ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয়

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি যদি বিস্তারীতভাবে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয় সেই সম্পর্কে। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ক্যালসিয়ামের অভাব থাকে তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে, হাড়ের ঘনত্ব কমে গেছে এবং ধীরে ধীরে তা ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। তাহলে বুঝতে হবে আপনার অস্টিওপরোসিস হয়েছে।
ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয়

ভুমিকা

আপনারা যদি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ক্যালসিয়ামের অভাবে কি ধরনের রোগ হয়, এর ঘাটতি হলে কি রকম সমস্যায় পড়তে পারেন, শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য কোন খাবারগুলো গ্রহন করা উচিত, আবার অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য কেন ক্ষতিকর, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কি নিয়ম মেনে খাবেন।

ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয় 

আমাদের শরীরে সবচেয়ে যে খনিজ উপাদানটি বেশি রয়েছে তা হলো ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাঁড় গঠন ও মজবুত করতে সহায়তা করে। আমাদের শরীরে যে স্নায়ুবিক কার্যক্রম রয়েছে তাকে নিয়ন্ত্রন করে। মাংসপেশীর সংকোচন ও প্রসারনকে স্বাভাবিক রাখে। এই উপাদানটি রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। হার্টকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। 
শতকরা ৯৯ ভাগ ক্যালসিয়াম আমাদের হাঁড় ও দাঁতে জমা থাকে। বাঁকি ১ ভাগ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: রক্ত, মাংসপেশী।শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে নানা ধরনের উপসর্গ শরীরে ফুটে উঠে।

হঠাৎ পেশী ব্যথা ও খিঁচুনে: শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটে তাহলে পেশী ব্যথা ও খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। সাধারনত শারীরিক পরিশ্রম করলে অথবা দীর্ঘক্ষন শুয়ে থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অসাড়তা: শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় তাহলে হাতের আঙ্গুল , পায়ের আঙ্গুল , ঠোঁট ও জিহ্বহায় অসাড়তা ও পিন ফোটানোর অনুভুতি লক্ষ্য করা যায়। কারোও যদি হঠাৎ করে এই সমস্যার মধ্যে পড়েন তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে।

দুর্বলতা: শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকে তাহলে কম পরিশ্রমে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে পেশিগুলি সচল থাকে না। ফলে শরীরে অলসতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়।

নখ ভেঙ্গে যায়: যদি আপনি দেখেন আপনার নখ ভেঙ্গে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে। ক্যালসিয়ামের অভাব যত বেশি হবে ততবেশি আপনার পায়ের নখ হাতের নখ পাতলা হয়ে যাবে।

অস্টিওপরোসিস: শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারনে খুব সহজেই হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। আপনার বয়স যত বেশি বাড়বে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ততবেশি হবে এবং মেরুদন্ড ও কবজির হাড় দুর্বল হয়ে যাবে।

কার্ডিয়াক অ্যারিথোমিয়াস: শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে শুধু হাড় নয় হার্টের ও ক্ষতি হতে পারে যেমন: অস্বাভাবিক বুক ধড়ফর, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন ও বুকের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভব হতে পারে।

স্নায়ুবিক সমস্যা: শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুবিক সমস্যা হতে পারে। হাত ও পায়ের অঙ্গুল এবং মুখের চারপাশে মাংসপেশি ঝিমঝিম করে।

পেশি সংকোচন: আপনি যদি দেখেন আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক আছে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করছেন তারপরেও নিয়মিত মাংসপেশী সংকুচিত হচ্ছে এবং খিঁচুনি হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে।

হড়ের ঘনত্ব কমে যায়: আপনার বয়স যত বাড়বে হাড়ের ক্যালসিয়াম তত বেশী কমে যাবে। যারফলে হাড়ে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব কমে যাবে। হাড়ে অস্টিওপরোসিস অথবা ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে যায়। সাধারনত হাড় ভঙ্গুরতার কারনে এসব হয়ে থাকে।

রোগ প্রতিরোঘ ক্ষমতা কমে যায়: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। এর অভাব হলে জীবানু মোকাবেলা করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়।

অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন: ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটলে হার্ট তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে যায়।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কি হয়

  • ক্যালসিয়ামের অভাব হলে শরীরে বিশেষ করে পায়ে ও পিঠে ব্যথা অনুভুত হয়।
  • এর অভাবে হাড় ও দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়।
  • এর অভাবে চুল ও ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়।
  • ত্বকের লাবন্যতা ও সিল্কিভাব কমে যায়।
  • নখে ফাটল ধরে।
  • এর অভাবে স্নায়ুবিক জটিলতা তৈরি করে।
  • এর অভাবে স্মরনশক্তি কমে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়, হতাশা বৃদ্ধি পায়, অসংলগ্ন কথাবার্তা ও মতিভ্রম ঘটে।
  • ক্যালসিয়ামের অভাবে খিঁচুনি শুরু হয়।
  • এর অভাবে পেটে ব্যথা হয়।
  • ক্যারসিয়ামের অভাব যদি বেশীমাত্রায় হয় তাহলে আপনার টিটেনি হতে পারে ও হাত-পা কুঁকড়ে যায়। আঙ্গুল বেঁকে যায়, ঠোঁট মুখ ঝি ঝি করে।
  • শৈশবে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে শিশুর কাঙ্খিত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে না।
  • বৃদ্ধ বয়সে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে অস্টিওপোরোসিস ও হাড় ক্ষয় হতে পারে।

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার উপায় 

ক্যালসিয়াম রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফলে শরীর থাকে রোগ মুক্ত ।স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য রোগমুক্ত শরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনার এই প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ভালো লাগবে,মন প্রফুল্ল থাকবে । ফলে আপনার দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকবে এব্য ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

লাল মাংস: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

সেলমন ফিস: তৈলাক্তএই সামুদ্রিক মাছটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকে।এই মাছটি সপ্তাহে অন্তত ৪ আউন্স খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতি মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমানের ভিন্নতা দেখা যায়।এই মাছ খেলে হৃদরোগ,স্ট্রোক,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

কলিজা: কলিজাতেও ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকে।৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত কলিজা খাওয়া যেতে পারে,তবে ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে পরিমিত হারে খাওয়ায় ভালো।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। 

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে কারন এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

কর্ড লিভার অয়েল
  • ১থেকে ১২ মাস= প্রতিদিন আধা চা চামচ
  • ১থেকে ৪ বছর= প্রতিদিন ১ চা চামচ
  • ৪ বছরের উর্ধ্বে= ১.৫ চা চামচ
  • প্রাপ্তবয়স্ক= প্রতিদিন ২ চা চামচ সিরাপ পানি,দুধের সাথে খেতে পারেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ক্যালসিয়ামের অভাব পুরন হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

পনির: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পনির খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ,হার্ট ভালো থাকে ,হাড় শক্ত হয়, মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব পুরন হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

দই: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দই খাওয়া যথেষ্ট। এই পরিমাণ দই খেলে আপনার ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম এর অভাব দূর হবে ।তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না কারণ বেশি খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দেখা দিতে পারে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

টুনা মাছ: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ এক কৌটা টুনা মাছ সপ্তাহে খেতে পারেন। এই থেকেই তার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মিলবে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।

এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।

মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর। এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

ফুলকপি: শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে ক্যালসিয়াম,ভিটামিন A,B ও C রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।
ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।

এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপির সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালিসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়। এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।

এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।

রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভার দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

বাদাম: বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক, ভিটামিন বি, নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকে। 
যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যারসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।

আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।

এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড। 

আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।

কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।

এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।

এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।
এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।

এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি।এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

মাছ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি তে মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম মাছ খেতে হবে। কারণ মাছ খাটের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাছ মস্তিষ্ক সহ শরীরের যে কোষ প্রাচীর রয়েছে তা গঠন করতে সহায়তা করে। গবেষকরা বলছেন কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খায় তাহলে তাদের মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ রয়েছে তা সুস্থ থাকে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

দুধ: দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।

গরুর দুধ: গরুর দুধে তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন: ক্যালসিয়াম ভিটামিন পটাশিয়াম ননীতলা দুধে রয়েছে ৯০ ভাগ ক্যালরি। ও শূন্যভাগ চর্বি ওজন কমানোর জন্য এটা অত্যন্ত আদর্শ একটি খাবার।এক শতাংশ নানিযুক্ত দুধে রয়েছে ১০২ ক্যালরি, ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ননিযুক্ত দুধে আসে ৩. ৫ ভাগ চর্বি।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

ছাগলের দুধ: এক গ্লাস ছাগলের দুধে সাধারণত প্রোটিনের পরিমাণ ৯ গ্রাম।। এটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও চর্বি বহন করে। গরুর দুধের চেয়ে ছাগলের দুধে ১৭০ গ্রাম বেশি ক্যালোরি ও ৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর দুধের থেকে আলাদা কোন পুষ্টি ছাগলের দুধে পাওয়া যায়না।

ছাগলের দুধ খেলে কোন এলার্জি হয় না যেটা গরুর দুধে হয়ে থাকে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

সয়া দুধ: এই দুধ সাধারণত সয়াবিন থেকে তৈরি করা হয়। এই দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।এটি গরুর দুধের মতই পুষ্টিকর একটি দুধ।১ কাপ সয়া দুধে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৪৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যারা নিরামিষভোজী বা যাদের ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে অথবা এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই দুধ খেতে পারেন।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

কাঠবাদাম দুধ: এক মুঠ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এই দুধ তৈরি হয়ে থাকে। কাঠবাদাম দুধে ক্যালোরির পরিমাণ রয়েছে ৩০ ভাগ,ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে ৪৫০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া আরও রয়েছে প্রোটিন এবং ভালো চর্বি কারো যদি এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা থাকে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

কাজু বাদামের দুধ: এই দুধ খুব ফ্লেভারফুল ও ক্রিম যুক্ত। এতে রয়েছে ক্যালরি ও সামান্য পরিমাণে চর্বি। ১ কাপ কাজুবাদাম দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালরি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।

নারকেল দুধ: বর্তমানে নারকেল দুধ এখন অনেক জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ১ কাপ নারিকেল দুধে ১২ গ্রাম চর্বি ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি ও ৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ।এ টি বেশ ক্রিম যুক্ত একটি খাবার।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।

এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

কালো রাজমা: খুব মানুষ কালো রাজমা সস্পর্কে জানেন।এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের জয়েন্টগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।এর উাপদান রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

আখরোট:বাদাম গোত্রের একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রেটিন, পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।

খারাপ কোরলষ্টরেল মাত্রা কমায়।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে ও ক্যালসিয়ামের অভাব দুর হবে। ফলে ফিগার হবে সুস্থ, সবল ও সুঠাম।

শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে কি হয়

ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য যেমন প্রয়োজনীয় উপাদানক এর অভাবে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়, ঠিক তেমনি তা বেড়ে গেলেও ক্ষতির কারন হতে পারে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন। আমাদের শরীরের গলায় থাইরয়েড গ্রন্থির উপরে ও নীচে চালের মত ছোট ৪টি গ্রন্থি রয়েছে। 

এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রনকারী হরমোন। রক্তে ক্যালসিয়াম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নানা রকম কারন রয়েছে। এর অন্যতম কারন হচ্ছে প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির নিঃসরন বেড়ে যাওয়া। এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম। এই রোগ সাধারনত পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশী হয়। 

যদি কোন কারনে এই গ্রন্থিতে টিউমার বা ক্যান্সার হয় তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে অর্থাৎ ক্যালসিয়াম বেড়ে যেতে পারে-। দীর্ঘদিন যদি আপনার কিডনি বিকল হয় তাহলেও এমনটা হতে পারে। এছাড়া ভিাটামিন ডি এর আধিক্যের কারনে, হজমে কোন সমস্যা থাকলে ও জন্মগত কারনেও ক্যালসিয়াম বেড়ে যেতে পারে।

ক্যালসিয়াম শরীরে বেড়ে গেলে যা হয়
  • ক্ষুধামন্দা, বমি ভাব, পেটেব্যথা, পেটে অস্থিরতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘন ঘন প্রস্রাব, পিপাসা বৃদ্ধির মত লক্ষন দেখা দিতে পারে।
  • এর বৃদ্ধিতে তন্দ্রাচ্ছন্নতা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
  • প্যারাথাইরয়েড হরমোনের কারনে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম চলে আসে রক্তে। ফলে হাড়ক্ষয় বৃদ্ধি পায় ও হাড়ের মধ্যে ফাঁকা গহবর তৈরি হয়, হাঁড়ের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে ও সামান্য আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে।
  • রক্তে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর জমা হতে পারে ও ক্যালসিয়াম ফসফেট জমা হয়। এতে কিডনি কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
  • রক্তে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে ইউরিক এসিডের পরিমান বেড়ে যায়।
  • রক্তে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে তীব্র পানিশুন্যতা দেখা দেয়।

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে লক্ষণ

  • শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে পেশিতে ব্যাথা, ক্র্যাম্প ও খিঁচুনি হতে পারে। হাঁটার সময় উরু ও বাহুতে ব্যাথা হয় হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তা অনুভুত হয়।
  • এর অভাবে শরীরে চরম ক্লান্তিভাব আসে। সবসময় অলসবোধ হতে পারে।নিদ্রাহীনতা বাড়ে।
  • এর অভাবে মাথাব্যথা , মাথা ঘোরা, মনোযোগের অভাব ও ভুলে যাওয়া হতে পারে।

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আমাদের দেশে অনেক তরুন কিছু কিছু রোগে ভুগেন যেমন: বাত জনিত সমস্যা, অন্ত্রের প্রদাহ ইত্যাদি। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন গুলো যেমন: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, খনিজ ও মিনারেল এগুলো প্রয়োজন মত গ্রহন না করলে অস্টিওপরোসিস হতে পারে। তবে হাত পা ব্যাথা, শরীরে জয়েন্টের ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ করলে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে তা কিন্তু নয়। 

দৈনন্দিন প্রায় সব খাবারেই ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন এই খাবারগুলো থেকে ক্যালসিয়ামের অভাব পুরন করা সম্ভব। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। এটা মোটেও ঠিক নয় এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ও ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি গ্রহন করতে পারেন। 
নারীরা মনোপজের পর ও সত্তরোর্ধ্ব পুরুষদের ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহন করা দরকার। যারা গর্ভবতী বা বুকের দুধ পান করান তাদের একটিু বেশি পরিমানে প্রয়োজন হয়। আমাদের সকলকে ভিটামিন ডি খেতে হবে কারন ভিটামিন ডি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষনে সহায়তা করে। 

৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম অন্ত্রে শোষিত হয় না আর এই শোষন প্রকৃয়াকে ত্বরানিত করে ভিটামিন ডি। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন ডি গ্রহন করা উচিত।

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন ক্যালসিয়াম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে ক্যালসিয়াম খান তাহলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩