বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন

বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে - বয়স্ক ভাতা আবেদনের বয়সবন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা হয়েছে বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।আরোও আলোচনা করা হয়েছে বিধবা ভাতা আবেদনের বয়স কত।সরকারের এই বিধবা ভাতা প্রদান করার মুল উদ্দেশ্য বিধবাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং সমাজে যেন তারা আর্থিকভাবে কারো মুৃখাপেক্ষী না থাকে তার ব্যবস্থা করা।
বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন বিধবা ভাতা কি ও এই কর্মসুচীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো কি এবং বিধবা ভাতা প্রাপ্তীর অনুমোদনের জন্য এর মানদন্ড গুলো কি কি।বিধবা ভাতার আবেদন করার নিয়ম ও কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় ও বিধবা ভাতা প্রদান কত সাল থেকে শুরু হয়েছিলো।

বিধবা ভাতা পেতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে, কতো টাকা বিধবা ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয় ,বিধবা ভাতার জন্য আবেদনের যাচাই প্রক্রিয়া কিভাবে করতে হবে ও বিধবা ভাতা পেতে কিভাবে মোবাইলে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

বিধবা ভাতা কি এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য 

আমাদের সমাজে যেসকল দুস্থ, স্বামী নিগৃহীতা নারী ও অসহায় বিধবা নারী রয়েছে তাদের কল্যানের জন্য ও তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে এবং মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তর ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এই ভাতা কর্মসূচীকে বিধবা ভাতা বলা হয়। 
এই কর্মসূচী ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে শুরু হলেও ২০০৩ ও ২০০৪ অর্থবছরে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই কর্মসূচীকে আরোও বেশি গতিশীল করার জন্য ২০১০ ও ২০১১ অর্থবছরে পুনরায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

সরকারের এই কর্মসুচীটি বর্তমানে সফলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:আমাদের সমাজে যেসকল অসহায়, বিধবা, স্বামী ‍নিগৃহীতা মহিলা রয়েছে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নতী বিধান ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান করা এই কর্মসূচরী মুল লক্ষ্য। এছাড়া মহিলাদের চিকিৎসা সেবা ও পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করাও এই কর্মসুচীর উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক স্বচ্ছন্দ্য না থাকলে এমনিতে মানুষের মনোবল খুব দুর্বল থাকে।

তাই অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা ভালো রাখার জন্য অসহায়, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা এই অনুদান প্রদান করা হয় যাতে তাদের মনোবল চাঙ্গা থাকে। প্রতিটা মানুষের নিজস্ব একটা মর্যাদা আছে। আর এই মর্যাদা রক্ষায় প্রয়োজন অর্থ, হাতে টাকা থাকলে কেউ দাম দেয়না।তাই বিধবাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এই অনুদান প্রদান করা হয়।

বিধবা ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম 

আবেদনকারীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের “সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচী” নামক ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফরমে আবেদন করতে হয়।যোগ্য প্রার্থীতার দ্বারাই যেহেতু যাচাই বাছাই করা হয় সেহেতু আবেদন ফরমটি খুব গুরুত্বের সাথে পুরন করতে হয়। একবার আবেদন ফরমটি পুরন করে জমা দিলে পুনরায় সংশোধন করার কোন সুযোগ থাকেনা। তাই ফরমটি নির্ভুলভাবে পুরন করা খুব জরুরী।

১ম ধাপ
বিধবা ভাতা প্রাপ্তীর জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্ধারিত লিংক এ ক্নিক করে প্রবেশ করতে হয়। এই লিংকটি হচ্ছে: http://mis.bhata.gov.bd/online application
২য় ধাপ
এই ধাপে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সিলেক্ট করে নম্বরটি লিখতে হবে।আবার পাশে জন্ম তারিখের ঘরে গিয়ে সিলেক্ট করার পর Calendar option এ গিয়ে ক্লিক করে সঠিক তারিখটি সিলেক্ট করতে হবে।আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরটি ইনপুট দেওয়ার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরন হয়ে যাবে।শুধুমাত্র খালি ঘরগুলো পুরন করতে হবে।
৩য় ধাপ

এই ধাপে যে ঘরগুলো পুরন করতে হয় তা নিম্নরুপ:
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • বৈবাহিক অবস্থা (বিবাহিত, অবিবাহিত, বহুবিবাহ, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত)
  • পরিবারের সদস্য সংখ্যা (পুরুষ, মহিলা ও হিজড়া)
  • পেশা
  • বার্ষিক আয়ের পরিমান
  • স্বাস্থ্যগত বা কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য
  • সরকারি/বেসরকারি সুবিধা প্রাপ্তির বিবরন
  • বাসস্থান (নিজস্ব, ভাড়া, গৃহহীন বা অন্যান্য)
  • ভুমির মালিকানা

৪র্থ ধাপ
এই ধাপে আবেদনকারীর যোগাযোগ ও ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয়।
  • বিভাগ, জেলা, উপজেলা
  • অবস্থান অপশনে গিয়ে যেই এলাকার আওতাধীন যেমন: সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা সিলেক্ট করতে হবে।
  • পোষ্ট কোড লিখতে হবে
  • বাড়ির হোল্ডিং নম্বর লিখতে হবে (যদি নম্বর থাকে)
  • যদি ইমেইল নম্বর যদি থাকে লিখতে হবে (ঐচ্ছিক)
  • মোবাইল নম্বর লিখতে হবে (বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বর)
  • স্থায়ী ঠিকানার তথ্যগুলো একইভাবে পুরন করতে হবে।বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ‍যদি একই হয় তাহলে “একই ঠিকানা” লেখার পাশের ঘরে ক্লিক করতে হবে।
৫ম ধাপ
এই ধাপে বিধবা ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • বাসগৃহের তথ্য
  • খানা প্রধানের তথ্য
  • খানায় বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্তির তথ্য
  • বিগত ১ বছরে আবেদনকারীর খানায় বিদেশ থেকে কোনো অর্থ পেয়েছে কিনা
  • পরিবারের কেউ বিগত ১ বছরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসুচীর আওতায় কোনো সহায়তা পেয়েছে কিনা তার সঠিক তথ্য দিতে হবে।

৬ষ্ট ধাপ
আবেদন ফরমটি জমা দেওয়ার পর “আপনার আবেদনটি সফলভাবে গৃহীত হয়েছে” এই লেখাটি অটোমেটিকভাবে পেজে দেখতে পাবেন। সেখান থেকে প্রিন্ট অপশনে গিয়ে প্রিন্ট দিয়ে কপিটি বের করে নিতে হবে। PDF file টি ভালোভাবে ফোল্ডারে সেভ করে রেখে দিতে হবে। এরপর কপিটি ওয়ার্ড কমিশনার/চেয়ারম্যান/পৌরসভার কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিতে হবে।
৭ম ধাপ
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পুরনকৃত নির্ধারিত ফরমটি ওয়ার্ড কমিশনার/চেয়ারম্যান/পৌরসভার কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিয়ে সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে হবে।সাথে নীচে উল্লেখিত কাগজগুলো জমা দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • অনলাইনে আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি
  • পুনবিবাহ না করা প্রত্যয়ন পত্র
  • নাগরিক সনদপত্র
সবকিছু ঠিকঠাক মতো জমা দেওয়ার পর অধিদপ্তরের বাছাই কমিটি প্রর্থী নির্বাচনের মানদন্ডের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীকে অনুমোদন দিবেন।

বিধবা ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

সমাজসেবা অধিদপ্তরের এই কর্মসুচী থেকে সুবিধা পেতে হলে ও অনলােইনে আবেদন করতে হলে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। তাই নিম্নে উল্লিখিত কাগজপত্র ছাড়া কোনভাবেই এই সুবিধা অর্জন করতে পারবেন না।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • স্বামীর মৃত্যেু সনদপত্র
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি।
  • একটি কার্যকর ও সচল মোবাইল
  • মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (বিকাশ অথবা নগদ)
  • অনলাইন বা অফলাইনে পুরনকৃত আবেদন ফরম

বিধবা ভাতার জন্য যাচাই বা মানদন্ড প্রক্রিয়া

আবেদনকারী তার ফরমটি যথাযথভাবে পুরন করার পর সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দেন। জমা দেওয়ার পর যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক যোগ্য প্রার্থী নির্ধারন করা হয়। এই প্রার্থী নির্বাচন করতে কিছু মানদন্ড রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে আবেদনকারীকে এই ভাতা প্রদান করা হয়।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • সুবিধাভোগীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সের হতে হবে।আবেদনকারীর বয়স যদি বেশী হয় তাহলে তিনি অগ্রাধীকার পাবেন।
  • আবেদনকারী যদি একেবারে কর্মক্ষমতাহীন হন তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবেন।
  • আবেদনকারীর মধ্যে যদি গৃহহীন, ভুমিহীন, নিঃস্ব ও উদ্বাস্তু নারী হন তাহলে তিনি ক্রমানুযায়ী অগ্রাধিকার পাবেন।
  • আবেদনকারী যদি সামাজিকভাবে দুর্দশাগ্রস্থ, নিঃসন্তান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বিধবা নারী হন তাহলে তিনে ক্রমানুযায়ী অগ্রধিকার পাবেন।
  • কোনো বিধবা নারীর যদি বসত ভিটা ব্যতিত ০.৫০ একর বা তার নীচে জমি থাকে তাহলে তাকে ভুমিহীন বলা হয়। এই ভুমিহীনরাও আবেদন করতে পারবেন।

বিধবা ভাতা কত টাকা দেওয়া হয়

সরকারের এই কর্মসুচীটি ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে শুরু হয় এবং তৎকালীন সময়ে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ ৩ হাজার ১১০ জনকে প্রদান করা হয়।২০০৫ ও ২০০৬ সালে জনপ্রতি ১৮০ টাকা করে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার জনকে প্রদান করা হয়।২০০৯ ও ২০১০ সালে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে ৯ লক্ষ ২০ হাজার জনকে প্রদান করা হয়। 
২০১৬ ও ২০১৭ সালে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার জনকে প্রদান করা হয়।২০২৩ ও ২০২৪ সালে জনপ্রতি ৫৫০ টাকা করে ২৫ লক্ষ ৭৫ হাজার জনকে দেওয়া হবে।

বিধবা ভাতা টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়া

করোনাকালীন সময় থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন অনুদান, ত্রান ও ভাতা প্রদান করে আসছে।ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমেছে এবং ভাতা বন্টনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ঝামেল থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে।আপনি যখন অনলাইনে আবেদন করার পর ফরমটি সাবমিট করবেন।

তারপর থেকে আবেদনটি বাছাই কমিটি দ্বারা যাচাই বাছাই করার পর ভাতার টাকা বয়স্ক ভাতা গ্রহনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়।

বিধবা ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা 

এই কর্মসুচীর সুবিধাভোগী হচ্ছে স্বামী নিগৃহীতা ও বিধবা নারীরা।এক্ষেত্রে বিধবার সংজ্ঞা হচ্ছে যেসকল নারীদের স্বামী মারা গেছে কিন্তু তারা পুনরায় বিবাহ করেননি।স্বামী নিগৃহীতার সংজ্ঞা হচ্ছে যে সকল নারীরা স্বামী দ্বারা তালাকপ্রাপ্ত হয়েছে এবং ২ বছর যাবত স্বামীর সাথে যোগাযোগ নেই বা একসাথে বসবাস করেননা তাদেরকে বোঝানো হয়েছে।

ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা
  • স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে (যে এলাকা থেকে আবেদন করেছে)
  • NID কার্ড বা জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে
  • যে সকল আবেদনকারি অসহায়, দুস্থ, স্বামী পরিত্যাক্তা ও অধিক বয়স্ক তারা এই কর্মসুচীর সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বলে বিবেচনা করা হবে।
  • যে সকল নারীদের ১৬ বছরের কম বয়সী ২ টি সন্তান রয়েছে এই সকল স্বামী পরিত্যক্ত ও বিধবারা ভাতা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
  • যে সকল আবেদনকারি প্রতিবন্ধী, কর্মক্ষমতাহীন ও অসুস্থ তারা এই ভাতা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
  • সবশেষে ভাতা প্রপ্তিতে তাদের যোগ্য বলে বিবেচিত করা হবে যারা সমাজসেবা অধিদপ্তরের বাছাই কমিটি দ্বারা নির্বাচিত হবেন।

বিধবা ভাতা কত সালে শুরু করা হয়েছিলো

১৯৯৮-৯৯ সালে সমাজের দুস্থ, অসহায়, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীদের মর্যাদা ও মনোবল বৃদ্ধির জন্য সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই কর্মসুচী চালু করা হয়।

লেখকের শেষকথা

আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন বিধবা ভাতার জন্য অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয়। আরোও জানতে পেরেছেন বিধবা ভাতা সংক্রান্ত সরকারি নিতীমালাগুলো সম্পর্কে । উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩