অনলাইনে প্রতিদিন ৫০০ টাকা কিভাবে ইনকাম করবেন জেনে নিন
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা হয়েছে অনলাইনে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে।আরোও আলোচনা করা হয়েছে বিকাশে ১০০০ টাকা কিভাবে ইনকাম করবেন।বর্তমানে টাকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে যদি আপনি অনলাইন জগতে আসতে পারেন তাহলে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ৫০০ টাকা কিভাবে প্রতিদিন ইনকাম করতে পারবেন।কিভাবে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতো পারবেন।বর্তমানে অনেকগুলো অ্যাপস রয়েছে যেগুলো থেকে কুইজের উত্তর দিয়ে, লটারী খেলে প্রতিদিন ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া বিকাশের মাধ্যমেও প্রতিদিন ১০০০ টাকা কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন তা নিয়েও নীচে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
বর্তমান যুগে পড়াশুনার খরচ খুব বেশি যার কারনে Student দের অভিভাবকরা যে পরিমান টাকা দেন তা দিয়ে পড়াশুনা, থাকা, খাওয়া খুব কষ্ঠসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। তাই অনেকে Extra ইনকাম করার কথা চিন্তা করেন। কিন্তু অতিরিক্ত ইনকামের জন্য অনেকেই কোন পথ খুঁজে পাননা। তাই আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে চান।
আজকের যুগে প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিদিন আপনারা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ইনকামের জন্য ল্যাপটপ, ডেক্সটপ ও অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকতে হবে।
Swagbucks app দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম
অনলাইন জগতে এই অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। যা দিয়ে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপের নিয়ম হলো প্রতিদিন আপনার কাছে বিভন্ন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো যদি আপনি পুরন করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য ব্যাপারই না।
আরোও পড়ুনঃ আত্ম কর্মসংস্থানে বিউটি পারলার কিভাবে করবেন
এছাড়া রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এই অ্যাপসটি রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ছাত্র ছাত্রী গন পড়াশুনার পাশাপাশি অবসর সময়গুলোতে এই অ্যাপস দিয়ে অনায়াসেই প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Winzo Apps দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম
টাকা ইনকাম করার আরেকটি সেরা কুইজ অ্যাপস হলো Winzo । আপনি যদি একটু পরিশ্রম করেন তাহলে মাসে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করা কোনো ব্যাপারই না।এই অ্যাপসটিতে রয়েছে অসংখ্য Category র গেম। এই গেমগুলো যদি আপনারা খেলতে পারেন তাহলে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া Winzo অ্যাপসটিতে রয়েছে অনেক ধরনের কুইজ যার সঠিক উত্তর দিতে পারলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। দক্ষতার সাথে এই অ্যাপসটি পরিচালনা করলে প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়া রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এই অ্যাপসটি রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি লুডু খেলাতে দক্ষ হোন তাহলে এই অ্যাপসটি আপনার জন্য টাকার খনি কারন বাজি ধরে লুডু খেলে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।আপনি যদি Student হয়ে থাকেন তাহলে তা আপনার জন্য খুব পয়মন্ত হবে।Android phone এর Play store এ থেকে Winzo Apps টি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম
প্রযুক্তির চরম উন্নতি হওয়ায় আজকের দিনে ঘরে বসেই প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। আগের মত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয়না। খুব কষ্ট করে একটা যদি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য কোন কঠিন বিষয় নয়। বিভন্ন ধরনের অফার বিক্রি করে, কুইজ ও লটারি খেলে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সিমের অফার বিক্রি করে ৫০০ টাকা ইনকাম
বর্তমান যুগে অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ঘরে বসেই যেকোনো কাজ করতে পারি। আপনার হাতে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে ৫০ টাকা খরচ করে আপনার সিমকে ফ্লেক্সিলোড সিম বানিয়ে নিতে পারবেন এবং এই সিম দিয়ে আপনি ৫ টি সিমে ফেক্সিলোড করতে পারবেন এবং ইন্টারনেট মিনিট অফার বিক্রি করতে পারবেন।
কিভাবে করবেন
আপনি একটি সিমের মাধ্যমে গ্রামীন ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল প্রত্যেকটা অপারেটরের ইন্টারনেট এবং মিনিট প্যাকেজ কম দামে বিক্রি করতে পারবেন যা থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনি ৫০০ টাকার একটা ইন্টারনেট প্যাকেজ এবং মিনিট প্যাকেজ বিক্রি করতে পারেন তাহলে ৫০ টাকা কমিশন পাবেন।
এভাবে প্রতিদিন ১০ টা বিক্রি করতে পারলে ৫০০টাকা অনায়াসেই ইনকাম করা সম্ভব। এই কাজটি আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘরে বসেই করতে পারবেন। টাকা লেনদেন করবেন বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে। একটি অ্যাপসের মাধ্যমে এই কাজগুলো করতে পারবেন। Google play store এ বিভিন্ন টেলিকমের অ্যাপস রয়েছে যা ডাউনলোড করে কাজটি করতে পারবেন।
আপনারা ৫ টি অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে সিমের অফারগুলো বিক্রি করতে পারবেন।
হাউজ Account: এই অ্যাকাউন্টটি খুললে ফ্লেক্সিলোড করতে পারবেন এবং সকল সিমের ইন্টারনেট ও মিনিট অফার বিক্রি করতে পারবেন। আপনার পরিচিত কেউ যদি এই ব্যবসায় আসতে চায় তাহলে DGF Account, Dealer Account, Sealer account ও Retailor Account খুলে দিয়ে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরোও পড়ুনঃ FREE FIRE গেম খেলে কিভাবে ইনকাম করবেন
আবার আপনি যাদের Account খুলে দিয়েছেন তারাও যদি কাউকে Account খুলে দেয় তাহলে সেখান থেকে রেফারেল কমিশন পাবেন।
DGF Account: এই Account টি খুললে আপনি সকল সিম কোম্পানীর ইন্টারনেট ও মিনিট অফার বিক্রি করতে পারবেন এবং পাশাপাশি Dealer Account, Sealer account ও Retailor Account খুলে দিয়ে ৫০ থেকে ২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আবার আপনি যাদের Account খুলে দিয়েছেন তারাও যদি কাউকে Account খুলে দেয় তাহলে সেখান থেকে রেফারেল কমিশন পাবেন।
Dealer Account: এই Account টি খুললে ফ্রেক্সিলোড সহ সকল সিম কোম্পানীর ইন্টারনেট ও মিনিট অফার বিক্রি করতে পারবেন এবং পাশাপাশি Sealer account ও Retailor Account খুলে দিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আবার আপনি যাদের Account খুলে দিয়েছেন তারাও যদি কাউকে Account খুলে দেয় তাহলে সেখান থেকে রেফারেল কমিশন পাবেন।
Sealer account: এই Account টি খুললে ফ্রেক্সিলোড সহ সকল সিম কোম্পানীর ইন্টারনেট ও মিনিট অফার বিক্রি করতে পারবেন এবং পাশাপাশি Retailor Account খুলে দিয়ে ৫০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আবার আপনি যাদের Account খুলে দিয়েছেন তারাও যদি কাউকে Account খুলে দেয় তাহলে সেখান থেকে রেফারেল কমিশন পাবেন।
Retailor Account : এই Account টি খুললে ফ্রেক্সিলোড সহ সকল সিম কোম্পানীর ইন্টারনেট ও মিনিট অফার বিক্রি করতে পারবেন।কিন্তু আপনি নতুন Account খুলে দিতে পারবেন না।আপনি কোনো রেফারেল কমিশন পাবেন না।
Data entry করে ৫০০ টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং জগতে Data entry খুবই জনপ্রিয় ও তুলনামুলক সহজ একটি কাজ। বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট ও প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে Data entry এর কাজ করা যায়।Desktop, Laptop ছাড়া শুধুমাত্র Android phone ব্যবহার করে Data entry এর কাজ করতে পারবেন। Data entry এর কাজ তুলনামুলক সহজ ও চাহিদা সম্পুর্ন হওয়ায় এর প্রসারতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Android phone দিয়ে Data entry করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ও অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অনলাইনে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।
বিভিন্ন ধরনের Data entry এর কাজ রয়েছে যেমন: Online survey, Captcha solving, Micro tasking, Transcription service, Copy Paste job, Data collection, Scraping data entry ইত্যাদি এই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে আপনি যদি Expert হয়ে যেতে পারেন তাহলে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা অনায়াসেই ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং
বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক সবচেয়ে বড় সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। এই সাইটে মাসিক ২.৯৬ বিলিয়ন অ্যাকটিভ USER রয়েছে। ধীরে ধীলে তা বাড়তেই আছে। আপনাদের অনেকেই এই প্ল্যাটফর্মে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটান।অথচ বিশ্বের সব থেকে বড় ও বিখ্যাত এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে একটু দক্ষতা অর্জন করে সহজেই টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক মার্কেট প্লেস থেকে ইনকাম
ফেসবুকের এই সার্ভিস দ্বারা যেকেনো প্রডাক্ট, সার্ভিস বা অফার এখানে লিস্ট করে মানুষকে দেখাতে পারবেন।যেকোনো ফেসবুক একাউন্ট থাকা ব্যক্তি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের মতোই নিজের প্রডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইনে Display করে কেনা বেঁচা করতে পারবেন ও এর দ্বারা টাকা কামাতে পারবেন।
ভিডিও আপলোড করে ইনকাম
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে গুগল অ্যডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যেভাবে আমরা টকা ইনকাম করে থাকি ঠিক সেভাবেই ফেসবুক পেজে নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করে In-stream ads এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিযে টাকা আয় করা যায়।
এই ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে ইউটিউবে যেসকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় ঠিক তেমনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।
অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম
অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট থেকে অনেক রকমের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো জিনিষ বা প্রডাক্ট নিজের ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুকের Fan পেজে দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
বড় বড় অনলাইন শপিং সাইট যেমন:অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট ও স্ন্যাপডিল তাদের যেকোনো অ্যাফিলিয়েট লিংকের দ্বারা মানুষের সাথে শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়।যখন আমাদের শেয়ার করার প্রডাক্ট এর লিংক থেকে কেউ সেই অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে কিছু কেনা কাটা করেন তখন আমরা কিছু কমিশন পেয়ে থাকি। বিভিন্ন প্রডাক্টের কমিশন প্রডাক্ট ভেদে বিভিন্ন হতে পারে।
এটিই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
লোকাল প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম
মনে করেন আপনার একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে অনেক ফ্রেন্ডস আছে অথবা আপনার একটা ফেসবুক Fan পেজ আছে যেখানে হাজার হাজার Like রয়েছে তাহলে সেখানে লোকাল প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি আয় করতে পারেন।
এছাড়া নতুন কোনো দোকানের বিজ্ঞাপন, কোনো জায়গা, Restaurant বা যেকোনো মার্কেটের বিজ্ঞাপনের ছবি নিজের ফেসবুক পেজে দেখিয়ে আয় করতে পারেন।আপনার ফেসবুক পেজে যদি ১০ থেকে ৫০ হাজার Like থাকে তাহলে লোকাল কোনো বিজ্ঞাপন দাতা পেয়ে যাবেন যারা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজে তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেবেন।
আবার অনেক ইউটিউবার ও ব্লগের মালিক তাদের ভিডিও বা ব্লগের বিজ্ঞাপন আপনার পেজে দেখানোর জন্য আপনাকে টাকা দেবে।
ফেসবুক পেজ বিক্রি
অনেক ব্লগার ও ইউটিউব মালিকগন তারা নিজেদের ব্লগ ও চ্যানেলের প্রমোশনের জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজার Like সমৃদ্ধ Fan পেজ কিনতে চান। আপনি যদি এই ধরনের পেজ তৈরি করতে পারেন তাহলে বেশ ভালো দামে পেজ বিক্রি করতে পারবেন।এ ধরনের একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে আপনার ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম
ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে সবার প্রথমে আপনাকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এরপর গ্রুপে নিয়মিত মজার মজার কনটেন্ট, ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর পর্ব, ব্লগ পোষ্ট, ইমেজ ইত্যাদি পোস্ট করে পেজটিকে Fan পেজে পরিনত করতে হবে। এভাবে আপনাকে ১০ হাজার Active member তৈরি করতে হবে।
যদি একবার ১০ হাজার বা তারও বেশি Active member তৈরি করতে পারেন তাহলে Paid survey করে, Sponsored content গুলো পাবলিশ করে, আপনার নিজের প্রডাক্ট বিক্রি করে, অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং করে, নিজের গ্রুপ বিক্রি করে, গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ব্লগ ও ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে Traffic বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুকে নিজের বিশেষ দক্ষতা বিক্রি করে ইনকাম
আপনি যদি বিশেষ কোনো কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে তা বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে ফেসবুক গ্রুপগুলোতে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানাতে হবে। আপনার দক্ষতার কোনো Documents থাকলে তা গ্রুপে পোষ্ট করতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি আপনার দক্ষতা পছন্দ করে কাজ করাতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তাহলে আপনার ইনকামের একটা সুযোগ তৈরি হবে।যদি আপনার এই ধরনের কোনো দক্ষতা না থাকে তাহলে ইউটিউবের মধ্যে গিয়ে আপনার রুচি ও পছন্দমতো কোনো বিষয় ফ্রিতে শিখে নিতে পারেন যেমন: Logo design, Content writing, Video editing বা অন্যান্য যেকোনো কৌশল ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন।
আপনি উক্ত কাজগুলোতে যদি দক্ষ হন তাহলে প্রতিদিন ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিতে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
সঠিক দিকনির্দেশনা ও দক্ষতা থাকরে বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রতিদিন ফ্রিতে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে বর্তমানে অসংখ্য মানুষ নানবিধ প্রযুক্তিগত প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। এটা হওয়ার পেছনে মুল কারন সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব। এই প্রযুক্তি ছাত্রছাত্রীদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছে। কারন তারা পড়াশুনার পাশাপাশি অতিরিক্ত ইনকাম করতে পারছে।
Zupee gold থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম
Zupee gold হলো টাকা ইনকাম করার জন্য একটি অন্যতম অ্যাপস। এই অ্যাপসটি যদি আপনি দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন ফ্রিতে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এটি একটি কুইজ অ্যাপস যার সঠিক উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই অ্যাপসে রেফারেল সিস্টেম থাকায় পরিবারের সদস্য অথবা বন্ধু বান্ধবদের রেফার করার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই Zupee gold, Play store থেকে ডাউনলোড করে নিন।
Add Wallet অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম
Add Wallet এমন একটি অ্যাপস যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপসটির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অনায়াসেই টাকা ইনকাম করা যায়। এটি ডাউনলোড করার পর আপনার সামনে কতকগুলো বিজ্ঞাপন আসবে প্রত্যেকটি ভিডিও বা বিজ্ঞাপন দেখার পর আপনার একাউন্টে ডলার জমা হবে।
পরবর্তীতে এই ডলারগুলোকে বিকাশ অথবা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ছাত্রছাত্রীগন এই অ্যাপসটি দিয়ে অনায়াসেই পড়াশুনা পরিচালনা করার জন্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছাড়া রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এই অ্যাপসটি রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Woww অ্যাপসের মাধ্যমে ইনকাম
বর্তমানে এই অ্যাপসটি বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারন এই অ্যাপস দিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই অ্যাপসটির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অনায়াসেই টাকা ইনকাম করা যায়। এটি ডাউনলোড করার পর আপনার সামনে কতকগুলো বিজ্ঞাপন আসবে প্রত্যেকটি ভিডিও বা বিজ্ঞাপন দেখার পর আপনার একাউন্টে ডলার জমা হবে।
পরবর্তীতে এই ডলারগুলোকে বিকাশ অথবা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ছাত্রছাত্রীগন এই অ্যাপসটি দিয়ে অনায়াসেই পড়াশুনা পরিচালনা করার জন্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছাড়া রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এই অ্যাপসটি রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Slidejoy অ্যাপসের মাধ্যমে ইনকাম
এই অ্যাপসটিও বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রথমবার রেজিষ্ট্রেশন করলে এই অ্যাপস থেকে বোনাস পাবেন।এই অ্যাপস দিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই অ্যাপসটির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অনায়াসেই টাকা ইনকাম করা যায়। এটি ডাউনলোড করার পর আপনার সামনে কতকগুলো বিজ্ঞাপন আসবে।
প্রত্যেকটি ভিডিও বা বিজ্ঞাপন দেখার পর আপনার একাউন্টে ডলার জমা হবে। পরবর্তীতে এই ডলারগুলোকে বিকাশ অথবা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ছাত্রছাত্রীগন এই অ্যাপসটি দিয়ে অনায়াসেই পড়াশুনা পরিচালনা করার জন্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া রেফারেল সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এই অ্যাপসটি রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম
৯০এর দশকে টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন একটি কাজ ছিলো। তখনকার দিনের মানুষেরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতো কিন্তু ইনকাম কম হতো।ইনকামের ক্ষেত্রও ছিলো কম। কিন্তু ২১ শতকে ২০২৪ সালে টকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে অতি সহজে প্রতিদিন ৩০০ থেকো ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
Article writing agency
এই বিষয়ে ব্যবসা করতে গেলে আপনার কোন পুঁজির প্রয়োজন হবে না। আপনার যদি লেখালেখি করার হাত থাকে তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি একটা এজেন্সি খুলতে পারবেন। আপনি যেহেতু আর্টিকেল রাইটার সেহেতু যারা আর্টিকেল লিখে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায়।
তবে লেখালেখির হাত থাকলেই হবে না আর্টিকেল লেখা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যত কাজ যেমন:একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা এবং ওয়েবসাইট তৈরী করতে ডোমেইন, হোষ্টিং ক্রয় করা, কিভাবে ওয়েব সাইটটি Setup করবেন সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এছাড়াও কিভাবে একটি SEO friendly আর্টিকেল লিখতে হয় এবং তা Formatting করতে হয় তার পর Publish করতে হয় সে সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করা ইত্যাদি।এর জন্য আগে আপনার প্রয়োজন সঠিক কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষন নেওয়া।এরজন্য Ordinary IT নামক একটি পেশাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যেখানে আপনারা Article writing সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারবেন।এতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ও মনের মধ্যে একটা মানসিক শক্তির সঞ্চার হবে।তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার নিজস্ব একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।তাই এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভালো করে জেনে বুঝে যদি আপনি Article writing এর ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি ব্যবসায় সফল হবেন।
Data entry service
বর্তমান বিশ্বের ও বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের Date base এর কাজগুলো বিভিন্ন Data agency প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে করিয়ে নেয়।এতে তাদের নির্দিষ্ট বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার প্রয়োজন হয় না।এই ব্যবসাটি আপনারা অনায়াসেই নামমাত্র পুঁজিতে শুরু করতে পারেন।এজন্য আপনি যদি Data entry বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারেন তাহলে বেশ ভালো হয়।
YouTube এ বেশকিছু চ্যানেল আছে যার মাধ্যমে আপনারা Data entry বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারেন।যেমন: Farabi Smart Dairy নামক একটি চানেল আছে যারা খুব ভালো মান সম্পর্ন Data Entry প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন।প্রথমদিকে আপনি বাড়িতে নিজে শুরু করতে পারেন তবে কাজের পরিমান বেশি হলে কিছু ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিয়ে আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।
Website তৈরির ব্যবসা
বর্তমান বিশ্বে ২ বিলিয়নের বেশি মানুষ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়তে আছে। সারা পৃথিবীর পাশাপাশি বাংলাদেশেও ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠান এখন স্ব-ইচ্ছায় বা প্রয়োজনের তাগিদে ওয়েবসাইট তৈরি করছে।শুধু প্রতিষ্ঠানই নয় ব্যক্তি পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট রয়েছে।
বিনা পুঁজিতে আরেকটি মজার ব্যবসা হল এই ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা। এটা আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারেন। আপনি যদি দেখেন আপনার কাজের পরিমাণ বেড়ে গেছে তাহলে একজন Web Developer কে সাথে নিয়ে একটা টিম তৈরি করতে পারেন এবং এই টিমকে নিয়ে একটি আইটি প্রতিষ্ঠান Start up করতে পারেন।
E-Book বিক্রির ব্যবসা
আপনি যদি একজন ভালো লেখক হয়ে থাকেন তাহলে E Book এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। E-Book তৈরি করতে গেলে প্রথমে Microsoft অফিসে Draft করে pdf ফাইলে পরিবর্তন করে নিয়ে তা বিক্রি করতে পারেন। এতে প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশনা সংক্রান্ত কোন ঝামেলা থাকে না।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে কাগজের বইয়ের পাশাপাশি E-Book এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে।অনেকেই এখন কাগজের বই না পড়ে E-Book পড়ছে। তাই এখন থেকেই Start up করতে পারেন E-Book এর ব্যবসা।
Training Center এর ব্যবসা
আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হোন যেমন: Cooking , Teaching, Body building, Fashion designing কিংবা সেলাই মেশিনের কাজ তাহলে Training Center প্রতিষ্ঠা করে শুরু করতে পারেন ব্যবসা।এর জন্য প্রয়োজন একটি ঘর এবং যে বিষয়ের উপর কাজ করবেন তা সংশ্লিষ্ট কিছু Equipment.
যদি আপনি রান্না শেখাতে চান তাহলে সেই সংক্রান্ত রেসিপিগুলো ঠিক করে তারপর তা শেখাতে পারেন।Fashion design এর বিষয়গুলো নিয়ে একটি Concept ঠিক করে তা শেখাতে পারেন।শিক্ষকতায় পারদর্শী হলে ছাত্র ছাত্রী পড়ানোর জন্য কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।শরীরচর্চা সম্পর্কে ভালো জানলে উক্ত বিষয় নিয়ে ব্যবসা Startup করতে পারেন।
অনলাইন কনসালটেন্ট
অনলাইন কনসালটেন্সি ফার্ম খুলে বেশ ভালো পরিমান আয় করা সম্ভব।এই ব্যবসা আপনি বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন।
উদাহরন হিসেবে বলা যায় আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী যেমন:খেলাধুলা, শরীরচর্চা, আইন বিষয়ক, বিনিয়োগ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভ্রমন, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারিং,আর্কিটেকচার, Food & Nutrition's সম্পর্কে যদি ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কনসালটেন্সির ব্যবসা করতে পারেন।
প্রথমদিকে কোন ফি ছাড়াই এই কাজটি শুরু করতে পারেন।পরবর্তীতে Brand value বাড়লে অর্থের বিনিময়ে কনসালটেন্সি করতে পারেন।
You Tube Marketing এর ব্যবসা
বর্তমানে You Tube চ্যানেল তৈরী করে আয় করার প্রবনতা বেশ দেখা যাচ্ছে।You Tube চ্যানেলের মাধ্যমে খুব ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।তাই বিনা পুঁজির উৎকৃষ্ট এক ব্যবসা হলো এই You Tube চ্যানেল।বর্তমানে যারা নিজেদের চ্যানেলে ১ লক্ষ Subscriber আনতে পেরেছে তারা বেশ Handsome পরিমানে আয় করছে।
You Tube চ্যানেল খোলার পর নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
- Niche নির্বাচন করতে হবে।
- You Tube video editing technics with screen recording সম্পর্কে জানতে হবে।
- You Tube video editor, screen cards setup & video visibility technics সম্পর্কে জানতে হবে।
- অফপেজ SEO, প্লে-লিষ্টের প্রয়োজনীয়তা ও টেকনিকস,ভিডিও ডিউরেশন ফ্যাক্টর বিশ্লেষন,You Tube এর সাথে এডসেন্স কানেক্ট করা, You Tube analytics সম্পর্কে জানতে হবে।
- কিভাবে ভিউয়ারদের Activity মডারেশন করতে হয়।
- জেনারেল একাউন্ট ও ব্র্যান্ড একাউন্ট কিভাবে করতে হয়।
- এডস ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টেকনিকস ও হ্যাকস সম্পর্কে জানতে হবে।
- কন্টেন্ট রিক্রিয়েশন টেকনিকস, ফেয়ার ইউজ ও ক্রিয়েটিভ কমন্সের সঠিক ইউজ সম্পর্কে জানতে হবে।
- ভিডিও শুটিং ও এডিটিং সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
- হ্যাকিং থেকে You Tube চ্যানেল ও গুগল একাউন্ট সুরক্ষার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যদি You Tube চ্যানেল করতে পারেন তাহলে অবশ্যেই You Tube মার্কেটিং ব্যবসায় সফল হবেন।
বিকাশে ১০০০ ইনকাম
বিকাশ থেকে টাকা ইনকামের কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বর্তমানে বিকাশের কার্যকর উপায়গুলো নিয়ে কিছু আইডিয়া আপনাদের কাছে শেয়ার করবো।
এই আইডিয়া থেকে যেটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং ভালো মনে হবে সেই উপায়টি ব্যবহার করে আপনি বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিকাশ রেফার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম
বিকাশ থেকে টাকা ইনকামের খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম এটি।যাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে তারা বিকাশ অ্যাপ এর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আপনাদের ব্লগ ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রমোট করে হাজার হাজার বিকাশ অ্যাপ রেফার করার সুযোগ পাচ্ছেন যা থেকে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রতি রেফারে ১০০ টাকা বিনিময় করে বিকাশ থেকে Reward পাওয়া যায়।আপনার আশেপাশে যারা বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন না, তাদেরকে আপনি বিকাশ অ্যাপটি ইনষ্টল করে দিতে পারেন আপনার রেফার লিংক ব্যবহার করে।
যদি আপনার কথা মতো রেফার লিংক ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করে দিতে পারেন তাহলে ব্যবহারকারী প্রতি রেফারে পাবেন ১০০ ও আপনি বিকাশ অ্যাপ থেকে পাবেন ১০০ টাকা Reward.
ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম এ বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বিনিয়োগ করে টাকা ইনকাম
একটা সময় ছিলো যখন ট্রেডিং প্লাটফর্ম থেকে বাংলাদেশীরা বিনিয়োগ করতে পারতো না। কিন্তু পরবর্তীতে বিকাশ আসার পর এই সকল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশী টাকায় বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে।তবে সব ওয়েবসাইট বিকাশ পেমেন্ট গ্রহন করে না তাই আপনাকে ওয়েবসাইটগুলো যাচাই করে নিতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকগুলো ট্রেডিং অ্যাপস ও ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে আপনি খুব বিশ্বাসের সাথে বাংলাদেশী টাকা বিনিয়োগ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
Reward পয়েন্ট ব্যবহার করে বিকাশ থেকে ইনকাম
বিকাশের Reward পয়েন্টকে কতকগুলো স্তরে ভাগ করা হয়েছে যেমন:ব্রোঞ্জ, সিলভার, টাইটেনিয়াম, গোল্ড, প্লাটিনাম ও ডায়মন্ড। এই স্তর অনুযায়ী আপনারা বিভিন্ন Reward সংগ্রহ করতে পারবেন।যদি আপনি Reward সিস্টেমটি ব্যবহার করতে না চান তাহলে Disable করে রাখতে পারেন।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন মাধ্যমগুলো সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন অনলাইনে টাকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। শুধুমাত্র একটু ধৈর্য্য ও দক্ষতা থাকলে কত সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url