এসি কেনার আগে জেনে নিন

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনাদের মধ্যে যারা এসি কিনতে চান তাদের কোন কোন বিষয়গুলো ভালোভাব জানতে হবে।আজকাল অফিস, মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘরবাড়িসহ সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানে আরামদায়কভাবে কাজ করার জন্য এসি ব্যবহার কর হচ্ছে। এক কথায় এসি ছাড়া এই গরমে আমাদের জীবন একেবারে অচল।
এসি কেনার আগে জেনে নিন

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে এসি কিনতে হয় এবং এসি কেনার আগে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনগুলি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।এসি ব্যবহারে ব্যপক আরামবোধ হলেও অতিরিক্ত ব্যবহারে এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে যা এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে।

এসি কেনার আগে জেনে নিন

আপনি যদি ব্র্যান্ডের এসি ব্যবহার না করেন বা এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে ভালোভাবে না জানেন তাহলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে পারেন।তবে এসি বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন এসি সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্ঘটনা বা ঝুঁকি থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে।এ কারনে এসি ব্যবহারকারিদের, এটি ব্যবহারে বেশ কিছু সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়।
  • এসি কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি কোনো ব্র্যান্ড কোম্পানীর হয়।
  • আপনি যে কম্পানীর এসি কিনবেন সে কম্পানীর সার্ভিস সেন্টার আপনার শহরে আছে কিনা তা খেয়াল রাখবেন।
  • কোম্পানী আফটার সেল সার্ভিসের বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এসির কোনো সমস্যা হলে তারা কিভাবে সমস্যা সমাধান করবে তা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
  • এসি কেনার সময় লক্ষ্য রাখবেন এটি যেন BSTI কর্তৃক শীল মারা আছে কিনা।
  • ঘরের আকার অনুযায়ী এসি কিনতে হবে।কারন বড় কক্ষের জন্য কম ক্ষমতার এসি কিনলে তা ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই যে আকারের ঘর সেই ক্ষমতা সম্পুর্ন এসি কিনতে হবে। যেমন:ঘরের আয়তন ১৪০ স্কয়ার ফিট=১ টন এসি, ‍১৪০ থেকে ১৯৬ স্কয়ার ফিট =১.৫০ টন এসি কিনতে হবে।
  • অবশ্যই বিদ্যেুই সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তির এসি কিনতে হবে যেন বিদ্যেুৎ খরচ কম হয়। যেমন: এসি অবশ্যই ইনভার্টারসহ কিনতে হবে।কারন ইনভার্টার এসিতে বিদ্যেুৎ বিল কম আসে।ইনভার্টার এসির কমপ্রেসার সবসময় প্রয়োজনমতো ক্যাপাসিটিতে কমে ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। কনভার্টার এসির কমপ্রেসার কম ক্যাপাসিটিতে চলতে পারে।
  • ব্যুরো অব এনার্জি এফিসিয়েন্সির স্টার রেটিং দেখে এসি কিনবেন।স্টারের সংখ্যা যত বেশি হবে, এসির কার্যক্ষমতা তত বেশী যেমন: ১ স্টার রেটিং অর্থ হলো এসিটি ১ বছরে ব্যবহার করে ৮৪৩ ইউনিট। ৫ স্টার মানে এসিটি ব্যবহার করে ৫৫৪ ইউনিট।অর্থাৎ স্টার বেশি থাকা মানে এসির বিদ্যেুৎ বিল কম আসবে।
  • আপনার ঘরে যদি জানালা না থাকে তাহলে অবশ্যই স্প্লিট এসি কিনুন। কারন যে ঘরে জানালা নেই সে ঘরে উইন্ডো এসি বসানোর সুযোগ নেই। আর যদি ঘরে জানালা থাকে তবে উইন্ডো এসি লাগাতে পারেন। ঘরে জানালা থাকলেও স্প্লিট এসি লাগাতে পারেন। উইন্ডো এসির থেকে স্প্লিট এসির সুযোগ সুবিধা বেশি।
  • যে সকল এসিতে একাধিক ফ্যান আছে সে এসি গুলো কেনা উচিত।এসি কেনার সময় ফ্যানগুলো চালিয়ে দেখুন কোনো শব্দ হচ্ছে কিনা। শব্দ হলে ঐ এসি কেনা থেকে বিরত থাকুন।
  • এসির কম ব্যাসের ফিনযুক্ত কনডেন্সার দেখে কিনতে হবে।কারন কনডেন্সারের টিউবের সংখ্যা যত বেশী হবে সেই এসি তত ভালো।যেমন: পিওর কপারের তৈরি, কম ব্যাসের (৪-৭ মিলিমিটার) এবং টিউবের ভেতরে ফিন আছে, N এমন কনডেন্সার দেখে এসি কিনুন।
  • এয়ার পিউরিফায়ার সুবিধার পাশাপাশি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার সুবিধা এসিতে আছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।কম্প্রেসারের গ্যারান্টি সহ এসি কেনার রশিদ ওয়ারেন্টি কার্ড বুঝে নিন।
  • এসি এমন একটি মেশিন যাতে সবসময় ধুলা, বালি পড়তে পারে, তাই একে নিয়মিত পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • আপনার পরিচিত বা অন্য কোনো টেকনিশিয়ানের মোবাইল নম্বর সংরক্ষন করতে হবে।
  • আপনার এসিতে রেফ্রিজারেন্ট লিক ডিটেক্টর ইনস্টল করে রাখবেন যাতে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে সতর্ক করতে পারে।
  • যদি এসি থেকে কোনো গন্ধ বা খারাপ শব্দ বের হয় তাহলে এসি বন্ধ করে কোনো পেশাদার টেকনিশিয়ানকে ডাকতে হবে।
  • বিদ্যেুতের ভোল্টেজ যদি উঠানামা করে তাহলে এসি বন্ধ রাখতে হবে।এসি চালানোর সময় দরজা, জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
  • শীতকালে যেহেতু এসি বন্ধ থাকে তাই এটি ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে সার্ভিসিং করিয়ে নিন।
  • এসির কাছাকাছি কোনো দাহ্য বা রাসায়নিক পদার্থ রাখা যাবেনা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি

বর্তমান বিশ্বের এই উস্নায়নের যুগে অসহনীয় গরমে সবাই এসি কেনার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করে।কিন্তু সমস্যা হলো ভালো মানের এসি চেনার উপায় কি ? একটি ভালো মানের এসি চেনার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। 
অনেক ভালো ব্র্যান্ডের এসি বাজারে পাওয়া যায় যা আপনি নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন যেমন: এলজি, ওয়ালটন, স্যামসাং, গ্রি, মিডিয়া ও জেনারেল ইত্যাদি।তবে ভালো মানের এসি কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে।

ঘরের আকার ও এসির মাপ

আমাদের মধ্যে একটা প্রচলিত ধারনা আছে যে, এসি মানেই ১ টন বা ২ টন এতটুকু জানলেই হবে। কিন্তু আপনাকে আরোও জানতে হবে ১ টন এসির BTU বা British thermal unit কত? যেমন: ১ টন এসি = ১২০০০ BTU বা আওয়ার, ১.৫০ টন এসি = ১৮০০০ BTU বা আওয়ার। ১ ঘন্টায় ১ টন এসি ১ টি রুম থেকে ১২ হাজার BTU তাপ শোষন করতে পারে।অর্থাৎ যত বেশি টনের এসি হবে ঠান্ডা তত বেশি হবে।

কত স্কয়ারফিট রুমের জন্য কত টনের এসি প্রয়োজন
  • রুম ১২০ স্কয়ারফিট = ০.৭৫ টন এসি
  • রুম ১২১ থেকে ১৫৯ স্কয়ারফিট = ১ টন এসি
  • রুম ১৬০ থেকে ২৫০ স্কয়ারফিট = ১.৫ টন এসি
  • রুম ২৫১ থেকে ৪০০ স্কয়ারফিট = ২ টন এসি

বিদ্যেুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে

যে এসির গায়ে যতবেশী স্টার মার্ক থাকবে তার বিদ্যেুৎ খরচ তত কম হবে। সাধারনভাবে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত রেটিং বেশি থাকে। তবে এসি চালানোর তারতম্যের কারনে বিদ্যেুৎ খরচ কিছুটা কমবেশি হতে পারে। তবে এসির পাওয়ার যদি ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রির সেন্টিগ্রেডে থাকে তাহলে বিদ্যেুৎ খরচ কিছুটা কম আসবে। বিদ্যেুৎ খরচ কমাতে ইনভার্টার এসি লাগাতে পারেন।
  • ১ স্টার মার্ক রেটিং মানে হলো = বিদ্যেুৎ খরচ হয় ৮৪৩ ইউনিট
  • ২ স্টার মার্ক রেটিং মানে হলো = বিদ্যেুৎ খরচ হয় ৭৭১ ইউনিট
  • ৩ স্টার মার্ক রেটিং মানে হলো = বিদ্যেুৎ খরচ হয় ৬৯৯ ইউনিট
  • ৪ স্টার মার্ক রেটিং মানে হলো = বিদ্যেুৎ খরচ হয় ৬২৭ ইউনিট
  • ৫ স্টার মার্ক রেটিং মানে হলো = বিদ্যেুৎ খরচ হয় ৫৫৪ ইউনিট

স্প্লিট ও উইন্ডো এসি

যারা ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করেন তাদের জন্য উপযুক্ত হলো উইন্ডো এসি। কারন এই ধরনের এসি খুব সহজেই ইন্সটল করা যায়।সাধারনত রুমে ব্যবহার করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের পোর্টেবল ও স্প্লিট এসি পাওয়া যায়। যে সকল রুমে কমপক্ষে দুইটি জানালা রয়েছে সেসব রুমে উইন্ডো এসি ব্যবহার করা যায়। কারন উইন্ডো এসি লাগালে ঘরের একটি জানালা বন্ধ হয়ে যায়। 

অন্যদিকে উইন্ডো এসির চেয়ে স্প্লিট এসি খানিকটা পাতলা ও স্লিম হয়। এই এসির ইভোপারটি রুমের ভেতরে থাকে আর কম্প্রেসার এবং কনডেন্সার থাকে রুমের বাইরে। যার কারনে রুমেরে ভেতর থেকে শব্দ শোনা যায় না। এই ধরনের এসি ঘরের দেয়ালে যেকোনো স্থানে ঝুলিয়ে দেয়া যায়। দামের দিক থেকেও স্প্লিট এসির দাম উইন্ডো এসি থেকে কিছুটা কম। 

দক্ষতার দিক থেকেও উইন্ডো এসির চেয়ে স্প্লিট এসি এগিয়ে রয়েছে। পোর্টেবল এসির দাম অন্যান্য এসির চেয়ে তুলনামুলক কম এবং এই পোর্টেবল এসি খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া যায়।

কম্প্রেসর ও কন্ডেন্সর

আপনি এসি কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কম্প্রেসার যেন কম ব্যাসর(৪ থেকে ৭ মিলি লিটার) পিওর কপারের তৈরি এবং টিউবের ভেতর ফিন আছে এমন কন্ডিশন দেখে এসি কিনুন।আপনাকে বুঝতে হবে কপারের তৈরি কন্ডেন্সার অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কন্ডেন্সারের চেয়ে বেশি ভালো।

আবার মোটা ব্যাসের সাধারন টিউবের চেয়ে কমব্যাসের ফিন যুক্ত কম্প্রেসারের দক্ষতা বেশি থাকে। কন্ডেন্সারের সংখ্যা যত বেশি থাকে সেই কন্ডেন্সার তত বেশি ভালো হয়। অবশ্যই কম্প্রেসরের গ্যারান্টি দেখে এসি কিনবেন।

ঠান্ডা গরম রিভার্স সাইকেল মুড এসি

আপনি এসি কেনার সময় খেয়াল রাখবেন ঠান্ডা গরম রিভার্স মুড আছে কিনা। রিভার্স সাইকেল মুডের অর্থ হলো ঠান্ডার সময় গরম বাতাস ও গরমের সময় ঠান্ডা বাতাস দেয় কিনা।তবে রিভার্স সাইকেল মুড এসির দাম বেশি হয়ে থাকে। বাজেট বেশি থাকলে অবশ্যই রিভার্স সাইকেল মুড এসি কিনবেন। তা না হলে ৬ মাস এসি চলবে ও ৬ মাস এসি বন্ধ থাকবে।

পোর্টেবল এসির ব্যবহার ঘরের জন্য

আপনার ঘরের জন্য অনায়াসেই ব্যবহার করত পারেন পোর্টেবল এসি। এই এসি আপনি ইচ্ছা করলেই এক ঘর থেকে অন্য ঘরে অনায়াসে নিয়ে যেতে পারবেন।এই এসি তুলনামুরক দামেও কম হয়ে থাকে। তাই আপনি পোর্টেবল এসিও ব্যবহার করতে পারেন।

এসি যেন বাতাস নিয়ন্ত্রন করতে পার

আপনি যে এসিটি কিনবেন তাতে যেন ১ টি এডজাস্টেবল থার্মোস্ট্যান্ড, ২ টি কুলিং স্পিড ও ২ টি স্পিন থাকে। যাতে আপনার রুমের বাতাস ও তাপমাত্রা অপনার ইচ্ছামতো কমাতে বা বাড়াতে পারেন।কারন সব ব্র্যান্ডের এসিতে কন্ট্রোল প্যানেল থাকে না। তাই এইসব এসি কিনলে আপনি ইচ্ছে মতো কমাতে বা বাড়াতে পারবেন না।

এসির রেফ্রিজারেন্ট দেখে কিনুন

এসিতে রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয় কুলিং এজেন্ট হিসেবে।যেমন:R22, R134a, R1234ze, R32 ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু রেফ্রিজারেন্ট আছে যেগুলোর গ্লোবাল বা ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল অনেক বেশি থাকে যেমন:R22, R410a, R134a এগুলো মানব শরীর ও পরিবেশের জন্য বেশি ক্ষতিকর।আবার R32, R1234ze (E) এর গ্লোবাল ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল তুলনামুলক কম। 

তাই এসব এসিতে পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়।

এসির শব্দ কেমন হয় তা জেনে কিনুন

আপনারা যখন এসি কিনবেন তখন খেয়াল রাখবেন এসিতে যেন একাধিক ফ্যান থাকে। কারন এসির ফ্যান বাতাসকে রুমের চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। তাই এসি ইন্সটল করার আগে দেখে নিতে এসি চালিয়ে যদি বিষয়টা সম্ভব হয়।

এসিতে দুষিত বাতাস পরিষ্কার

এসির বাতাস কেমন পাচ্ছেন তা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ঘরে যদি বেশি ধুলাবালি প্রবেশ করে তাহলে এসির ফিল্টারের সমস্যা হতে পারে।তাই এসি লাগানোর আগে আপনার রুম ভালোভাবে Repairing করে এসি লাগাবেন।অবশ্যই ভালো মানের এসি কিনতে হবে। 

আজকের দিনে অনেক হাই টেকনোলজির ফিল্টার যুক্ত এসি আছে যেগুলো ময়লা বাতাস টেনে পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত করে ঘরে ছাড়ে।

এসি কম্পানীর সার্ভিসিং সুবিধা

আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে কম্পানীর এসি কিনবেন সেই কম্পানীর সার্ভিসিং ব্যবস্থা কি রকম।আপনার বাসার আসেপাশে এই সার্ভিসিং ব্যবস্থা আছে কিনা।কারন আপনাকে তারা যে সময় পর্যন্ত ওয়ারেন্টি দিবে সে পর্যন্ত আপনি তাদের ফ্রি সার্ভিস পাবেন।তারপর ওয়ারেন্টি শেষ হলে তা পেমেন্ট দিয়ে করিয়ে নিতে হবে।

আদ্রতার পরিমাপ জেনে এসি কিনতে হবে

আদ্রতার কথা মাথায় রেখে এসি কিনতে হবে।কারন আপনি যদি আদ্র অঞ্চলে বসবাস করেন তাহলে অ্যালুমিনিয়ামের কয়েলের এসি ব্যবহার করতে পারবেন না।অ্যালুমিনিয়ামের কয়েল ব্যবহার করলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন।সেক্ষেত্রে আপনাকে কপারের কয়েল ব্যবহার করতে হবে। এই কপারের কয়েলের এসি সব আবহাওয়াতে মানিয়ে নিতে পারে।

এসির খারাপ দিক

বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশে গরমের মাত্রা দিন ‍দিন বাড়তে আছে।ফলে এই গরম থেকে বাঁচার জন্য এসির কোনো বিকল্প নেই।বড় শহরগুলোর শপিং মল থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, মসজিদ, বাসা-বাড়ি সব জায়গাতে এসি ব্যবহার হচ্ছে।তবে বেশিরভাগ মানুষ এসির কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা সম্পর্কে অবগত নন।
চিকিৎসকরা বলছেন এসির বাতাস নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে চোখ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ছাড়াও ঠান্ডাজনিত সমস্যা , চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে অবিরাম পানি পড়া, শরীরে রক্ত সঞ্চালনের ঘাটতি, শরীরের জয়েন্টে ব্যাথা, হাঁপানী, অতিরিক্ত ওজন শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভারনা থাকে। 

এছাড়া সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়া এবং অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়াসহ অন্তত ১০ টি রোগে আাক্রান্তের আশঙ্কাও থাকে।অনেক এসি যদি একসাথে একটি ভবনে চলে তাহলে এর গরম বাতাস বের হয় যা পরিবেশের ক্ষতি করে।বাইরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার না করলে বাতাসে ব্যাকটেরিয়া মিশে বিভিন্ন অসুখ সৃষ্টি করে।

হাসপাতালে যে এসিগুলো ব্যবহৃত হয় বা ICU তে ব্যবহৃত এসিগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করলে রোগীদের সংক্রমন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম বা গাড়িতে বেশকিছু জীবানু বাস যা মানুষের শরীরে রোগের জন্ম দেয়।চিকিৎসকরা বলছেন এসির তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস না রেখে২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা নিরাপদ।

লেখকের শেষকথা

আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন এসি কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে এবং বাংলাদেশে কোন এসিগুলো ভালো মানের যা কিনলে উপকৃত হবেন। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩