ত্বক ফর্সায় গাজরের ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নিন
রূপচর্চায় আলুর ব্যবহার - আলু খেলে কি মোটা হয় জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি যদি বিস্তারিত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ত্বক ফর্সায় গাজরের ভূমিকা সম্পর্কে।বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় সবজি। এই সবজি খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বর্তমানে সারা বছর এই সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বর অর্থাৎ শতিকালে এই সবজিটি বেশি পাওয়া যায়।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন নিয়মিত গাজর খেলে তার উপকারিতাগুলো কি কি, যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে গাজর কিভাবে কাজ করে, কি নিয়ম মেনে গাজর খেলে তার পরিপূর্ন পুষ্টি পাবেন, রান্না ছাড়া কাাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি কি, এছাড়া আরোও জানতে পারবেন ত্বক ফর্সা করার ক্ষেত্রে গাজর কিভাবে কাজ করে।
ত্বক ফর্সায় গাজরের ভূমিকা
গাজর খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। বর্তমানে এই সবজিটি সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। তবে শীতকালে এই সবজিটি সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। পুষ্টিগুন ও স্বাদে সেরা এই সবজিটি রুপচর্চায় কার্যকর ভুমিকা পালন করে। গাজর যেমন চোখ ও দাঁতের জন্য খুব উপকারি ঠিক তেমনি চুল ও ত্বকের জন্যও খুব উপকারি।আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক ফর্সায় গাজরের ভুমিকা নিয়ে।
শুষ্ক ত্বকে গাজরের ভুমিকা: ত্বক মুলত শুষ্ক হয় জিন, হরমোন ও পরিবেশগত কারণে। যারা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য গাজর একটি আদর্শ রুপচর্চার উপাদান। গাজরে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম থাকায় তা ভেতর থেকে আর্দ্রতা প্রদান করে থাকে। আপনারা গাজরের একটি পেষ্ট বানিয়ে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
- গাজর - ১টি
- দুধ - ১ চা-চামচ
- মধু - ১ চা-চামচ
প্রথমে গাজরকে ভালোভাবে পিসে নিতে হবে। তারপর এর সাথে ১ চা-চামচ দুধ, ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে খুব ভালোভাবে, এরপর মাস্কটি তৈরী হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।এভাবে মাস্কটি সপ্তাহে ৩ দিন লাগালে ত্বকের শুষ্কতা দুর হবে।
তৈলাক্ত ত্বকে গাজরের ভূমিকা: তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে শুষ্ক ত্বকের ন্যায় গাজর খুব কার্যকর ভুমিকা পালন করে। কারন গাজরের মধ্যে যে ভিটামিন এ আছে তা ত্বকের তেল বের করে দিয়ে ত্বককে রাখে সতেজ, স্বাস্থ্যজ্জল ও প্রানবন্ত। তাই ত্বকের তৈলাক্ততা দুর করতে একটি মাস্ক তৈরি করে ফেলতে পারেন।
- গাজর - ১ টা
- টকদই - ১ টেবিল চামচ
- বেসন - ১ চা-চামচ
- লেবুর রস - ১ চা- চামচ
প্রথমে গাজরকে ভালোভাবে পিসে নিতে হবে। তারপর এর সাথে ১ টেবিল-চামচ টকদই, ১ চা-চামচ বেসন, ১ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে খুব ভালোভাবে, এরপর মাস্কটি তৈরী হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।এভাবে মাস্কটি সপ্তাহে ৩ দিন লাগালে ত্বকের তৈলাক্ততা দুর হবে।
বয়সের ছাপের বিরুদ্ধে গাজরের ভূমিকা: গাজরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। এতে আরোও রয়েছে ভিটামিন সি যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মত কাজ করে এবং ফ্রি-র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাধারনত ফ্রি র্যাডিকেলগুলো ত্বকের সুক্ষরেখা ও বলিরেখার জন্য দায়ী। আপনার ত্বকে যদি এই ধরনের বলিরেখা দেখতে পান তাহলে মুখে লাগাতে পারেন অ্যান্টি-এজিং মাস্ক।
- গাজর - ১ টি
- জলপাই/নারিকেল/আমন্ড তেল - ১ টেবিল-চামচ
প্রথমে গাজরকে ভালোভাবে পিসে নিতে হবে। তারপর এর সাথে ১ টেবিল-চামচ জলপাই/নারিকেল/আমন্ড তেল মিশিয়ে নিতে হবে খুব ভালোভাবে, এরপর মাস্কটি তৈরী হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।এভাবে মাস্কটি সপ্তাহে ৩ দিন লাগালে ত্বকের বলিরেখা দুর হবে।
UV রশ্মির বিরুদ্ধে গাজরের ভূমিকা: গাজরের মধ্যে যে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে তা সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির বিরুদ্ধে ত্বকের বাইরে ও ভেতরে কাজ করে। এই আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের যে ক্ষতি করে তা পুনরুদ্ধার করতে গাজর কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন ছোট বড় সকলের গাজরের জুস পান করা উচিত পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন গাজরের ফেস মাস্ক।
- গাজরের রস - ১ কাপ
- গ্রিনটি - ১/২ কাপ
- অ্যালোভেরা জেল - ১ চা-চামচ
গাজরের রস এর সাথে ১/২ কাপ গ্রিনটি ও ১ চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে হবে খুব ভালোভাবে, এরপর মাস্কটি তৈরী হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।এভাবে মাস্কটি সপ্তাহে ৩ দিন লাগালে ত্বকের বলিরেখা দুর হবে।
কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা গাজর খান তাহলে হরমোনের ভারসাম্য স্বাভাবিক থাকবে। গাজরের মধ্যে যে পুষ্টিকর উপাদানগুলো রয়েছে তা শরীরে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য স্বাভাবিক রাখে। সকর ধরনের উগ্রতা বা মেজাজ খারাপ হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- নিয়মিত গাজরের রস খেলে ত্বক উজ্জল হয়। শরীর থেকে দুষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। যারা ব্রনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত গাজর খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার থাকায় এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে যাতে শরীরকে দুষনমুক্ত রাখে, চোখের নানা রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
- ন্যাশনার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী শরীরে অত্যধিক ফ্রি র্যাডিকেল বেড়ে যাওয়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। গাজর খেলে তা শরীর থেকে ফ্রি-র্যাডিকেলগুলোকে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
- গাজলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন কে , অল্প পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে।অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা
আপনাদের মধ্যে যারা নিয়মিত ভিটামিন এ ট্যাবলেট খান তবে আজ থেকে ট্যাবলেট খাওয়া ছেড়ে দেন তার বদলে বেশি করে গাজর খান। কারন একটি মাত্র গাজর প্রতিদিন খেলে আপনার শরীরের সব ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করবে। গাজরে ভিটামিন-এ ছাড়াও রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
১০০ গ্রাম কাঁচা গাজরের পুষ্টিমান নিম্নরুপ
- কার্বো-হাইড্রেট- ৯গ্রাম
- চিনি - ৬গ্রাম
- ডায়েটারি ফাইবার - ৩গ্রাম
- ফ্যাট - ০.২গ্রাম
- প্রোটিন - ১গ্রাম
- ক্যালসিয়াম - ৩৩মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম - ১৮মিলিগ্রাম
- ফসফরাস - ৩৬মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম - ২৪০মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম - ২.৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি - ০.০৪
- ভিটামিন বি২ - ২০.০৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৩ - ৩১.২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৪ - ৬২.০১ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি - ৭ মিলিগ্রাম
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে: গাজরের মধ্যে আছে বিটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন আমাদের লিভারে যেয়ে ভিটামিন এ তে রুপান্তরিত হয় এবং চোখের রেটিনায় গিয়ে চোখের রেটিনায় পৌঁছে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত গাজর খেলে রাতের বেলায় ভালোভাবে দেখার জন্য যে বেগুনি পিগমেন্ট দরকার তা বৃদ্ধি পায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: গাজরের মধ্যে রয়েছে ফালকারিনল ও ফালকারিনডিওল যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদানগুলোকে শরীর থেকে বের করে দেয়। এছাড়া গাজর খেলে ফুসফুস ক্যান্সার, কলোরেস্টাল ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। বেশিরভাগ সমীক্ষায় দেখা গেছে আপনি যদি প্রতিদিন গাজরের রস খেতে পারেন তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
লিভারকে সুস্থ রাখে গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকায় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এছাড়া লিভারের পিত্ত ও হিমায়িত ফ্যাট কম করতে সাহায্য করে। গাজলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় মলকে পাতলা রাখে কোলন ক্যান্সরের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।নিয়মিত গাজর খেলে লিভারে প্রদাহ, ফোলা ভাব ও সংক্রমন কমে যায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: গাজরের মধ্যে যে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে তা হৃদপিন্ডের নানা অসুখ সারাতে সহায়তা করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিদিন একজন মানুষ যদি গাজর খায় তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ৬৪ শতাংশ কমে যায়।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: গাজরের মধ্যে যেসকল ভিটামিন রয়েছে তা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে যারা নিয়মিত ৬ টি করে গাজর খেয়েছেন বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি যারা এর চেয়ে কম পরিমানে গাজর খেয়েছেন তাদের তুলনায় অনেক কম।
কানের ব্যাথা প্রতিরোধে সহায়তা করে: সর্দি-কাশি বা অন্য কোন অসুস্থতার কারনে অনেকের কানে ব্যাথা হয়। আপনি যদি নিয়মিত গাজর খান তাহলে এই ধরনের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া কলা, গাজর, আদা ও রসুন পানিতে দিয়ে গরম করে ফুঁটিয়ে ১/২ ফোঁটা কানে লাগালে ব্যাথা থেকে উপসম পাওয়া যায়।
দাঁতের রোগ থেকে মুক্তি পেতে গাজর: রক্ত পরিষ্কার করতে গাজর জাদুর মত কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। যারা তামাক খেয়ে অভ্যস্ত তারা যদি গাজর খান তাহলে দাঁতগুলি শক্ত, পরিষ্কার ও উজ্জল হয়।
কৃমি রোগের জন্য গাজর: শিশুরা সবচেয়ে কৃমির সমস্যায় ভোগেন। একটি গাজর কেটে ২০ থেকে ৪০ মিলি জুস তৈরি করে পান করালে পেটের কৃমি থেকে মুক্তি পাবেন।
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে গাজরের উপকারিতা
আপনাদের যৌন জীবনকে স্বাভাবিক করতে গাজরের তুলনা হয় না। বিষয়টাতে নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন ? আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে গাজর আমাদের যৌন জীবনকে স্বাচ্ছ্যন্দময় করে তোলে।গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডিন্ট, ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন যা শুক্রানু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
গবেষনা করে দেখা গেছে যারা নিয়মিত গাজর খায় তাদের শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গাজরে ভিটামিন এ থাকায় তা টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন এ লিভারের বিভিন্ন কার্যক্রমে অবদান রাখে স্বাস্থ্যকর হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে।আপনার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
সামাগ্রিক স্বাস্থ্য ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গাজরে থাকা ফাইবার ও পুষ্টি উপাদান শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও যৌন জীবনে প্রভাব ফেলে। রক্ত সঞ্চালনে গাজর গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে ফলে সহবাসের সময় একটি গাজর খেয়ে নিলে যৌন অঙ্গকে দৃঢ় ও শক্ত করে এতে আপনার সঙ্গি পরিপূর্ন যৌন তৃপ্তি পায়।
তাই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রত্যেকের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখা বাঞ্চনীয়।
গাজর খাওয়ার নিয়ম
গাজর খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে ধুয়ে নিলে এর উপর থাকা ময়লা, মাটি ও রাসায়নিক উপাদান বের হয়ে যায়। যদি আপনি কাঁচা গাজর খেতে চান তাহলে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া ভালো। এতে গাজর খেতে সুস্বাদু লাগে ও পরিষ্কার থাকে। গাজর বেশিক্ষন রান্না করা উচিত নয় এতে পুষ্টিগুন কমে যায়।
গাজর দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া উচিত। কারন গরম অবস্থায় খাদ্যগুন নষ্ট হয়ে যায়। গাজরের সালাদ খেলে প্রাকৃতিক সকর পুষ্টিগুন অক্ষুন্ন থাকে।গাজরের জুস খুবই স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এই জুস যদি নিয়মিত খান তাহলে শরীরে ভিটামিন এ ও অ্যান্টি-অক্সিডিন্ট সরবরাহ করবে যা চোখের জন্য খুব কার্যকর।
গাজরকে পাতলা করে কেটে চিপস বানিয়ে ওভেনে বেক করে খেলে এর স্বাদ ও পুষ্টি উভয় বজায় থাকে।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে গাজরের ভূমিকা সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে গাজর খান তাহলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url