চুল পাকে কোন হরমোনের অভাবে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা হয়েছে চুল পাকে কোন হরমোনের অভাবে সেই সম্পর্কে।বর্তমানে খুব অল্প বয়সে ছেলে মেয়েদের চুল সাদা যাচ্ছে। এর মধ্যে নানা ধরনের কারন আছে যেমন:শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারন, ওষুধের প্রভাব ও খ্যাদাভাস।এই যুগের ছেলে মেয়েরা অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার কারনে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের কারনে সাধারনত চুল পাকে, কি ধরনের খাবার খেলে সাদা চুল কালো হয়, কোন হরমোনের অভাবে চুল পাকে, কিছু ভিটামিন আছে যা চুল গজাতে সাহায্য করে,আবার কিছু ভিটামিন আছে চুল পড়া রোধে সহায়তা করে। আরোও আলোচনা করা হয়েছে চুল পাকা সমাধানে কি কাজ করবেন।
চুল পাকে কোন হরমোনের অভাবে
আমাদের সকলের ত্বকে মেলানোসাইট নামে কোষ থাকে এই কোষগুলো মেলানিন নামক এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উৎপাদন করে। যাদের শরীরে মেলানিনের পরিমান কম তাদের গায়ের রং ফর্সা আর যাদের শরীরে মেলানিনের পরিমান বেশী তাদের গায়ের রং কালো হয়। চুলের ক্ষেত্রেও যাদের চুলের গোড়ায় মেলানোসাইট কোষ মেলানিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তাদের চুল সাদা হয়।
এই সমস্যা যেকোনো বয়সে হতে পারে। আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে ধারনা আছে প্রতিদিন তেল না মাখলে চুল পেকে যায়। কিন্তু তেল মাখার সাথে চুল পাকার কোন সম্পর্ক নেই। এখনো পর্যন্ত চুল কালো করার কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে অস্থায়ী সমাধান হিসেবে কলপ ব্যবহার করে চুল কালো করা যায়। কোন রোগের কারনে যদি চুল সাদা হয়ে যায়,
তাহলে তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে সাদা চুল কালো হতে পারে। আমাদের দেশের বিভিন্ন কম্পানী চুল কালো করার বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে কিন্তু এগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এই সকল ওষুধ ও তেল মাখলে সাময়িক কালো প্রলেপ পড়ে চুল কালো দেখায় যা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে চুল ও মাথার ত্বকের ক্ষতি করে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়
সাধারনত বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুলে পাক ধরে।কিন্তু অনেকের বয়সের আগেই চুল পেকে যায়। এটা হয় মুলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব হলেও চুল পেকে যেতে পারে। ভিটামিন বি৬,বি১২ ও ভিটামিন ডি এর অভাব হলে চুল ধুসর হয়ে যেতে পারে।ভিটামিন সি এর অভার হলে চুল দুর্বল ও সাদা হয়ে যেতে পারে।
কম বয়সে চুল পাকার কারন
- বংশগত কারনে এই সমস্যাটি হতে পারে। আবার রক্ত সর্ম্পকীয় কোন আত্মীয় স্বজনের মধ্যে চুল পাকার ইতিহাস থাকলেও এই সম্যাটি হতে পারে।
- হরমোনঘটিত কোন সমস্যা থাকলেও চুল পেকে যেতে পারে। যদি কারো হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম এই দুই ধরনের সমস্যা থাকলেও চুল পেকে যেতে পারে। রক্তে যদি থাইরয়েড হরমোন কমে যায় তাহলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলা হয় আর রক্তে এই হরমোনের পরিমানে বেড়ে গেলে একে হাইপারথাইরয়েডিজম বলা হয়।
- মানসিক চাপ, অবসাদগ্রস্ততা ,দুঃখ, কষ্ট, দুঃচিন্তা থাকলেও চুল পেকে যেতে পারে। বলা হয়ে থাকে সেরাটোনিন হরমোন তারুন্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এই হরমোন মানসিক চাপ, অবসাদগ্রস্ততা ,দুঃখ, কষ্ট, দুঃচিন্তা কমিয়ে দেয়।ফলে চুল থাকে কালো ও ঝলমলে।এটির অভাবে চুল পেকে যায়।
- আপনি যদি চুলে অতিমাত্রায় রং ব্যবহার করেন তাহলে রংয়ের অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার চুলকে সাদা করে দেয়।
- ভেজাল খাবার, পরিবেশ দুষনের কারনে চুল পেকে যেতে পারে।
- উচ্চমাত্রার প্রোটিন, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড গ্রহন, কোমল পানীয় পান ও কায়িক শ্রমের মাত্রা কমে গেলে এবং বয়স অনুযায়ী ওজন বেড়ে গেলে চুল অকালে পেকে যেতে পারে।
- রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয় তাহলে অকালে চুল পেকে যেতে পারে।
- শারীরিকভাবে আপনার ভিটামন বি ১২, ৬ ,৩ ও বায়োটিন এবং ভিটামিন ই, আয়রন, কপারের অভাবে অকারে চুল পেকে যেতে পারে।
কি খেলে সাদা চুল কালো হয়
চুল পাকে সাধারনত ৪০ বছর বয়স পার হোলে।আমাদের শরীরের ত্বকের রং নির্ধারন করে পিগমেন্ট সেল যা থেকে মেলানিন নামক এক ধরনের রঞ্জক কনিকা তৈরী হয়। এই মেলানিনের কারনে চুলের রং কালো হয়। শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় মেলানিন উৎপাদন কম হলে বা বন্ধ হয়ে গেলে চুল পাকতে শুরু করে। মুলত মেলানিনের অভাবে চুল পাকে।
লাল মাংস: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
সেলমন ফিস: তৈলাক্তএই সামুদ্রিক মাছটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে।এই মাছটি সপ্তাহে অন্তত ৪ আউন্স খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতি মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমানের ভিন্নতা দেখা যায়।এই মাছ খেলে হৃদরোগ,স্ট্রোক,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
কলিজা: কলিজাতেও ভিটামিন ডি থাকে।৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত কলিজা খাওয়া যেতে পারে,তবে ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে পরিমিত হারে খাওয়ায় ভালো।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
১ টি ডিমে রয়েছে
- ক্যালোরি-১৪৩ এনার্জী
- কার্বোহাইড্রেট-০.৭২গ্রাম
- প্রোটিন-১২.৫৬গ্রাম
- চর্বি-৯.৫১গ্রাম
- ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা
- পটাসিয়াম-১৩৮ মি.গ্রা
- জিংক-১.২৯ মি.গ্রা
মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
কর্ড লিভার অয়েল
- ১থেকে ১২ মাস= প্রতিদিন আধা চা চামচ
- ১থেকে ৪ বছর= প্রতিদিন ১ চা চামচ
- ৪ বছরের উর্ধ্বে= ১.৫ চা চামচ
- প্রাপ্তবয়স্ক= প্রতিদিন ২ চা চামচ সিরাপ পানি,দুধের সাথে খেতে পারেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
পনির: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পনির খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ,হার্ট ভালো থাকে ,হাড় শক্ত হয়, মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
দই: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দই খাওয়া যথেষ্ট। এই পরিমাণ দই খেলে আপনার ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে ।তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না কারণ বেশি খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দেখা দিতে পারে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
টুনা মাছ: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ এক কৌটা টুনা মাছ সপ্তাহে খেতে পারেন। এই থেকেই তার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মিলবে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
শাক সবজি: শাক সবজি যেমন: মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গাজর, টমেটো, পালংশাক, ব্রকলি ও ধনেপাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামন বি ১২, ৬ ,৩ ও বায়োটিন এবং ভিটামিন ই, আয়রন, কপার ও ফলিক এসিড রয়েছে যা শরীরের নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে সহায্য করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে মেলানিনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পাকা রোধে সহায়তা করবে।
কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে
চুল উঠে যাওয়া সাধারন একটি সমস্যা। যেখান থেকে চুল উঠে যাবে সেখানে যদি নতুন করে চুল গজায় তাহলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু চুল উঠার সাথে সাথে যদি চুল না গজায় তাহলেই দুশ্চিন্তার বিষয়।তাই আপনাদের মধ্যে অনেকেই চুল গজানোর নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে বা তেল মেখে প্রতারিত হন।
কিন্তু প্রকৃতিতে এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে নতুন চুল গজানো বিভিন্ন ভিটামিন যেমন: ভিটামন বি ১২, ৬ ,৩ ও বায়োটিন এবং ভিটামিন ই, আয়রন, কপার ও ফলিক এসিড যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন বি ৬ ও ১২ যুক্ত খাবার
- প্রানীজ প্রোটিন যেমন: মাছ, মাংশ, ডিমে ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
- সব ধরনের গাঢ় সবুজ শাক সবজিতে ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
- বাদাম,রুটি, পাস্তায় ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
- বিভিন্ন ধরনের ফলে ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
- ডাল জাতীয় খাবারে ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
- দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার যেমন: দই, ছানা, পনিরে ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
- সয়ামিল্কেও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
ভিটামিন বি ৩ যুক্ত খাবার
- সকল ধরনের মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ৩ রয়েছে।
- মাশরুমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ৩ রয়েছে। অ্যালার্জি না থাকলে গর্ভবতী মায়েরা অবশ্যই খাবারের তালিকায় মাশরুম রাখবেন।
- মুরগীর মাংশে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ৩ রয়েছে।
- চিনাবাদামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ৩ রয়েছে।
- কলিজাকে বলা হয় ভিটামিন বি ৩ এর উৎস।
- মটরশুটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ৩ রয়েছে।
- অ্যাভোকাডো হলো একটি সুপার ফুড এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি ৩ রয়েছে।
বায়োটিন যুক্ত খাবার
- একটি ১০০ গ্রামের ডিমে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
- ৭৫ গ্রাম মুরগীর মাংশে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
- ১০০ গ্রাম বাদামে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
- ১০০ গ্রাম সয়াবিনে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
- ১০০ গ্রাম মাশরুশে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
- ১/২ কাপ মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
- ৪৫ গ্রাম ব্রকলিতে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন রয়েছে।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার
- আমন্ডে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই রয়েছে।
- সুর্যমুখী বীজে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই রয়েছে।
- অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই রয়েছে।
- ব্রকলিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই রয়েছে।
- হ্যাজেলনাট প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই রয়েছে।
সুর্যমুখীর বীজ: সূর্যমুখী বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ১০০ গ্রাম সুর্যমুখীর বীজে রয়েছে ৩৬.৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। এই বীজের তেল সালাদ, স্যুপ বা খাবার গার্নিশিং এ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অন্যন্য রান্নাতেও সুর্যমুখীর তেল ব্যবহার করা যায়। এই তেলে কোন কোলেস্টরল নেই।যারা উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদরোগে ভুগছেন তারা অনায়াসে এই তেল খেতে পারেন।
লাল মরিচের গুঁড়া: শুকনা মরিচের গুঁড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই।১০০ গ্রাম লাল মরিচের গুঁড়ায় রয়েছে ২৯.৮৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই।আমরা যেহেতেু প্রতিদিনের খাবারে লাল মরিচের গুঁড়া খেয়ে থাকি তাই ভিটামিন ই এর অভাব ঘটার সম্ভাবনা কম।
কাঠ বাদাম: ভিটামিন ই এর আরেকটি বড় উৎস হলো কাঠ বাদাম বা আমন্ড। এই বাদাম খুব মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়। ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে ২৬.২২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে।আমাদের দেশে আমন্ডের দাম খুব বেশি তাই সকলেই এই বাদাম কিনে খেতে পারেনা। সাধারনত ক্ষীর, পায়েস, মিষ্টি, সন্দেশ ও বিভিন্ন রকম হালুয়াতে এই বাদাম ব্যবহার করে থাকে।
পেস্তা বাদাম: এই বাদামেও রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই।১০০ গ্রাম পেস্তা বাদামে রয়েছে ৯.৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। কাঠবাদামের মত পেস্তা বাদামও ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবারে।
চিনা বাদাম: আমাদের দেশে চিনা বাদাম সবচেয়ে বেশী খেয়ে থাকে কারন এই বাদামের চাষ আমাদের দেশে হয়ে থাকে। এই বাদামেও রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। ১০০ গ্রাম চিনা বাদামে রয়েছে ৬.৯৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। বিভিন্ন ধরনের খাবারে চিনা বাদাম ব্যবহার করা হয়। চিনা বাদামের মাখন খুব উপকারী একটি খাবার।
ভেষজ: ভেষজের মধ্যে রয়েছে বাসিল ও ওরিগেনো যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। প্রতি ১০০ গ্রাম বাসিল ও ওরিগেনোতে রয়েছে ৭.৪৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। পিজ্জা, বারগার, পাস্তা, সালাদ ও স্যান্ডউইচ তৈরিতে বাসিল ও ওরিগেনো ব্যবহার করা হয় যাতে খাবার সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হয়।
শুকনো এপ্রিকট: এই খাবারটি ফাইবারে ভরপুর ও নানা ধরনের ভিটামিনের আঁধার। প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনো এপ্রিকটে ৪.৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই রয়েছে।
জলপাইয়ের আচার: ভিটামিন ই এর আরেকটি উৎকৃষ্ট উৎস হলো জলপাইয়ের আচার।প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাইয়ের আচারে রয়েছে ৩.৮১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই।
পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।
এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ৩.৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই।
কচুর মুল: কচুর মুল আয়রন ও ক্যালমিয়ামে উৎকৃষ্ট উৎস। আমাদের দেশে এই সবজিটি খুব সহজেই পাওয়া যায়। কচুর মুল আলুর ভালো বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন।এই সবজিতেও বেশ ভালো পরিমান ভিটামিন ই পাওয়া যায়।প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর মুলে রয়েছে ২.৯৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
মুরগীর, মাংশ, ঝিনুক, ডিম, খাশি, গরু ও ভেড়ার মাংশ, কলিজা, চিংড়ি, মটর ও মটরশুটি (কিডনি বা রাজমা, সয়াবিন)মসুর ডাল, টোফু, সাদা রুটি, ভাত এবং পাস্তাগম, পন্যব্রান এবং ওট সিরিয়াল, গমের পাউরুটি, ডুমুর, খেজুর ও কিসমিস, কালো জলপাই, ব্রকলি, গাঢ় সবুজ শাক সবজি, আলু, টমেটো, বাাঁধাকপি, পেস্তাবাদাম, পাইন, বাদাম, কুমড়ো বীজ, শন বীজ, তিল বীজ, কাজুবাদাম ইত্যাদি।
কপার সমৃদ্ধ খাবার
কলিজা, ঝিনুক, বাদাম এবং বীজ, গলদা চিংড়ি, মাশরুম, সবুজ শাক, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি।
ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার
কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, আখরোট, তিল বীজ, সোয়াবিন, বরবটি, শিম, শুকনো মটরশুটি, রান্না করা সাদা ভাত, গোটা শস্যের আটা, সুজি, ওটস, উৎকৃষ্ট ময়দা, ডিমের সাদা, অংশ, পালং শাক পাতা কপি, মেথির শাক, মুলার শাক, সবুজ মটর শুটি।
ভুট্টা, ফুলকপি, ওলকপি, বীট, সরিষার সবুজ শাক, ঢ়েড়স, ব্রকলি, শতমুলী, কমলা লেবু, স্ট্রবেরি, ফুটি, তরমুজ, কলা, আনারস, রাম্পবেরি, পাকা পেঁপে, ডালিম, পেয়ারা, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়
- বায়োটিনের ঘাটতি হলে চুল ভেঙ্গে যায় ও চুলের ক্ষতি হয়।
- ভিটামিন এ এর অভাবে চুল পড়ে যায় এবং চুলের গোড়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
- ভিটমিন ই এর অভাবে চুল পড়ে যায়।
- ভিটমিন সি এর অভাবে চুল পড়ে যায়।
- ভিটমিন বি (১২ এবং বায়োটিন) এর অভাবে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যায়।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুম কম হয়। এছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাবে প্রতিদিন নিয়মিত কাজ করতে গিয়ে ক্লান্তি ভার করে। ভিটামিন ডি মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরনে সাহায্য করে।মেলাটোনিন ঘুম আসাতে সহয়তা করে।শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে মেরাটেনিন হরমোন ক্ষরন হয় না ফলে সহজে ঘুম আসতে চাইনা।
এছাড়া এর অভাবে হাড়ের জোড় কমে যায় এবং হাড়ের গিঁটে ব্যাথা হয়।পেশি দুর্বর হয়ে যায় ও পেশিতে টান ধরে পেশির জোড় কমে যায়। ভিটামিন ডি এর সাথে মানসিক অবসাদগ্রস্ততার সম্পর্ক না থাকলেও বর্তমানে গবেষনায় দেখ গেছে এই ভিটামিনের অভাবে মানুষ অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান
চুল পকা সমস্যা নারী-পুরুষ সকলেরই হতে পারে। বিভিন্ন কারনে আমাদের মাথার চুল পাকতে পারে।সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা তৈলাক্ত ত্বকের কারনেও চুল পেকে যেতে পারে।মেলাসেজিয়া নামে এক ধরনের ছত্রাক মাথার ত্বকে নতুন কোষ জন্মাতে সহযোগিতা করে।
এক্ষেত্রে ত্বক তেল চিটচিটে হয়ে ময়লা জমলে এই ছত্রাকটি আরোও সক্রিয় হয়ে উঠে এবং চুলের গোড়ার ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
নিম পাতার পানি: চুল পাকা দূর করতে নিম পাতা জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু চুল পাকা রোধে নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিম পাতা - ৪০ টা
- পানি - ১ লিটার
প্রথমে পানিকে ফুটিয়ে নীতে হবে।সারারাত ভিজিয়ে রাখা নিমপাতা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সেই পানি দিয়ে যদি মাথা ধুয়ে ফেলেন তাহলে চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নিম পাতার হেয়ার প্যাক: চুল পাকা দূর করতে নিম পাতার হেয়ার প্যাক জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু চুল পাকা রোধে নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিম পাত - ৪০ টি
- পানি - ১ লিটার
- মধু - ১ টেবিল চামচ
প্রথমে পানিকে ফুটিয়ে নীতে হবে।সারারাত ভিজিয়ে রাখা নিমপাতা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সেই পানির সাথে মধু মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিতে হবে।তারপর মিশ্রনটির সাথে মধু মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নিমপাতা ,টক দই ও মেথির পেষ্ট: চুল পাকা দূর করতে নিম পাতার সাথে টক দই ও মেথি মিশিয়ে ব্যবহার করলে জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু চুল পাকা রোধে নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিম পাতা - ৪০ টি
- মেথি - ২ টেবিল চামচ
- টক দই - ১/২ কাপ
- লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ
প্রথমে পানিকে ফুটিয়ে নীতে হবে।সারারাত ভিজিয়ে রাখা নিমপাতা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সেই পানির সাথে মধু ও পানিতে ৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা মেথি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিতে হবে।তারপর মিশ্রনটির সাথে মধু মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নিমের তেল ও নারিকেল তেল: চুল পাকা দূর করতে নিমের তেলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে জাদুর মতো কাজ করে। নিমপাতা শুধু চুল পাকা রোধে নয় শরীরের প্রতিটা অঙ্গের জন্য খুবই কার্যকর একটি উপাদান।
- নিমের তেল - ১/৪ কাপ
- নারকেল তেল - ১ কাপ
প্রথমে নারিকেল তেল হালকা গরম করে এর সাথে নিমের তেল মেশাতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে মাথার ত্বকে ও চুলের গোঁড়ায় তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর সকাল বেলায় চুল শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রনটি যদি ব্যবহার করেন তাহলে চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নারিকেল তেল ও রোজমেরি অয়েল: চুল পাকা দূর করতে নারিকেল তেল ও রোজমেরি অয়েলের মিশ্রন জাদুর মতো কাজ করে। এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- নারিকেল তেল - ৩ টেবিল চামচ
- রোজমেরি অয়েল - ৩ ফোটা
উপরোক্ত মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ: নারিকেল তেল ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষন রেখে দেওয়ার পর হালকা গরম হয়ে আসবে তখন হাতের আঙ্গুলে মেখে নিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় হালকা করে মাসাজ করতে হবে।এই মাসাজের কাজটি অন্তত ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে।এরপর পুরো চুলে তেল ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এরপর আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর, ঝলমলে ও প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নারিকেল তেল ও জোজোবা অয়েল: নারিকেল তেল যেমন চুলের যত্নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে ঠিক তেমনি জোজোবার তেলও একই ভাবে কাজ করে। তাই চুল পাকা দূর করার জন্য এই দুই ধরনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় হালকা করে মাসাজ করতে হবে। মাসাজ করা শেষে একটি গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে দিতে হবে।
এরপর আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতটা সুন্দর, ঝলমলে ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছেে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নারিকেল তেল ও লেবুর ব্যবহার: চুল পাকা দূর করতে নারিকেল তেল ও লেবুর রস জাদুর মতো কাজ করে। এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- নারিকেল তেল - ২ টেবিল চামচ
- লেবুর রস - ১ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
নারিকেল তেল ও কর্পুর: শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রনটি মাথার তালুতে ও চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এতে চুল পাকাজনিত সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে। এই মিশ্রনটি ব্যবহারে আপনার মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুল শক্ত হবে।
এই মিশ্রনটির নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন দুরীভুত হবে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
জলপাই এর তেল: চুল পাকা দূর করতে জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার পৃথিবী ব্যাপী খুবই জনপ্রিয়।আপনি যদি নিয়মিত জলপাই এর তেল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তা চুল পাকা কমাতে সহায়তা করবে।
জলপাই এর তেলের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজিং আছে যা ত্বকের আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বেকিং সোডা: অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে প্রথমে মাথা ভিজিয়ে নিন। তারপর কিছুটা বেকিং সোডা হাতে নিয়ে মাথায় মেখে নিতে হবে। তারপর খুব ভালোভাবে আলতো করে ঘষে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদিও বেকিং সোডা মাথার খুলির ছত্রাক দমন করে কিন্তু এটি ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলে। কিন্তু এই শুষ্ক অবস্থা বেশিদিন থাকে না।
ত্বক আবার তৈলাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু এই সময় আপনি মাথায় কোন পাকা চুল দেখতে পাবেন না।
ঘৃত কুমারী: আপনার যদি মাথা ভর্তি খুশকি থাকে তাহলে ঘৃতকুমারীর রস মাখলে চুল পাকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খুশকির কারণে আমাদের মাথায় খুব চুলকানি হয়ে থাকে। ঘৃতকুমারী মাথায় মাখলে তা চুলকানি থেকে বেশ আরাম দেয়।
এটি শুধু মাথার খুশকি ও চুলকানি উপশমে সহায়তা করে তা নয় বরং মাথার ত্বকের আরো অনেক সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
পেঁয়াজের রস: চুল পাকা দূর করতে পেঁয়াজের রস জাদুর মতো কাজ করে। এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- পেঁয়াজ - ২ টা
- পানি - ১ মগ
প্রথমে পেঁয়াজ বেঁটে নিয়ে মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
রিঠা: চুল পাকা দূর করতে রিঠা পাউডার এর জুড়ি মেলা ভার । এই মিশ্রনটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার চুলে কোনো খুশকি থাকবেনা।
- রিঠা - ২ টা
- পানি - ১ মগ
প্রথমে রিঠা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে মাসাজ করতে হবে।তারপর এই অবস্থায় ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার চুল কতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ও প্রানবন্ত হয়েছে এবং চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মেথি: প্রথমে মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা পানি ছেঁকে ভালোভাবে বেঁটে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়া পানি ফেলবেন না।তারপর বেটে নেওয়া মেথি চুলের গোড়ায় আস্তে আস্তে লাগিয়ে নিতে হবে। কয়েক ঘন্টা রাখার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে।তারপর মেথি ভেজানো পানি দিয়ে একবার চুল ধুয়ে নিতে হবে।
এভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ বার মেথি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুল পাকাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখকের শেষকথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন চুল পাকা রোধ করতে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে ,চটকদার বিজ্ঞাপনের কবলে না পড় ববং যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তাহলে আশা করা যায় আপনাদের চুল পাকা রোধ হবে।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url