খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

খাঁটি মধু চেনার উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে বর্ননা করা হয়েছে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়গুলো নিয়ে। বাঙালীর রান্নায় সরিষার তেল একটি অপরিহার্য বিষয়।সরিষার তেল হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে ও ক্ষতিকর কোলেষ্টরল কমায়। আগে ইউরোপ ও আমেরিকায় সরিষার তেল খারাপ তেলের অন্ত্রভুক্ত ছিলো কিন্তু এখন এই তেলের ব্যবহার অনেক বেড়েছে।
খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কিভাবে খাঁটি সরিষার তেল চিনবেন, কিভাবে সরিষার তেল প্রক্রিয়া করা হয়, সরিষার তেলের উপকারিতাগুলো কি কি, অতিরিক্ত সরিষার তেল খেলে কি ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন, সরিষার তেল কিভাবে সংরক্ষন করতে হয়, সরিষার তেল কিভাবে ব্যবহার করবেন। 

এছাড়া এই আর্টিকেলে আরোও আলোচনা করা হয়েচে সরিষার তেলে কেন ফেনা হয়, সরিষার তেলের মধ্যে এক ধরনের ভেজাল দেওয়া হয় যা নিয়মিত খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি যার বিস্তারিত বিবরন এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়

আমরা রান্নার কাজে বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করে থাকি তার মধ্যে সরিষার তেল অন্যতম।খাওয়া ছাড়া এই তেল আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি।বাজারে যখন থেকে সয়াবিন তেল আসা শুরু তখন থেকে সরিষার তেলের কথা আমরা ভুলে গিয়েছি।অথচ একসময় যেকোনো খাবার রন্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা হতো।
আমাদের এই উপমহাদেশে ৩০০০ খৃষ্টপুর্বাব্দ আগে থেকে চিকিৎসার কাজে সরিষার তেল ব্যবহার করা হতো।তবে বর্তমানে খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।অন্যান্ন খাদ্যপন্যের পাশাপাশি সরিষার তেলও এখন ভেজালে সয়লাব।এই ভেজাল সরিষার তেল খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেমন:পেট খারাপ, বমি, পেট ফোলা, সারা শরীরে র‌্যাশ, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ইত্যাদি। ভেজাল তেল খেলে হার্ট ও শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।আপনারা সচরাচর বাইরে থেকে দেখলে ভেজাল তেল শনাক্ত করা খুব কঠিন একটা কাজ।তাই ভেজাল সরিষার তেল শনাক্ত করার জন্য নীচে কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
  • সরিষার তেলকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিলে যদি দেখেন তা জমে সাদা হয়ে গেছে তাহলে বুঝবেন তেলে ভেজাল মেশানো আছে।কারন সরিষার তেল কখনো জমে না, এই তেল সবসময় তরল অবস্থায় থাকে।
  • ২/৩ ফোঁটা সরিষার তেল হাতের তালুতে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে কিছুক্ষন ঘষার পর যদি দেখেন তেলের রং ছেড়ে দিয়েছে বা অন্য কোনো গন্ধ অনুভব করছেন অথবা চিটচিটে ভাব অনুভব হচ্ছে তাহলে বুঝবেন তেল ভেজালমিশ্রিত।
  • খাঁটি সরিষার তেলে তীব্র ঝাঁঝালো একটা গন্ধ অনুভুত হয় এবং এই ঝাঁঝে চোখে পানি এসে যায়।কিন্তু ভেজাল সরিষার তেলে কোনো ঝাঁঝ বুঝতে পারবেন না বা নাকে শুকলে গন্ধ বোঝা যায় না।
  • আপনারা সব সময় খেয়াল রাখবেন সরিষার তেলের রং গাঢ় ও অন্যান্ন তেলের তুলনায় গাঢ় হয়ে থাকে।বাজারে অনেক সরিষার তেল দেখা যায় যেগুলো হালকা হলুদ বর্নের যা ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
  • ভেজাল সরিষার তেল কাপড়ে লাগলে কালো দাগ পড়ে কিন্তু খাঁটি সরিষার তেলে কাপড়ে কোন দাগ পড়ে না।
  • একটি গ্লাসে অল্প পরিমানে সরিষার তেল ঢেলে তার মধ্যে নাইট্রিক এসিড মিশিয়ে নাড়াচাড়া করলে যদি দেখেন দ্রবনটি লাল বর্ন ধারন করেছে তাহলে বুঝতে হবে তেলে ভেজাল আছে।

খাঁটি সরিষার তেলের উপকারিতা

সরিষার তেল আমাদের বাঙালীদের মধ্যে আবেগ ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে।আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার মা, খালারা খাবার তেল বলতে সরিষার তেলকেই বুঝতেন। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এই তেল আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এছাড়া এই তেলের ওষুধিগুন সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।
সরিষার তেল Mono-unsaturated fat এবং Anti-inflammatory উপাদানে সমৃদ্ধ।এই তেলে ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে খুব অল্প পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে।
১০০ গ্রাম সরিষার তেলে রয়েছে
  • Saturated fat - 12gm
  • Poly- Unsaturated fat - 21gm
  • Mono-Unsaturated fat - 59gm
উপকারিতা
  • নিয়মিত সরিষার তেল খেলে শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায় যা হজম প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে।
  • সরিষার তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি উপাদান থাকায় হাঁটুর ব্যাথা, অন্যন্ন জয়েন্টের ব্যাথা, বাত ব্যাথা ইত্যাদি প্রতিরোধে সহয়তা করে।
  • এই তেলে Glucosinolate নামক উপাদান থাকায় তা মলাশয়ের ক্যান্সার ও অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • সরিষার তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে মালিশ করলে বুকে জমা কফ থেকে মুক্তি পাবেন।তাই এই তেলকে শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক বলা হয়ে থাকে।
  • সরিষার তেলের মধ্যে রয়েছে Mono-unsaturated ও Poly-unsaturated ফ্যাট যা রক্তে ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।ফলে ৮০ শতাংশ হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
  • সরিষার তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দুর হয় ও শরীর গরম থাকে। এই তেল ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস দুর হয়।ফলে ত্বক থাকে উজ্জল ও প্রানবন্ত।নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে ত্বক কখনই কালো হয় না।
  • নিয়মিত সরিষার তেল খেলে স্বরনশক্তি বৃদ্ধি পায়।প্রতিদিন রাতে যদি নাভিতে সরিষার তেল ব্যবহার করেন তাহলে উপকার পাবেন।
  • সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে মেয়েদের মাসিকের ব্যাথা ও বদহজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • সরিষার তেলের গন্ধে এক ধরনের ঝাঁঝালো ভাব আছে যা মশা ও পোকামাকড় তাড়াতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
  • নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে জিঞ্জাভাইটিস ও পেরিওডন্টাইটিস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।১/২ চা চামচ সরিষার তেল ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া ও ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে দাঁত ও মাড়িতে হালকা করে দুবেলা ঘুষতে হবে।

সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিক

সরিষার তেল শরীরের জন্য খুব উপকার তবে অতিরিক্ত খেলে এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।যেমন:অতিরিক্ত এই তেল খেলে এসিডিটি হতে পারে যার দরুন ডায়রিয়া,পেট ব্যাথা দেখা দিতে পারে।একটি গবেষনায় দেখা গেছে এই তেলে ৪২ থেকে ৪৭ শতাংশ ইউরিক এসিড থাকে সাথে থাকে ওমেগা ৯ ফ্যাটি এসিড যা শরীরের জন্য বিষাক্ত।
এছাড়া আরো থাকে ইরেটিক এসিড যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর।কোনো খাবার সরিষার তেলে ঝাল মশলা দিয়ে ভাজলে মায়োকর্ডিয়াল লিপিডোসিস হতে পারে। যা শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়িয়ে হার্টের ক্ষতি করে। এছাড়া ইরোটিক এসিড ফুসফুসের জন্য খুব ক্ষতিকর।অতিরিক্ত সরিষার তেল খেলে ফুসফুসের উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

অতিরিক্ত সরিষার তেলের ব্যবহার এপিডার্মিসের ক্ষতি করে যা ত্বকের জলীয় অংশের পরিমান কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বকে ফোসকা পড়তে পারে।

সরিষার তেল উৎপাদন প্রক্রিয়া

কাচ্চি ঘানি পদ্ধতি: সরিষার দানাকে সরাসরি পিষে এই প্রক্রিয়ায় তেল বের করা হয়। তাই এই তেল হয় খুব ঘন ও ঝাঁঝযুক্ত।কাচ্চি ঘানি পদ্ধতিতে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশী উপকারি।
নিয়মিত এই তেল খেলে হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদপিন্ড ভালো রাখে, মাথার চুল পড়া রোধে সাহায্য করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে ও শরীরের মাংস শক্ত হয়ে যাওয়া রোধে সাহায্য করে।

এসেনশিয়াল অয়েল পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে সরিষার পেষা দানার সাথে পানি, ভিনেগার অথবা কোনো তরল মিশিয়ে উৎপাদন করা হয়। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত তেল বেশ পাতলা হয়।সরিয়ার দানার মধ্যে Myrosinase ও Sinigrin নামে দুটি উপাদান আছে। এই দুটি বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয় মুলত পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারনে। এই কারনে এই তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সরিষার তেল সংরক্ষণ পদ্ধতি

সরিষার তেলকে দীর্ঘদিন সংরক্ষন করতে হলে বা দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে অ্যান্টি-অক্সিডিন্ট যেমন:টোকোফেরোল ঢালতে হবে।বোতলকে ভ্যাকুয়াম প্যাকং করতে হবে এবং এয়ার টাইট করতে হবে, বোতেলের অক্সিজেনকে নাইট্রোজেন দারা বের করে দিতে হবে। এছাড়া তেলকে খুব কম তাপমাত্রার মধ্যে রাখতে হবে অর্থাৎ ফ্রিজআপ করতে হবে।

সরিষার তেলে ফেনা হয় কেন

সরিষার বীজ থেকে তেল নিষ্কাশন করার জন্য রাসায়নিক দ্রাবক ব্যবহার করা হয়,তেল পরিশোধনের পরও কিছু রাসায়নিক দ্রব্য থেকে যায়। এই রাসায়নিক পদার্থগুলোর কারনে সাধারনত তেল যখন কোথায় ঢালা হয় বা তেলকে গরম করা হয় তখন কিছু সময়ের জন্য তেলের উপর ফেনা উঠে পরে আস্তে আস্তে এই ফেনা দুর হয়ে যায়।মুলত রাসায়নিক পদার্থের কারণে এটা হয়ে থাকে।

সরিষার তেলে ব্যবহৃত ভেজালটির নাম কি

শিয়ালকাঁটা হলো সরিষার তেলের প্রধান ভেজাল।শিয়ালকাঁটা বীজ দেখতে অনেকটা সরিষার মতো। এই বীজের তেল দেখতেও অনেকটা সরিষার তেলের মতো। তাই সরিষার তেলে এই ভেজালটি ব্যবহার করা হয়।এটি মারাত্মক একটি বিষ।সরিষার তেলের মধ্যে ‍যদি শেয়ালকাঁটার তেলের মাত্রা ১% এর বেশী হলেই বিষক্রিয়া হতে পারে।
খালি চোখে সরিষার তেলের মধ্যে এই ভেজালটি দেখা যায় না।নিয়মিত এই ভেজালযুক্ত তেল খেলে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।এই শিয়ালকাঁটার তেল খেলে শরীরে পানে জমে Dropsy নামক রোগ হতে পারে। যার ফলে পা ফোলা, ডয়িরিয়া, শ্বাশকষ্ট ও চোখের Glaucoma হতে পারে।

সরিষার তেলের ব্যবহার

সরিষার তেলে ইউরিক এসিড থাকায় এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ।কারন এই তেল দিয়ে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা গেছে। কিন্তু মানুষের উপর এই তেলের কোনো খারাপ প্রভাব প্রমানিত হয়নি। বরং অন্যান্ন তেলের তুলনায় এই তেল স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে। সরিষার তেলে ওমেগা-৩ বেশী। নীচে এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হলো।
  • সরিষার তেলে থাকা ফ্যাটি এসিড চুলের জন্য খুব উপকার বা চুলকে প্রানবন্ত করতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।চুলের গোড়া শক্ত করে।মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া কমে।
  • সরিষার তেলের ঝাঁঝ পোকামাকড় একেবারে সহ্য করতে পারেনা, তাই এর ব্যবহারে পোকামাকড় দুর হয়।
  • সরিষারে তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যকটেরিয়াল উপাদান বিদ্যমান যা ত্বকের উপর ম্যাসাজ করলে ইনফেকশন দুর হয়।
  • ১ চা চামচ সরিষার তেলে ১২৬ ক্যালরি শক্তি বিদ্যমান।
  • সরিষার তেল শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। শরীরের ঘর্মগ্রন্থিগুলো পরিষ্কার ও সচল রাখে।ফলে শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো বের হয়ে যায়।
  • এই তেল ব্যবহারে কফ ও কাশি দুর হয়। এছাড়া বাতের ব্যথা দুর করতে এই তেল কার্যকর ভুমিকা পালন করে।দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন রোগ দুর করতে সাহায্য করে।
  • হলুদ ও সরিষার তেল দিয়ে এক ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করা হয় যা ত্বকের খসখসে ভাব দুর করে।

লেখকের শেষকথা

আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন খাঁটি সরিষার তেলের উপকারিতাগুলো নিয়ে তাই এই তেলটি আপনি যদি নিয়মিত পরিমিত পরিমানে খান তাহলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩