তৈরি হবে।যদি আপনার এই ধরনের কোনো দক্ষতা না থাকে তাহলে ইউটিউবের মধ্যে গিয়ে আপনার রুচি ও পছন্দমতো কোনো বিষয় ফ্রিতে শিখে নিতে পারেন যেমন: Logo design, Content writing, Video editing বা অন্যান্য যেকোনো কৌশল ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন।
আপনি উক্ত কাজগুলোতে যদি দক্ষ হন তাহলে প্রতিদিন ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।
Article writing agency
এই বিষয়ে ব্যবসা করতে গেলে আপনার কোন পুঁজির প্রয়োজন হবে না। আপনার যদি লেখালেখি করার হাত থাকে তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি একটা এজেন্সি খুলতে পারবেন। আপনি যেহেতু আর্টিকেল রাইটার সেহেতু যারা আর্টিকেল লিখে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায়।
তবে লেখালেখির হাত থাকলেই হবে না আর্টিকেল লেখা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যত কাজ যেমন:একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা এবং ওয়েবসাইট তৈরী করতে ডোমেইন, হোষ্টিং ক্রয় করা, কিভাবে ওয়েব সাইটটি Setup করবেন সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এছাড়াও কিভাবে একটি SEO friendly আর্টিকেল লিখতে হয় এবং তা Formatting করতে হয় তার পর Publish করতে হয় সে সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করা ইত্যাদি।এর জন্য আগে আপনার প্রয়োজন সঠিক কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষন নেওয়া।এরজন্য Ordinary IT নামক একটি পেশাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যেখানে আপনারা Article writing সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারবেন।এতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ও মনের মধ্যে একটা মানসিক শক্তির সঞ্চার হবে।তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার নিজস্ব একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।তাই এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভালো করে জেনে বুঝে যদি আপনি Article writing এর ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি ব্যবসায় সফল হবেন।
Data entry service
বর্তমান বিশ্বের ও বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের Date base এর কাজগুলো বিভিন্ন Data agency প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে করিয়ে নেয়।এতে তাদের নির্দিষ্ট বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার প্রয়োজন হয় না।এই ব্যবসাটি আপনারা অনায়াসেই নামমাত্র পুঁজিতে শুরু করতে পারেন।এজন্য আপনি যদি Data entry বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারেন তাহলে বেশ ভালো হয়।
YouTube এ বেশকিছু চ্যানেল আছে যার মাধ্যমে আপনারা Data entry বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারেন।যেমন: Farabi Smart Dairy নামক একটি চানেল আছে যারা খুব ভালো মান সম্পর্ন Data Entry প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন।প্রথমদিকে আপনি বাড়িতে নিজে শুরু করতে পারেন তবে কাজের পরিমান বেশি হলে কিছু ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিয়ে আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।
Website তৈরির ব্যবসা
বর্তমান বিশ্বে ২ বিলিয়নের বেশি মানুষ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়তে আছে। সারা পৃথিবীর পাশাপাশি বাংলাদেশেও ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠান এখন স্ব-ইচ্ছায় বা প্রয়োজনের তাগিদে ওয়েবসাইট তৈরি করছে।শুধু প্রতিষ্ঠানই নয় ব্যক্তি পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট রয়েছে।
বিনা পুঁজিতে আরেকটি মজার ব্যবসা হল এই ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা। এটা আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারেন। আপনি যদি দেখেন আপনার কাজের পরিমাণ বেড়ে গেছে তাহলে একজন Web Developer কে সাথে নিয়ে একটা টিম তৈরি করতে পারেন এবং এই টিমকে নিয়ে একটি আইটি প্রতিষ্ঠান Start up করতে পারেন।
E-Book বিক্রির ব্যবসা
আপনি যদি একজন ভালো লেখক হয়ে থাকেন তাহলে E Book এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। E-Book তৈরি করতে গেলে প্রথমে Microsoft অফিসে Draft করে pdf ফাইলে পরিবর্তন করে নিয়ে তা বিক্রি করতে পারেন। এতে প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশনা সংক্রান্ত কোন ঝামেলা থাকে না।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে কাগজের বইয়ের পাশাপাশি E-Book এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে।অনেকেই এখন কাগজের বই না পড়ে E-Book পড়ছে। তাই এখন থেকেই Start up করতে পারেন E-Book এর ব্যবসা।
Training Center এর ব্যবসা
আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হোন যেমন: Cooking , Teaching, Body building, Fashion designing কিংবা সেলাই মেশিনের কাজ তাহলে Training Center প্রতিষ্ঠা করে শুরু করতে পারেন ব্যবসা।এর জন্য প্রয়োজন একটি ঘর এবং যে বিষয়ের উপর কাজ করবেন তা সংশ্লিষ্ট কিছু Equipment.
যদি আপনি রান্না শেখাতে চান তাহলে সেই সংক্রান্ত রেসিপিগুলো ঠিক করে তারপর তা শেখাতে পারেন।Fashion design এর বিষয়গুলো নিয়ে একটি Concept ঠিক করে তা শেখাতে পারেন।শিক্ষকতায় পারদর্শী হলে ছাত্র ছাত্রী পড়ানোর জন্য কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।শরীরচর্চা সম্পর্কে ভালো জানলে উক্ত বিষয় নিয়ে ব্যবসা Startup করতে পারেন।
অনলাইন কনসালটেন্ট
অনলাইন কনসালটেন্সি ফার্ম খুলে বেশ ভালো পরিমান আয় করা সম্ভব।এই ব্যবসা আপনি বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন।
উদাহরন হিসেবে বলা যায় আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী যেমন:খেলাধুলা, শরীরচর্চা, আইন বিষয়ক, বিনিয়োগ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভ্রমন, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারিং,আর্কিটেকচার, Food & Nutrition's সম্পর্কে যদি ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কনসালটেন্সির ব্যবসা করতে পারেন।
প্রথমদিকে কোন ফি ছাড়াই এই কাজটি শুরু করতে পারেন।পরবর্তীতে Brand value বাড়লে অর্থের বিনিময়ে কনসালটেন্সি করতে পারেন।
You Tube Marketing এর ব্যবসা
বর্তমানে You Tube চ্যানেল তৈরী করে আয় করার প্রবনতা বেশ দেখা যাচ্ছে।You Tube চ্যানেলের মাধ্যমে খুব ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।তাই বিনা পুঁজির উৎকৃষ্ট এক ব্যবসা হলো এই You Tube চ্যানেল।বর্তমানে যারা নিজেদের চ্যানেলে ১ লক্ষ Subscriber আনতে পেরেছে তারা বেশ Handsome পরিমানে আয় করছে।
You Tube চ্যানেল খোলার পর নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে
- Niche নির্বাচন করতে হবে।
- You Tube video editing technics with screen recording সম্পর্কে জানতে হবে।
- You Tube video editor, screen cards setup & video visibility technics সম্পর্কে জানতে হবে।
- অফপেজ SEO, প্লে-লিষ্টের প্রয়োজনীয়তা ও টেকনিকস,ভিডিও ডিউরেশন ফ্যাক্টর বিশ্লেষন,You Tube এর সাথে এডসেন্স কানেক্ট করা, You Tube analytics সম্পর্কে জানতে হবে।
- কিভাবে ভিউয়ারদের Activity মডারেশন করতে হয়।
- জেনারেল একাউন্ট ও ব্র্যান্ড একাউন্ট কিভাবে করতে হয়।
- এডস ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টেকনিকস ও হ্যাকস সম্পর্কে জানতে হবে।
- কন্টেন্ট রিক্রিয়েশন টেকনিকস, ফেয়ার ইউজ ও ক্রিয়েটিভ কমন্সের সঠিক ইউজ সম্পর্কে জানতে হবে।
- ভিডিও শুটিং ও এডিটিং সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
- হ্যাকিং থেকে You Tube চ্যানেল ও গুগল একাউন্ট সুরক্ষার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যদি You Tube চ্যানেল করতে পারেন তাহলে অবশ্যেই You Tube মার্কেটিং ব্যবসায় সফল হবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কোথায়, কিভাবে শিখবেন
বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখানোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলো নীচে উল্লেখ করা হলো।
- অর্ডিনারি আইটি
- আমেরিকান বেস্ট আইটি লিমিটেড
- ক্রিয়েটিভ আইটি
- খান আইটি
- কোডারট্রাস্ট
- ব্র্যান্ডমিথ
- বিজকোপ
- ম্যাক্সজিওন আইটি
- হাইপ ঢাকা
- নেটালফট
উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হলো অর্ডিনারী আইটি যারা কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষন দিয়ে হাজার হাজার ডিজিটাল মার্কেটিং স্পেসালিস্ট তৈরি করছেন এবং বেকারত্ব দুরীকরনে অবদান রাখছেন।এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কোম্পানীগুলোকে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবাও প্রদান করে থাকে।
অর্ডিনারী আইটিতে যা শেখানো হয়
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি।
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আর্টিকেল রাইটিং।
- SEO সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।
- google search console & analytics
- google map & google my business setup
- google absence setup
- ফেসবুক মার্কেটিং।
- বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে কাজ করা।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও CPA মার্কেটিং।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং SMM ও INFLUENCER মার্কেটিং।
- ইউটিউব মার্কেটিং।
- গুগল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট।
- অন্যান্য সোশ্যল মিডিয়া মার্কেটিং যেমন: টুইটার মার্কেটিং, হ্যাশট্যাগ মার্কেটিং, লিংকডইন বিটুবি মার্কেটিং, কোরা মার্কেটিং, পিন্টারেস্ট মার্কেটিং, ইন্সট্রাগ্রাম মার্কেটিং ও অটোমেশন, ভিমো মার্কেটিং, রেডিট মার্কেটিং, লাইভ স্ট্রিম মার্কেটিং ইত্যাদি।
- লিড জেনারেশন টেকনিক।
- ইমেল মার্কেটিং।
- SMS মার্কেটিং।
- ড্রপ শিপিং ও কুপন বিজনেস।
- ডিজিটাল অ্যাড এজেন্সি তৈরি।
- লোকাল জব মার্কেট টার্গেটিং।
- কমপ্লিট ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা দাঁড় করানোর টেকনিক।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার গুরুত্ব সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে। ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে কিভাবে উপকৃত হবেন। অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করছি।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url