যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা - কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা কিভাবে কাজ করে।আরোও আলোচনা করা হয়েছে কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি কি। কালোজিরা কোনো সাধারন খাবার নয় এটি একটি পথ্য।বলা হয়ে থাকে মৃত্যু বাদ দিয়ে সব রোগের উপশমকারী এই কালোজিরা।তাই নিয়মিত কালো জিরা খেতে হবে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা - কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

ভুমিকা

এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কালোজিরা খেলে কিভাবে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়, কি নিয়ম মেনে খাবেন, কিভাবে খাবেন, কালোজিরার তেল কিভাবে মাখলে পুরুষাঙ্গ মোটা ও শক্ত হবে ইত্যাদি।তবে অতিরিক্ত পরিমানে এটি খেলে কিন্তু ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।তাই নিয়ম মেনে এটি খেতে হবে। তাহলে এটি থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাবেন।

যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা

মুখে মুখে একটা কথা প্রচলন আছে কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের মহৌষদ।মৃত্যু বাদে সকল রোগের উপশমকারী এই কালোজিরা।আমাদের ইসলাম ধর্মেও কালো জিরা সম্পর্কে বলা আছে। আপনি যদি নিয়মিত কালো জিরা খান তাহলে গুনোগত মান সম্পুর্ন স্পার্ম উৎপাদিত হবে। এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে রোগ সৃষ্টিকারী রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

কালোজিরাতে ১৫ টি অ্যমাইনো এসিড রয়েছে এছাড়াও রয়েছে ২১ শতাংশ প্রোটিন ও ৩৮ শতাংশ শর্করা। এই ভিটামিন ও খনিজ আমাদের শরীরকে রাখে সুস্থ ও চনমনে। কালোজিরাতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট থাকায় তা শরীরের রোগ জীবানুকে ধ্বংশ করে।আপনার যারা যৌন রোগ ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ভুগছেন তাদের জন্য কালোজিরা একটি ম্যাজিক পথ্য।
এছাড়াও এটি অধিক সময় ধরে মাসিক, মাত্রাতিরিক্ত প্রস্রাবকে প্রতিরোধ করে এবং পেটের ক্রিমি নাশ করতে কার্যকর ভুমিকা পালন কবে।কালোজিরার তেলে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা ও ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি রয়েছে যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য খুব প্রয়োজন।

কালোজিরার মধ্যে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক এসিড, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটমিন-বি, ভিটামিন-বি২, ভিটামিন- সি ও নায়াসিন রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।নিয়মিত কালোজিরা খেলে নারী- পুরুষ উভয়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।

গবেষকরা বলছেন কালোজিরা টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণকে বাড়িয়ে দেয় ফলে স্বাভাবিকভাবেই সঙ্গমের ইচ্ছা শরীর ও মনে জাগিয়ে তোলে।আপনারা যদি নিয়মিত কালোজিরা খান তাহলে দেখবেন যৌন চাহিদা কতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে যা আপনার কল্পনাও করতে পারবেন না।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরার বেশ কিছু নাম রয়েছে যেমন: কালো কেওড়া, রোমান কোরিয়েন্ডার, রোমান ধনে নাইযিলা ফিনাল ফ্লাওয়ার ইত্যাদি। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম nigella sativa. আপনি একে যে নামেই ডাকুন না কেন এই বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা আকাশচুম্বী।কালোজিরা আমাদের শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংশ করতে এবং দেহের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্য খুব উপকারী একটি পথ্য।

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে

কালোজিরা স্মরনশক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার স্মরন শক্তি বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মরনশক্তিকে রাখে প্রখর। এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • পুদিনার রস - ১ চা চামচ
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • কমলার রস - ১ কাপ
  • লাল চা - ১ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।ফলে স্মরন শক্তি হবে প্রখর ও ক্ষুরধার।

মাথা ব্যাথা নিরাময় করে

কালোজিরা মাথাব্যাথা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার মাথা ব্যাথা কমবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দিবে।

এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১/২ চা চামচ
  • মধু - ১ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।ফলে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন চিরদিনের জন্য।

সর্দি-কাশি সারাতে 

কালোজিরা সর্দি-কাশি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার সর্দি-কাশি কমবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • মধু - ১ চা চামচ
  • লাল চা - ১ কাপ
  • তুলসীর রস - ২ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রৃদ্ধি পেলে সর্দি-কাশি থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে।

বাতের ব্যাথা দুর করে

কালোজিরা বাতের ব্যাথা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার মাথা ব্যাথা কমবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিবে।
এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • কাঁচা হলুদের রস - ১ চা চামচ
  • মধু - ১ চা চামচ
  • রং চা - ১ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।ফলে বাতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন চিরদিনের জন্য।

চর্ম রোগ সারাতে

কালোজিরা চর্মরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার চর্মরোগ সারবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • মধু - ১ চা চামচ
  • কাঁটা হলুদের রস - ১ চা চামচ
  • লাল চা - ১ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রৃদ্ধি পেলে চর্মরোগ থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে।

হার্টের সমস্যা সমাধান করে 

কালোজিরা হার্টের সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার হার্টের বিভিন্ন সমস্যা সারবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা হার্টের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • দুধ - ১ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

এটি নিয়মিত খেলে খারাপ কোলেষ্টরেল এর মাত্রা কমে যায় এবং ভালো কোলেষ্টরেল এর মাত্রা বেড়ে যায়।ফলে ধমনী থাকে পরিষ্কার।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে

কালোজিরা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা ব্লাড প্রেসার হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।

এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • রসুন - ২ কোয়া
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।এটি নিয়মিত খেলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

অর্শ রোগ নিরাময়ে

কালোজিরা অর্শরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার অর্শ রোগ নিয়ন্ত্রনে থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা অর্শ রোগ হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • মাখন - ১ চা চামচ
  • তিলের তেল - ১ চা চামচ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।এটি নিয়মিত খেলে আপনার অর্শ রোগ অনেক দুরে থাকবে।

শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে

কালোজিরা শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার হাঁপানি রোগ নিয়ন্ত্রনে থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা হাঁপানি রোগ হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।

এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • দুধ / লাল চা- ১ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।এটি নিয়মিত খেলে আপনার হাঁপানি রোগ অনেক দুরে থাকবে।

ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখে

কালোজিরা ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা পালন করে।এটি নিয়মিত সেবন করলে আপনার ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টি-বায়োটিক বা অ্যান্টি-সেপটিক যা ডায়াবেটিক রোগ হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।

এটির জাদুকরী ফলাফল পেতে নিম্নলিখিত উপায়ে আপনাকে এই পথ্যটিকে খেতে হবে।
  • কালোজিরার তেল - ১ চা চামচ
  • গরম ভাত- ২ কাপ
উপরোক্ত উপাদানগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সকাল, দুপুর ও রাতে খেতে হবে। এইভাবে যদি আপনি নিয়মিত ১ মাস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। আমরা সকলেই জানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
এটি নিয়মিত খেলে আপনার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শর্করার মাত্রা কমে যায় ফলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে থাকে।

এছাড়া কালোজিরা কিডনির পাথর রোধে সহায়তা করে।চেহারায় কমনীয়তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। উরুসন্ধি প্রদাহ দুর করে।আঁচিল দুর করে।অনিয়মিত মাসিক ও সাদা স্রাব রোধে সহায়তা করে।ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দুরীকরনে সহায়তা করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। রাতের বেলা ভালো ঘুম হয়।শরীরের ব্যাথা দুর করে।

পুরুষাঙ্গে কালোজিরার তেল ব্যবহারের নিয়ম

লক্ষ্য গুনের অধিকারি এই কালোজিরা।বলা হয়ে থাকে মৃত্যেু বাদ সব ধরনের রোগ নিরাময়ে কালোজিরার জুড়ি নেই। এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন ও শক্তিশালী হরমোন।মানুষের শরীরে যেমন রোগের অভাব নেই ঠিক তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাও আছে। প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে রোগ নিরময়ের নানান উপাদান।

কালোজিরায় আছে
  • আমিষ - ২১ শতাংশ
  • শর্করা - ৩৮ শতাংশ
  • স্নেহ বা ভেষজ তেল - ৩৫ শতাংশ
  • ভিটামিন-বি১ - ১৫ মাইক্রোগ্রাম
  • নায়াসিন - ৫৭ মাইক্রোগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম - ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম
  • আয়রন - ১০৫ মাইক্রোগ্রাম
  • ফসফরাস - ৫.২৬ মিলিগ্রাম
  • কপার - ১৮ মাইক্রোগ্রাম
  • জিঙ্ক - ৬০ মাইক্রোগ্রাম
কালোজিরার তেল যদি আপনি নিয়মিত আপনার পুরুষাঙ্গে ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন তাহলে আপনার পুরুষাঙ্গ মোটা ও শক্ত হবে।যদিও এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা এভাবে পুরুষাঙ্গ মোটা বা শক্ত করা যায় কিনা তার কোন গবেষনা নেই। এছাড়া অনেকের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা আছে তারা এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের পাশাপাশি কয়েক ফোঁটা কালোজিরার তেল দুই হাতের তালুতে ভালোভাবে মেখে লিঙ্গের গোড়ার দিক থেকে লিঙ্গের মাথা পর্যন্ত ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। এই পদ্ধতিতে ১ মাস মালিস করলে আপনার লিঙ্গ এমন পরিমান মোট হবে যে,তা দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

তবে খেয়াল রাখতে হবে মালিশ করতে যেয়ে যেন বীর্যপাত না হয়ে যায়। তাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।

প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়

প্রতিটি জিনিসেরই যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি তার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। ঠিক তেমনি কালোজিরারও কিছু উপকারিতা আছে এবং অতিরিক্ত পরিমানে কালোজিরা খেলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরার তেল ত্বকে বা মাথার ত্বকে মাখেন তাহলে তা এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে কালোজিরা তেল ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। যদি আপনাদের মাঝে কারো ডায়াবেটিস থাকে তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করে নেয়া উচিত তারপর কালোজিরা খাওয় উচিত। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কালোজির খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে কালোজিরার তেল ব্যবহার না করায় ভালো। কালোজিরার তেল ব্যবহার করলে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। দুই বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হয় ফলে রক্তপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত কালোজিরা ব্যবহারে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। কালোজিরা রক্তচাপ কমিয়ে লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।কালোজিরা যেহেতু রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয় তাই যাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হবে তারা নিদ্রাহীন বোধ করতে পারেন। তাই পরিমিত পরিমাণে কালোজিরা খাওয়াই ভালো।

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন যৌন শক্তি বাড়ানের হাতিয়ার হিসেবে কালোজিরার ব্যবহার সম্পর্কে।এছাড়া আরোও জানতে পেরেছেন কালোজিরা বিভিন্ন উপায়ে খেলে আপনি কিভাবে এই খাবার দ্বারা উপকৃত হবেন। আপনি যদি নিয়মিতভাবে কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে শারীরিকভাবে থাকবেন প্রানবন্ত ও সতেজ।


উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩