টাইফয়েড এর ক্ষতিকর দিক - টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে টাইফয়েড এর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে, এছাড়া আরোও আলোচনা করা হয়েছে টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়গুলো নিয়ে।বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যপক উন্নতি ঘটায় টাইফয়েড জ্বর এখন সাধারন রোগে পরিনত হয়েছে।কিছু অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে এই জ্বর সহজেই সেরে যায়।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন টাইফয়েড হলে পরবর্তীতে কোন কোন সমস্যা ফেস করতে হয়।এই জ্বরের ক্ষতিকর দিকগুলো কি তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আরোও আলোচনা করা হয়েছে এই জ্বর ভালো করার উপায়গুলো নিয়ে।টাইফয়েড জ্বরের লক্ষনগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এই জ্বর হলে কোন খাবারগুলো খেতে হয়।
টাইফয়েড পরবর্তী সমস্যা
টাইফয়েড একটি পানিবাহিত রোগ।টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়ার নাম সালমোনেলা টাইফি এবং প্যারাটাইফি। টাইফয়েডের জীবানু শরীরে রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে প্রচন্ড মাথাব্যাথা, গলাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, পেটব্যথা, উচ্চ জ্বর ( ১০৩ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর হতে পারে),ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়।
এই সমস্যাগুলোকে টাইফয়েডের প্রাথমিক লক্ষন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এছাড়া টাইফয়েডের কিছু জটিল লক্ষন রয়েছে যা পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরন, মেরুদন্ডের সমস্যা, মস্তিষ্কে প্রদাহ, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া, পিত্তথলির সমস্যা, নিওমোনিয়া, বিভিন্ন স্নায়ুবিক সমস্যা, কিডনির বিভিন্ন ধরনের জটিলতা ইত্যাদি।আমাদের দেশে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে মৌসুমি জ্বর দেখা দেয়।
আমরা জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করি।এইভাবে অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের জীবানুরা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ফলে সহজে শরীর সুস্থ হতে চাইনা। তাই আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ব্যপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষন ও এর ক্ষতিকর দিক
সালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমনে সাধারনত টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। এই জ্বরের আরেকটি নাম আছে তা হলো “এন্টারিক ফিভার”।টাইফয়েড সাধারনত মৃদু থেকে তীব্র হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা না হলে এটি জটিলাকার ধারন করে।
টাইফয়েড হয়ে থাকে দুষিত খাবার ও দুষিত পানি খেলে অর্থাৎ আমরা যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অপরিষ্কার শাক-সবজি ও কাঁচা ফলমুল খেয়ে থাকি তাহলে টাইফয়েড হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এই জ্বর ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে।
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষন
- তীব্র জ্বর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে।
- জ্বরের সাথে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- শরীর ম্যজম্যাজ করে শরীরে দুর্বলতা থাকে ও ব্যাথা হয়।
- ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব অনুভুত হয়।
- কোষ্ঠকাঠিণ্য অথবা ডায়রিয়া হয়।
- এই জ্বর হলে রোগীর হৃদস্পন্দন কমে যায়।
এই জ্বরের ক্ষতিকর দিক
- পরিপাক তন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়।
- গল ব্লাডারে সমস্যা হতে পারে।
- স্নায়ু ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।
- থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
- দীর্ঘদিন টাইফয়েড থাকলে চুল পড়ে যেতে পারে।চুলে খুশকী হতে পারে।
- শরীরে অপুষ্টিজনিত রক্তশুন্যতা দেখা দিতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়
টাইফয়েড জ্বর সাধারনত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।ক্ষেত্র বিশেষে এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে টাইফয়েডের চিকিৎসা হয়ে থাকে। Ciprofloxacin Ceftriaxone ও Azithromycin অ্যান্টিবায়োটিকগুলো দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। USA তে গর্ভবতী মহিলাদের সাধারনত Ciprofloxacin দিয়ে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
তবে এক গবেষনায় দেখা গেছে দক্ষিন-পুর্ব দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Ciprofloxacin দিয়ে টাইফয়েড জ্বর সারানো সম্ভব হচ্ছে না।কারন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যত্রতত্র Ciprofloxacin খাওয়ার ফলে এই অ্যান্টিবায়োটিকের Resistant তৈরী হয়ে গেছে।ফলে Azithromycin দিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টাইফয়েড জ্বরের মাত্রা বেশি হলে Ciprofloxacin এর পরিবর্তে Ceftriaxone ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
টাইফয়েড ভ্যাকসিন
২ ধরনের ভ্যাকসিন টাইফয়েড প্রতিরোধে ব্যবহার কর হয়।
- VI Antigen বা VI PS ভ্যাকসিন
- TOI-21 ভ্যাকসিন
VI Antigen বা VI PS ভ্যাকসিন সাধারনত ইনজেকশনের মাধ্যমে ১ বার দেওয়া হয়। যা ৩ বছর পর্যন্ত ৭০ ভাগ টাইফয়েড প্রতিরোধে কার্যকর। TOI-21 ভ্যাকসিন ক্যাপসুল আকারে খেতে হয়।ভিন্ন ভিন্ন দিনে মোট৩ টি ক্যাপসুল খেতে হয়।দীর্ঘদিন ধরে এই ভ্যাকসিন টাইফয়েডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত
টাইফয়েড জ্বর হলে দৈনিক শুধু মাত্র খাবার খেলেই হবে না আমরা যে খাবার খাচ্ছি তাতে কি পরিমাণে খাচ্ছি এবং ওই খাদ্যে কি পরিমাণ পুষ্টি আছে তা জানতে হবে এবং এই খাবার দ্বারা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটছে কিনা তাও ভালভাবে বুঝতে হবে।যেহেতু টাইফয়েড জ্বর হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায় তাই টাইফয়েড রোগীকে দৈনিক খাবারের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
যে সকল প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে
মাছ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি তে মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম মাছ খেতে হবে। কারণ মাছ খাটের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাছ মস্তিষ্ক সহ শরীরের যে কোষ প্রাচীর রয়েছে তা গঠন করতে সহায়তা করে। গবেষকরা বলছেন কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খায় তাহলে তাদের মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ রয়েছে তা সুস্থ থাকে।
মাংস:মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৪%
- ক্যালোরি-১২১গ্রাম
- প্রোটিন-২০গ্রাম
- চর্বি-৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-১৪ মি.গ্রা
- লৌহ-০.৭ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.১মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.১৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-১১.৬মি.গ্রা
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে রয়েছে
- পানি-৬৭%
- ক্যালোরি-১৮০গ্রাম
- প্রোটিন-২১গ্রাম
- চর্বি-১৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৬ মি.গ্রা
- লৌহ-২.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৮মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-৮.২মি.গ্রা
১০০ গ্রাম খাসির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৫%
- ক্যালোরি-২৯৪গ্রাম
- কোলেষ্টরেল-৯৭মি.গ্রা
- চর্বি-১৪গ্রাম
- সোডিয়াম-৭২ মি.গ্রা
- লৌহ-৪.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৭মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৭মি.গ্রা
- নায়াসিন-৭.২মি.গ্রা
ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।
১ টি ডিমে রয়েছে
- ক্যালোরি-১৪৩ এনার্জী
- কার্বোহাইড্রেট-০.৭২গ্রাম
- প্রোটিন-১২.৫৬গ্রাম
- চর্বি-৯.৫১গ্রাম
- ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা
- পটাসিয়াম-১৩৮ মি.গ্রা
- জিংক-১.২৯ মি.গ্রা
দুধ: দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।
১ গ্লাস দুধ এ রয়েছে
- পানি- ৮৬.৫ শতাংশ
- ফ্যাট - ৪.৮ শতাংশ
- ক্যালসিয়াম-৪.৫ শতাংশ
- প্রোটিন -৩.৫ শতাংশ
- ভিটামিন ও খনিজ -০.৭ শতাংশ
যে সকল রোগ প্রতিরোধকারী শাক সবজী ও ফলমুল খেতে হবে
মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।
মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
ফুলকপি: শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে ।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।
ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপি সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।
গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আরোও পড়ুনঃ
অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।
এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।
আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড। আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।
এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।
এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।
এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি।
এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে টাইফয়েডের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি পাবেন।
টাইফয়েড জ্বরের ঔষধের নাম
বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নতি লাভ করার কারনে টাইফয়েড জ্বরের নানা চিকিৎসা বের হয়েছে। আর এই চিকিৎসার জন্য নানা ধরনের ওষুধও বের হয়েছে। ওষুধগুলো আবিষ্কার হওয়ার কারনে এই জ্বরে মৃত্যেুর হার ১ শতাংশে নেমে এসেছে।
ওষুধগুলোর নাম
- Amoxicillin
- Ciprofloxacin
- Typhi v injection
- Vaxphoid injection
- Chloramphenicol
- Ampicillin
টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়
টাইফয়েড রোগীদের একটি সাধারন প্রশ্ন থাকে টাইফয়েড হলে কি গোসল করা যায়? সে সম্পর্কে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি প্রদান করা হলো।
- গোসল করলে দৈনন্দিন স্বাস্থ্যবিধি বজায় থাকে।
- টাইফয়েড জ্বর হোলেও প্রতিদিনি অন্তত একবার গোসল করা উচিত।
- যদি হাসপাতালে ভর্তি হোন তবুও প্রতিদিন গোসল করা উচিত।
- গোসল করার সময় উঞ্চ গরম পানি ব্যবহার করা উচিত।
- গোসলের জন্য খুব গরম ও খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা উচিত নয়।
- গোসলের পর তাড়াতাড়ি ত্বক শুকানোর জন্য তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত।
লেখকের শেষকথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি ক্ষতি হয় এবং কিভাবে এই জ্বর ভালো করা যায়।উপরোক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গুলো নিয়মিত খেলে এই রোগ সেরে যায়।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url