ইমান ও ইসলাম বিনষ্টকারী কু-সংস্কারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন

কেনো সুরা-মূলক রাতে না পড়ে ঘুমাবেন না বিস্তারীত জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়লে জানতে পারবেন ইমান ও ইসলাম বিনষ্টকারী কু-সংস্কারগুলো সম্পর্কে। বর্তমানে আমাদের সমাজে নিম্নোক্ত কু-সংস্কারগুলো মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। অথচ মানুষ জানে না এই কু-সংস্কারগুলো কেউ যদি বিশ্বাস করে তাহলে তার ইমান ও ইসলাম দুটো বিষয় নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এই ব্যাপারে আমাদের খুব সচেতন থাকা উচিত।
ইমান ও ইসলাম বিনষ্টকারী কু-সংস্কারগুলো

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে জানতে পারবেন খাওয়া দাওয়ার কু-সংস্কার, মেয়েদের কুসংস্কার, বিয়ে শাদী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার, দিবস পালনের নামে কুসংস্কার, দোকানে কু-সংস্কার, ছেলেদের ফ্যাশনে কু-সংস্কার, মেয়েদের ফ্যাশনে কু-সংস্কার ,ধর্মের নামে কু-সংস্কার, রাষ্ট্রীয় কু-সংস্কার, সফর বা যাত্রাকালীন কু-সংস্কার, পরীক্ষা সংক্রান্ত কু-সংস্কার।

এছাড়া দ্বীন নিয়ে কু-সংস্কার ,মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কু-সংস্কার, ছোট বাচ্চাদের কু-সংস্কার, যৌবনে কু-সংস্কার, রাজনৈতিক কু-সংস্কার, বাড়িতে কু-সংস্কার, সংস্কৃতির নামে কু-সংস্কার। নাম নিয়ে কু-সংস্কার, আরো জানতে পারবেন শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন চিহ্ন নিয়ে কু-সংস্কার।

ইমান ও ইসলাম বিনষ্টকারী কু-সংস্কারসমূহ পবিত্র কুরআন মজিদ ও হাদিসের আলোকে

প্রথা ও রেওয়াজের ভিত্তিতে যে সব কাজ করা হয় এবং যা শারীয়ত অনুমোদিত ও সমর্থিত নয় এরুপ কাজকে কু-সংস্কার বলা হয়। কু-সংস্কার সমাজ ও জাতির জন্য মারাত্মক ব্যাধি। একে পরিত্যাগ করা অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান তথা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র নানা ধরনের কু-সংস্কারে আচ্ছন্ন। এর মূলে রয়েছে দীনী শিক্ষা, ইয়াকীন এবং তদনুযায়ী আমলের অভাব।

আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনন দীন গ্রহণ করতে চায় কক্ষনো তার সেই দীন কবুল করা হবেনা এবং আখিরাতে সেই ব্যক্তি ক্ষতি গ্রস্থদের অন্তভুক্ত হবে। (সুরা আল ইমরান আয়াত নং-৮৫)

সৎকাজ ও তাকওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগীতা কর, পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগীতা করোনা। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর। (সুরা মায়িদা আয়াত-২)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ (দুনিয়ার) যে যাকে ভালবাসবে, (আখিরাতে) সে তারই সঙ্গী হবে। (বুখারী হাদীস-৫৭২৮)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন জাতির অনসরণ-অনুকরণ করবে, সে তাদের দলভুক্ত হবে। (আবু দাউদ-৩৫১২)

সমাজে প্রচলিত ইমান ও ইসলাম বিনষ্টকারী কু-সংস্কারসমূহ

খাওয়া দাওয়ার কু-সংস্কার

  • ইংরেজদের শিখিয়ে যাওয়া নিয়মে বাম হাত দিয়ে খাবার খাওয়া যেমন: পানি, চা, ইত্যাদি পান করা।
  • নজর লাগবে বলে সামান্য খাবর ফেলে দিয়ে খাওয়া শুরু করা।
  • খাবার সময় সালাম দেয়া বা নেয়া যাবেনা বলে মনে করা।
  • প্লেটের সম্পূর্ন খাবার শেষ না করে তথাকথিত ভদ্রতার নামে কিছু রেখে দেয়া।
  • খাওয়ার সময় জিহরায় কামড় লাগলে কেহ তাকে গালি দিয়েছে ও কাশি/হাঁচি দিলে কেহ তাকে স্মরণ করেছে বলে মনে করা।

মেয়েদের কু-সংস্কার

  • হিন্দু নারীদের ন্যায় কপলে টিপ লাগানো, পায়ে আলতা ব্যবহার করা।
  • প্রথম সন্তান মেয়ে হলে মন খারাপ করা।
  • প্রথম সন্তান গর্ভধারনের সপ্তম মাসে সাতাশা করা, কোন কোন এলাকায় গর্ভধারনের পর বধ্যতামুলকভাবে মেয়ের বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পাঠানো।
  • গর্ভবতী হওয়ার পর ঘরে এই উদ্দেশ্যে সুন্দর বাচ্চার ছবি টাংগিয়ে রাখা, যাতে ঐ ছবি দেখলে বাচ্চা সুন্দর হবে।
  • গর্ভাবস্থায় কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করলে তা না খেলে বাচ্চার লালা পড়বে বলে ধারনা করা।
  • অবিবাহিতা মেয়েদের পর্দাকে অপরিহার্য মনে না করা।
  • গর্ভাবস্থায় সুর্য-চন্দ্র গ্রহন লাগা দেখলে সন্তান পঙ্গু হবে বলে মনে করা।
  • চোখ না লাগার জন্য বাচ্চার কপালে কালো টিপ দেয়া ইত্যাদি।

বিয়ে-শাদীতে কু-সংস্কার

  • রজব মাসসহ কোন কোন মাসে বিয়ে অনুষ্ঠান না করা।
  • সবার সামনে বর কনেকে সালাত আদায় করানো।
  • কনিষ্ঠ আঙ্গুলি দ্বারা বর কনে পরস্পর পরস্পরকে ভাতের দানা খাওয়ানো।
  • বর ও কনে একে অপরের সাথে মালা বদর করা ।
  • গেট ধরে বরের জুতা খুলিয়ে টাকা-পয়সা নেয়া।
  • সিংহাসন বানিয়ে তাতে বরকে বসিয়ে টাকা আদায় করা।
  • গায়ে হলুদের নামে বিয়ের আগের দিন নারী-পুরুষ একসঙ্গে গায়ে হলুদ মাখানো।
  • বরকে ভাবিদের দ্বারা হলুদ মাখানো ও গোসল দেওয়া।
  • স্ত্রীকে নগদ মোহরানা না দিয়ে বাঁকি রাখা।
  • যৌতুক দাবি করা ও নেয়া।
  • বিয়ে করতে যাওয়ার আগে বরকে পিড়িতে দাঁড় করানো দই ভাত খাওয়ানো, বরের মাথায় হাত দিয়ে মায়ের শপথ করা।
  • গায়ে হলুদের নামে অনুষ্ঠান করে বরের কপালে নারীরা, কনের কপালে পুরুষেরা হলুদ লাগানো ও মিষ্টি খাওয়ানো ইত্যাদি।

দিবস পালনের নামে কু-সংস্কার

  • জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবস, ম্যারেজ ডে, ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত দিবস, এপ্রিল ফুল দিবস উদযাপন করা।
  • মা দিবস, বাবা দিবস, বন্ধু দিবস পালন করা।
  • বিভিন্ন দিবসের কবরে ও স্মৃতিস্থম্ভে ফুল দেয়া খালি পায়ে হেঁটে সেখানে গিয়ে নীরবতা পালন করা ও শপথ নেয়া।
  • নতুন বর্ষ শুরু উপলক্ষে পটকা/বোমা ফাটানো ও আতশবাজি করা ইত্যাদি।

দোকানে কু-সংস্কার

  • বছরের প্রথম দিন ক্রেতাকে বাঁকি না দিয়া।
  • সকালে ও সন্ধ্যার সময় বাঁকি না দেওয়া।
  • প্রথম ক্রেতাকে বাঁকি না দেয়া।
  • সকাল সন্ধ্যায় নিয়ম করে আগরবাতি জ্বালানো ও পানি ছিটানো।
  • বিক্রয় বৃদ্ধির আশায় মন্দিরের ন্যায় মসজিদের পানি এনে ছিটানো।
  • সব সময় ক্যাশখালী না রেখে কিছু না কিছু টাকা পয়সা রাখা।
  • ক্রেতার সাথে প্রয়োজনে বিক্রির জন্য মিথ্যা বলা জায়েজ মনে করা ইত্যাদি।

ছেলেদের ফ্যাশনে কু-সংস্কার

  • ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুশরিকদের অনুকরণে ছেলেদের কান ছিদ্র করা ও তাতে দুল পরা।
  • হাতে বালা ও স্বর্ণের চেইন পড়া। গলায় চেইন পরা।
  • টাইট প্যান্ট পরা।
  • টাখনুর নিচে প্যান্ট পরা।
  • মেয়েদের মত ছেলেদের চুল রাখা।
  • ছবিযুক্ত কাপড় পরা ইত্যাদি।

মেয়েদের ফ্যাশনে কু-সংস্কার

  • কপালে ফোঁটা বা টিপ লাগানো।
  • ছেলেদের মত চুল রাখা ও কাটা।
  • পাতলা কাপড় পরা।
  • গেঞ্জি, শার্ট, প্যান্ট, স্কাট , চিকন ওড়না ও টাইট ফিটিং পোশাক পরিধান করে।
  • পর চুলা বা আলগা খোঁপা লাগানো, মাথার ওপরে মোরগের লেজের মতো করে খোঁপা বাঁধা।
  • সিনেমা ও নাটকের নায়িকার অনুকরণে কাপড় পরিধান করে বেপর্দায় থাকা।
  • যৌবনের পর্দা করা জরুরি নয় মনে করা ইত্যাদি।

ধর্মের নামে কু-সংস্কার

  • কবরের উপর বাতি জালানো।
  • অলি নামধারী লোকদের মাজারের ওপর গম্বুজ তৈরি করা।
  • কামনা বাসনা পূরণের জন্য মাজারে যাওয়া এবং পানি ও খিচুড়ি খাওয়া।
  • মাজারের সুতা বা মালা গলায় কিংবা হাতে পরা।
  • কবর পাকা করা।
  • শবে মেরাজের রাতে বিশেষ এবাদত করা।
  • সালে সওয়াবের জন্য রবিউল আউয়াল মাসকে নির্দিষ্ট করা।
  • ওরস পালন করা।
  • মিলাদ ও কিয়াম করা।
  • মাজারে মানত করা ও ফকিরের কাছে ধর্না দেয়া ও টাকা দেয়া।
  • পীরের মুরিদ হওয়া বা বায়াত নেয়া।
  • ফরজ সালাতের পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মোনাজাত করা।
  • ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা।
  • শবে বরাত পালন করা।
  • তাবিজ-কবজ ব্যবহার করা ইত্যাদি।

রাষ্ট্রীয় কু-সংস্কার

  • মৃত ব্যক্তির জন্য কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা।
  • অধিকারের নামে নরনারীর অবাধে মেলামেশা ও কাজকর্ম করা।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও সহশিক্ষা চালু রাখা।
  • সুদ ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু রাখা।
  • সফর বা যাত্রাকালে কু-সংস্কার:
  • যাত্রা সময় পিছন থেকে না ডাকা।
  • শুরুতে বাধাগ্রস্ত হলে যাত্রা অশুভ ভাবা।
  • যাত্রার প্রাক্কালে হাঁচি এলে অশুভ মনে করা।

পরীক্ষা সংক্রান্ত কু-সংস্কার

  • পরীক্ষার দিন অথবা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ডিম, কলা, মিষ্টি ইত্যাদি খাবার না খাওয়া।
  • কলমে ফু দিয়ে নিয়ে যাওয়া।
  • পরীক্ষায় পাশ করার জন্য তাবিজ নেয়া।

দ্বীন নিয়ে কু-সংস্কার

  • শনিবারের দিন কোথাও যাওয়া অমঙ্গল হবে বলে মনে করা।
  • রবিবার ও বৃহস্পতিবার বাগানের বাঁশ না কাটা।
  • শনিবার নতুন বউকে মায়ের বাড়িতে যেতে না দেয়া।

মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কু-সংস্কার

  • মৃত ব্যক্তির রুহ 40 দিন পর্যন্ত বাড়িতে আসে তা বিশ্বাস করা।
  • মাজারের ওরসে টাকা দান করা। মৃত ব্যক্তির নামে চল্লিশা করা, মৃত ব্যক্তির নামে কুলখানি করা, খাবার বিতরণ করা।
  • মৃত ব্যক্তির জন্য কবর পাকা করা ও স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা।
  • জানাজা নিয়ে যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে জিকির করা।
  • মৃতের সামনে চিৎকার করে কাঁদা ও কাপড় ছেঁড়া।
  • বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালন করা , উক্ত দিনগুলোতে মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করা।
  • মৃতদেহের সামনে কোরআন তেলাওয়াত করা।
  • খতমে কোরআন পড়ানো।

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কু-সংস্কার

  • সন্তান জন্মের পর তার বিছানার নিচে তো সন্তানের মামার পায়ের চামড়ার জুতার টুকরা, লোহা জাতীয় জিনিস ও শুকনা মরিচ ইত্যাদি রাখা।
  • নজর লাগবে বলে, কপালে, পায়ে কাজলের ফোটা দেওয়া।
  • বাচ্চারা যদি ঘর বা বারান্দা ঝাড়ুদায় তাহলে মেহমান আসবে বলে মনে করা হয়।
  • বাচ্চাদের গায়ে লাঠি বা ঝাড়ু ছোঁয়া লাগলে জ্বর আসবে মনে করা এবং পায়ে পানি ছিটিয়ে দেয়া।
  • ভয় পেলে লবণ পানি খাওয়ানো।
  • বাচ্চাদেরকে টপকে বা ডিঙিয়ে গেলে আর লম্বা হবে না মনে করা।
  • বাচ্চাদের মন ভোলানোর জন্য মিথ্যা বলা বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া।
যৌবনে কু-সংস্কার
  • অপরিচিত নর-নারীর একে অপরের সাথে প্রয়োজন ব্যতিত টেলিফোনে আলাপ করা, বন্ধুত্ব করা ঘুরাফেরা করা, আড্ডা দেয়া, ঠাট্টা মশকরা করা ইত্যাদি।

রাজনৈতিক কু-সংস্কার

  • রাজনিতীতে মিথ্যা বলতে হয় মনে করা।
  • বাড়িতে কু-সংস্কার:
  • ঘরেও বারান্দায় ছবি লটকানো।
  • শোপিসের মধ্যে মূর্তি-সদৃশ্য প্রাণী সাজিয়ে রাখা।
  • সালাম না দিয়ে বা অনুমতি না নিয়ে বাড়ি কিংবা ঘরে প্রবেশ করা।
  • অন্যের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে রেডিও, টিভি, টেপ রেকর্ডার বাজানো।

সংস্কৃতির নামে কু-সংস্কার

  • যুগ ও মনের প্রয়োজনের দোহাই দিয়ে নাচ, গান বাদ্য, বাজনা ,মডেলিং, ফ্যাশন, রেগ ডে ,নাটক, বর্ষবরণ, বসন্ত বরণ, রাখি বন্ধন, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো ইত্যাদি প্রয়োজন মনে করা।

নাম নিয়ে কু-সংস্কার

  • আধুনিকতা বা আঞ্চলিকতার নামে ছেলেমেয়েদের নাম তথা ছেলেদের সানটু, মনটু, মিনটু, নানটু, রিনটু, ঝনটু, লালটু, বলটু, পলটু, টিটু, বাপ্পি, অপু ,তপু, কালা, ভোলা, রুপু, শুভ্র, স্বপন, চঞ্চল, আকাশ, প্রিন্স, বাবন, সুমন, রুমন, নিপন, বিপুল বিপ্লব, জেমস, টমাস ইত্যাদি।
  • মেয়েদের নাম যেমন চম্পা ,রুমা, রুমা, বেজি, বিউটি, লাভলী, মিমি ,জোশি, শিল্পী হ্যাপি, পপি, ময়না, কেয়া, ডলি, বেবি, রেবা, সুইটি ,রিতা রায়না ,প্রিয়াঙ্কা ,বন্যা, বাসন্তী ,ডেনি ইত্যাদি নাম রাখা। এছাড়া কোরআনের সূরা কিংবা আয়াত অংশ দিয়ে নাম রাখা।

বিবিধ কু-সংস্কার

  • আত্মীয়-স্বজন ও গুনিদের পা ছুঁয়ে সালাম করা।
  • পুরুষদের টাখনুর নিচে কাপড় পড়া।
  • ঘুম থেকে উঠে অমুকের মুখ না দেখা।
  • ভাগ্য সম্পর্কে জানার জন্য জ্যোতিষীকে হাত দেখানো।
  • জ্যোতিষী কিংবা অন্য কারো ভবিষ্যৎবাণী বিশ্বাস করা।
  • পেঁচা ডাকলে বিপদ আসন্ন মনে করা।
  • কারো সাথে বাজি ধরা।
  • দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা।

শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন চিহ্ন নিয়ে কু-সংস্কার

  • পায়ে তিল থাকলে বিদেশে যাবার সুযোগ হয় মনে করা।
  • ঘাড়ে তিল থাকলে তার মৃত্যুর জবাইয়ের মাধ্যমে হয় তা মনে করা।
  • ঠোটের নিচে ও কানের নিচে তিল থাকলে অমঙ্গল হয়।
  • চোখ টেরা থাকলে ভাগ্যবান হওয়া মনে করা।
  • নাক বোঁচা থাকলে বেশি করে বিয়ের প্রস্তাব আসে মনে করা।
  • মেয়ের চেহারা বাবার মত হলে ভাগ্যবান হবে বলে মনে করা।
  • হাত চুলকালে টাকা আসবে বলে মনে করা

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন ইমান ও ইসলাম বিনষ্টকারী কু-সংস্কারগুলো সম্পর্কে। কু-সংস্কারাচ্ছন্ন জীবন একটি অভিশপ্ত জীবন। এই কু-সংস্কার মানুষকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যেখান থেকে ইমান নিয়ে বের হয়ে আসা খুব কঠিন। তাই কু-সংস্কার মুক্ত জীবনের অভিপ্রায় যেন আমাদের সকলের থাকে। উপরোক্ত প্রচেষ্টাটি এই জন্যই করা হয়েছে।

উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩