বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমন কিভাবে করবেন তা জেনে নিন
বিশ্বের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সমূহ - বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিনবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমন কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে। কাশ্মীরকে বলা হয় পৃথীবির ভু-স্বর্গ।তাই মানুষ দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে এই ভু-স্বর্গের সুধা পান করতে।অনেকে আসেন যারা ভ্রমনের জন্য সুইজারল্যান্ডে যান কিন্তু তারা যদি একবার কাশ্মীরে বেড়াতে যান তাহলে আর কোথায় যেতে ইচ্ছে করবে না।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরের দুরত্ব কতটুকু, কোন সময় কাশ্মীরে গেলে বেশি আনন্দ পাবেন, কিভাবে যাবেন, কি খাবেন, কোথায় থাকবেন, বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে ভ্রমন খরচ কত, ট্রেনে, বাসে কিংবা বিমানে ভ্রমন করলে কত সময় ও ভাড়া কত লাগে এবং দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর কত কিলোমিটার
আজকের আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরের দুরত্ব কত তা তুলে ধরবো। বর্তমানে বাাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষজন একটু শান্তির আশায় কাশ্মীর ভ্রমন করছেন। যদিও বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরের দুরত্ব প্রায় ২৪৯০ কিলোমিটার এবং সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘন্টা ২৫ মিনিট।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর কখন যাবেন
যেকোনো সময় আপনি ভু-স্বর্গ কাশ্মীরে যেতে পারেন। তবে রিতু ভেদে কাশ্মীরের সৌন্দর্যে ভিন্নতা দেখা যায়।ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত কাশ্মীরে শীতকাল থাকে।ফলে কাশ্মীরের প্রকৃতিতে সাদা বরফের চাদরে ঢাকা পাহাড়ের সমারহ দেখা যায়।তাই এই সময় যদি আপনারা কাশ্মীরে যান তাহলে কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর কিভাবে যাবেন
প্লেন, ট্রেন কিংবা বাসে কাশ্মীরে যেতে পারবেন। যদি বিমানে যেতে চান তাহলে প্রথমে ঢাকা থেকে দিল্লি যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে শ্রীনগর যাবেন।শ্রীনগর থেকে গাড়িতে করে কাশ্মীরে পৌঁছে যাবেন।আবার যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে কলকাতা “মৈত্রী এক্সপ্রেসে” যেতে হবে।
তারপর কোলকাতায় নেমে জম্মু যাওয়ার জন্য “হিমগিরি” ও “জম্মু তাওয়াই” নামের দুটি ট্রেনের যেকোনো একটিতে উঠে জম্মু যেতে পারবেন। ট্রেনে করে কোলকাতা থেকে জম্মু যেতে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৬ ঘন্টা সময় লাগে। হিমগিরি ট্রেন সপ্তাহে তিন দিন অর্থাৎ শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে কলকাতার হাওড়া থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
“জম্মু তাওয়াই”প্রতিদিন যাতায়াত করে হাওড়া থেকে জম্মু পর্যন্ত। এই ট্রেনে সময় বেশী লাগে।তাই হিমগিরিতে যাওয়াই ভালো। এরপর জম্মু থেকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টার সফর শেষে শ্রীনগর পৌঁছাবেন।শ্রীনগর পৌঁছানোর পর গাড়ি করে কাশ্মীর শহরে যেতে পারবেন।বাসে যদি যেতে চান তাহলে গ্রিনলাইন, সোহাগ কিংবা শ্যামলি পরিবহনে করে কলকাতা যেতে হবে।
তারপর কলকাতা থেকে জম্মু গিয়ে ওখান থেকে শ্রীনগর পৌঁছে গাড়িতে করে কাশ্মীর যেতে পারবেন।আপনি যদি মনে করেন তাহলে ডোমেস্টিক বিমানে কলকাতা থেকে জম্মু ও জম্মু থেকে শ্রীনগরে যেতে পারবেন।
কাশ্মীরে কোথায় থাকবেন
শ্রীনগর ও জম্মুতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল, রিসোর্ট ও হাউজ বোট রয়েছে যেমন:হোটেল জাম রুদ, হোটেল জাহাঙ্গীর, গ্র্যান্ড হোটেল ইত্যাদি।যদি ভালো টুরিষ্ট এলাকায় থাকতে চান তাহলে শ্রীনগরের ডাল লেকের আশে পাশে কিছু বোট হাউস রয়েছে যেমন: প্রিন্স অফ ভ্যালী, ইয়ং মর্নিং স্টার ও নিউজল্যান্ড বোট হাউজ।
এই সকল বোট হাউজে থাকলে খরচ একটু বেশী পড়লেও বেশ আরামে থাকতে পারবেন।তবে পেহেলগামের কটেজগুলােতে যদি থাকতে পারেন তাহলে সেখানে নিজেরা বাজার করে দিলে খরচ তুলনামুলক কম হয়। অনলাইনে হোটেল বুকিং না দিয়ে সরাসরি যে শহরে আপনি থাকতে চান সেই শহরে গিয়ে আপনার পছন্দমতো হোটেল বুকিং দিয়ে থাকতে পারবেন।
কাশ্মীরে কী খাবেন
কাশ্মীরে নানা ধরনের টাটকা ফল পাওয়া যায় যা দামে মোটামুটি সস্তা। কাশ্মীরের বিরিয়ানি বিশ্বসেরা এখানকার কাশ্মীরি কাবাব,মাটন রোগান জোশ, ভেড়ার মাংশ, পনির চামান,আলুর দম, দই, টক বেগুন, নাদরু ইয়াখনি খুব সুস্বাদু যা একবার খেলে বহুদিন মনে রাখবেন।
কাশ্মীর ভ্রমনের কিছু টিপস
- আপনি যদি ১ থেকে ২ মাস আগে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিমানের টিকিট কাটেন তাহলে খরচ কিছুটা কম হবে।
- আপনি যদি শীতকালে কাশ্মীর ভ্রমনে যেতে চান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে গরম কাপড় নিয়ে যেতে হবে।কারন সেখানে শীতের তীব্রতা এতো বেশী যে আপনি গরম কাপড় না পড়লে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
- অনেক ফ্রড এজেন্সি রয়েছে যারা নানা ধরনের মজাদার কথা বলে ও প্রলোভন দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নিতে পারে।তাই ভালো এজেন্সি যাচাই বাছাই করে তারপর টাকা দিবেন।
- আর যদি ব্যক্তিগতভাবে যেতে চান তাহলে কোলকাতা গিয়ে তারপর কাশ্মীর যেতে পারেন। কারন এতে করে আপনি কিছুদিন কলকাতায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন এবং ফেরার পথে লাদাখ ঘুরে আসতে পারবেন।
- কাশ্মীরে যেকোনো জিনিষ দাম দর করে কিনবেন কারন পর্যটকদের কাছে এরা বেশী দাম নেয়।
- কাশ্মীরের অধিবাসিরা খাবারে প্রচুর মশলা খায়।তাই আগে থেকে জেনে বুঝে তারপর খাবার খাবেন। এছাড়া কাশ্মীরে রাত ৮ টার মধ্যে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।তাই প্রয়োজনীয় জিনিষ রাতা ৪ টার আগে কিনে রাখবেন। অবশ্যই একটা ভারতীয় সিম কিনে নেবেন।
- ট্রাভেলের জন্য ট্যাক্স নির্ধারন করা আছে ৫০০ টাকা যা সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর ভ্রমন খরচ
ট্রেন: আপনি যদি ট্রেনে ভ্রমন করতে চান তাহলে কলকাতা থেকে জম্মু যেতে খরচ পড়বে নন এসি স্লিপারে বাংলাদেশী টাকায় জনপ্রতি ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা, এসিতে জনপ্রতি ৩৩০০ থেকে ৩৫০০ টাকা।এরপর জম্মু থেকে শ্রীনগর গাড়ীতে যদি ৬ থেকে ৭ জন ভ্রমন করেন তাহলে খরচ পড়বে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।ভ্রমন করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা।
বিমান:আপনি যদি বিমানে কাশ্মীর যেতে চান তাহলে ঢাকা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ইন্দিরা বন্দর যেতে হবে তারপর সেখান থেকে শ্রীনগর।আবার ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেন অথবা বাসে যেয়ে তারপর কলকাতা থেকে ডোমেস্টিক ফ্লাইটেও দিল্লি হয়ে জম্মু অথবা শ্রীনগরে যেতে পারবেন।
শ্রীনগর পর্যন্ত বিমানে ভাড়া জনপ্রতি ৮০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা এটা বিভিন্ন মৌসুমের উপর নির্ভর করে। বিমান ভাড়া কম পেতে হলে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির দ্বারা ১ থেকে ২ মাসা আগে থেকে টিকিট কেটে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
বাস:ঢাকা থেকে যেকোনো বাসে সরাসরি বেনাপোল যাবেন।তারপর দুই দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে ২০ রুপিতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বনগাঁও রেলষ্টেশন পর্যন্ত যাবেন। বনগাঁও থেকে ২০ অথবা ৩০ টাকায় টিকিট কেটে কলকাতায় যাবেন।প্রতি ঘন্টায় একটি করে ট্রেন আছে। এছাড়া গ্রীন লাইন অথবা শ্যামলী পরিবহনের বাস সরাসরি কলকাতা নিয়ে যায়।
আরোও পড়ুনঃ কোমল পানীয় এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নিন
যার ভাড়া জনপ্রতি ঢাকা থেকে কলকাতা ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা।তবে যাতায়াত ও থাকার খরচ কমাতে পারেন তাহলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় কাশ্মীর ঘুরে আসতে পারবেন এবং কেনাকাটা করতে পারবেন।
কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থান
শীতকাল কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময় কাশ্মীর তার সৌন্দর্য প্রকাশিত করে পর্যটকদের আর্কষন করার জন্য বসে থাকে। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত সৌন্দর্যের এই রানীকে দেখার জন্য পাগলের মতো পর্যটকরা ছুটে আসে।কাশ্মীরকে মুলত ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন: মধ্য কাশ্মীর, উত্তর কাশ্মীর ও দক্ষিন কাশ্মীর।
পেহেলগাম: শ্রীনগর থেকে ৯৭ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত পেহেলগাম। আপনি যদি জুলাই থেকে অক্টোরের মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে যান তাহলে দেখতে পাবেন রাস্তার দুইধারে আপেল বাগান।আরোও দেখতে পাবেন বেতাব ভ্যালি, চান্দেরওয়ারি, আরু ভ্যালি, ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালি পয়েন্ট, লিদার নদী, কানিমার্গ ও পেহেলগাম ভিউ পয়েন্ট।
পেহেলগাম |
সোনামার্গ: সুন্দর উপত্যকা ও ঝর্নায় ঘেরা সোনামার্গ শ্রীনগর থেকে ৪২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।বিখ্যাত থাজিয়ান হিমবাহ এই খানে অবস্থিত। এখানে আপনি স্লেজিং, স্নো বাইক ও ঘোড়ায় চড়ার সুযোগ রয়েছে।সোনামার্গে সিন্ধু নদী দেখতে পাবেন।
সোনামার্গ |
এখানকার উল্লেখযোগ্য ট্যুরিষ্ট স্পট গুলো হচ্ছে জোজিলা পাস, বালতাল ভ্যালি,অমরনাথ গুহা, গঙ্গাবাল লেক, গাদসার লেক, ভিসান্তর লেক, সাসতার লেক, উলার লেক ইত্যাদি।আপনি যদি সবগুলো স্পট দেখতে চান তাহলে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে।
শ্রীনগর: শ্রীনগরকে বলা হয় প্রাচ্যের ভেনিস।এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হলো শ্রীনগর। এই নগরী ঝিলম নদীর তীরে অবস্থিত।এখানে প্রচুর তুষারপাত হয়। এখানে অনেক ঐতিহ্যবাহী মসজিদ, মন্দির ও সমাধি রয়েছে।
শ্রীনগর এর দর্শনীয় স্থান
পরীমহল: এটি সাততলা বিশেষ্ট উদ্যান।এই উদ্যানটি ১৬০০ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার বড় পুত্র দারা শিকোর জন্য তৈরী করেছিলেন যেখানে একটি গ্রন্থাগার ও আবাসস্থল রয়েছে।এখানে দারা শিকো জ্যের্তির বিজ্ঞান ও জ্যেতিষশাস্ত্র চর্চা করতেন। পরিমহল ইসলাম ও ঐতিহ্যের একটি চমৎকার নিদর্শন।
ডাল লেক: হাউসবোট ও শিকারার জন্য ডাল লেক খুব জনপ্রিয়।এই লেক প্রায় ২৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এই লেকটিকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে,যার মধ্যে নাগিন লেক অন্যতম।এখানে আপনি কায়াকিং এ সাঁতার কাটতে পারবেন ও ক্যানেয়িং এ হাউজবোটে থাকতে পারবেন।
জামা মসজিদ: এই মসজিদটি ১৬৭৪ সালে মুঘলরা নির্মান করেন। যার রয়েছে ৪ টি কুন্ডলী, ৩৭০ টি স্তম্ভ।প্রতি শুক্রবারে এই মসজিদটিতে জুম্মার নামাজ পড়া হয় বলে একে জামা মসজিদ বলা হয়।
জামা মসজিদ |
হযরত বাল মসজিদ: এই মসজিদটি সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি ডাল লেকের তীরে অবস্থিত।এই মসজিদটি মুঘল ঐতিহ্যের এক চরম নিদর্শন।এই মসজিদটি দরগা শরীফ নামেও পরিচিত।
ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন: এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান হচ্ছে এই ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন। ৩০ হেক্টর এলাকা জুড়ে এই বাগান গড়ে উঠেছে।
লেখকের শেষকথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে ভ্রমন করার জন্য সকল প্রয়োজনীয় কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে।তাহলে আশা করা যায় আপনারা যদি উপরোক্ত নিয়ম-কানুনগুলো মেনে কাশ্মীর ভ্রমন করেন তাহলে এই ভ্রমনে কোন ধরনের সমস্যায় পড়বেন না বরং অনেক ইনজয় করতে পারবেন।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url