বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ হিরো সম্পর্কে জেনে নিন
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ হিরোর পরিচয় নিয়ে আলোচনা করবো। ৩ হিরো ছাড়াও মোট ১৫৮ জনকে নিয়ে এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছে। যাদের মধ্যে ৪৯ জন সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক। যাদের অসীম সাহসীকতার ফল স্বরুপ আমরা একটি নতুন স্বাধীন দেশ উপহার পেয়েছি।
সারজিস আলম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থী সারজিস আলম।পঞ্চগড়ে জন্ম নেয়া সারজিস আলম বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১৭ সালে প্রানীবিদ্যা বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতার্কিক হিসাবে বিশেষ সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই তরুন তুর্কি জাতির “কান্ডারি” হয়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে ১৮ কোটি আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় মানুষকে মুক্ত করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে জনমানুষের মুক্তির দুত হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।তিনি অত্যন্ত মিশুক ও মিষ্টভাষী প্রকৃতির একজন মানুষ। বক্তব্য প্রদানে তিনি অত্যন্ত পটিয়সী।
বিভিন্ন কর্মসূচীর নাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখেছেন ও আন্দোলনকে বেগবান ও সুশৃঙ্খলভাবে চালিয়ে নিয়ে সকলের সুনাম কুড়িয়েছেন। মাসখানেক আগেও বাংলাদেশের হাতেগনা কয়েকজন মানুষ তাকে চিনতেন। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে তিনি এক পরিচিত মুখ।
২০২৪ সালে জুলাই মাসে যখন কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় তখন প্রাথমিকভাবে তিনি খুব একটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে যখন অপহরন হোন তারপর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়কের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
নাহিদ ইসলাম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম। তিনি সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন । তিনি ১৯৯৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতার্কিক হিসাবে বিশেষ সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন।
এই তরুন তুর্কি জাতির “কান্ডারি” হয়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে ১৮ কোটি আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় মানুষকে মুক্ত করেছেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে জনমানুষের মুক্তির দুত হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।তিনি অত্যন্ত মিশুক ও মিষ্টভাষী প্রকৃতির একজন মানুষ। বক্তব্য প্রদানে তিনি অত্যন্ত পটিয়সী।
বিভিন্ন কর্মসূচীর নাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখেছেন ও আন্দোলনকে বেগবান ও সুশৃঙ্খলভাবে চালিয়ে নিয়ে সকলের সুনাম কুড়িয়েছেন। মাসখানেক আগেও বাংলাদেশের হাতেগনা কয়েকজন মানুষ তাকে চিনতেন। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে তিনি এক পরিচিত মুখ।
২০২৪ সালে জুলাই মাসে যখন কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় তখন প্রাথমিকভাবে তিনি খুব একটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে যখন অপহরন হোন তারপর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়কের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
আসিফ মাহমুদ
১৯৯৮ সালে কুমিল্লায় আসিফ মাহমুদের জন্ম হয়। তিনি ২০১৫ সালে ঢাকার নাখালপাড়া হোসেন আলী হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি পাস করেন। আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচ.এস.সি পাস করেন। অতঃপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হোন। বর্তমানে তিনি মাস্টার্সের ছাত্র।
২০১৮ সালে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয় তিনি তার সক্রিয় কর্মী ছিলেন।তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ৫ মাস পর সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন।
এরপর ২০২৩ সালে ৪ অক্টোবর নতুন সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। তিনি এই সংগঠনের ঢাবি কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
লেখকের কথা
এই ৩ নায়কের মধ্যে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে এবং নাহিদ ইসলামকে ডাক ও টেলিযোগ ও তথ্য উপদেষ্টা ও আসিফ মাহমুদকে যুব ও ক্রিড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা সকলে দোয়া করছি তারা যেন তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন।দেশবাসী তাদের সঙ্গে আসেন।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url