স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ - রমজানে স্বপ্নদোষ হলে করনীয়
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা - কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতাবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে বর্ননা করা হয়েছে স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারন, আরোও আলোচনা করা হয়েছে রমজানে স্বপ্নদোষ হলে করনীয় কি।স্বপ্নদোষ হলো মানুষের শরীর বৃত্তীয় একটি প্রক্রিয়া যা স্বাভাবিক নিয়মে এটি সংঘটিত হয়।তবে অতিরিক্ত পরিমানে হলে ব্যাপারটিতে উৎকন্ঠিত হওয়ার অবকাশ রয়েছে। নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভুমিকা
আপনারা আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন রোজা ভাঙ্গার জন্য স্বপ্নদোষ দায়ী নয়। যদি আপনার রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হয়েই যায় তাহলে ফরজ গোসল কিভাবে করবেন। স্বাভাবিক নিয়মে স্বপ্নদোষ হলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে হলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা আলোচনা করা হয়েছে।
আরোও জানতে পারবেন স্বপ্নদোষের উপকারিতা নিয়ে।অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ছেলেদের তো স্বপ্নদোষ হয় মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়? আসুন বিষয়টি বিস্তরিতভাবে জেনে নেয়।
স্বপ্নদোষ কি রোজা ভঙ্গের কারণ
রমজান মাস রহমতের,মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। রমজান মাস আসলে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক হয়।বিশেষ করে স্বপ্নদোষ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন মানুষের মনে জেগে উঠে। যদিও স্বপ্নদোষ মানুষের নিয়ন্ত্রনে নেই। এটি মানুষের অজান্তে ঘুমের মধ্যে ঘটে থাকে।তবে কারোও যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হয় তাহলে তার রোজা ভাঙবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে গোসল ফরজ হয়।
অনেকে মনে করেন স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভেঙে যায় কিন্তু তাদের এই ধারনা সম্পুর্ন ভুল। রাসুল (সাল্লেললাহু আলাইহিস সাল্লাম) বলেন, তিনটি জিনিস ঘটলে সিয়াম বা রোজা ভাঙ্গেনা যেমন:বমি করা, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্ন দোষ হওয়া। (তিরমিজি :৭১৯, বায়হাকি : ৪/২৬৪)। তাই প্রাকৃতিক নিয়মে কারো যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তাহলে রোজা হবেনা বলে খাবার খেয়ে নেওয়া ঠিক হবে না।
রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম
সিয়াম বা রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত।তবে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়? ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, আপনার গোসল যদি ফরজ হয়ে যায় তাহলে খাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেওয়া উত্তম।
যদি কোনো সময় এমন অবস্থা তৈরি হয় যে ফরজ গোসল করতে গেলে সেহেরি খাওয়ার সময় থাকবে না সে ক্ষেত্রে হাত মুখ ধুয়ে সেহেরি খেয়ে নিবেন। সেহেরি খাওয়ার পর ফরজ গোসল করে ফজরের নামাজ আদায় করবেন। কারন সেহেরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয় বরং সুন্নত।কিন্তু সালাত আদায়ের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা অবশ্যই ফরজ।
তাই ফরজ গোসল যত দ্রুত সম্ভব করে নেওয়ায় ভালো। কোনো যুক্তিযুক্ত কারন ছাড়া বেশি সময় ধরে অপবিত্র অবস্থায় থাকা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।কারন রহমতের ফেরেসতারা এতে কষ্ট পায়।
ফরজ গোসলের ৩ টি নিয়ম
- কুলি করা
- নাকে পানি দেওয়া
- সমস্ত শরীর ধৌত করা
পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যতে গোটা শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে গোসলের ফরজিয়াত আদায় হয়ে যায়( ঊসায়মীন, মাজমু ফাতাওয়া ১১/২২৫ ; আশ-শারহুল মুমতে ১/৩৬২)। আল্লাহ বলেন,আর যদি তোমরা নাপাক হয়ে যাও, তাহলে গোসল কর (মায়েদাহ ৫/৬)। তবে সেক্ষেত্রে নিয়ত করা ফরজ।
কারন রাসুল (সাল্লেললাহু আলাইহিস সাল্লাম) বলেছেন, সকল সৎকর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল (বুখারী হা/১)। অনেকে প্রশ্ন করেন গোসল ফরজ হলে গোসলের নিয়তে পুকুরে ডুব দিলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে? গোসলের নিয়তে পুকুরের পানিতে ডুব দিলে পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়।
তবে সুন্নত অনুযায়ী নিয়ম হলো, গোসলের পুর্বে “বিসমিল্লাহ” বলে সালাতের ওজুর ন্যায় ওজু করে ফরজ গোসলের নিয়ত করে মাথায় ৩ বার পানি ঢালার পর শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ধুয়ে গোসল করা (বুখারী হা/২৪৮ ; মিশকাত হা/৪৩৫, ৪৩৬)। বদ্ধ বড় পুকুরে ফরজ গোসল করা জায়েজ।
একবার রাসুল (সাল্লেললাহু আলাইহিস সাল্লাম) কে “বুযা আহ” কুপের পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, পানি পবিত্র, কোনো বস্তুই তাকে অপবিত্র করতে পারে না ।(আবু দাউদ হা/৬৬, নাসাঈ হা/৩২৬ ও মিশকাত হা/৪৭৮)।
স্বপ্নদোষ হলে কি ক্ষতি হয়
মানুষের শরীরে বীর্য হলো প্রস্রাবের মতো যা প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরী হয় এবং সময়মতো বের হয়ে যায়। বীর্য মানুষের শরীরের এক অমুল্য সম্পদ। কিন্তু এটি যদি শরীরের ভেতরে থেকে যায় তাহলে তা ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।গবেষনায় জানা গেছে কিশোর বয়সে শরীরবৃত্তীয় হরমোন জনিত পরিবর্তনের কারনে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে।
তাই নিয়ম অনুযায়ী অবিবাহিত যুবকদের প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্য বের হয়ে গেলে তা মোটেও দোষের নয়। তবে মাসে যদি ৪ থেকে ৫ বারের অধিক হয়ে থাকে তাহলে তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। আর তাখনই আপনাকে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত।
তবে স্বপ্নদোষ অতিরিক্ত হওয়া রোধ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চললে তা অনেকটাই কমে যাবে।
- যৌন উত্তেজনামুলক কিছু দেখা, শোনা ও পড়া থেকে দুরে থাকতে হবে।
- মন থেকে সকল যৌন ও বিবাহ চিন্তা দুর করতে হবে। আর খারাপ চিন্তা থেকে দুরে থাকতে ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হবে। ইসলাম ও আখেরাত বিষয়ক বক্তব্য বেশি বেশি শুনতে হবে।
- একাকী বসবাস কোনভাবেই করা যাবে না কারন যে একা থাকে তার সাথে শয়তান থাকে। কু-সংসর্গ ত্যাগ করতে হবে। পরেজগার বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে।
- রাতের বেলা কোন উত্তেজক খাবার খাওয়া যাবেনা অর্থাৎ Rich food খাওয়া যাবে না।
- নিয়মিত গোসল করতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে।
- সিনেমা, ভিডিও, টিভি বা নোংরা পত্র পত্রিকায় নারীর অর্ধনগ্ন দেহের ছবি অথবা বাইরে বেপর্দা মহিলা দেখে তা মানসপট থেকে দুর করতে না পারলে রাত্রে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বপ্নদোষের উপকারিতা
স্বপ্নদোষ হওয়া শরীরের পক্ষে ভলো তবে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।প্রকৃতপক্ষে স্বপ্নদোষের উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো উপকারিতা পাওয়া যায়নি। এটা নিয়ে গবেষকরা এখনো বিস্তর গবেষনা করে যাচ্ছেন।
স্বপ্নদোষ হলে কি গোসল ফরজ
স্বপ্নদোষ হলে অবশ্যই গোসল করতে হবে।গোসল না করে যতই কাপড় পরিবর্তন করুন না কেন সালাত পড়া জায়েজ হবে না। আল্লাহ সুবহানাহুয়াতায়ালা বলেছেন, হে ইমানদার গণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের ধারে কাছেও যেও না, যতক্ষন না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছো এবং অপবিত্র অবস্থায়ও না, যতক্ষন না তোমরা গোসল কর।
কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও।নিশ্চয় আল্লাহ সুবহানাহুয়তায়ালা ক্ষমাশীল (সুরা নিসা-৪৩)
স্বপ্নদোষ কি মেয়েদের হয়
ছেলেরা যেমন ঘুমের মধ্যে যৌনতা সম্পর্কিত স্বপ্ন দেখে তৃপ্তি পায় ঠিক তেমনি মেয়েরাও যৌন বিষয়ে স্বপ্ন দেখে তৃপ্তির আনন্দ পায়। তাই এ থেকেই বুঝা যায় মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়। স্বপ্নদোষ নিয়ে একটি গবেষনায় দেখা গেছে ৫ হাজার ৬২৮ জন নারীর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী তাদের ৪৫ বছর বয়সের সময় কমপক্ষে একবার স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
কিন্তু একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম।কারন ঘুমের মধ্যে যৌন বিষয়ে স্বপ্ন দেখলে ছেলেদের মত মেয়েদের বীর্যপাত হয় না, কিন্তু তাদের যোনিতে যোনিরস এসে যোনি ভিজিয়ে দেয়।আরেকটি গবেষনায় দেখা গেছে, ৮৫ ভাগ মেয়েই তাদের ২১ বছর বয়সে একবার এই অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন।
মেয়েদের স্বপ্নদোষ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্নিত তিনি বলেন, ‘একবার রাসুল (সাল্লেললাহু আলাইহিস সাল্লাম) এর কাছে এসে বললেন হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সত্যের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সংকোচ বোধ করেন না।মহিলাদের যখন পুরুষের মতো স্বপ্নদোষ হতে দেখে তখন কি তাদের উপর গোসল ফরজ হয়?
উত্তরে রাসুল (সাল্লেললাহু আলাইহিস সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, যখন সে তরল পদার্থ বা পানি দেখে, তখন সে যেন গোসল করে নেয়।গবেষনায় দেখা গেছে ১৩ বছর বয়স হলে এ অভিজ্ঞতা লাভ করেন অনেকে। সাধারনত যেসব মেয়েরা ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভ করে তাদের এই অভিজ্ঞতা বেশি হয়।
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়
স্বপ্নদোষ এমন একটি অভিজ্ঞতা যা নারী-পুরুষের মধ্যে ঘুমের মধ্যে সংঘটিত হয়। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে সাধারনত স্বপ্নদোষ সংঘটিত হয়। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পর যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। সাধারনত যৌন উত্তেজক স্বপ্ন দেখলে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। অনেক পুরুষের লিঙ্গ উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ হতে পারে।
তবে যেসব নারী পুরুষ টেস্টোস্টেরন সমৃদ্ধ ওষুধ সেবন করেন তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায়। অনেকে স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন।তবে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলো।
- প্রেম জাতীয় সিনেমা দেখা বন্ধ করতে হবে। মেয়েদের নিয়ে কল্পনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- রাতের বেলা যখন ঘুমাতে যাবেন তখন প্রস্রাব করে ঘুমাবেন। তুলসী মেশানো লাল চা খেলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনজনিত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাবেন।
- রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।এছাড়া রাতের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যাবেন না।কিছুক্ষন হাটাহাটির পর ঘুমাতে যাবেন।
- একটি গবেষনায় দেখা গেছে নিষ্ক্রিয় মানুষদের স্বপ্নদোষ বেশি হয়। তাই প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম কররে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- যদি আপনার মধ্যে উদ্বেগ,চাপ ও বিষন্নতা থাকে এই সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
- রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করে নিলে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- রাতের বেলা ঘুমানোর আগে লাউয়ের জুস খেলে শরীরকে ঠান্ডা রাখে যা স্বপ্নদোষ রুখতে সহায়তা করে।
- আমলার রস প্রতি রাতে খেলে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন আর পেঁয়াজ যদি খাওয়া যায় তাহলে স্বপ্নদোষ কমে যায়।
- মেথির রস ও মধু ২:১ অনুপাতে খেলে স্বপ্নদোষের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লেখকের শেষকথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন স্বপ্নদোষ আদতে রোজা ভঙ্গের কারন কিনা ও স্বপ্নদোষ হলে রমজানে কি করবেন।তাহলে আশা করা যায় আপনারা যদি উপরোক্ত নিয়ম-কানুনগুলো মানতে পারেন তাহলে স্বপ্নদোষের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url