শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় - কম বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা হয়েছে শুন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়গুলো নিয়ে। আরোও আলোচনা করা হয়েছে কম বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায়গুলো নিয়ে।বেশী টাকা রোজগার করার একমাত্র মাধ্যম হলো ব্যবসা। নীচে কোটিপতি হওয়ার বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিকস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন যারা কোটিপতি হয়েছেন তাদের গল্পগুলো নিয়ে।আপনাদের জন্য ২০২৪ সালের লাভজনক ব্যবসাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এই ব্যবসাগুলো ভালোভাবে জেনে করতে পারলে, বেশ ভালো পরিমান রোজগার করতে পারবেন।আরোও আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে শুন্য থেকে কোটিপতি হওয়া যায়।
এবং কিভাবে কম বয়সে কোটিপতি হওয়া যায়। কিভাবে দ্রুত কোটিপতি হওয়া যায় ও ছোট ছোট ব্যবসা করেও কিভাবে ধনী হওয়া যায় তা নিয়েও বিস্তারীত আলোচনা করা হয়েছে।
দ্রুত কোটিপতি হওয়ার উপায়
বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষের প্রবৃত্তি হলো কত দ্রুত টাকা রোজগার করে কোটিপতি হবে। কারন বর্তমান সমাজে যার যত বেশী টাকা আছে তার তত বেশী সম্মান এক্ষেত্রে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন দেশে কোটিপতি হতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।
অনেক সাধনা, ত্যাগ-তিথিক্ষা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে টাকা রোজগার করে ধনী হতে হয়। আমেরিকার বিল গেটস, ফোর্ড, কার্নেগী, রকফেলার, জার্মানির ক্রপস, স্টিভ সিবোল্ড, মিতসুবিশি, হোন্ডা,ভারতের টাটা, বিড়লা সকলেই প্রচুর পরিশ্রম করে আজ তারা এই পর্যায়ে এসেছে।
দ্রুত কোটিপতি হওয়ার Tips & Tricks
কার্যকরী বিনিয়োগ: আপানার প্রথম বিনিয়োগ হিসেবে আপনি যদি অতিরিক্ত সময়ের সৎ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই বেশি উপার্জন করতে পারবেন। বেশিরভাগ ধনীরা তাদের বাৎসরিক আয়ের ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেন।
I will teach you to be rich বইয়ের লেখক রামিত শেঠি বলেন “কখনোই ধন সম্পদের পরিমাপ প্রতি বছর যে মোট উপার্জন করে তা দিয়ে পরিমাপ করা উচিত নয় বরং একজন ব্যাক্তির সঞ্চয় করার পদ্ধতি ও অতিরিক্ত সময়কে তিনি কিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তা দিয়ে পরিমাপ করা উচিত”।
বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে অর্থনিতীতে আপনাকে খুব দক্ষ হতে হবে কিংবা অভিজাত পরিবারের সন্তান হতে হবে ব্যাপারটা তা নয়। আপনি যদি ব্যংক, শেয়ার বাজার, সঞ্চয় পত্র ও অন্যান্য ছোট ছোট Skim এ ছোট ছোট বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে একদিন দেখবেন এই ছোট বিনিয়োগগুলো বিরাট আকার ধারন করেছে।
স্বপ্ন দেখতে হবে: সফল ব্যাক্তিরা সব সময় কাজকে ভালোবাসে অর্থাৎ সফল ব্যাক্তিরা সবসময় স্বপ্ন দেখে।বেশিরভাগ মানুষ অন্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। নিজের পছন্দের পেশায় এসেও অন্যের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে করতে এক সময় তার পছন্দের পেশাটির উপর বিরক্তি চলে আসে।
তাই আমাদের অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে তা না হলে অতৃপ্তি ও অসন্তোষ মনকে অস্তির করে তুলবে। তাই নিজের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
অলসতাকে বাদ ঝুঁকি নিতে হবে:আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে অবশ্যই অলসতা নামক রোগটিকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং অনিশ্চয়তাকে জীবনের সঙ্গী বানাতে হবে।কারন ধনী হতে হলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় যা আপনাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয় আর ঝুঁকি না নিলে আপনি কখনোই ধনী হতে পারবেন না।
ধনী ব্যক্তিরা সবসময় অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজের সুখ খুঁজে নেয়। মানুষের মধ্যবিত্ত থাকার জন্য মধ্যবিত্ত মানুষিকতা দায়ী ।কারন মধ্যবিত্ত মানুষেরা কখনোই অনিশ্চয়তার জীবন বা ঝুঁকিপুর্ন জীবনের কষ্ট বহন করতে পারে না। ধনীরা অনিশ্চয়তার ভয়কে জয় করে ধনী হয়।
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারন করতে হবে যে আপনি কত টাকার মালিক হতে চান আপনি কি একটি বাড়ি কিনতে চান, বিদেশে যেতে চান, জাকজমক অবসর কাটাতে চান ইত্যাদি।ধনী ব্যক্তিরা সবসময় সম্পদ অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় এবং পরিকল্পনামাফিক কাজ করে।পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে সে কাজের ফলাফল পজিটিভ হয়।
লক্ষ্য নির্ধারন: ধনী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই সাহসী, জ্ঞান সমৃদ্ধ ও প্রচুর পরিশ্রমী হতে হবে। লক্ষ্য যদি আপনার নির্ধারন করা থাকে এই সকল গুনাবলী তার কার্যকারিতা পায়।বেশিরভাগ মানুষ জানে না আসলে তারা প্রকৃতপেক্ষ কতটুকু চাই, এখানেই ধনীদের থেকে পার্থক্য নির্ধারন হয়ে যায় কারন ধনীদের ধন সম্পদ পাওয়ার আকাঙ্খা ও লক্ষ্যের মধ্যে একটা মেলবন্ধন থাকে।
শুধুমাত্র ভাগ্যে বিশ্বাস: অনেকের মাধ্যে একটা বদ্ধমুল ধারনা আছে যে ভাগ্যে না থাকলে ধনী হওয়া যায় না। বিনিয়োগযোগ্য সেবা দেয়ার মতো সামর্থ থাকলে এবং আপনি যদি কোনো পুজিবাদী রাষ্ট্রে বসবাস করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ধনী হবেন।শুধুমাত্র ভাগ্যের উপর সবকিছু ছেড়ে না দিয়ে পরিকল্পিত, দুরদৃষ্টি সম্পুর্ন লক্ষ্য নির্ধারন করে কাজে নেমে পড়ুন।
সঞ্চয় করার পর খরচ করুন: The automatic millionaire বইয়ের লেখক ডেভিড ব্যাচ বলেন বেশিরভাগ মানুষ টাকা হাতে আসার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের খরচ করে থাকে যেমন:কেনাকাটা করা, বাড়ি ভাড়া, ক্রেডিট কার্ড বিল ও টেলিফোন বিল ইত্যাদি প্রদান করে থাকে। কিন্তু এটা উল্টো হওয়া উচিত ছিলো সঞ্চয় করার পর অবশিষ্ট অংশ খরচ করুন।
অর্থাৎ খরচের বাজেট করার সময় আগে সঞ্চয়টা নিশ্চিত করুন তারপর খবচের খাত নির্ধারন করুন।
আয় ও ব্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্যতা নিরুপন: আপনার মধ্যে যদি আয়ের চেয়ে ব্যায়ের প্রবনতা বেশি থাকে তাহলে কখনোই ধনী হতে পারবেন না। আয় বৃদ্ধির সাথে ব্যায় বৃদ্ধির হার বাড়াবেন না। জীবনযাত্রার মানে বিলাসিতার প্রভাব যেন কোন ভাবেই না পড়ে কারন এতে ব্যায় বৃদ্ধি পায়।
গ্র্যান্ট ক্যারডোন নাম একজন মিলিওনিয়ার বলেন, “যতক্ষন না আমার ব্যবসা একটা নিরাপদ ও নিশ্চিত লাভের অবস্থানে না এসেছে ততক্ষন নিজের জন্য একটা ভালো ঘড়ি ক্রয় করিনি”।
কম বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায়
পাইকারি ব্যবসাতে উৎপাদনকারীর কাছ থেকে খুব কম মূল্যে উৎপাদনকারীর পণ্য ক্রয় করা হয়। আবার এই ক্রয়-কৃত পণ্য অল্প লাভে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর এইসব ছোট ব্যবসায়ী খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা মূল্যে বা পাইকারি দামের তুলনায় একটু বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে থাকে। পাইকারি ব্যবসাতে খুব অল্প সময়ে বেশি মুনাফা লাভ করা যায়।
কাপড়ের ব্যবসা
বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসা হল একটি জনপ্রিয় পাইকারি ব্যবসা। আপনি চাইলে পাইকারি দরে নিত্য প্রয়োজনীয় কাপড় ক্রয় করে হাট বাজার বা গঞ্জে খুচরা দামে বিক্রি করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে জানতে হবে কোথায় থেকে পাইকারি দরে কাপড় কিনবেন সেই সম্পর্কে।বাংলাদেশে বিভিন্ন কাপড়ের পাইকারি মোকামগুলো নীচে দেওয়া হলো।
- ভুলতা গাউছিয়া কাপড়ের পাইকারি মার্কেট
- ইসলামপুর কাপড়ের পাইকারি মার্কেট
- গুলিস্তান কাপড়ের পাইকারি মার্কেট
- কেরানীগঞ্জ কাপড়ের পাইকারি মার্কেট
- বাবুরহাট কাপড়ের পাইকারি মার্কেট
- বান্টি বাজার বাটিক থ্রি পিসের পাইকারি মার্কেট
- মিরপুর ১১ কাপড়ের পাইকারি মার্কেট
- নরসিংদী বাবুরহাট পাইকারি কাপড়ের মার্কেট
- সাভার বাইপাইল পাইকারি মার্কেট
- গুলশান মার্কেট পাইকারি ফেনী
- দুরু মিয়া মার্কেট পাইকারি চট্টগ্রাম
- রিয়াজউদ্দিন মার্কেট পাইকারি চট্টগ্রাম
- করোটিয়া কাপড়ের বাজার টাঙ্গাইল
- কাপড় পট্টি পাইকারি মার্কেট নওগাঁ
উপরোক্ত মার্কেটগুলো থেকে প্রয়োজনীয় কাপড় গুলো পাইকারি দরে কিনে আপনি আপনার এলাকায় বিক্রি করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসা করতে গেলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েই শুরু করতে পারেন।
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পাইকারি ব্যবসা
বর্তমান আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য যেমন: লাইট টিউবলাইট, তার, সকেট, সুইচ ও বিভিন্ন ধরনের বিদ্যুতিক সরঞ্জামাদি যন্ত্রা যন্ত্রাংশের ব্যাপক চাহিদা বিদ্যমান। বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যেগুলো অধিক হারে ব্যবহার হচ্ছে।
এই পণ্যগুলো আপনারা গুলিস্তান ইলেকট্রনিক্স মার্কেট, নবাবপুর ইলেকট্রনিক্স মার্কেট গুলো থেকে পাইকারি দরে কিনে আপনার এলাকায় যেখানে বাজার আছে সেখানে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন অথবা আপনি নিজেই একটি দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করতে গেলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েই শুরু করতে পারেন।
ফলের পাইকারি ব্যবসা
ফল সকলেরই পছন্দের একটি খাবার পৃথিবীর এমন কোন মানুষ নেই যারা ফল পছন্দ করেন না।পূর্বে গ্রামের চেয়ে শহরের লোকদের কাছে ফল আমদানি ও বিক্রয় করা হলেও বর্তমানে গ্রামের বাজারগুলোতেও ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে শহর এবং গ্রামের ফলের দোকানগুলোতে সারা বছরই ফলের ক্রেতা পাওয়া যায়।
দিনে দিনে এই ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে আছে। তাই অল্প পুঁজি খাটিয়ে আপনারা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ৫০হাজার টাকা দিয়ে আপনারা ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই জন্য আপনাদেরকে যেতে হবে ঢাকার বাদামতলীর ফল বাজার মার্কেটে যেখানে বিদেশী ফল বিক্রয় হয় ও ওয়াইজঘাট ফলের মার্কেট যেখানে দেশী ফল বিক্রয় হয়।
এই বাজারগুলো থেকে ফল কিনে আপনারা নিজেদের এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন অথবা নিজেরাই দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
স্টেশনারি পন্যের পাইকারি ব্যবসা
বর্তমানে স্টেশনারি আইটেম যেমন: খাতা, কলম, পেন, পেন্সিল রাবার ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই সব পন্যের ক্রেতা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অফিস, আদালতের সকল কাজে এই স্টেশনারি পণ্যগুলো প্রয়োজন হয়।
আপনি নিম্নে উল্লেখিত পাইকারি মার্কেটগুলো থেকে পন্য ক্রয় করে আপনার এলাকায় খুচরা ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করতে পারেন অথবা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাদের ঐসব মার্কেটে শো-রুম আছে তাদের কাছ থেকে ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।৫০ হাজার টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
- বাংলাবাজার পাইকারি মার্কেট
- নীলক্ষেত স্টেশনারি পাইকারি মার্কেট
- চকবাজার স্টেশনারি মার্কেট
- নিউমার্কেট স্টেশনারি মার্কেট
- আল্লাহ করিম মসিজিদ মার্কেট মোহাম্মদপুর
- ধানমন্ডি স্টেশনারি পাইকারি মার্কেট
- নয়াবাজার স্টেশনারি পাইকারি মার্কেট
- ফার্মগেট স্টেশনারি পাইকারি মার্কেট
- গুলিস্থান স্টেশনারি পােইকারি মার্কেট
কসমেটিক্সের পাইকারি ব্যবসা
কসমেটিক্সের ব্যবসা বর্তমানে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এই পণ্যটি নারী, পুরুষ সকলের কাছে বর্তমানে খুবই প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয়। দিন দিন এই পণ্যগুলোর চাহিদা আমাদের দেশের ব্যাপকভাবে বাড়তে আছে। এই পণ্যগুলো পাইকারি মার্কেট থেকে কিনে আপনার এলাকায় বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
এই ব্যবসাটি ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে শুরু করা যায়।
- নিউমার্কেট কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট
- চকবাজার কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট
- ফার্মগেট কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট
- গুলিস্থান কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট
- মিরপুর কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট
- মোহাম্মদপুর কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট
- রিয়াজুদ্দিন বাজার কসমেটিক্স পাইকারি মার্কেট চট্টগ্রাম
উপরোক্ত মার্কেটগুলো থেকে যদি পণ্য কিনতে পারেন তাহলে আপনারা বেশ লাভবান হতে পারবেন। কারণ এইসব বাজারগুলোতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব শোরুম আছে যেখান থেকে আপনারা পাইকারি দামে পণ্য কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়
Article writing agency
এই বিষয়ে ব্যবসা করতে গেলে আপনার কোন পুঁজির প্রয়োজন হবে না। আপনার যদি লেখালেখি করার হাত থাকে তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি একটা এজেন্সি খুলতে পারবেন। আপনি যেহেতু আর্টিকেল রাইটার সেহেতু যারা আর্টিকেল লিখে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায়।
তবে লেখালেখির হাত থাকলেই হবে না আর্টিকেল লেখা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট যত কাজ যেমন:একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা এবং ওয়েবসাইট তৈরী করতে ডোমেইন, হোষ্টিং ক্রয় করা, কিভাবে ওয়েব সাইটটি Setup করবেন সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এছাড়াও কিভাবে একটি SEO friendly আর্টিকেল লিখতে হয় এবং তা Formatting করতে হয় তার পর Publish করতে হয় সে সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করা ইত্যাদি।এর জন্য আগে আপনার প্রয়োজন সঠিক কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষন নেওয়া।এরজন্য Ordinary IT নামক একটি পেশাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
যেখানে আপনারা Article writing সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারবেন।এতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে ও মনের মধ্যে একটা মানসিক শক্তির সঞ্চার হবে।তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার নিজস্ব একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।তাই এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভালো করে জেনে বুঝে যদি আপনি Article writing এর ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি ব্যবসায় সফল হবেন।
Data entry service
বর্তমান বিশ্বের ও বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের Date base এর কাজগুলো বিভিন্ন Data agency প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে করিয়ে নেয়।এতে তাদের নির্দিষ্ট বেতনভুক্ত কর্মচারী রাখার প্রয়োজন হয় না।এই ব্যবসাটি আপনারা অনায়াসেই নামমাত্র পুঁজিতে শুরু করতে পারেন।এজন্য আপনি যদি Data entry বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারেন তাহলে বেশ ভালো হয়।
YouTube এ বেশকিছু চ্যানেল আছে যার মাধ্যমে আপনারা Data entry বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে পারেন।যেমন: Farabi Smart Dairy নামক একটি চানেল আছে যারা খুব ভালো মান সম্পর্ন Data Entry প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন।প্রথমদিকে আপনি বাড়িতে নিজে শুরু করতে পারেন তবে কাজের পরিমান বেশি হলে কিছু ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিয়ে আপনার ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারেন।
Website তৈরির ব্যবসা
বর্তমান বিশ্বে ২ বিলিয়নের বেশি মানুষ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। এই সংখ্যাটা দিনে দিনে বাড়তে আছে। সারা পৃথিবীর পাশাপাশি বাংলাদেশেও ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠান এখন স্ব-ইচ্ছায় বা প্রয়োজনের তাগিদে ওয়েবসাইট তৈরি করছে।শুধু প্রতিষ্ঠানই নয় ব্যক্তি পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণে ওয়েবসাইট রয়েছে।
বিনা পুঁজিতে আরেকটি মজার ব্যবসা হল এই ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা। এটা আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারেন। আপনি যদি দেখেন আপনার কাজের পরিমাণ বেড়ে গেছে তাহলে একজন Web Developer কে সাথে নিয়ে একটা টিম তৈরি করতে পারেন এবং এই টিমকে নিয়ে একটি আইটি প্রতিষ্ঠান Start up করতে পারেন।
E-Book বিক্রির ব্যবসা
আপনি যদি একজন ভালো লেখক হয়ে থাকেন তাহলে E Book এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। E-Book তৈরি করতে গেলে প্রথমে Microsoft অফিসে Draft করে pdf ফাইলে পরিবর্তন করে নিয়ে তা বিক্রি করতে পারেন। এতে প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশনা সংক্রান্ত কোন ঝামেলা থাকে না। বর্তমান ডিজিটাল যুগে কাগজের বইয়ের পাশাপাশি E-Book এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
অনেকেই এখন কাগজের বই না পড়ে E-Book পড়ছে। তাই এখন থেকেই Start up করতে পারেন E-Book এর ব্যবসা।
Training Center এর ব্যবসা
আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হোন যেমন: Cooking , Teaching, Body building, Fashion designing কিংবা সেলাই মেশিনের কাজ তাহলে Training Center প্রতিষ্ঠা করে শুরু করতে পারেন ব্যবসা।এর জন্য প্রয়োজন একটি ঘর এবং যে বিষয়ের উপর কাজ করবেন তা সংশ্লিষ্ট কিছু Equipment.
যদি আপনি রান্না শেখাতে চান তাহলে সেই সংক্রান্ত রেসিপিগুলো ঠিক করে তারপর তা শেখাতে পারেন।Fashion design এর বিষয়গুলো নিয়ে একটি Concept ঠিক করে তা শেখাতে পারেন।শিক্ষকতায় পারদর্শী হলে ছাত্র ছাত্রী পড়ানোর জন্য কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।শরীরচর্চা সম্পর্কে ভালো জানলে উক্ত বিষয় নিয়ে ব্যবসা Startup করতে পারেন।
অনলাইন কনসালটেন্ট
অনলাইন কনসালটেন্সি ফার্ম খুলে বেশ ভালো পরিমান আয় করা সম্ভব।এই ব্যবসা আপনি বিনা পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন।
উদাহরন হিসেবে বলা যায় আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী যেমন:খেলাধুলা, শরীরচর্চা, আইন বিষয়ক, বিনিয়োগ, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভ্রমন, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারিং,আর্কিটেকচার, Food & Nutrition's সম্পর্কে যদি ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কনসালটেন্সির ব্যবসা করতে পারেন।
প্রথমদিকে কোন ফি ছাড়াই এই কাজটি শুরু করতে পারেন।পরবর্তীতে Brand value বাড়লে অর্থের বিনিময়ে কনসালটেন্সি করতে পারেন।
You Tube Marketing এর ব্যবসা
বর্তমানে You Tube চ্যানেল তৈরী করে আয় করার প্রবনতা বেশ দেখা যাচ্ছে।You Tube চ্যানেলের মাধ্যমে খুব ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।তাই বিনা পুঁজির উৎকৃষ্ট এক ব্যবসা হলো এই You Tube চ্যানেল।বর্তমানে যারা নিজেদের চ্যানেলে ১ লক্ষ Subscriber আনতে পেরেছ তারা বেশ Handsome পরিমানে আয় করছে।
- You Tube চ্যানেল খোলার পর নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
- Niche নির্বাচন করতে হবে।
- You Tube video editing technics with screen recording সম্পর্কে জানতে হবে।
- You Tube video editor, screen cards setup & video visibility technics সম্পর্কে জানতে হবে।
- অফপেজ SEO, প্লে-লিষ্টের প্রয়োজনীয়তা ও টেকনিকস,ভিডিও ডিউরেশন ফ্যাক্টর বিশ্লেষন,You Tube এর সাথে এডসেন্স কানেক্ট করা, You Tube analytics সম্পর্কে জানতে হবে।
- কিভাবে ভিউয়ারদের Activity মডারেশন করতে হয়।
- জেনাবেল একাউন্ট ও ব্র্যান্ড একাউন্ট কিভাবে করতে হয়।
- এডস ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টেকনিকস ও হ্যাকস সম্পর্কে জানতে হবে।
- কন্টেন্ট রিক্রিয়েশন টেকনিকস, ফেয়ার ইউজ ও ক্রিয়েটিভ কমন্সের সঠিক ইউজ সম্পর্কে জানতে হবে।
- ভিডিও শুটিং ও এডিটিং সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
- হ্যাকিং থেকে You Tube চ্যানেল ও গুগল একাউন্ট সুরক্ষার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যদি You Tube চ্যানেল করতে পারেন তাহলে অবশ্যেই You Tube মার্কেটিং ব্যবসায় সফল হবেন।
ছোট ব্যবসা করে ধনী হওয়ার উপায়
বাংলাদেশের বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে রয়েছে গ্রাম,দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে।গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস কৃষিকাজ। কিন্তু বর্তমানে তারা শুধুমাত্র কৃষির উপর নির্ভর করে থাকেতে চাইনা, তারা অন্যকোন ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু তাদের কাছে কোন ধারনা নেই যে তারা কিসের ব্যবসা করবে।আজকের আর্টিকেলটিতে নতুন Start-up ব্যাবসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মশা তাড়াবার ক্রিম বানানোর ব্যবসা
গরমের দিনে মশার উপদ্রবের কথা আমরা সকলেই জানি। মশা যে শুধু আমাদের ঘুমানোর সময় বিরক্ত করে তা নয়। কিছু বিশেষ শ্রেণীর মশা কামড়ানোর ফলে আমাদের শরীরে নানা রকমের রোগ দানা বাঁধে। এর মধ্যে ম্যালেরিয়ার কথা কে না জানে, তাছাড়া রয়েছে আরেকটি মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। আজকাল মশার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ক্রিম ব্যবহার করছেন রাতের বেলা।
কিছু কিছু ক্রিম আছে যেগুলো গায়ে মাখলে মশা কামড়ায় না বটে কিন্তু সে ক্রিম শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এখানে মশা তাড়ানোর কিছু ক্রিমের ফর্মুলা দেওয়া হল। এটি লাগালে মশা গায়ে বসবে না। উপরন্তু এটি শরীরে লাগালে ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষনায় দেখা গেছে যে বিভিন্ন মশাকে তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের প্রয়োজন হয় ।
এই কথা মনে রেখে তারা তিন রকম ফর্মুলার কথা বলেছেন। এই তিনটি ফর্মুলার তৈরি ক্রিম বিভিন্ন জাতের মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
১ নং ফর্মুলা
- ডাইমিথাইল থ্যালেট - ৩ ভাগ
- ডাইমিথাইল কার্বেট - ৩ ভাগ
- ২-ইথাইল-১, ৩ হেক্সানিডিয়োল - ৪ ভাগ
২ নং ফর্মুলা
- ডাইমিথাইল থ্যালেট - ৩ ভাগ
- ইনডেলোন - ১ ভাগ
- ২-ইথাইল-১, ৩ হেক্সানিডিয়োল - ১ ভাগ
৩ নং ফর্মুলা
- ডাইমিথাইল থ্যালেট - ৩ ভাগ
- ইনডেলোন - ১ ভাগ
- ডাই মিথাইল কার্বেট - ১ ভাগ
৪ নং ফর্মুলা
- স্টিয়ারিক এসিড - ১০ ভাগ
- ভেসলিন - ১৫ ভাগ
উপরোক্ত যেকোনো একটি ফর্মুলা নিয়ে সব পদার্থগুলোকে গলিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নীচের পদার্থগুলোর সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
- সিট্রোনেলা অয়েল - ৫০ ভাগ
- পরথরম এক্সট্র্যাক্ট - ৫ ভাগ
- ডাইইথিলিন গ্লাইকল - ৫ ভাগ
- কর্পুর - ৫ ভাগ
- পাইন অয়েল - ৫ ভাগ
এইভাবে তৈরীকৃত ক্রীম শোবার আগে সারা শরীরে মেখে ঘুমালে মশা কামড়ায় না।
প্লাষ্টিকের ডায়েরি কভার, পার্সের ব্যবসা
আজকাল ডায়েরির কভার প্লাস্টিকের তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও চশমার খাপের মত আরো বহু বস্তু প্লাস্টিকের তৈরি হতে শুরু হয়েছে। এটি তৈরি করার জন্য পি.বি.সি প্লাস্টার ক্লথ বিভিন্ন রঙের ও ডিজাইনের এবং বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায়। সাধারণত ডায়েরির কভার পার্স প্রভৃতি ৮ থেকে ১৪ গেজ পর্যন্ত মোটা প্লাস্টিরে চাদর দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
এই কাজে যে মেশিন ব্যবহার হয় তার নাম হাই ফ্রিকুয়েন্সি মেশিন। এই মেশিন পুরনো ঢাকার জিনজিরাতে পাওয়া যায়। এই মেশিনের মাঝখানে কম বেশি ১২ ইঞ্চি চওড়া একটি প্লাটফর্মের মতো দেখতে প্লেট লাগানো থাকে এবং উহার ওপর দিকে একটি ডাই-হোল্ডার লাগানো থাকে। যেরকম সাইজের মাল তৈরি হবে সেই সাইজেরই ডাই-হোল্ডার লাগাতে হবে।
পার্স অথবা ডায়েরির কভার তৈরি করতে মেশিনে দুইজন শ্রমিক কাজ করে একজন শ্রমিক প্রয়োজন অনুযায়ী পি.বি.সি এর শিট কাঁচ দিয়ে কেটে দেয়। এটা করলে ডাই নীচে আসে। চাপের এবং গরমের সাহায্যে এই টুকরো গুলিকে শক্ত করে আটকে দেয়। এইভাবে বস্তুটি তৈরি হয়। এই মেশিনে গরম সৃষ্টি করার জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার করা যায়।
যদি মেশিনে তৈরি এইসব কভারে নিজের ফার্মের ট্রেডমার্ক লাগাতে চান তাহলে সেই ব্যবস্থাও আছে এই মেশিনে।
গুঁড়ো মসলা তৈরীর ব্যবসা
যেকোনো রান্নার কাজে গুঁড়ো মশলা অপরিহার্য একটি উপাদান। এই মশলা ছাড়া কোন কিছু রান্না করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে এই মশলার চাহিদা ব্যাপক। মশলাগুলোর মধ্যে রয়েছে হলুদ, মরিচ, জিরা ধোনিয়া ইত্যাদি। একটা সময় ছিল যখন বাড়ির বৌউরা পাটায় পিষে মশলা ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে এখন সবাই মশলার গুঁড়ো ব্যবহার করেন।
কারন মশলা গুঁড়ো করা অত্যন্ত ঝামেলার একটি কাজ।তাই বর্তমানে এই মসলা গুঁড়োর চাহিদাকে মাথায় রেখে একটি মশলা গুঁড়ো করা মেশিন কিনে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এই ব্যবসায় মেশিন ও কাঁচামাল ক্রয় বাবদ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে। তারপর মসলাগুলোকে প্যাকেটে ভরে আপনারা বিভিন্ন খুচরা দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।
পনীর তৈরীর ব্যবসা
পনির তৈরির জন্য ক্রিম বের করা দুধকে খুবই সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নরম পনিরকে কর্টেজ চীজ বলা হয়। এটি সহজে হজম হয়ে যায়। এটি হাড় মজবুত করে শরীর গঠনে সাহায্য করে। দুধ যেখানে বেশি উৎপন্ন হয় সেখানে পনির তৈরি করা বেশ লাভজনক ব্যবসা। এটি তৈরি করতে বিশেষ কিছু দরকার হয় না। এটি তৈরি করা সহজ এবং কম সময়ে এটি তৈরি করা যায়।
পনির তৈরীর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
- স্টীম-জ্যাকেট লাগানো ট্যাঙ্ক
- বিশেষ প্রকার কার্ভ-নাইভস
- পানি ছাঁকার জালি
- ডেয়ারী থার্মোমিটার
যদি এই কাজ কারখানা স্তরে শুরু করেন তাহলে উপরোক্ত সরঞ্জাম ছাড়াও এসিডিটি টেস্ট করার জন্য টেস্ট টিউব, পিপেট ইত্যাদি রাখতে হবে।
প্রস্তুত প্রণালী
পনির তৈরি করার দুটি প্রণালী রয়েছে
- শর্ট সেটিং প্রসেস
- লং টাইম কঙ্গুলেশন প্রসেস
এই দুটোর মধ্যে প্রথম প্রণালী ব্যবসায়িক ডেয়ারিতে প্রযুক্ত হয় যেখানে সকালবেলায় পাওয়া দুধ সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত পনির তৈরি করে নেওয়া যায়। এবং দ্বিতীয় প্রণালীতে সেই সব ডেয়ারির জন্য উপযুক্ত যেখানে সকালবেলা দুধ সব বিক্রি হয়ে যায় এবং সন্ধ্যেবেলায় সংগৃহীত দুধ দিয়ে সারা রাত্রি পনির তৈরি করা হয়ে থাকে।
পনির তৈরির জন্য যে ক্রিম বের করে নেওয়া দুধ ব্যবহার করা হয় তা টাটকা হতে হবে এবং ৬২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে যাতে সকল রোগ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। এই দুধকে জমানোর সঠিক তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি থেকে ৩২ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হতে হবে। দীর্ঘসূত্রী প্রণালীতে কম বেশি ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা পর্যন্ত ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে।
যতক্ষণ না দুধ জমে, ততক্ষণ ট্যাংকের স্টিম জ্যাকেটে থাকা পানির সেই তাপমাত্রা থাকা উচিত যে তাপমাত্রা দুধের থাকে। দুধকে জমানোর জন্য ০.৫ থেকে ১০ ফারেনহাইট তাপমাত্রায় পনির স্টার্টার মেশাতে হবে। এটি নির্ভর করে দুধকে জমাতে কত মাত্রা দিতে হবে তার ওপর।
শর্ট সেটিং প্রণালীতে স্টার্টার এর মাত্রা ০.৫ থেকে ৯০% এবং লং সেটিং পদ্ধতিতে ০.৫ শতাংশ পর্যন্ত রাখা যেতে পারে।স্টার্টার মেশাবার পর কম করে ১০-১৫ মিনিট ধরে দুধটাকে নাড়তে হবে। যদি প্রয়োজন হয় এই সময় পনিরে রং মিশিয়ে নিতে পারেন। পনির রেনেট দিয়েও তৈরি করা যেতে পারে। তাহলে ১০০০ কেজি দুধ কম বেশি ২ মিমি রেনেট মেশাতে হবে।
রেনেট স্টার্টার মেশাবার পরেই মিশিয়ে দিতে হবে।
দ্রষ্টব্য: রেনেটের নিজস্ব মাত্রা থেকে ৪০ গুণ বেশি মাত্রায় জলে মিশিয়ে তারপর দুধে দিয়ে দুই ঘন্টা বেশ ভালো করে নাড়তে হবে, যাতে বস্তুটি সমস্ত দুধের সঙ্গে সমানভাবে মিশে যায়। ট্যাংকের তাপমাত্রাও ঠিক করে নিতে হবে। এই দুধের তাপমাত্রা যা হবে স্টীম জ্যাকেটে ভরা জলের তাপের পরিমাণও যেন তাই হয়।
উপরে বর্ণিত প্রণালীতে দুধ জমে গেলে তা কার্ভ-নাইফ দিয়ে কেটে নিতে হবে। এটা বরফ যেভাবে কাটা হয় সেভাবে কাটতে হবে এই জমাট ভাবটি সহজে করতে হলে একটু গরম করে নিতে হবে।তবে সরাসরি আচেঁ গরম করা যাবে না। স্টীম জ্যাকেটে লাগানো ট্যাংকে ঢেলে বাষ্পের সহযোগিতায় গরম করতে হবে।
প্রথম অবস্থায় ট্যাংকের ভিতর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে আধা ঘন্টায় ৪১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত করতে হবে, যখন দুধ একটু কড়া হয়ে যাবে তখন তাপমাত্রা ৪১° থেকে ৫৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে হবে।তৈরির সময় একটু নাড়িয়ে নিতে হবে যাতে তলায় না বসে যায়।
দ্রষ্টব্য:সাধাারন অবস্থায় উপযুক্ত টুকরো গুলিকে কমবেশি এক বা দেড় ঘন্টায় পাকিয়ে নিতে হবে।
যেমন বরফের টুকরা তৈরি হতে হতে শক্ত হয়ে যায় তেমনি এটিও হয়। তখন ট্যাংক খুলে সেগুলি বের করে নিতে হয় সেই সঙ্গে ট্যাংকে লাগানোর জ্যাকেটের খোল খুলে তাতে ভরে রাখা পানির বের করে দিতে হবে। আবার সেই টুকরো গুলি পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
ট্যাঙ্কে যত পরিমান বস্তু ছিলো সেই পরিমানই পানি মেশাতে হয়। কমবেশি ১০ মিনিট পরে এই পানি বের করে দিতে হবে।এরপর দুইবার ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে তবে এইবার সাবধান থাকতে হবে যেন সেই টুকরোগুলি একদম না ঠান্ডা হয়ে যায়।যদি এই সাবধানতা না রাখা যায় তাহলে সেগুলির উপর জমা পাতলা সরগুলি চামড়ার মত শক্ত হয়ে যায়।
এখন উপযুক্ত টুকরোগুলি ট্যাঙ্কের ভেতরে দুটো খোল বেছে নিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।তাদের মাঝখানে একটি নল লাগিয়ে রাখতে হবে।এই টুকরোগুলোতে যে পরিমান পানি জমা থাকে তা নিজে থেকেই খালি নল দিয়ে ট্যাংকে লাগানো জ্যাকেট নল দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়।এইভাবে পনির তৈরি হয়ে থাকে।তারপর পলিথিন পেপারে প্যাক করে নিলেই বিক্রি করার যোগ্য হয়ে যায়।
ছোট রেস্তোরা বা তেলে ভাজার দোকান
শহরে ছোট বড় বিভিন্ন আকারের রেস্তোরা রয়েছে,কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে এই ধরনের রেস্তোরা তুলনামুলকভাবে কম চোখে পড়ে।আপনি যদি আপনার বাড়ির সামনে একটি তেলে ভাজার দোকান বা ছোট আকারের রেস্তোরা খুলতে পারেন তাহলে বেশ ভালো পরিমানে মুনাফা করতে পারবেন।এই জন্য প্রথমে আপনাকে কি কি পন্য রাখবেন সেই সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
যেমন:প্রতিদিন সিঙ্গারা,পুরি,চপ, পিঁয়াজি, বেগুনি, আলু পরোটা, রোল ইত্যাদি যদি সুস্বাদু করে ভাঁজতে পারেন তাহলে কাস্টমারের অভাব হবে না।অনেক দুর দুরান্ত থেকে কাস্টমার ছুটে আসবে এই মুখরোচক তেলে ভাজা খাবারগুলো খাওয়ার জন্য।খাবারের ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যা থেকে আপনারা ৪০ শতাংশ লাভ করা সম্ভব।
এই ব্যবসার জন্য অধিক পুঁজির প্রয়োজন হয় না।২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হলে এই লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করা যায়।
মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা
আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ মহিলারা বেশিরভাগ সময় ঘর,সংসার সামলাতে ব্যস্ত থাকে।অনেক মহিলা আসেন যারা উদ্যেক্তা হওয়ার লালিত স্বপ্ন অন্তরে চেপে রাখেন এই সমাজ ব্যবস্থার জন্য।তারা স্বাধীনভাবে কোন ব্যবসা করার কথা চিন্তা করতে পারেনা কারন তাদের বাড়ির বাইরে বের হতে হবে এই ভেবে।
তাই আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা বাড়ির বাইরে না গিয়েও নিজেদের কিভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবেন এইজন্য কিছু ব্যবসা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা নীচে দেওয়া হলো।
বিউটি পার্লার ব্যবসা
এই ব্যবসাটা মহিলারা ঘরে বসে সহজেই করতে পারেন।এর জন্য আপনার থাকতে হবে বিউটি পার্লার সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান। মেকআপ সম্পর্কেও একটা সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।কারন কে কিভাবে নিজেকে সাজাতে হয়,কার কি ধরনের মেকআপ লাগবে সেই সম্পর্কে ধারনা না থাকলে কাস্টমারের সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবেন না।
তাই আপনার এই বিষয়ে যথেষ্ট প্রশিক্ষনের প্রয়োজন।এই প্রশিক্ষনটিগুলো নিতে পারেন যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে।
নাচ বা গানের স্কুল
বর্তমান সমাজের অভিভাবকেরা তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নাচ,গান শিখানোর ব্যাপারে খুব আগ্রহ থাকে।আপনি যদি এগুলোর কোন একটাতে পারদর্শী হতে পারেন,তাহলে আপনি ঘরে বসেই ছোট আকারের একটা স্কুল খুলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রথমদিকে ছাত্রছাত্রী কম পেলেও আপনি যদি দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে শিখাতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার স্কুলের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে যাবে। তখন আপনাকে আর পিছে ঘুরে তাকাতে হবে না।এই ব্যবসার সবচেয়ে মজার দিক হলো এতে বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। আপনার দক্ষতায় এই ব্যবসার মুল বিনেয়োগ।
Virtual Accountant
যে সকল মহিলারা হিসাব বিজ্ঞান ভালো বোঝেন তাদের জন্য আদর্শ আয়ের পথ হলো এই Virtual Accountant.ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ ঘরে বসেই করে দিতে পারেন অনায়াসে এবং আয় করতে পারেন।Virtual Accountant হিসেবে কাজ করার জন্য আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন:আপওয়ার্ক, ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলে রাখতে পারেন।
একবার কাজ পেয়ে গেলে আর কাজের অভাব হবেনা।এক সময় দেখবেন কাজ করে কুলাতে পারছেন না।তখন কর্মচারী রেখে কাজ করাতে হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং Virtual Accountant রা মাসে ১ লাখ টাকা আয় করে থাকেন।
রান্নাবান্না
মেয়েরা রান্না করতে খুব ভালোবাসে।প্রতিটি মহিলা তাদের পরিবারের জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে থাকেন।আপনি যদি নতুন নতুন খাবার বানাতে পারেন তাহলে এই খাবারের রেসিটিগুলো Instagram ও YouTube চ্যানেলে পোষ্ট করতে পারেন অথবা রান্না শেখানোর স্কুল খুলতে পারেন অথবা খাবার ডেলিভারির ব্যবসা করতে পারেন।
উপরের যেকোনো বিষয়ের একটি যদি আপনি করতে পারেন তাহলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
বাগান এবং নার্সারি
মহিলাদের জন্য ঘরে বসে এইটি চমৎকার ব্যবসা হলো নার্সারি ব্যবসা। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ খুব কম প্রয়োজন হয়।সৌন্দর্যবৃদ্ধি ও পরিবেশগত কারনে আজকাল অনেক মানুষ তাদের বাড়িতে ও অফিস আদালতে ছোট গাছপালা রাখতে খুব ভালোবাসেন।আপনার যদি ছোট উঠান থাকে বা ছোট আকারের জমি থাকে তাহলে সেখানে বিভিন্ন গাছের চারা লাগিয়ে নার্সারি বানাতে পারেন।
আপনার গাছ যদি ভালো মানের হয় তাহলে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসবে এই গাছ কেনার জন্য।২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪
লাভজনক ব্যবসার ধারনা একেক জনের কাছে একেক রকম।কারন অনেকেই মনে করেন ব্যবসা করতে প্রচুর পুঁজির প্রয়োজন হয় এটা আংশিক সত্য হলেও পুরোপুরি সত্য নয়। কারন ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সবার আগে ভাবতে হবে আপনি কোন ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।ব্যবসা ধরন নির্ধারন করার পর এটির সফলতার সাম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে।
তারপর অবস্থা বুঝে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে হবে।তবে বর্তমানে প্রচলিত ব্যবসাগুলোতে প্রতিযোগীতার হার অনেক বেশি। আমাদের দেশে কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা সব প্রচলিত ব্যবসাগুলোকে সিন্ডিকেশনের মধ্যমে দখল করে নিয়েছে।তাই এখন এ জায়গাগুলোতে নতুনদের টিকে থাকা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই বলে কি আপনি ব্যবসা করবেন না? অবশ্যই করবেন তবে এমন একটা সেক্টরে ব্যবসা করতে হবে যেখানে এখনো কর্পোরেটরা মনোযোগ দেননি। এরমধ্যে অন্যতম IT সেক্টর হলো সেই ধরনের জায়গা যেখানে এখনো ব্যবসা করে প্রচুর মুনাফা করা যায়। ২০২৪ সালে IT সেক্টর হলো নতুনদের জন্য একমাত্র ভরসার জায়গা। এছাড়া কৃষিতেও এখনো ব্যবসা করার সুযোগ আছে।
২০২৪ সালের লাভজনক ব্যবসাগুলো
- প্রযুক্তি এবং Software Development ব্যবসা
- E-commerce ব্যবসা এবং অনলাইনে খুচরা ব্যবসা
- নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ব্যবসা
- স্বাস্থ্যসেবা ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প ব্যবসা
- ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবসা
- উন্নত রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা
- বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিপন্যের উৎপাদন ও বিপনন ব্যবসা
- সামাজিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা
কোটিপতি হওয়ার গল্প
শুন্য থেকে কোটিপতি হওয়া খুবই কঠিন একটা কাজ।১৯৯০ সালে আমেরিকায় অভিবাসী হয়ে আশা পাকিস্থানী বংশোদ্ভত শামিউল নুর তা করে দেখিয়েছেন। তিনি বলেন সততাই তার একমাত্র সম্বল ছিল এবং তিনি প্রমান করেছেন আমেরিকা সৌভাগ্যের দেশ বা ভাগ্য উন্নয়নের দেশ।
তার তৈরি করা খাবার বিক্রি করার দোকান “শামী’স হালাল ফুড” আমেরিকার “জায়রো” নামক সড়কে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছেন। এছাড়া নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যে তার একটা রেস্তোরা রয়েছে।তিনি পুরো আমেরিকাতে ম্যাকডোনাল্ডের মতো চেইন ব্যবসা করতে চান।
বিল গেটস ১৯ বছর বয়সে বুঝতে পেরেছিলেন ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে যদি User friendly করে গড়ে তোলা যায় তাহলে ব্যবসা, শিক্ষা, যোগাযোগ ও বিনোদনে বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে। এই ধারনাই Microsoft তৈরির পেছনে মুল প্রেরনা।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, তিনিও স্বপ্ন দেখেছিলেন কিভাবে কম ব্যয়ে Virtually খুচরা পন্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিসেবা দেওয়া যায়।
কানাডার তরুন উদ্যোক্তা গ্যারেট ক্যাম্প ২০০৮ সালে প্যারিসের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন কোন পরিবহন পাচ্ছিলেন না এভাবে তিনি অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকেন । এই ঘটনায় তাকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ Uber তৈরিতে অনুপ্রেরনা যোগায়। বর্তমানে তিনি ফোর্বস এর শতকোটি পতির তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
ড্রপবক্স হলো অনলাইনে তথ্য সংরক্ষন করার এক অনন্য সেবা। এটি ২০০৭ সালে তৈরি করেন আমেরিকার MIT এর দুই ছাত্র ড্রিউ হিউস্টন ও আরাশ ফেরদৌসী। এটি তৈরি করার পেছনে মুল কারন হলো তারা প্রায় USB পোর্ট নিতে ভুলে যেতেন তাই তাদের মনে হলো এমন একটা জিনিষ আবিষ্কার করতে হবে যাতে অনলাইনের সব তথ্য সংরক্ষন করে রাখা যায়।
১৯৯০ সালের দিকের ঘটনা ম্যানচেষ্টার থেকে লন্ডনের ট্রেন চার ঘন্টা দেরি করে। ম্যানচেষ্টারে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতে ২৫ বছর বয়সী জোয়্যান রাওলিংয়ের মাথায় এক আজব গল্পের ভাবনা।একটা ছেলের জাদু শেখা ও জাদুর স্কুলে পড়ার গল্প। এই ভাবনা টুকু নিয়েই ট্রেনে উঠার পর লেখা শুরু করলেন।
তারপর ৫ বছরে তিনি চরিত্রগুলোকে দাঁড় করান এবং ৭ ভাগে বইটিকে ভাগ করেন। তারপরের গল্প তো এখন ইতিহাস এই “হ্যারিপটার” তাকে এখন মিলিওনিয়ারে পরিনত করেছে।
ব্যবসায়ী ও উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত মার্কিন ব্যক্তিত্ব মার্ক কুবান। তিনি একাধারে ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী “ম্যাগলোনিয়া পিকচার্স” , পেশাদার বাস্কেটবল টিম “ড্যালাস মেভারিক্স” ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় চেইন সিনেমা হল “ল্যান্ডমার্ক থিয়েটারর” এর মালিক। তিনি ১৯৮০ এর দশকে কলেজ পাস করার পর একটি কম্পিউটার ষ্টোরের বিক্রয়কর্মীর চাকুরী নিয়েছিলেন।
কিন্তু মালিকের সাথে বনিবনা না হওয়ায় চাকুরীটা হারিয়ে ফেলেন। তখনই ঠিক করেন তিনি আর চাকুরী করবেন না।নতুন ধরনের ব্যবসা করার কথা চিন্তা শুরু করলেন। এরপর তিনি Micro Solution নামে একটি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ২৪০ কোটি ডলার উপার্জন করে ফেলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সুপারস্টোর ওয়ালমার্ট এর প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ধনকুবের স্যাম ওয়ালটন যখন ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন তখন তার পুঁজি ছিলো শুন্যের কোঠায়।তিনি তার শ্বশুরের কাছে ২৫ হাজার ডলার ধার নেন।তারপর ৪২ বছর বয়সে আরাকানসাস অঙ্গরাজ্যে প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত ওয়ালমার্ট।
এটি তিনি চালু করেছিলেন ১৯৬২ সালে ১৯৭৬ সালের মধ্যেই এই প্রতিষ্ঠানের মুল্য দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি।তার ব্যবসার মুলমন্ত্র ছিলো Marginal profit huge sale.
স্টিভ জবস ব্যবসা জগতে বেতাব বাদশা যার কোম্পানির মুল্য ২ ট্রিলিয়ন ডলার।তিনি এই সফলতা একবারে পাননি বহুবার তিনি ব্যর্থতার স্বাদ গ্রহন করেছেন।একসময় লিসা কম্পিউটারের ব্যর্থতায় কোম্পানি থেকে সরে যেতে হয়েছিলো।অ্যাপল কম্পিউটার নিয়েও তার অনেক ব্যর্থতার ইতিহাস রয়েছে।কিন্তু তারপরেও তিনি ধৈর্যের সাথে লেগে থাকেন এবং সফলতা পান।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার Tips & Tricks সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন ২০২৪ সালে কোন ধরনের ব্যবসাগুলো করলে বেশী মুনাফা করতে পারবেন।এছাড়া মহিলারা যদি এই আর্টিকেল এ উল্লিখিত ব্যবসাগুলো করতে পারেন তাহলে ব্যাপক মুনাফা করতে পারবেন ।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url