ড্রাগন ফল কেন খাবেন এর উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারীতভাবে জেনে নিন

গরম থেকে বাঁচতে ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি পড়লে বিস্তারীতভাবে জানতে পারবেন ড্রাগন ফল কেন খাবেন এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে।ড্রাগন ফল বিদেশি হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ব্যপকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। এই কারণে দেশের বাজারগুলোতে এই ফল প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। অনেকে দামি ফল ভেবে এটি খেতে চান না কিন্তু এর পুষ্টিগুন ব্যপক।
ড্রাগন ফল কেন খাবেন এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে এর পুষ্টিগুন ও উপকারিতাগুলো নিয়ে, গর্ভাবস্থায় এই ফল খাওয়া যাবে কিনা, এই ফলটি কিভাবে খাবেন, অতিরিক্ত এই ফলটি খেলে শরীরের উপর কি প্রভাব পড়ে, শুধুমাত্র ড্রাগন ফল পুষ্টিকর নয় এর খোঁসাও খুব উপকারি। নিয়মিত এই ফল শিশুদের খাওয়ালে কি ধরনের উপকার পাওয়া যায়।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাক-সবজি রাখা দরকার।ড্রাগন এমন একটি ফল যা দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি লাল ও সাদা মাংসযুক্ত বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। তবে ফলের ধরন ও পরিপক্কতার উপর ভিত্তি করে পুষ্টির মান পরিবর্তিত হয়।

১০০ গ্রাম লাল মাংসযুক্ত ফলে রয়েছে
  • ক্যালোরি - ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম
  • কার্বো-হাইড্রেট - ৯ থেকে ১৪ গ্রাম
  • ডায়েটারি ফাইবার - ১ থেকে ২ গ্রাম
  • চিনি - ৮ থেকে ১২ গ্রাম
  • প্রোটিন - ১ থেকে ২ গ্রাম
  • চর্বি - ১ গ্রাম
১০০ গ্রাম সাদা মাংসযুক্ত ফলে রয়েছে
  • ক্যালোরি - ৬০ গ্রাম
  • কার্বো-হাইড্রেট - ৯ থেকে ১৪ গ্রাম
  • চিনি - ৮ থেকে ১২ গ্রাম
  • ডায়েটারি ফাইবার - ১ থেকে ২ গ্রাম
  • প্রোটিন - ১ থেকে ২ গ্রাম
  • চর্বি - ১ গ্রাম

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন

ভিটামিন ও খনিজ: ড্রাগন ফলের খুব ভালো উৎস হলো এই ভিটামিন ও খনিজগুলো যেমন: ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন) এবং আয়রন। এছাড়া এতে রয়েছে অল্প পরিমানে ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন), ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পরিমানে বেটালােইনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে প্রাণবন্ত রাখতে সহায়তা করে ও কোলেষ্টরেল (এলডিএল)কমাতে সহায়তা করে। এই অক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‌্যাডিকেল নামক পদার্থের কারণে শরীরে যে ক্ষতি হয় তা রোধ করতে সহায়তা করে এবং শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে। 
এর মধ্যে থাকা হাইড্রোক্সিসিনামেটস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।এর ফ্ল্যাভোনয়েডেস মস্তিষ্ক সুরক্ষা ও ‍কার্যকারীতায় গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে ও হৃদরোগ সারাতে সাহায্য করে।

ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস: ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস যেমন:ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল যাতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। এই উপাদানগুলি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায় ও শরীরকে সুস্থ রাখে।

হাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইটস: ড্রাগনে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মতো ইলেকট্রোলাইট রয়েছে যা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে পেশির কার্যকারীতা বজায় রাখতে ভুমিকা পালন করে।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা

ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশ সাদা এবং বেশ নরম যা চামচ দিয়ে খাওয়া যায় এর চারিদিকে বাদামের বীজ ছড়িয়ে থাকে। এই ফলটি সামান্য মিষ্টি স্বাদের ও রসালো বীজ থেকে বাদামের স্বাদ পাওয়া যায়। যেহেতু এই ফলটি মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ তাই এর উপকারীতা ব্যাপক।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়:ড্রাগন ফল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এতে পর্যাপ্ত পরিমানে ফাইবার থাকায় তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে।আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আপনি যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খান তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এতে রয়েছে ক্যান্সারবিরোধী উপাদান। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে ড্রাগন ফল কার্যকর ভুমিকা পালন করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এছাড়াও এই ফল খেলে আলঝাইমার, পারকিনসন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

হজম শক্তি বাড়ায়: হজম শক্তি বাড়াতে ড্রাগন ফলের জুড়ি মেলা ভার। এই ফল শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ফলে প্রচুর ফাইবার থাকায় তা পরিপাক তন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাই হজমশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ড্রাগন ফলে রয়েছে বেটালাইন যা শরীরের খারাপ কোলেস্টরল দুর করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন তৈরীতে সহায়তা করে। এই হিমোগ্লোবিন ‍হৃদপিন্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে অষ্কিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।এছাড়া এর মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ত্বককে রাখে যৌবন দীপ্ত: ড্রাগন ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা দুষন, স্ট্রেস ইত্যাদি কমিয়ে বার্ধক্য কমাতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জল রাখতে সহায়তা করে।

হাড় গঠনে সহায়তা করে: ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়কে শক্তিশালী করে।বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা নিরাময়ে ও বার্ধক্যজনিত ব্যাথা প্রতিরোধে সহায়তা করে। যাদের হাড়ের রোগ আছে তারা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাহলে হাড়ের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন বা অনেক মা রয়েছেন যারা গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারীতা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে ‍ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা গর্ভবতী মায়ের হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এই ফলটিকে ২ ভাগে ভাগ করে চামচ দিয়ে শাঁস খাওয়া যায়।

ড্রাগন ফলে ভিটামিন বি, ফোলেট ও আয়রন রয়েছে যার কারনে এই ফলটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শএকটি ফল। এই ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি ও ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ক্রটি রোধে সহায়তা করে এবং গর্ভাসস্থায় শক্তি উৎপাদন করে। এই ফলের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রুনের হাড় বিকাশে সহায়তা করে। 
এই ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম গর্ভবতীর পোস্ট মনোপোজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস রোধে ড্রাগন ফল কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার গর্ভবতীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। এই ফলটি যদি নিয়মিত খান তাহলে রক্তে শর্করার ভারসাম্যতা বজায় রাখে।

গর্ভবতী মায়ের হার্টের জন্য খুব উপকারি ড্রাগন ফল। এর ক্ষুদ্র কালো বীজগুলোতে রয়েছে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি এসিড।যা হার্টের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া ড্রাগন ফল গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন ফল ‍জুস করে খেতে পারেন। প্রথমে খোসা ফেলে কেটে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে জুস করে নিতে হবে। আপনারা এই ফলকে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন তাহলে সাধারন ফলের মতো কেটে সরাসরি খেতে পারেন। তবে সবজ্বির মত রান্না করে না খাওয়াই ভালো। কারন রান্না করে খেলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক

আপনারা সকলেই জানেন প্রতিটি ফলের উপকারীতা যেমন আছে ঠিক তেমনি অল্প পরিমানে অপকারীতাও রয়েছে।ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলেরও কিছু আপকারীতা রয়েছে। এই ফল যদি অতিরিক্ত পরিমানে খান তাহলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন:অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে অ্যালার্জি, ডায়রিয়া ও হাইপারটেনশন হতে পারে।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

আমরা সকলেই জানি ড্রাগন ফলের উপকারীতা রয়েছে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা ড্রাগন ফল খেলেও খোসাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। আজকের আর্টিকেলটিতে ড্রাগন ফলের খোসার উপকারীতা নিয়ে যে তথ্য দিবো তাতে আর এই ফলের খোসা ফেলবেন না।

ড্রাগন ফলের খোসার প্রস্তুত প্রনালী

প্রথমে ২ টা ড্রাগন ফল নিতে হবে। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে খোসাগুলো ছিলে কুঁচি কুঁচি করে কাটতে হবে।তারপর ২৫০ লিটার পানিতে খোসাগুলো দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।৭ মিনিট ধরে খোসাগুলোকে ফোটাতে হবে। যখন দেখবেন পানি লাল বর্ন ধারন করেছে তখন বুঝবেন মিশ্রনটি তৈরি হয়ে গেছে। এই মিশ্রনটির টেস্ট বৃদ্ধির জন্য লেবুর রস, সাধারন লবন বা বিট লবন দিয়ে খেতে পারেন।

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল গ্রীষ্ম মন্ডলীয় ক্যকটাস জাতীয় ফল যা খুবই উচ্চমাত্রার পুষ্টিকর একটি ফল এবং বাচ্চাদের জন্য খুব উপকারী। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৩, সি, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। এই ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ। ৬ বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ালে তা বাচ্চার শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। যা নীচে আলোচনা করা হলো।
  • ড্রাগন ফল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। যা শিশুর কোষগুলিকে সুরক্ষিত করে এবং দেহের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।ড্রাগন ফলের মধ্যে নানা ধরনের পুষ্টি থাকায় শিশুদের হার্টকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
  • ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় শিশুর হাড় গঠনে সহায়তা করে। এই ফলের মধ্যে থাকা ফিনোলিক ও ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ মিশ্রিত ফসফরাস থাকায় হাড়ের ঘনত্বকে দৃঢ় করে। ফলে শৈশব কাল থেকে আর্থ্রারাইটিজ রোগে ভোগা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় শিশুর ত্বকের বিকাশ ঘটে হাঁড় গঠনে সহায়তা করে।
  • এই ফলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় শিশুর পাচনতন্ত্র স্বাভাবিক থাকে ও স্থুলতা এড়াতে সহায়তা করে।
  • এই ফলে ব্যাপক পরিমানে ভিটামিন এ থাকায় চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  • এই ফল আয়রনের ভালো উৎস যা শিশুর লোহিত কনিকা বাড়াতে সহায়তা করে। রক্ত স্বল্পতা রোধে সহায়তা করে।
  • এতে সোডিয়াম ও ফসফরাস থাকায় তা স্নায়ু তন্ত্রকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
  • এই ফল শরীরকে ডিটক্সিফিকেশন করে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে শিশুর কিডনি ভালো রাখে।

লেখকের শেষকথা

আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন ড্রাগন ফলের উপকারিতাগুলো নিয়ে এবং এটি নিয়মিত খেলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন।এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে ড্রাগন ফল খান তাহলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩