মানুষের উপর জিনের আসর কারন তার প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায়

বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলটি একটি ভিন্ন, আশ্চর্যজনক ও আমাদের আরেক জাতির ভাইদের নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের উপর জিনের আসর এর কারন,প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায়গুলো যদি ভালোভাবে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন এ বৈচিত্রময় জাতির সাথে আমাদের পার্থক্যের বিষয়গুলো নিয়ে।
মানুষের উপর জিনের আসর কারন তার প্রতিকার ও সুরক্ষার উপায়

ভুমিকা

এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন জিনদের পরিচয়, তাদের প্রকারেভেদ, তাদের অস্তিত্ব,কি কারনে জিনে ধরে,জিনের আসরের প্রকারভেদ, এই আসর থেকে বাঁচতে কি কি করতে হবে, কি ধরনের চিকিৎসা নিতে হবে, মানসিক রোগী ও জিনে ধরা রোগীদের মধ্যে পার্থক্য কি এবং তাদের অধিকার রক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় আমাদের করনীয়।

জিনদের পরিচয়

জিন আল্লাহ তায়ালার একটি সৃষ্টি।যেমন তিনি ফেরেশতা মানুষ সৃষ্টি করেছেন তেমনি জিনও সৃষ্টি করছেন। তাদের বিবেক, বুদ্ধি, অনুভূতি, শক্তি রয়েছে তাদের আছে ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা। তাদের মধ্যে আছে ভালো জিন ও মন্দ জিন। আল কোরআনের জিনদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে।

“আর নিশ্চয় আমাদের কতিপয় সৎকর্মশীল এবং কতিপয় এর ব্যতিক্রম।আমরা ছিলাম বিভিন্ন মত ও পথে বিভক্ত।(সুরা আল জিন ১১)।এ গোষ্ঠির নাম জিন রাখা হয়েছে,কারন জিন শব্দের অর্থ গোপন।আরবী জিন শব্দ থেকে ইজতিনান এর অর্থ হলো ইসতেতার বা গোপন হওয়া। 

যেমন আল কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “ অতঃপর যখন রাত তার উপর অচ্ছন্ন হলো ”(সুরা আল অনআম ৭৬)।

এখানে জিন অর্থ হলো,আচ্ছন্ন হওয়া,ঢেকে যাওয়া,গোপন হওয়া।তারা মানুষের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকে বলেই তাদের নাম রাখা হয়েছে জিন।যেমন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, “নিশ্চয় সে ও তার দলবল তোমাদেরকে দেখে যেখানে তেমরা তাদেরকে দেখো না।(সুরা আল আরাফ ২৭)।জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন দিয়ে।

মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বলেন, আর ইতঃপুর্বে জিনকে সৃষ্টি করেছি উত্তপ্ত অগ্নিশিখা থেকে।(সুরা আল হিজর ২৭)। এ আয়াত দ্বারা আমরা আরো জানতে পারলাম যে,আল্লাহ রাব্বুল অলামীন মানুষ সৃষ্টি করার পুর্বে জিন সৃষ্টি করেছেন।তিনি বলেন, আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি গুকনো ঠনঠনে,কালচে কাদামটি থেকে।

আর এর পুর্বে জিনকে সৃষ্টি করেছি উত্তপ্ত অগ্নিশিখা থেকে।(সুরা আল হিজর ২৬-২৭)।আল্লাহ তায়ালা বলেন, “হে জিন ও মানুষের দল,তোমাদের মধ্য থেকে কি তোমাদের নিকট রাসুলগন আসেনি,যারা তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমুহ বর্ননা করতো এবং তোমাদের এই দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে তোমাদেরকে সতর্ক করতো ? তারা বলবে,আমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলাম ’’। 

আর দুনিয়ার জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে এবং তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে যে,তারা ছিলো কাফির।(সুরা আল অনআম ১৩০)। এই আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, বিচার দিবসে মানুষের যেমন বিচার হবে তেমনি জিন জাতিকেও বিচার ও জবাবদিহিতা সম্মুখীন হতে হবে। রাসুল (সাঃ) এর হাদিস থেকে জানতে পারি তারা বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে।

খুব দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে। আসমানী কিতাবে যারা বিশ্বাসী ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলমান তারা সকলে জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। তারা কেউ জিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করে না। দার্শনিকভাবে একটি দল বলে থাকে ফেরেশতা ও জিন রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়।

সুন্দর চরিত্রকে ফেরেশতা এবং খারাপ চরিত্রকে জিন বা শয়তান শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় যদিও তাদের এই বক্তব্য কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

জিনের প্রকারভেদ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম জিন সম্পর্কে বলেছেনজিন ৩ প্রকার
  • যারা শুন্যে উড়ে বেড়ায়।
  • সাপ ও কুকুরের রুপ ধরে থাকে।
  • মানুষের রুপ ধরে মানুষের কাছে আসে ও চলে যায়।
(সুত্র:তাবারানী।বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) হাদিসটিকে সহি বলেছেন।সহীহ আল জামে আস সাগীর,হাদিস নং ৩১১৪ আবু সালাবা আল খাশানী (রাঃ) থেকে বর্নিত)।জিন বিভিন্ন প্রাণীর রূপ ধারণ করতে পারে। কিন্তু তাদের একটি গ্রুপ সর্বদা সাপ ও কুকুরের বেশ ধারণ করে চলাফেরা করে মানব সমাজে। এটা তাদের স্থায়ী রূপ।

জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস ইমানের দাবি

একজন মুসলিমকে অবশ্যই জ্বীনের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হবে। যদি সে জিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, তাহলে সে মুমিন থাকবে না। জ্বীনের অস্তিত্ব শিকার ঈমান বিল গাইব বা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল কুরআনের প্রায় ৫০ বার জিনের আলোচনা করেছেন। 

জিন জাতির সৃষ্টি, সৃষ্টির উদ্দেশ্য, তাদের ইসলাম গ্রহণ, মানুষের পূর্বে তাদের সৃষ্টি করা, ইবলিশ জিনের অন্তর্ভুক্ত, সূরা আর রহমানে জিন ও মানুষকে একসাথে সম্বোধন, নবী সোলাইমান আলাইহিস সালাম এর আমলে জিনদের কাজকর্ম করা, তাদের মধ্যে রাজমিস্ত্রি ও ডুবুরি থাকার কথা, তাদের রোজ হাশরে বিচার শাস্তি ও পুরস্কারের সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি বহু তথ্য আল-কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উল্লেখ করেছেন। 

তাদের সম্পর্কে বলতে যেয়ে সূরা আল-জীন নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল করেছেন। তাই কোন মুসলমান জিনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আল্লাহর কালামকে অস্বীকার করার মত কাজ করতে পারে না। তেমনি জিনকে রূপক অর্থে ব্যবহার করার কথাও ভাবতে পারেনা। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা এটাই।

বিভ্রান্ত ও বিলুপ্ত মুতাজিলা ও জাহমিয়্যা সম্প্রদায় জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে না।

জিনকি মানুষকে আসর করে

এর উত্তর হল, অবশ্যই জিন মানুষকে আসর করে। স্পর্শ দ্বারা পাগল করতে পারে। মানুষের উপর ভর করতে পারে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করতে পারে। এটা বিশ্বাস করতে হয়। তবে এই বিষয়টি কেহ অবিশ্বাস করলে তাকে কাফের বলা যাবে না। সে ভুল করেছে এটা বলা হবে। জিন মানুষকে আসর করে তার কিছু প্রমাণ নীচে দেওয়া হলো।

কোরআনে বর্নিত আছে
  • আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: যারা সুদ খায় তারা তার নেই দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়।( সূরা আল বাকারা ২৭৫)।
  • এ আয়াত দ্বারা যে সকল বিষয় স্পষ্টভাবে বোঝা যায়
  • যারা সুদ খায় তাদের শাস্তির ধরন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে
  • শয়তান বা জিন মানুষকে স্পর্শ দ্বারা পাগলের মত করতে পারে।
  • মানুষের উপর শয়তান বা জ্বীনের স্পর্শ একটি সত্য বিষয়।
  • জিন শয়তান এর এই স্পর্শ দ্বারা মানুষ যেমন আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি শারীরিক দিক দিয়েও অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: আর যে পরম করুণাময়ের জিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী। (সুরা যুখরুফ ৩৬)। এ আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায় মহান রাহমান ও রাহিম আল্লাহ তাআলা জিকির থেকে বিরত থাকা জিন শয়তানের স্পর্শ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একটি কারন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: আর স্মরণ কর আমার বান্দা আইয়ুবকে, যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল, শয়তান তো আমাকে কষ্ট ও আজাবের ছোঁয়া দিয়েছে। (সুরা সাদ ৪১)। এ আয়াত দ্বারা আমরা স্পষ্টভাবে বুঝলাম, শয়তান নবী আইয়ুব আলাইহিস সালাম কে স্পর্শ করে শারীরিক রোগ কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি শয়তানের শো থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: নিশ্চয়ই যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে যখন তাদেরকে শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে। তখনই তাদের দৃষ্টি খুলে যায়। (সূরা আল আরাফ ২০১)।

এ আয়াত দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যায়
  • যারা মুত্তাকী বা আল্লাহ ভীরু তাদেরকে জিন বা শয়তান স্পর্শ করতে পারে। তারা মুত্তাকী হয়েও জিন বা শয়তানের আসরে নিপতিত হতে পারে।
  • যারা মুত্তাকী তাদের শয়তান বা জিন স্পর্শ করলে আল্লাহ তায়ালা এই স্মরণ করে অন্য কোন কিছু দ্বারস্থ হয় না।
  • মুত্তাকীগণ জিন বা শয়তান দ্বারা স্পর্শ হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করলে তাদের সত্যিকার দৃষ্টি খুলে যায়।

হাদীসে বর্নিত আছে
গতরাতে একটি শক্তিশালী জিন আমার উপর চড়াও হতে চেয়েছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল আমার নামাজ নষ্ট করা। আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে শক্তি দিলেন। (সহীহ বুখারী সালাত অধ্যায়)। ইমাম ইবনে আশকালানি (রহঃ) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু) থেকে বর্ণিত নাসায়ীর বর্ণনায়।

আরো এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমি তাকে ধরে ফেললাম। আছাড় দিলাম ও গলা চেপে ধরলাম। এমন কি তার মুখের আদ্রতা আমার হাতে অনুভব করলাম।

এ হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম
  • জিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেউ আসর করতে চেয়েছিল।
  • জিনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাজ নষ্ট করার জন্য উনার কাছে এসেছিল।
  • ইফরীত শব্দের বাংলা অর্থ হলো ভূত জ্বীনদের মধ্যে যারা দুষ্ট ও মাস্তান প্রকৃতির তাদের ইফরীত বলা হয়।
  • জিন দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কোন ভয় পাননি তিনি তার সাথে লড়াই করে পরাস্ত করেছেন।
  • জ্বীনদের শরীর বা কাঠামো আছে যদিও তা সাধারণত আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না।

জিন ও ভুতের মধ্যে পার্থক্য

জিন আরবি শব্দ। বাংলাতেও জিন শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভূত বাংলা শব্দ। এর আরবি হল ইফরীত বহুবচনে আফারীত। আল কুরআনে “সূরা আন নামলের” ৩৯ নং আয়াতের ইফরীত কথাটি এসেছে। শক্তিশালী জিন বলল আপনি আপনার স্থান থেকে ওঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান ও বিশ্বস্ত।

এ আয়াতে ইফরীতুম মিনাল জিন অর্থাৎ জিনদের মধ্যে থেকে এক ইফরীত বা ভুত কথাটি এসেছে। এমনিভাবে উপরে বর্নিত হাদীসেও ইফরীতুম মিনাল জিন কথাটি এসেছে। তাফসীর বিদগন বলেছেন,জিনদের মধ্যে যারা অবাধ্য, বেয়ারা, মাস্তান, দুষ্ট ও শক্তিশালী হয়ে থাকে তাদের ইফরীত বলা হয়।অতএব ইফরীত বা ভুত,জিন ছাড়া কিছু নয়।

মানসিক রোগী আর জিনে ধরা রোগীর মধ্যে পার্থক্য

অনেক সময় আমরা এ সমস্যায় পড়ে যাই। ঠিক করতে পারি না রোগটা কি মানসিক, নাকি পাগল না জ্বীনের আসর থেকে রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক সময় তাই আমরা মানসিক রোগীকে জিনে ধরা রোগী বলে থাকি। তেমনি জ্বিনে ধরা রোগীকে মানসিক রোগী বলে চালাতে চেষ্টা করি। বিশেষ করে ডাক্তার ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কোনভাবেই জ্বীনের আসরকে স্বীকার করতে চান না। 

তারা এই জাতীয় সকল রোগীকে মানসিক রোগী বলে সনাক্ত করে থাকে। পাগলামিকে আরবিতে বলা হয় জুনুন আর পাগলকে বলা হয় মজনুন। আরবিতে এ জুনুন ও মাজনুন শব্দ দুটো কিন্তু জিন শব্দ থেকেই এসেছে।

কেউ যদি পাগলামির মতো অস্বাভাবিক আচরণ করে তাহলে সেটা যেমন জ্বীনের আসরের কারণে হতে পারে, আবার তা মানসিক রোগের কারণেও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু বিষয় নির্ধারণ করেছেন, যার মাধ্যমে মানসিক রোগী আর জিনে ধরার রোগীর মধ্যে পার্থক্য করা যায়।
  • জিনে ধরা রোগী কিছুক্ষণের জন্য বেহুশ হয়ে যায়। মানসিক রোগী বেহুশ হয় না।
  • কখনো কখনো জিনে ধরা রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয়। দাতে খিল লেগে যায়। মানসিক রোগীর মুখ থেকে ফেনা বের হয় না।
  • জিনে ধরা রোগী প্রায়ই স্বপ্নে সাপ, কুকুর, বিচ্ছু, বানর, শেয়াল ও ইঁদুর ইত্যাদি দেখে থাকে। কখনো কখনো স্বপ্নে দেখে সে অনেক উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাচ্ছে।
  • জিনে ধরা রোগীর মধ্যে সর্বদা ভীতু ভাব থাকে। সবসময় ভয় লাগে। মানসিক রোগীর তেমন ভয় থাকে না।
  • জিনে ধরা রোগী নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত আল্লাহর জিকির ইত্যাদি পছন্দ করে না। বরং এগুলো তার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়।
  • জিনে ধরা রোগী কখনো কখনো ভিন্ন ভাষা ও ভিন্ন ভঙ্গিতে কথা বলে।
  • জিনে ধরা রোগী অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক থাকে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করে।
  • জিনে ধরা রোগী থেকে অনেক সময় আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ হয়ে থাকে যেমন: অল্প সময়ে সে বহু দূরে চলে যায়। গাছে উঠে সরু ডালে বসে থাকে ইত্যাদি।
  • জিনে ধরা রোগীর কাছে স্বামী ,স্ত্রী ,সন্তান ঘর-সংসার ভালো লাগে না।
  • জিনে ধরা রোগীর উপর যখন জিন চড়াও হয় তখন ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তুললে ছবি ধোঁয়ার মতো অস্পষ্ট হয়। দেখা গেছে আশেপাশের সকলের ছবি স্পষ্টভাবে উঠেছে কিন্তু রোগীর ছবিটি ধোঁয়াচ্ছন্ন। এটা কারো কারো নিজস্ব অভিজ্ঞতা। মনে রাখতে হবে অভিজ্ঞতা সর্বদা একরকম ফলাফল নাও হতে পারে।

কি কারনে জিন চড়াও হয়

কিছু বিষয় রয়েছে যার উপস্থিতি কারনে মানুষকে জিনে আছর করে।
  • প্রেম। কোন পুরুষ জিন কোন নারীর প্রেমে পড়ে যায় অথবা কোন নারী জিন যদি কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে তাহলে জিন তার ওই প্রিয় মানুষটির ওপর আসর করে।
  • কোন মানুষ যদি কোন জিনের প্রতি জুলুম অত্যাচার করে বা কষ্ট দেয় তাহলে অত্যাচারিত জিনটি সেই মানুষের উপর চড়াও হয়। যেমন: জিনের গায়ে আঘাত করলে, তার গায়ে গরম পানি নিক্ষেপ করলে কিংবা তার খাদ্য খাবার নষ্ট করে দিলে সেই মানুষটির উপর চড়াও হয়।
  • জিন খামোখা জুলুম অত্যাচার করার জন্য মানুষের উপর চড়াও হয়। তবে এটি পাঁচটি কারণে হতে পারে অতিরিক্ত রাগ, অতিরিক্ত ভয়, যৌন চাহিদা লোপ পাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতা, নোংরা ও অপবিত্র থাকা। কারো মধ্যে এই স্বভাবগুলো থাকলে জিন তাকে আসর করে অত্যাচার করার সুযোগ পেয়ে যায়।

জিনের আসরের প্রকারভেদ

মানুষের উপর জিন চড়াও হওয়ার ধরনটি ৪ প্রকারের হতে পারে
  • জিন মানুষের পুরো শরীরে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য।
  • আংশিকভাবে শরীরের এক বা একাধিক অংশে সে প্রভাব বিস্তার করে কিছু সময়ের জন্য। যেমন হাতে অথবা পায়ে কিংবা মুখে।
  • স্থায়ীভাবে জিন মানুষের শরীরে চড়াও হতে পারে। এর মেয়াদ হতে পারে অনেক দীর্ঘ।
  • মানুষের মনের উপর কিছু সময়ের জন্য বিস্তার করে মানুষ যখন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা শুরু করে তখন চলে যায়।

জিনের আসর থেকে বাঁচতে হলে যা করতে হবে

  • পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে ও ইসলামী শরীয়তের অনুসরণ করতে হবে।
  • ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুয়া পাঠ করতে হবে। (বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লা লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) সুত্র: আবু দাউদ ও তিরমিজী। এই দোয়াটি পড়তে হবে।
  • পায়খানাতে যাওয়ার সময় দোয়া পাঠ করতে হবে। (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস) সুত্র: ইবনে হিব্বান। এই দোয়াটি পড়তে হবে।
  • প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করতে হব। (আউজু বিকালি মাতিল্লাহিত মিন শাররি মা খালাকা) সুত্র: মুসলিম, তিরমিজী, আহমাদ।এই দোয়াটি পড়তে হবে।
  • প্রতিদিন নিদ্রা গমনকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করতে হবে।
  • খাবার সময় বিসমিল্লাহ বলতে হবে ও ঘরে প্রবেশের দোয়া পড়তে হবে। অন্তত পক্ষে বিসমিল্লাহ বলে ঘরে প্রবেশ করতে হবে।
  • হাই তোলার সময় মুখে হতে দিতে হবে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে।
  • ঘরে আল কোরআন তেলাওয়াত করা বিশেষ করে সুরা বাকারা পাঠ করতে হবে।
  • কোন গর্তে পেশাব পায়খানা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ঘরে কোন সাপ দেখলে তা মারতে তাড়াহুড়া করা যাবে না।
  • স্বামী-স্ত্রী মিলনের সময় দুয়া পাঠ করতে হবে।(বিসমিল্লাহ,আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তান, অজান্নিবিশ শায়তান মা রাযাকতানা) সুত্র:বুখারী ও মুসলিম।
  • সন্ধার সময় বাচ্চাদেরকে বাহিরে বের হতে দেয়া যাবে না।
  • জিনদের কাছে আশ্রয় চাওয়া বা তাদের সাহায্য চাওয়া যাবে না।

জিনের আসরের চিকিৎসা

আল কোরআন পুরোটাই শিফা বা আরোগ্য লাভের মাধ্যম। আল কুরআনের বহু স্থানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনকে শিফা বলেছেন। কিছু মানুষ বলে থাকে,আল কুরআন শারীরিক ব্যাধির চিকিৎসা নয় বরং আধ্যাত্মিক ব্যাধির চিকিৎসা”। এ ধরনের খণ্ডিত ব্যাখ্যা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আল কুরআনকে আল্লাহতালা সাধারণভাবে শিফা বলেছেন। 

তিনি বা তাঁর রাসূল কখনো বলেননি যে, শিফা বা আরোগ্য বলতে আধ্যাত্মিক রোগের শিফা বুঝানো হয়েছে। তাই যারা বলবেন আল কোরআনকে শারীরিক ব্যাধির জন্য শিফা বলা যাবে না তারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। যাই হোক জ্বীনে ধরা রোগীর কাছে আল কুরআনের বিশেষ বিশেষ কিছু আয়াত তেলাওয়াত করা হলে জিন ছেড়ে যাই আর রোগী ভালো হয়ে যায়। 

এই প্রসঙ্গে ইমাম মোহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ কর্তৃক আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু) থেকে ৩৩ টি আয়াতের কথা বর্ণিত আছে। যদিও হাদিসের সনদটি সহিহ নয় কিন্তু আল কুরআনের আয়াতের প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই।

৩৩ টি আয়াত হলো
  • সুরা ফাতেহা ও সুরা আল বাকারার ১ থেকে ৪ আয়াত।
  • সুরা আল বাকারার ২৫৫ থেকে ২৫৭ আয়াত।যার মধ্যে আয়াতুল কুরসী রয়েছে।
  • সুরা আল বাকারার ২৮৪ থেকে ২৮৬ আয়াত।
  • সুরা আল আরাফের ৫৪ থেকে ৫৬ আয়াত।
  • সুরা আল ইসরার ১১০ থেকে ১১১ আয়াত।
  • সুরা আস সাফফাতের ১ থেকে ১১ আয়াত।
  • সুরা আর রহমান ৩৩ থেকে ৩৫ আয়াত।
  • সুরা জিন ১ থেকে ৪ আয়াত।
  • সুরা হাশর ২১ থেকে ২৪ আয়াত।
আরার সুরা ইখলাস, সুরা কাফেরুন, সুরা আল ফালাক ও সুরা আন নাস পাঠ করার কথাও এসেছে।তবে মুল কথা হলো ৩৩ আয়াত পাঠ করতে হবে এমন কোন বিধান নেই।আগেই বলা হয়েছে এ সংক্রান্ত হাদীদটির সনদ সহীহ বলে প্রমানিত নয়।বরং এ আয়াতগুলো ও এর সাথে অন্যান্য যে সকল আয়াতের কথা আলোচনা হয়েছে এগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খুবই অর্থবহ, তাৎপর্যপুর্ন, বরকতময়।

যেমন সুরা ফাতেহার কথা সকলের কাছে সুবিদিত যে তার এক নাম হলো সুরা শিফা।আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সম্পর্কে সকলের জানা। সুরা বাকারার শেয় আয়াতসমুহের ফজিলত সম্পর্কে সহীহ হাদিস রয়েছে।সুরা সাফফাত পাঠে জিন শয়তান ভয় পেয়ে যায় বলে হাদিসে েএসেছে।সুরা ফালাক ও সুরা নাস সকল প্রকার জাদু টোনা ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ইত্যাদি।

তাই জিনে ধরা রোগীর কাছে এ সকল আয়াত তেলওয়াত করা হলে জিন ছেড়ে যায় ও রোগী সুস্থ হয় বলে অভিজ্ঞতায় প্রমানিত। এবং এটি মহান আল্লাহর কালামের একটি বরকত ও শিফা। জিনে ধরা রোগীর চিকিৎসার জন্য তাবীজ-কবচ ব্যবহার, লোহা পড়া,ঘর বন্ধক দেওয়া ইত্যাদি তদবীর করা ঠিক নয়। 

জিনের অধিকার রক্ষায় আমাদের করনীয়

হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিনদের ব্যাপারে তোমাদের ভাই শব্দ ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ মুসলিম জিনেরা হলো আমাদের ভাই। তাদের অধিকার রক্ষায় যত্নবান হতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

আলকামা বলেন,আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) কো জিজ্ঞেস করলাম,জিনের রাতে আপনাদের মধ্যে কি কেউ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলেন ? তিনি বললেন, না। কিন্তু ঘটনা হলো, আমরা এক রাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলাম।তাকে আমরা পেলাম না। আমরা তাকে বিভিন্ন ঘাটি ও পাহাড়ে খোঁজ করতে লাগলাম। 

আমরা বলতে লাগলাম তিনি উধাও হয়ে গেছেন অথবা কেউ তাকে অপহরন করেছে।আসলে সে রাতটি আমরা অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছি। যখন সকাল হলো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেরা পর্বতের ‍দিক দিয়ে আমাদের কাছে হাজির হলেন। আমরা বললাম,হে আল্লাহর রাসুল আমরা আপনাকে হারিয়েছিলাম। অনেক খোঁজা খোঁজি করেছি। 

আপনাকে না পেয়ে আমরা খুব ‍দুঃচিন্তায় রাত কাটিয়েছি। তিনি বললেন, জিনদের মধ্য থেকে একজন অহবানকারী এসেছিলো আমার কাছে।আমি তার সাথে গেলাম। আমি তাদের কুরআন পাঠ করে শুনালাম।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিয়ে সে স্থানের দিকে চললেন। তিনি আমাদের তাদের পদচিহ্নগুলো দেখালেন। 

তাদের আগুনের আলামতগুলোও দেখালেন।তারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তাদের খাদ্য খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলো। তিনি তাদের বললেন, তোমাদের খাবার হলো সে সকল জন্তু জানোয়ারের হাড্ডি যা আল্লাহর নাম নিয়ে জবেহ করা হয়েছে। এর মধ্যে যা তোমাদের নাগালে আসে তা তোমরা খাবে। এটা তোমাদের জন্য গোশত বলে গন্য হবে। 

আর তোমাদের পালিত জানোয়ারের গোবরও তোমাদের খাদ্য। এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বললেন,তোমরা এগুলো দিয়ে কখনো ইসতেনজা (শৌচ কর্মে ব্যবহার) করবে না। কেননা এটা তোমাদের ভাইদের (জিনদের) খাদ্য।

জিনদের খাদ্য নিরাপত্তা 

অনেক ফিকাহের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়লা দিয়ে ইসতেনজা (শৌচ কর্ম) করা যাবে না। কারন কয়লা হলো জিনদের খাবার। এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস হলো, জিনদের একটি প্রতিনিধি দল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসলো। তারা বললো, হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার উম্মত হাড্ডি, গোবর ও কয়লা দ্বারা ইসতেনজা করে। 

অথচ আল্লাহ তায়ালা এ গুলোকে আমাদের জন্য খাদ্য হিসেবে নির্ধারন করেছেন। হাদীসের বর্ননাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এ সকল বস্তু দিয়ে ইসতেনজা করতে নিষেধ করেছেন।(সুত্র : আবু দাউদ)

জিনদের কোরআন তেলাওয়াত শোনা ও তার উত্তর প্রদান

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : আমি জিনদের সাথে সাক্ষাতের রাতে তাদের সুরা আর রাহমান পাঠ করে শোনালাম। তারা তেলাওয়াত শুনে তোমাদের চেয়ে উত্তম জবাব দিতো। 

যখন এ আয়াত পাঠ করতাম ,সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে ? তখন তার এর উত্তরে বলতো, হে আমাদের রব আমরা আপনার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করি না। সকল প্রশংসা তো আপনারই। এই হাদিসটি ইমাম তিরমিজী বর্ননা করেছেন। আলবানী (রহঃ) এ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।( সুত্র : আস সিলাসলতুস সহীহা ১৮৩/৫)।

এ হাদিস থেকে যা শিখলাম
  • জিনদের কাছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করেছেন তার মধ্যে সুরা আর রাহমানও ছিলো।
  • জিন সাহাবিরা সুরা আর রাহমান শুনে আল্লাহ তায়ালার প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছে তা মানুষ সাহাবিদের চেয়ে সুন্দর উত্তর ছিলো বলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে জিনেরা মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও তারা মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। ক্ষেত্র বিশেষে কেহ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলে সর্বক্ষেত্রে তার শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়াটা জরুরী নয়।
  • আল কুরআন পাঠ করে বা তার পাঠ শুনে সে মোতাবেক উত্তর দেয়া সুন্নাত। যেমন : আলোচ্য হাদিসে দেখা গেলো। আল্লাহ তায়ালার কোন প্রশ্ন আসলে তার উত্তর সাথে সাথে প্রদান করা, এমনিভাবে যখন জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের কথা আসে তখন তা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। আর যখন জান্নাত ও জান্নাতীদের কথা আসে তখন জান্নাত কামনা করা ইত্যাদি হলো আল্লাহ তায়ালার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ ও আল কোরআন তেলাওয়াতের আদব।

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন জিনদের সম্পর্কে। উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩