চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় - অ্যালোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে বর্ননা করা হয়েছে চিরতরে খুশকি দুর করার উপায়গুলো নিয়ে । আরোও আলোচনা করা হয়েছে অ্যালোভেরা দিয়ে খুশকি দুর করার উপায়গুলো নিয়ে। প্রত্যেক মানুষের চুলে কোন না কোন সমস্যা থাকে।তাই এই সমস্যা সমাধানে নীচে বেশকিছু Tip & Tricks দেওয়া হয়েছে যা নিয়মিতভাবে পালন করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ভুমিকা
এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করে কিভাবে চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে পারবেন। চুলে যেন আর খুশকি না আসতে পারে সেজন্য কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে যা মেনে চললে অবশ্যই আপনার মাথা খুশকি মুক্ত থাকবে। কিছু Brand company এর শ্যাম্পুর নাম দেওয়া হয়েছে।
যা নিয়মিত ব্যবহারে আপনার থাকবে ঝলমলে ও স্বাস্থজ্জোল। এছাড়া মেয়েদের থেকে ছেলেদের মাথার ত্বক ও চুলের ধরন কিছুটা আলাদা তাই ছেলেদের খুশকি দুর করার কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা মেনে চললে ছেলেরাও চুল পড়া থেকে মুক্তি পাবেন।
খুশকি হওয়ার কারন
খুশকি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই সমস্যার একটি বিষয়। খুশকির কারনে মাথায় খুব চুলকায় এবং চুল পড়তে থাকে। তবে খুশকি কোন রোগ বা রোগের লক্ষন নয় তবে এটা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়।সাধারনত মাথার ত্বকে মৃত ও পুরোনো কোষ ও এক ধরনের ফাঙ্গাস অতিরিক্ত জমে এবং বিভিন্ন ছত্রাকের প্রভাবে এই খুশকি হয়ে থাকে।
শুষ্ক ত্বক
শীতের সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে ফলে দেহের ত্বকের পাশাপাশি মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে এই সময় খুশকি বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও এ সময় বাইরের দিকে ঠান্ডা বাতাস ও ঘরে তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার মধ্যে একটা অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। যার কারনে মাথায় শীতকালে খুশকি বেশী হয়।
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার
মাথায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে খুশকি সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। মাথায় তেল ব্যবহারের কারনে ময়লা স্তুত আকারে চুলের গোড়ায় জমা হতে থাকে।যার ফলে সেখানে ছত্রাকের প্রাদুর্ভার ঘটে। এই ছত্রাকগুলো মরে খুশকির পরিমান বাড়িয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
আপনাদের মধ্যে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এছাড়া বিশেষ কিছু রোগ যেমন: পারকিনসন্স, হৃদরোগ, স্ট্রোক, স্পর্শকাতর ত্বক, সোরিয়াসিস ও একজিমা ইত্যাদি যাদের রয়েছে তাদের মধ্যে মাথায় খুশকির প্রবনতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এক গবেষনায় বলা হয়েছে HIV আক্রান্ত রোগীদের খুশকির সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও সঠিক খাদ্যাভাসের অভাবের কারনে খুশকি হতে পারে।পানিতে যদি অতিরিক্ত আয়রন থাকে তাহলে খুশকি হতে পারে। ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরনের ফাঙ্গাসের কারনে খুশকি হতে পারে। মেয়েদের শ্বেত প্রদ বা ঈষ্ট জাতীয় অসুখ হলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পর্যাপ্ত পরিমানে শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে খুশকি হতে পারে।
চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
খুশকির সমস্যা নারী-পুরুষ সকলেরই হতে পারে। বিভিন্ন কারনে আমাদের মাথায় খুশকি হয়ে থাকে।সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা তৈলাক্ত ত্বকের কারনে সাধারনত খুশকি হয়ে থাকে।মেলাসেজিয়া নামে এক ধরনের ছত্রাক মাথার ত্বকে নতুন কোষ জন্মাতে সহযোগিতা করে। এক্ষেত্রে ত্বক তেল চিটচিটে হয়ে ময়লা জমলে এই ছত্রাকটি আরোও সক্রিয় হয়ে উঠে।
ফলে অতিরিক্ত কোষগুলো মরে যায় ও ঝরে পড়ে। আমরা মাথা ঝাড়লে যে সাদা খুশকি বের হয় তা আসলে ত্বকের মৃত কোষ।এছাড়া শুষ্ক ত্বকেও খুশকি হয়ে থাকে। তাই কারো যদি খুশকি হয় তাহলে অতি দ্রুত তা প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।কারন খুশকির সমস্যা থেকে গেলে ধীরে ধীরে মাথা থেকে চুল পড়া বৃদ্ধি পাবে।
তাই প্রথমিকভাবে আমাদের প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে চুলের খুশকি দুর করা উচিত।
গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ: নারিকেল তেল ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষন রেখে দেওয়ার পর হালকা গরম হয়ে আসবে তখন হাতের আঙ্গুলে মেখে নিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় হালকা করে মাসাজ করতে হবে।এই মাসাজের কাজটি অন্তত ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে।এরপর পুরো চুলে তেল ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এরপর আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে।
নারিকেল তেল ও জোজোবা অয়েল: নারিকেল তেল যেমন চুলের যত্নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে ঠিক তেমনি জোজোবার তেলও একই ভাবে কাজ করে। তাই খুশকি দূর করার জন্য এই দুই ধরনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় হালকা করে মাসাজ করতে হবে। মাসাজ করা শেষে একটি গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে দিতে হবে।
এরপর আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতটা সুন্দর, ঝলমলে ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
নারিকেল তেল ও লেবুর ব্যবহার: খুশকি দূর করতে নারিকেল তেল ও লেবুর রস জাদুর মতো কাজ করে। এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- নারিকেল তেল - ২ টেবিল চামচ
- লেবুর রস - ১ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
নারিকেল তেল ও কর্পুর: শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রনটি মাথার তালুতে ও চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এতে খুশকির সমস্রা খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে। এই মিশ্রনটি ব্যবহারে আপনার মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুল শক্ত হবে। মিশ্রনটির নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন দুরীভুত হবে।
জলপাই এর তেল: চুলের খুশকি দূর করতে জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার পৃথিবী ব্যাপী খুবই জনপ্রিয়।আপনি যদি নিয়মিত জলপাই এর তেল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তা খুশকি কমাতে সহায়তা করবে। কারণ জলপাই এর তেলের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজিং আছে যা ত্বকের আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
বেকিং সোডা: অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে প্রথমে মাথা ভিজিয়ে নিন। তারপর কিছুটা বেকিং সোডা হাতে নিয়ে মাথায় মেখে নিতে হবে। তারপর খুব ভালোভাবে আলতো করে ঘষে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদিও বেকিং সোডা মাথার খুলির ছত্রাক দমন করে কিন্তু এটি ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলে। কিন্তু এই শুষ্ক অবস্থা বেশিদিন থাকে না।
ত্বক আবার তৈলাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু এই সময় আপনি মাথায় কোন খুশকি দেখতে পাবেন না।
ঘৃত কুমারী: আপনার যদি মাথা ভর্তি খুশকি থাকে তাহলে ঘৃতকুমারীর রস মাখলে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খুশকির কারণে আমাদের মাথায় খুব চুলকানি হয়ে থাকে। ঘৃতকুমারী মাথায় মাখলে তা চুলকানি থেকে বেশ আরাম দেয়। এটি শুধু মাথার খুশকি ও চুলকানি উপশমে সহায়তা করে তা নয় বরং মাথার ত্বকের আরো অনেক সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
লবন: লবণকে প্রাকৃতিক পরিষ্কারক বলা হয়েছে এটি খুশকি দূর করতে সহায়তা করে মাথােই হালকা করে লবন মেখে তারপর কিছুক্ষন পর ধুয়ে ফেললে খুশকি দুর হবে।
পেঁয়াজের রস: খুশকি দূর করতে পেঁয়াজের রস জাদুর মতো কাজ করে। এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- পেঁয়াজ - ২ টা
- পানি - ১ মগ
প্রথমে পেঁয়াজ বেঁটে নিয়ে মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
রিঠা: খুশকি দূর করতে রিঠা পাউডার এর জুড়ি মেলা ভার । এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- রিঠা - ২ টা
- পানি - ১ মগ
প্রথমে রিঠা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
মেথি: প্রথমে মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা পানি ছেঁকে ভালোভাবে বেঁটে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়া পানি ফেলবেন না।তারপর বেটে নেওয়া মেথি চুলের গোড়ায় আস্তে আস্তে লাগিয়ে নিতে হবে। কয়েক ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে।তারপর মেথি ভেজানো পানি দিয়ে একবার চুল ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ বার মেথি ব্যবহার করতে হবে।
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়
খুশকির সমস্যা নারী-পুরুষ সকলেরই হতে পারে। বিভিন্ন কারনে আমাদের মাথায় খুশকি হয়ে থাকে।সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা তৈলাক্ত ত্বকের কারনে সাধারনত খুশকি হয়ে থাকে।মেলাসেজিয়া নামে এক ধরনের ছত্রাক মাথার ত্বকে নতুন কোষ জন্মাতে সহযোগিতা করে। এক্ষেত্রে ত্বক তেল চিটচিটে হয়ে ময়লা জমলে এই ছত্রাকটি আরোও সক্রিয় হয়ে উঠে।
চিরতরে খুশকি দুর করতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার পানি: খুশকি দূর করতে নিম পাতা জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু খুশকি নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিম পাতা - ৪০ টা
- পানি - ১ লিটার
প্রথমে পানিকে ফুটিয়ে নীতে হবে।সারারাত ভিজিয়ে রাখা নিমপাতা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সেই পানি দিয়ে যদি মাথা ধুয়ে ফেলেন তাহলে আপনার মাথা অতিরিক্ত খুশকি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
নিম পাতার হেয়ার প্যাক:খুশকি দূর করতে নিম পাতার হেয়ার জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু খুশকি নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিম পাত - ৪০ টি
- পানি - ১ লিটার
- মধু - ১ টেবিল চামচ
প্রথমে পানিকে ফুটিয়ে নীতে হবে।সারারাত ভিজিয়ে রাখা নিমপাতা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সেই পানির সাথে মধু মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিতে হবে।তারপর মিশ্রনটির সাথে মধু মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার মাথার অতিরিক্ত খুশকি দুর হয়েছে।
নিমপাতা ,টক দই ও মেথির পেষ্ট: খুশকি দূর করতে নিম পাতার সাথে টক দই ও মেথি মিশিয়ে ব্যবহার করলে জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু খুশকি নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিম পাতা - ৪০ টি
- মেথি - ২ টেবিল চামচ
- টক দই - ১/২ কাপ
- লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ
প্রথমে পানিকে ফুটিয়ে নীতে হবে।সারারাত ভিজিয়ে রাখা নিমপাতা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সেই পানির সাথে মধু ও পানিতে ৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা মেথি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিতে হবে।তারপর মিশ্রনটির সাথে মধু মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার মাথার অতিরিক্ত খুশকি দুর হয়েছে।
নিমের তেল ও নারিকেল তেল: খুশকি দূর করতে নিমের তেলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু খুশকি নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিমের তেল - ১/৪ কাপ
- নারকেল তেল - ১ কাপ
প্রথমে নারিকেল তেল হালকা গরম করে এর সাথে নিমের তেল মেশাতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে মাথার ত্বকে ও চুলের গোঁড়ায় তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর সকাল বেলায় চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রনটি ব্যবহার করলে মাথার খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
নারিকেল তেল ও রোজমেরি অয়েল: খুশকি দূর করতে নারিকেল তেল ও রোজমেরি অয়েলের মিশ্রন জাদুর মতো কাজ করে। এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- নারিকেল তেল - ৩ টেবিল চামচ
- রোজমেরি অয়েল - ৩ ফোটা
উপরোক্ত মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
আমরা সকলেই স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুলের জন্য লালায়িত। কিন্তু সেই পথে একমাত্র বাঁধা খুশকি। আপনার আমার সকলেরই কিছু না কিছু খুশকিজনিত সমস্যা আছে।তবে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের খুশকি হওয়ার প্রবনতা বেশি অর্থাৎ ছেলেরা এই খুশকির সমস্যায় বেশি ভোগেন।
সাধারনত ছেলেদের খুশকি হয় মেলাসিজিয়া ছত্রাক, যত্নের অভাব, পরিবেশ দুষন, খারাপ আবহাওয়া, সেবোরিক ডার্মাটাইসিস, তৈলাক্ত মাথা ইত্যাদির কারনে। বংশগত কারন ও শারীরিক কোন অসুখের কারনেও এই খুশকিজনিত সমস্যা হতে পারে। গ্রীষ্মের চেয়ে শীতে খুশকির প্রবনতা বেশি থাকে কারন এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান খুব কম থাকে।
Exfoliation পদ্ধতি
শরীরের ত্বকে যেমন মৃত কোষ জন্মে ঠিক তেমনি মাথার ত্বকেও মৃত কোষ জমে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কিছু মৃত কোষ দুর হলেও পুরোপুরি কখনই মাথা থেকে যায় না। তাই যাদের মাথার ত্বক বেশি শুষ্ক, তৈলাক্ত ও খুশকিযুক্ত তাঁদের ক্ষেত্রে Exfoliation অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করার পদ্ধতি প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরী।
তবে নিয়মিত এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা ছেলেদের জন্য খুব ঝামেলার কাজ। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেন তাহলে খুশকি সারাতে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর হবে। Exfoliation সপ্তাহে ১ দিন ও তৈলাক্ত ত্বকে ২ দিন করলে যথেষ্ট। ঘরোয়াভাবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব।
যেমন: নিম পাতার হেয়ার প্যাক, নিমপাতা ,টক দই ও মেথির পেষ্ট, নারিকেল তেল ও রোজমেরি অয়েল ইত্যাদি যা উপরে এই পদ্ধতিগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ননা করা হয়েছে। এছাড়া Exfoliator হিসেবে মাথাব্যাথার ওষুধ Aspirin ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন: ৬/৮ টি Aspirin হালকা গরম পানি দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন।
তারপর টুথ ব্রাশের সাহায্যে আলতো করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে মাসাজ করুন দেখবেন ত্বক কত পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তেল
সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২/৩ দিন তেল ব্যবহার করলে চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। আমাদের দেশে চুলের তেল বলতে সাধারনত নারিকেল তেলকে বুঝে থাকি। কিন্তু বর্তমানে চুলের যত্নে নানান ধরনের তেল ব্যবহার হয়ে থাকে যেমন:জলপাই তেল, আমন্ড তেল ইত্যাদি। এই তেলগুলো চুলের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। চা গাছ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয়।
যাতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি উপাদান যা খুশকি প্রতিরোধে খুবই কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এই চা গাছের তেলের সাথে নারিকেল তেল বা অন্য কোন তেল মিশিয়ে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২ দিন আধা ঘন্টা মেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুল থাকে খুশকি মুক্ত, স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও প্রানবন্ত।
শ্যাম্পু
শ্যাম্পুর যথাযথ ব্যবহার মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সবচেয়ে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। সঠিকভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে কখনোই মাথা থেকে খুশকি দুর হবেনা। প্রতি সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ৪ দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। খুশকির জন্য Coal Tar ১ শতাংশ হারে Ketoconazole , Selenium Sulfide ও Salicylic Acid যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
শ্যাম্পুর মধ্যে এই উপাদানগুলো থাকলে তা চুলের খুশকি দুর করতে সাহায্য করে।
১০ টি ভালোমানের শ্যাম্পু
প্রতিদিন ব্যবহাযোগ্য প্রসাধনীর মধ্যে শ্যাম্পু অন্যতম।আমরা যে শ্যাম্পুগুলো ব্যবহার করি সেই শ্যাম্পুগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত। প্রত্যেকের চুল ও মাথার ত্বকের ভিন্নতার রয়েছে এই ভিন্নতা অনুসারে আমাদের শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই নিম্নে ১০ টি ভালোমানের শ্যম্পুর নাম দেয়া হলো যা আপনার ত্বক অনুযায়ী ব্যবহার যোগ্য।
- Dabur vatika black shine shampoo
- Pantene advanced hair fall solution anti hair fall shampoo
- Studio x anti dandruff shampoo
- Sun silk shampoo lusciously thick & long
- Clear shampoo anti dandruff
- Parachute natural nourishing care shampoo
- Meril tangerine orange shampoo
- Dove intense shampoo 330ml
- SESA onion herbal shampoo
- Tresemme keratin smooth shampoo
খুশকি দুর করার শ্যাম্পু
মাথায় যদি আপনার খুব বেশি পরিমানে খুশকি থাকে তাহলে নীচে দেওয়া শ্যাম্পুগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নীচে উল্লিখিত শ্যাম্পুগুলো সবই খুশকি দুর করার শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পুগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে মা্থার খুশকি কমে যাবে। নিম্নে ৫ টি ভালোমানের ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পুর নাম দেওয়া হলো এগুলোর মধ্যে যেটা আপনার জন্য কার্যকর সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
- BEAUA medicated scalp care shampoo
- Couple combo shampoo
- Selsun blue moisturizing dandruff shampoo
- Alpecin dandruff killer shampoo
- Clear shampoo men cool anti dandruff
চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু
প্রতিদিন যদি আপনার প্রচুর পরিমানে চুল ঝরে পড়ে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি টাক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই টাক পড়া রোধে আপনার যাতে চুল না ঝড়ে এই ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আর চুল ঝড়া প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভুমিকা পালন করে ভালো মানের শ্যাম্পু। তাই ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে হয়তো এই সমস্যার ৭০ শতাংশ সমাধান পাবেন।
বাঁকি ৩০ শতাংশ সমাধান পেতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
- Mumtaz natural organic herbal shampoo
- Treseme shampoo
- Dove hair shampoo
- Sunsilk hair shampoo
রুক্ষ চুলের জন্য শ্যাম্পু
নীচে বর্নিত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার রুক্ষ চুল সিল্কি হবে। এই শ্যম্পুগুলোর মধ্যে রয়েছে এক ধরনের ময়শ্চারাইজার যা চুলের রুক্ষতা দুর করে। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ৪ বার এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার চুলের রুক্ষতা দুর হবে। তবে সাবধান চুলের ধরন অনুযায়ী কেবলমাত্র শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। নতুবা চুলের ক্ষতি হতে পারে।
- Clear lce cool menthol shmpoo
- Selsun blue maximum Strength men's medicated shampoo
- Head & shoulders smooth & silky shampoo
- Selsun blue dry scalp shampoo
- Selsun blue moisturizing shampoo
ছেলেদের চুলের জন্য শ্যাম্পু
ছেলেদের চুলের ধরন মেয়েদের থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই ছেলেদের জন্য আলাদা ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। ছেলেদের মাথার ত্বকের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন Brand company গুলো শ্যাম্পু করে থাকে।তাই শ্যাম্পু থেকে ছেলেদের মাথার ত্বকের উপকার পেতে অবশ্যই আপনাকে উক্ত Men's shampoo গুলো ব্যবহার করা উচিত।
- Pierre cardin classic clean 2 in 1 shapoo
- Studio x anti dandruff shampoo
- Treseme conditioner botanique nourish shampoo
- Farmasi botanics strength shampoo
- Studio x anti dandruff shampoo
এলোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
চুলে আমাদের নানান ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন: খুশকি, চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলে তৈলাক্তভাব ইত্যাদি। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক ভেষজ অ্যালোভেরা ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবো।অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডিন্ট উপাদান ও বিভন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল যা চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর। সব ধরনের চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে থাকে।
অ্যালোভেরা ও টকদয়ের মাস্ক : অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- টকদই - ২ চা চামচ
- মধু - ১ চা চামচ
- অলিভ ওয়েল - ১ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও নারিকেল তেলের হেয়ার মাস্ক : অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ২ চা চামচ
- নারিকেল তেল - ১ কাপ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও লেবুর মাস্ক: অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- চা গাছের তেল - ৩ ফোঁটা
- লেবুর রস - ৩ ফোঁটা
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও ডিমের মাস্ক: অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- ডিম - ১টি
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও আপেল সিডার ভিনেগার মাস্ক: অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- আপেল সিডার ভিনেগার - ১ চা চামচ
- মধু - ১ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও মেথির মাস্ক: অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- মেথি পাউডার - ২ চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও ভিটামিন ই মাস্ক: অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল - ২ টা
অ্যালোভেরা ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অয়েল বের করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েল: অ্যালোভেরার মধ্যে ময়শ্চারাইজার উপাদান রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার এই মাস্কটি ব্যাবহার করলে চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল - ৩ চা চামচ
- নারিকেল তেল - ৩ টেবিল চামচ
- ক্যাস্টর অয়েল - ১ টেবিল চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মাথার ত্বকে দুই হাতের আঙ্গুলে মিশ্রনটি নিয়ে চুলের গোড়ায় আলতোভাবে লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে।এভাবে অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর আরোও ১৫ মিনিট মাসাজ করা ছাড়াই রেখে দিতে হবে তারপর পানি দিয়ে মাথা ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এভাবে মিশ্রনটি ১ মাস ব্যবহার করার পর দেখবেন আপনার চুল কতোটা স্বাস্থজ্জোল, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়েছে।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন খুশকিকে কিভাবে চিরতরে বিদায় দিবেন তার কার্যপ্রনালী সম্পর্কে। এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন চুলের খুশকি রোধে বিভিন্ন Tips & Tricks অবলম্বন করে কিভাবে উপকৃত হবেন। আপনি যদি নিয়মিতভাবে উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলেন তাহলে আপনার চুল ও মাথার ত্বক থাকবে ঝলমলে, স্বাস্থ্যজ্জোল ও প্রানবন্ত।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটি
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url