গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় সেই সম্পর্কে।আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে নারীদের মনে আশা থাকে তার সন্তানটি যেন ফর্সা হয়। এই জন্য কিছু খাবার খেতে হয়।এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে বাচ্চা সুস্থ, সবল, সুন্দর ও ফর্সা হবে নিশ্চিত করে বলা যায়।তাই আসুন বিস্তারীতভাবে আলোচনা করা যাক।
ভুমিকা
আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কলা, দুধ, খেজুর, পেয়ারা, কিসমিস ও বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্বস্থ্য থাকবে রোগ মুক্ত, সুস্থ ও সবল যা আপনার সন্তানের উপরে প্রভাব ফেলবে। ফলে আপনি সুস্থ, সুন্দর ও ফুটফুটে একটা সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানের জন্য কলা খুব উপকারী একটি ফল। গর্ভবতী মায়েদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যাপারে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন হয়। খাবার গ্রহনে সামান্য ভুলের কারনে মা ও সন্তানের জন্য বিপদ হতে পারে।তাই গর্ভবতী মায়ের সতর্কতা অবলম্বনের উপর নির্ভর করে একটি সুস্থ, সবল শিশুর জন্ম হওয়া। গর্ভবতী নারীরা গর্ভাবস্থায় খুব কঠিন সময় পার করেন।
তাই তাদের খুব সচেতনভাবে খাবার খেতে হয়। একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া প্রতিটি নারীর শ্রেষ্ঠ অনুভুতি।এই সময়ে নারীদের শারীরিক মানসিক নানা রকম পরিবর্তন ঘটে।ফলে নারীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই প্রত্যেক গর্ভবতী নারীর খুব সাবধানে চলাফেরা করা উচিত এবং নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া উচিত।
- কলায় প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম, ভিটামিন বি, সি ও মিনারেল রয়েছে।
- বমি বমি ভাব দুর করতে কলার জুড়ি মেলা ভার তাই গর্ভবতী মহিলারা যদি সকালে কলা খান তাহলে সারা দিনের দুর্বলতা কেটে যাবে।
- কলায় প্রচুর পরিমানে আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে সহায়তা করে।তাই প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি কলা খাওয়া উচিত।
- কলাতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকায় মা ও শিশুর হাড় মজবুত ও বৃদ্ধিতে সহয়তা করে।
- ভিটামিন সি অ্যান্টি-অক্সিডিন্টের কাজ করে ও সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিসামিন সি কে অ্যাসকরবিক এসিডও বলা হয়।এই অ্যাসকরবিক এসিড আয়রন শোষনের কাজ করে।টিস্যুগুলি মেরামত করে,হাড়ের বৃদ্ধি ঘটায় স্বস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- কলা ক্ষুধা উদ্দীপকের কাজ করে।ফলে যে সকল মহিলাদের খাবারে অরুচি আছে তাদের রুচি বৃদ্ধিতে সহয়তা করে।
- কলাতে পটাসিয়াম থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
- কলাতে রয়েছে ফোলেট যা শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ড বিকাশে সহায়তা করে।গর্ভাবস্থায় কলা খেলে তা পানিতে দ্রবীভুত হয়ে ভিটামিন বি৯ এ রুপান্তরিত হয়।
- কলাতে Glucose, Fructose ও Sucrose থাকায় তা শরীরে তাৎক্ষনিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।সাধারনত গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসে গর্ভবতী মায়ের শক্তির লেভেল স্বাভাবিক থাকা খুব গুরুত্বপুর্ন।কলা খেলে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- যেসব নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তাদের অবশ্যই কলা খাওয়া উচিত। কারন কলা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে।
- কলা রক্তে ভালো কোলেষ্টরলের মাত্রা বাড়ায় ও খারাপ কোলেষ্টরলের মাত্রা কমায়।
- গর্ভাবস্থায় প্রথম তিনমাস মর্নিং সিকনেস থাকে। তাই মর্নিং সিকসেস থেকে বাঁচতে কলা খাওয়া উচিত।
- গর্ভবতী নারীরা সাধারণত এসিডিতে ভুগেন। তাই নিয়মিত কলা খেলে এসিডিটি দূর হয়। কারণ কলাতে যে ম্যাগনেসিয়াম আছে তা পাচন প্রক্রিয়াকে মজবুত করে এবং এসিডিটির কষ্ট থেকে গর্ভবতীকে মুক্তি দেয়।
- কলা বাড়তি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয় তাই যখনই মনে হবে তখনই একটা কলা খেয়ে নেবেন।
- কলাতে নানান ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজ পদার্থ থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- গর্ভবতী নারীদের গর্ভাবস্থায় মন মেজাজ খারাপ থাকে। কলা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কলা খেলে মেজাজ পরিবর্তন জনিত সমস্যার সমাধান হয়।
গর্ভাবস্থায় দুধ খাওয়ার উপকারিতা
দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।এই খাবারটি যদি আপনি প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানের গ্রোথ স্বাভাবিক থাকবে এবং সুস্থ, সবল বাচ্চা জন্ম গ্রহন করবে।
তাই একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া উচিত।
১ গ্লাস দুধ এ রয়েছে
- পানি- ৮৬.৫ শতাংশ
- ফ্যাট - ৪.৮ শতাংশ
- ক্যালসিয়াম-৪.৫ শতাংশ
- প্রোটিন -৩.৫ শতাংশ
দুধের উপকারিতা
- গর্ভবতী অবস্থায় দুধ পান করলে ভ্রুনের বৃদ্ধি স্বাভবিকভাবে ঘটে এবং শিশু দীর্ঘ ও লম্বা হয়।
- দুধে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, অ্যামাইনো এসিড ও ফ্যাটি এসিড থাকায় তা শিশুর স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সহায়তা করে।এছাড়া দুধে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকায় শিশুর হাড়ের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয় এবং শিশুর পর্যাপ্ত অষ্কিজেন সরবরাহে সহায়তা করে।
- দুধে ভিটামিন এ, বি এবং ডি থাকায় গর্ভে শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে ঘটে।
- গর্ভবতী মায়েদের প্রায়শই অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে। দুধ এক্ষেত্রে অ্যান্টাসিডের কাজ করে।
- গভাবস্থায় দুধ পান করলে অস্টিও পরোসিস, রিকেটসের মত মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত দুধ পান করলে Premature প্রসব ও একলামশিয়া হওয়ার সম্ভাবনার আশংঙ্কা ২০ শতাংশ কমে যায়।
- দুধে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও ক্যালসিয়াম যা শিশু মেধা বিকাশে সহায়তা করে।
- গর্ভবস্থায় মেয়েরা সাধারনত অনিদ্রজনিত সমস্যায় ভুগেন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই রাতে যদি দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- দুধের মধ্যে ক্যালসিয়াম ও খনিজ উপাদান থাকায় গর্ভের শিশুর হাড় ও দাঁতের বিকাশে সহায়তা করে।
- দুধে প্রচুর পরিমানে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন থাকায় শিশুর মাংসপেশীর গঠন ও শারীরিক গড়ন সুন্দর করে।
- দুধে থাকা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন গর্ভের সন্তানের মানসিক বিকাশ ও শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- গর্ভবতী মায়ের যদি খাবার গ্রহনের পরিমান কম হয় তাহলে তার ওজন কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলস্বরুপ শিশুর ওজন ও কম হয়।তাই গর্ভবতীকে দিনে সকালের নাস্তায় দুধের সাথে বাদামের গুড়া মিশিয়ে খাওয়ানো হয়, তাহলে মা ও শিশুর ওজন স্বাভাবিক থাকবে।
- গর্ভাবস্থায় প্রজেস্টেরন হরমোন নিঃস্বরন হওয়ায় শরীরে সবসময় ক্লান্তি অনুভুত হয়। নিয়মিত দুধ খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভাবস্থায় কোন মহিলা যদি ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগেন তাহলে তার প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধ পান করার অভ্যাস করতে হবে।
- গর্ভবতী মায়ের হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা আরেকটি মারাত্মক সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত সকালে ও রাতে এক কাপ করে গরম দুধ খেতে পারেন। যা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই খেজুর রাখতে হবে।এটি গর্ভবতীর শরীরে সুপার ফুডের মতো কাজ করে।অনেক পুরোনা আমল থেকেই খেজুর খাওয়ার প্রচলন হয়ে আসছে।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা গর্ভের সন্তানকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। খেজুর মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ একটি খাবার।
- খেজুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটমিন কে, বি৬, ফোলেট, আয়রন, আঁশ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। যা মা ও শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- খেজুরে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা গর্ভবতী ময়ের শারীরিক দুর্বলতা কমায়।
- শিশু ভুমিষ্ট হওয়ার পর মায়ের শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায়। ফলে মায়ের শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাচ্চা প্রশবের পর খেজুর খেলে দ্রুত রক্ত উৎপাদন হয়।
- খেজুরে রয়েছে ফ্যাটি এসিড। যা প্রসবের সময় গর্ভবতীকে করে তোলে কমনীয় এবং প্রসব স্থানের মাংশপেশীকে নমনীয় করে যাতে প্রসব বেদনা কম হয়।
- গর্ভাবস্থার শেষদিকে অর্থাৎ ৩৫ সপ্তাহের পর থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম খেজুর খাওয়া উচিত।কারন এই সময় খেজুর খেলে জরায়ুর গ্রীবাকে মজবুত করে।
- খেজুরে থাকা “নিউট্রিয়েন্টস” গর্ভবতীর বাড়তি শক্তি যোগান দিয়ে থাকে। কারন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য একজন মায়ের প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়।
- খেজুরে থাকা Glucose, Fructose ও কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায়।
- খেজুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ফ্রি রেডিকেল কে মেরে ফেলে।ফলে কোষের ক্ষয় কম হয়।
- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে সহয়তা করে।
- খেজুরে পটাসিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
- খেজুরে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকায় তা আয়রনের ঘাটতি পুরন করে।
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভবতী মায়েদের যেমন বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ যত্নশীল হতে হয়। তবে গর্ভবতী মায়েদের কিছু কিছু ফল খেতে বারন করা হয়।
কারন এই ফলগুলো গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক ক্ষতির কারন হতে পারে। পেয়ারা এমন একটি ফল যা সকলেই খেতে পারেন এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুব উপকারী।
- পেয়ারাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে।একটি গবেষনায় বলা হয়েছে, পেয়ারা পাতার রস ইনসুলিন নিঃস্বরনে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রন করে।ডায়াবেটিস রোগীর যদি পেয়ারা পাতার রস দিয়ে চা পান করেন তাহলে রক্তে শর্করার পরিমান ১০ শতাংশ কমে যায়।
- হার্ট ভালো রাখতে পেয়ারার গুরুত্ব অপরিসীম।পেয়ারার শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। পেয়ারা রক্তে LDL এর মাত্রা কমিয়ে দেয় ও HDL এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।ফলে ধমনী পরিষ্কার থাকে। যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- পেয়ারা পাতার নির্যাস মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধে সহায়তা করে।গবেষনায় দেখা গেছে পেয়ারা পাতার নির্যাস নিয়মিত পান করলে মাসিকের ব্যাথার তীব্রতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে সহায়তা করে। পেয়ারা পাতার নির্যাসে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রভাব বিদ্যমান থাকায় তা অন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এই ফল অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- পেয়ারাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় তা কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। পেয়ারা পাতার নির্যাসে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রভাব বিদ্যমান থাকায় তা অন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এই ফল অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- পেয়ারা পাতার নির্যাস ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে।ফলে শরীর ক্যান্সার মুক্ত থাকে।পেয়ারায় থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান কোষের ক্ষতি রোধে সহায়তা করে। একটি গবেষনায় দেখা গেছে পেয়ারা পাতার তেল ক্যান্সারের ওষুধের থেকে ৪ গুন বেশী শক্তিশালী।
- পেয়ারাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভিটামিন সি থাকায় শরীর রোগ মুক্ত থাকে। ভিটামিন সি শরীরে শ্বেত কনিকা বৃদ্ধি করে যার ফলে শরীর নানা ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত থাকে।
- পেয়ারায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
- গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের কারনে নারীরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকে।এই সময় গর্ভবতীর মানুষিক অবস্থা উঠা নামা করে।নিয়মিত পেয়ারা খেলে গর্ভবতী মানসিক চাপ মুক্ত থাকে।
গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েটের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হয়।গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়া একেবারে নিরাপদ।প্রতিদিন এক মুঠো কিসমিস খাওয়া গর্ভবতীর জন্য খুব উপকার।
এগুলো চায়ের সাথে পুষ্টিকর স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। যখনই আপনি শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করবেন তখনই এই ফলটি খেয়ে ফেলবেন।
- কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার।ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খুব সহজে হজম হয়।ফলে পাচনতন্ত্র স্বভাবিক থাকে। প্রত্যেকের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুব জরুরী বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের আরও বেশি জরুরী।নিয়মিত খেজুর খেলে গর্ভবতী মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্যতা স্বাভাবিক রাখে এবং হজম শক্তিকে তরান্বিত করে।
- কিসমিসে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে যা রক্ত প্রবাহকে নিয়স্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিসমিস ফুসফুসের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এই ফলটি ফুসফুস সুস্থ রাখে ও স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। আয়রনের অভাবে শরীরে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
- ক্যালসিয়াম হলো অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি খনিজ যা হাঁড় গঠনে, দাাঁতের স্বস্থ্য ভালো রাখতে, কোলেষ্টরল কমাতে, ত্বকের স্বস্থ ভালো রাখতে ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে।ক্যালসিয়াম গর্ভবতীর জন্য খুব গুরুত্বপুর্ন একটি উপাদান কারন এটি গর্ভে শিশুর হাঁড়ের বিকাশে খুব গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে।
- গর্ভবতীর হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতার কারনে গর্ভবতীর দাঁতের উপর প্রভাব পড়ে। নিয়মিত কিসমিস খেলে দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যতার সম্মুখীন হতে পারে।নিয়মিত কিসমিস খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে নানা ধরনের Trauma মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেন যা রক্তে লোহিত কনিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।নিয়মিত কিসমিস খেলে লোহিত কনিকার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে পাঁচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে থাকে। তাই প্রতিনিয়ত কিসমিস খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে ব্যাপক দুর্বল থাকে। তাই নিয়মিত কিসমিস খেলে দুর্বলতা দুর হয়ে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
গর্ভাবস্থায় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিটা নারীর গর্ভকালীন সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে তাদেরকে নানা ধরনের অনুভূতির শিকার হতে হয়। তাই দেখা যায় এ সময় প্রতিটা নারী খাদ্য তালিকা নিয়ে বেশ সচেতন হয়ে যায়।
আরোও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
সন্তানকে পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রদান করার জন্য গর্ভবতী মায়েদের উচিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করা ।তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের উচিত অন্যান্য খাবারের সাথে বাদামও যেন তালিকায় থাকে।
- বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাই। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- বাদাম খেলে গর্ভবতীর জরায়ুর পেশিগুলো শক্তিশালী হয় এবং মসৃন থাকে। যার ফলে বাচ্চা প্রসব করতে রক্তপাতর সম্ভাবনা কম থাকে।
- বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার।ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খুব সহজে হজম হয়।ফলে পাচনতন্ত্র স্বভাবিক থাকে। প্রত্যেকের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুব জরুরী বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের আরও বেশি জরুরী।নিয়মিত খেজুর খেলে গর্ভবতী মহিলাদের হরমোনের ভারসাম্যতা স্বাভাবিক রাখে এবং হজম শক্তিকে তরান্বিত করে।
- বাদামে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে যা রক্ত প্রবাহকে নিয়স্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিসমিস ফুসফুসের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এই ফলটি ফুসফুস সুস্থ রাখে ও স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। আয়রনের অভাবে শরীরে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
- ক্যালসিয়াম হলো অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি খনিজ যা হাঁড় গঠনে, দাাঁতের স্বস্থ্য ভালো রাখতে, কোলেষ্টরল কমাতে, ত্বকের স্বস্থ ভালো রাখতে ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে।ক্যালসিয়াম গর্ভবতীর জন্য খুব গুরুত্বপুর্ন একটি উপাদান কারন এটি গর্ভে শিশুর হাঁড়ের বিকাশে খুব গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে।
- গর্ভবতীর হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতার কারনে গর্ভবতীর দাঁতের উপর প্রভাব পড়ে। নিয়মিত বাদাম খেলে দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যতার সম্মুখীন হতে পারে।নিয়মিত বাদাম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে নানা ধরনের Trauma মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেন যা রক্তে লোহিত কনিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।নিয়মিত বাদাম খেলে লোহিত কনিকার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে পাঁচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে থাকে। তাই প্রতিনিয়ত বাদাম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে ব্যাপক দুর্বল থাকে। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে দুর্বলতা দুর হয়ে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
প্রতিটা গর্ভবতী মায়ের আশা তারা যেন সুস্থ, সবল, সুন্দর ও ফর্সা সন্তান জন্ম দিতে পারেন। আমাদের দেশে সন্তান ফর্সা করার জন্য নানা ধরনের প্রচলিত নিয়ম আছে যা গর্ভবতীরা মেনে চলেন।তারা এই সময় সব সাদা খাবার খান যাতে তাদের সন্তান ফর্সা হয়। শিক্ষিত নারীরাও এই কাজ করে থাকেন।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন বলেন খাবারের রংয়ের উপর বাচ্চার বর্ন নির্ধারন হয় না।বরং বাবা মায়ের জিনগত কারনে বাচ্চার বর্ন নির্ধারন হয়। তবে মানসিক শান্তনার জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলো খেতে পারেন।
নারিকেল: বাচ্চার রং ফর্সা করতে চাইলে নারিকেলের শ্বাস খেতে পারেন। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
জাফরান দুধ: অনেক মহিলা আছেন যারা বাচ্চার রং ফর্সা করার জন্য জাফরান দুধ পান করে থাকেন। তারা বিশ্বাস করেন জাফরান দুধ পান করলে বাচ্চা রং ফর্সা হয়। জাফরান গর্ভে বেড়ে ওঠার বাচ্চার ত্বকের বর্ণ ফর্সা করতে সাহায্য করে বলে অনেকে মনে করেন।
দুধ: গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর নিয়মিত দুধ পান করা উচিত। কারন দুধ একটি সুষম খাবার। যা গর্ভবতীর গর্ভে বেড়ে ওঠা ভ্রূণের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ডিম: গর্ভবতীর যখন চার মাস থেকে ছয় মাস চলছে, এ সময়ের মধ্যে ডিমের সাদা অংশ খেলে বাচ্চার রং ফর্সা হয় বলে একটা কথা সমাজে প্রচলিত আছে।
ঘি: গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে ,গর্ভবতীর খাবার তালিকায় যদি নিয়মিত ঘি প্রদান করা হয় তাহলে তার প্রসব বেদনা কম হয়। অন্যদিকে আরেকটি প্রচলিত ধারণা আছে যে, ঘি ব্রুনের রং ফর্সা করতে সহায়তা করে।
মৌরি: ভেজানো মৌরির পানি ত্বকের রং ফর্সা করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।গর্ভবতী নারীদের যদি নিয়মিত সকাল বেলা ৩ মিলি লিটার মৌরি ভেজানো পানি পান করানো হয় তাহলে তা বমি বমি ভাব কাটাতে সহায়তা করে।
কমলালেবু: কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই গর্ভবতীদের এই ফলটি নিয়মিত খাওয়া উচিত যা বেড়ে ওঠা বাচ্চার জন্য খুবই কার্যকর এই ফলটি ।এছাড়া এই ফলটি ত্বকের রং ফর্সা করতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
পাঠকের শেষকথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন কোন খাবারগুলো খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং আপনার সন্তান সুস্থ থাকবে ও সুস্থ, ফুটফুটে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url