কোমল পানীয় এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নিন
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা হয়েছে কোমল পানীয় এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পর দই, মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এগুলোর সাতে যোগ হয়েছে কোমল পানীয়।অনেকে মনে করেন খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান করলে খাবার হজম হয়। কিন্তু ব্যাপারটা কি তাই ? আসুন আলোচনা করি।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কোমল পানীয় কতটা ক্ষতিকর আমাদের শরীরের জন্য। এর কিছু সাময়িক উপকারিতা থাকলেও অপকারিতা অনেক ধরনের যা নীচে আলোচনা করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর সব উপাদান দিয়ে এই কোমল পানীয় তৈরি করা হয় যা শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত এই পানীয় পান করলে মোট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোমল পানীয় এর ক্ষতিকর দিক
বর্তমানে অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব ও বিবাহ অনুষ্ঠানে কোমল পানীয় এর ব্যবহার খুব জরুরী একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্থীর আশায় অনেকে কোমল পানীয় পান করে থাকেন। অথচ কোমল পানীয় শরীরে কখনই পানি শুন্যতা দুর করতে পারেনা আবার এই পানীয়র কোনো পুষ্টিগুনও নেই।
অথচ এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সাধারনত পানি, চিনি, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও লেবুর রস দিয়ে এনার্জি ড্রিংস তৈরি করা হয়। পরবর্তকালে এর উপাদান পরিবর্তন হয়ে যোগ হয় ক্যাফেইন, ক্যাফেইন অ্যালকোহল ও অপিয়েট। মুলত মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করার জন্য ক্যাফেইন ব্যবহার করা হয়।
তবে বর্তমানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে পানিতে দ্রবীভুত করে কোমল পানীয় তৈরি হয়।ফলে বুদবুদ এর মধ্যে থেকে বুদবুদ উঠতে থাকে।আমরা সাধারনত প্রশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি।অথচ কোমল পানীয় পান করলে শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করে। কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমানে ঘনচিনি রয়েছে।
তাই যেকোনো মানুষের জন্য খুব ক্ষতিকর।বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন বলছেন কোমল পানীয়তে রয়েছে ইথিলিন গ্লাইকল, কৃত্রিম রং, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, ঘনচিনি, অপিয়েট ও সিলডেনাফিল সাইট্রেট এর মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান।আমরা অনেকে মনে করি কোমল পানীয় খাদ্য হজমে সহয়তা করে।
তাই যেকোনো অনুষ্ঠানে খাবারের পর কোমল পানীয় দেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি পাকস্থলীর ভারসাম্য নষ্ট করে।যার ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়ামের পরিমান কমে যায় এবং হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগ দেখা দেয়। এছাড়া এই পানীয় নিয়মিত খেলে ক্ষুধামন্দা, পেটে গ্যাস ও মেদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমাদের দেশে Drug regulatory ordinance অনুযায়ী কোমল পানীয়তে থাকা অপিয়েট ও সিলডেনাফিল নামক দুটি রাসায়নিক দ্রব্য সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। কারন এই দুটি উপাদান ধীরে ধীরে যৌনশক্তি কমিয়ে দেয়। এছাড়া কোমল পানীয় কিডনি রোগ, যৌনশক্তি হ্রাস, সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা, হৃদরোগ টাইট-২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।
কোমল পানীয় মেটাবলিক সিনড্রোম বা বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় ব্যঘাত ঘটায় ফলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের আশংকা বাড়ায়।এর মধ্যে থাকা ফসফোরিক এসিড ও কার্বনিক এসিড দাঁতের ক্ষয় ও এসিডির বৃদ্ধি করে। অধিক পরিমানে ঘনচিনি থাকায় তা শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।কোমল পানীয়তে এক ধরনের মিষ্টিভাব থাকে।
এই মিষ্টিভাব আসলে অ্যাসপার্টাম নামক একটি রাসায়নিক যৌগ যার মধ্যে রয়েছে “ফেনালালাইন” ও “অ্যাসপার্টিক” নামক দুটি এসিড যা অতিরিক্ত পান করলে শুক্রানু ও ডিম্বানুর কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় যা মহিলাদের সন্তান ধারন করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়।
কোমল পানীয় অতিরিক্ত পান করলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াস ও ম্যাগনেসিয়াম মুত্রের সাথে বের হয়ে যায় ফলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কার্যকারিতা কমে যায় যা “হাইপেথাইরয়েডিজমের” মতো জটিলতা সৃষ্টি হয়।USA এর Tafton University এক গবেষনায় দেখা গেছে কোমল পানীয় পান করা কারনে মহিলাদের কোমরের হাড়ের ঘনত্ব কমে গেছে।
এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন শরীরে মাদকতার জন্ম দেয় যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সাময়িকভাবে উত্তেজিত করে যা হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। ফলে কিছুক্ষন পর শরীর অবশ হয়ে পড়ে যা ধীরে ধীরে অনিদ্রা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া অতিরিক্ত ক্যাফেইন মুত্রাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
কোমল পানীয় এর অপকারিতা
বর্তমান যুগে মফস্বল শহর ও বড় শহরগুলোতে সফট ড্রিংকস খাওয়া একটা নেশায় পরিনত হয়েছে। কিন্তু আমাদের খুব কম জনই জানে শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞগন গবেষনায় দেখেছেন এক বোতল সফট ড্রিংকস পান করার ২৪ ঘন্টা পর মানবদেহে রক্তচাপ বৃদ্ধি, ক্লান্তি অনুভব ও কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষন মারাত্বকভাবে দেখা দেয়।
- যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত খাদ্য গবেষক Dr.Stuart বলছেন সফট ড্রিংসে যে ক্যাফেইন থাকে তা সাময়িক শরীরকে উত্তেজিত করলেও কিছুক্ষন পর শরীর অবসন্ন হয়ে পড়ে।
- সফট ড্রিংসে ঘন চিনি থাকায় তা সরাসরি গ্রহন করার ফলে বমি বমি ভাব অনুভুত হয়। এছাড়া এতে থাকা ফসফরিক এসিড ও কার্বনেট মানবদেহের জন্য খুব ক্ষতিকর।
- Dr.Stuart বিশ্বখ্যাত এনার্জি ড্রিংস Red Bull এর উদাহরন দিয়ে বলেন, এই ড্রিংসে ক্ষারের মাত্রা থাকে Ph স্কেলে ৩.৩ যা ভিনেগারের সমতুল্য। এই মাত্রা দাঁতের এনামেলকে গলিয়ে ফেলে।যা দাঁতের মারাত্বক ক্ষতি হয়।
- Dr.Stuart তাঁর গবেষনায় দেখেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সফট ড্রিংকস পান করলে খাদ্যনালীর ভেতরের মিউকাস মেমব্রেন নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে নাড়ির সংকোচন ও প্রসারন ক্ষমতা কমে যায় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি Absorb করার ক্ষমমাও হারিয়ে ফেলে। যার কারনে বদহজম, খাদ্যে বিষক্রিয়া, গ্যাস্ট্রিক, ক্ষুধামন্দা ও নানা অসুখ বিসুখ দেখা দেয়।
- অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস খেলে, শরীর স্থুল হয়ে যায়। ফলে কোলেষ্টরল এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শরীরের ক্যালসিয়াম অনুর গঠন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে।এতে হাড় দুর্বল ও নরম হয়ে পড়ে।
- সফট ড্রিংসে থাকা কার্বন-মনো-অক্সাইড শরীরের বিভিন্ন কোষে প্রবেশ করে নারীদের গর্ভধারন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
- সফট ড্রিংকস শরীরে অক্সিজেনের পরিমান কমিয়ে দিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এই পানীয়কে আর্কষনীয় রং দেওয়ার জন্য পলি-ইথিলিন গ্লারাইকোল নামে যে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় তা ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
- কোমল পানীয়তে যে ঘনচিনি ব্যবহার করা হয় তা মুত্রাশয়ের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এছাড়া এর মধ্যে থাকা ইথিলিন গ্লারাইকোল নামে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা আর্সেনিকের মতো বিষ।যা কিডনির ব্যপক ক্ষতি করে।
- আমাদের নাক, গলা ও শ্বাসতন্ত্রের শুরুর দিকে অসংখ্য সিলিয়া থাকে। এই সিলিয়াগুলো নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে ধুলিকনা, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস আমাদের শরীরে ঢুকে তাতে বাঁধা প্রদান করে শরীরকে সুস্থ রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমানে সফট ড্রিংকস পান করলে এই সিলিয়াগুলো নিস্ক্রিয় হয়ে যায়।ফলে টনসিল, ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়ার মত শ্বাসজনিত রোগগুলি হয়ে থাকে।
- সফট ড্রিংকস অতিরিক্ত পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । ফলে ইনসুলিন রক্তে Glucose পৌঁছাতে পারে না।ফরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশংকা বেড়ে যায়।
- ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে হরমোন শরীরে রয়েছে তার নাম লেপটিন। শরীরে লেপটিনের মাত্রা ঠিক থাকলে খাবার গ্রহনের পরিমান নিয়ন্ত্রনে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সুগার শরীরে লেপটিনের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে খাবার গ্রহনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীর মোটা হয়ে যায়।
- সফট ড্রিংকসের কৃত্রিম মিষ্টি যকৃতের প্রদাহজনিত সমস্যা তৈরি করে এবং কিডনিতে পাথর জমতে সহায়তা করে।
- সফট ড্রিংকস কীটনাশকের মত ক্ষতিকর উদাহরন হিসেবে বলা যায় ২০০৪ সালে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কোকাকোলকে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এতে দেখা যায় পোকা-মাকড়গুলো মারা যাচেছ।
- U.S.A Massachusetts University এর গবেষকগন ৫০ বছর বয়স্ক একদল নারী ও পুরুষের মাঝে প্রতিদিন ১ ক্যান সফট ড্রিংকস ৪ বছর ধরে পান করানোর পর দেখলেন তাদের মেটাবলিক সিনড্রম ৪৪% বেড়ে গেছে। এই মেটাবলিক সিনড্রম বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং অকালে শরীর বুড়িয়ে যায়।
- শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগন গবেষনা করে দেখেছেন সফট ড্রিংকসে রয়েছে সোডিয়াম বেনজয়েট যা DNA এর ক্ষতি করে এবং কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
কোমল পানীয় খাওয়ার উপকারিতা
এসিড ও ক্ষার একসাথে মিশলে নিউট্রাল হয়ে যায় অর্থাৎ লবন ও পানি হয়ে যায়।বাফার দ্রবনের মধ্যে এসিড ও ক্ষার দুটো উপাদান থাকে।বাফার দ্রবন হলো এসিড ও ক্ষার উভয়ের উপর কাজ করে। এই কোমল পানীয় গুলো বাফার দ্রবন হিসেবে কাজ করে। আমাদের পাকস্থলীতে সবসময় এসিড থাকে।আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার পর এসিডের মাত্রা আরোও বেড়ে যায়।
এরপর যখন সফট ড্রিংস খায় তখন এই বাফার দ্রবনের ক্ষারীয় অংশ কাজ করে।ফলে পেটের ভেতর এসিডের সাথে ক্ষার মিশে লবন ও পানে তৈরি করে নিউট্রাল করে দেয়।অর্থাৎ ক্ষার + এসিড = লবন + পানি।এভাবে সফট ড্রিংকস আমাদের শরীরে হজমে সাহায্য করে।
কোমল পানীয় খেলে কি মোটা হয়
খাদ্যাভাস শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে।চর্বি জাতীয় খাবারে অতিরিক্ত ক্যালোরি থাকায় ওজন যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে ওজন বৃদ্ধি পায়।যুক্তারাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ ডানা জেমস বলেন বেশিরভাগ মানুষ জানে না কোমল পানীয়তে কি ধরনের উপাদান আছে।
সবুজ পানীয় শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে কিছু অপকারিতাও রয়েছে। সাধারনত সবুজ পানীয়তে স্পিরুলিনা ব্যবহৃত হয়। এটিতে প্রচুর পরিমানে চিনি রয়েছে। ফলের রস খুবই পুষ্টিকর।এক টুকরা ফল খাওয়ার পর এর আঁশ শরীরে Glucose তৈরিতে গ্লাইসেমিক প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। তাই কোনও ফলের জুস পান করলে শরীরে শর্করা বেশী প্রবেশ করে।ফলে শরীর মোটা হয়ে যায়।
অ্যালকোহল ওজন বাড়াতে আরেকটি মরনফাঁদ। এদের মধ্যে বেয়ার অন্যতম।এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট। এই কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়াতে মুল ভুমিকা রাখে।স্মুদিস পানীয় ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে জুড়ি নেই। স্মুদি প্রতিদিন পান করলে যাদের শরীর ক্ষীনকায় তারা খুব তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে যায়।
প্রতিদিন ডায়েট সোডা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।গবেষনায় দেখা গেছে জ্বিহবাতে মিষ্টি স্বাদ পেলেই হজমের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ইনসুলিন তৈরি করতে শুরু করে শরীর।যা চর্বি জমানোর হরমোন হিসেবে কাজ করে।
কোমল পানীয় তৈরির উপাদান
কোমল পানীয় হচ্ছে এক ধরনের মাদকবিহীন তরল। এতে রয়েছে কার্বনসমৃদ্ধ পানি ও সুগন্ধযুক্ত মিষ্টিজাতীয় পদার্থ।এছাড়া ক্যাফেইন ও ফলের রস কোমল পানীয়তে দ্রবীভুত অবস্থায় থাকে।কোমল পানীয়কে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে যেমন: সোডা ওয়াটার, পপ, কোক, সোডা পপ,ফিজি ড্রিংকস, টনিক বা কার্বনেটেড বেভারেজ।
কোমল পানীয় তৈরির উপাদান
- ফসফরিক এসিড
- ক্যাফেইন
- কার্বন-ডাই-অক্সাইড
- কৃত্রিম চিনি
ঘরেই তৈরি করুন কোমল পানীয়
আমাদের কাছে খুবই প্রিয় পানীয় হচ্ছে কোকাকোলা, পেপসি, সোভন আপ ও স্প্রাইট। যা আমরা সকলেই নিয়মিত খেয়ে থাকি। এগুলো আমরা সাধারনত দোকান থেকে কিনে খায়। আমরা যদি এটি ঘরে বসে বানাতে পারি তাহলে তা হবে খুবিই স্বাস্থ্যকর।এটি স্বাদ গন্ধে কোন অংশে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড পানীয় কম্পানীর চেয়ে কম নয়।
- লেবু - ১ টা
- বেকিং সোডা - ২ চা চামচ
- চিনি - ৫ চা চামচ
- ন্যচারাল ফুড কালার - পরিমান মত
- বরফকুচি - পরিমান মত
প্রথমে লেবু ভালোভাবে চিপে রস বের করে নিতে হবে।তারপর সমপরিমান পানি গ্লাসে ঢালতে হবে।পানীয়তে পরিমান মত চিনি মেশাতে হবে। ১ চা চামচ পরিমান বেকিং সোডা গ্লাসের মিশ্রনে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে ন্যাচারাল ফুড কালার মিশিয়ে নিতে হবে।পরে এর সাথে পরিমান মত বরফকুচি মিশিয়ে নিতে হবে।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন কোমল পানীয় খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে কোমল পানীয় খান তাহলে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হবেন।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url