বিষন্ন মন ভালো করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

বন্ধুরা,আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিষন্ন মন ভালো করার উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।মানসিকভাবে ভালো থাকার উপায়গুলো যদি সঠিকভাবে মানতে পারেন তাহলে আপনার জীবনটা শান্তিতে ভরে উঠবে। কারন মন ভালো না থাকলে কোন কাজ আপনি আন্তরিকতার সাথে করতে পারবেন না।
বিষন্ন মন ভালো করার উপায়
আন্তরিকতার সাথে কোন কাজ করতে না পারলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।

ভুমিকা

আজকের এই আর্টিকেলটি যদি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন মন ভালো করার ১০ টি উপায়গুলো কি কি।কিভারে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।ছেলে মেয়ে উভয়ে কি ধরনের কাজ করলে মন ভালো থাকবে।মন ভালো করার জন্য ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি গুলো কি কি।খাবার খেলে শুধুমাত্র শরীর ভালো থাকেনা বিষন্ন মন ভালো হয়ে যায়।

তাই কি ধরনের খাবার খাবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

দ্রুত মন ভালো করার ১০ উপায়

আপনার যদি মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে কখনোই ভাববেন না আপনি মানসিক রোগে ভুগছেন। মন ভালো থাকা বা খারাপ থাকা পুরো বিষয়টাই আবেগের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন কারণে আপনার মন খারাপ থাকতে পারে। মন খারাপ থাকলে কোন কাজে মন বসে না কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না। 
এতে আপনার আশেপাশের যে সকল প্রিয় মানুষগুলো আছে তারা খুব অস্বস্তি বোধ করে। তবে যদি মন ভালো করার ইচ্ছা আপনার মধ্যে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি কিছু টিপস মানলে খুব সহজেই খারাপ মন ভালো করতে পারবেন।

কোরআন পড়ুন: আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন এবং আপনার মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে কুরআন তেলাওয়াত করুন দেখবেন এই কোরআন তেলাওয়াত মন ভালো করতে কতোটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।কারন আল্লাহ তায়ালা কোরআনকে এমন ভাবে নাজিল করেছেন যেন এটি একটি ছন্দময় কাব্যের জীবন বিধান।

এছাড়া আপনারা যারা অন্য ধর্মাবোলম্বীর আছেন তারা তাদের নিজ নিজ ধর্ম গ্রন্থ পড়লে মনটা বেশ হালকা হয়ে যাবে।

পছন্দের মানুষের সাথে সময় কাটান: আপনি মনে মনে চিন্তা করুন আপনার পছন্দের মানুষ কারা তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। অনেক সময় আমাদের মন খারাপ থাকলে পছন্দের মানুষদের দেখলে এড়িয়ে চলি। যেটা কখনোই করা উচিত নয়। এতে আপনার মন আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। 

কারণ আপনার মনে হতে পারে যে তার সাথে কেন আমি কথা বললাম না। কখনোই বলবেন না আজকে আপনার মন খুব খারাপ আছে তাই আমি একা থাকতে চাই। তাই প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলুন তাকে একটু স্পর্শ করুন তাহলে দেখবেন আপনার বেশ ভালো লাগছে। 

যদি দেখা করতে না পারেন তাহলে মোবাইলে তার সাথে কথা বলুন এবং কি কারণে আজকে আপনার মন খারাপ তার সাথে সেটা শেয়ার করুন। দেখবেন মন অনেকটা হালকা হয়ে গেছে।

ছন্দময় সুরেলা গান শুনুন: গান মানুষ পছন্দ করে না এমন মানুস খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। গান মানুষের মনকে আন্দোলিত করে।আপনার মন যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে পছন্দের কোন গান ছেড়ে দিয়ে শুনুন অথবা ছেড়ে দেওয়া গানের সাথে সুর মিলিয়ে গান করুন।

আপনারা হয়তো কেউ কেউ খুব হেবি মিউজিক ওয়ালা গান শুনতে ভালোবাসেন আবার কেউ কেউ হালকা মিউজিক পছন্দ করেন।যে যেই রকম গান পছন্দ করুন না কেনো এক মিনিট গান করলে দেখবেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মন ভালো হয়ে গেছে।

চোখে মুখে ঠান্ডা পানি দিন: মন যদি আপনার খুব বেশী খারাপ হয়ে থাকে তাহলে শারীরিকভাবে দুই ধরনের অবস্থা অনুভুত হয়ে প্রথমত শরীর নেতিয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয়ত খুব রাগ হতে পারে।যদি আপনার রাগ হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি চোখে, ‍মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন যদি পারেন গোসল করে নিন।তাহলে দেখবেন মন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে।

হাটাহাটি করুন: কোন কারনে আপনার মন খারাপ হলে হাঁটার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান।এবং পজিটিভ চিন্তা করুন।আশে পাশে ভালো বিষয়গুলো অবলোকন করুন এবং আপনার চারিদিকে যে মানুষগুলো রয়েছে তাদের নিয়ে চিন্তা করুন দেখবেন তাদের চেয়ে আপনি কতো ভালো আছেন।

আপনি হাঁটতে হাঁটতে কোন লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ুন এবং আপনার পছন্দের বিষয়গুলো খুঁজতে থাকুন।দেখবেন অটোমেটিক আপনার মন ভালো হয়ে গেছে।

প্রানখুলে হাঁসুন: হাঁসতেই যদি পারেন তাহলে মন খারাপ হবে কেনো এই প্রশ্নটা আসতেই পারে।আসলে মন যতই খারাপ থাকুক একটু চেষ্টা করে হাঁসতে পারেন তাহলে দেখবেন নিমিষেই মন ভালো হয়ে গেছে।এইজন্য আপনাকে কিছু টুলস ব্যবহার করতে হবে যেমন:জোঁকসের কোনো বই,কমেডি কোনে মুভ,জি বাংলার মিরাক্কেল অথবা মিঃবিন।

চিৎকার করা: সাইকোলজিস্টরা বলেন কেউ যদি জোরে চিৎকার দেয় তাহলে তার মস্তিষ্কে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয় এই হরমোন মনটাকে চাঙ্গা করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও চিৎকার করলে আপনি যে বিষয়ের কারণে মন খারাপ করে আছেন তাকে ভুলিয়ে দিতে সহায়তা করে। 

তাই যখনই আপনার মন খারাপ করবে তখনই জোরে একটা চিৎকার দিবেন।

ব্যায়াম: আমাদের শরীরে চারটি হরমোন রয়েছে যাদের নাম ডোপামিন,সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন এদেরকে একসাথে বলা হয় হ্যাপি হরমোন। এই হ্যাপি হরমোনগুলো আমাদের শরীরে বার্তবাহকের কাজ করে।এই হ্যাপি হরমোন গুলো আমাদের ভালোলাগা,মন্দ লাগা, আমাদের মন,মেজাজ ও অনুভুতিকে নিয়ন্ত্রন করে।
ব্যায়াম করলে এই হরমোনগুলোর নিঃসরন বেড়ে যায়।ফলে ব্যায়াম করার পর আপনার মন অনেকটা ভালো হয়ে যাবে।

ভালো বন্ধু: ধরুন আপনারা স্বামী-স্ত্রী দুই জন খুব ভালো বন্ধু। একে অপরের কাছে অনেক কথা শেয়ার করেন। একটু চিন্তা করে দেখুন তো সত্যিই কি আপনারা সব কথাই একে অন্যের কাছে শেয়ার করতে পারেন? ফলাফল, অবশ্যই না তার কারণ এমন অনেক কথা আছে যা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শেয়ার করা যায় না। একমাত্র ভালো বন্ধুর কাছেই তা শেয়ার করা যায়। 

তাই ভালো বন্ধু তৈরি করুন এবং তার কাছে আপনার মন খারাপের কারণ জানিয়ে মনটাকে হালকা করুন তাহলে দেখবেন মনটা অনেক ভালো হয়ে যাবে।

মেয়েদের মন ভালো করার উপায় 

মেয়েদের মন খুবই বৈচিত্র্যময়।আকাশ যেমন বিভিন্ন রুপ ধারন করে বিভিন্ন সময় অর্থাৎ এই রোদ এই বৃষ্টি ঠিক তেমনি মেয়েদের মনও বদলাতে সময় লাগেনা তারা একটুতেই হাসিখুশি থাকে আবার অল্পতেই কান্নার সাগরে ভেসে যায়।প্রকৃতিগত ভাবেই মেয়েরা খুব অভিমানী স্বভারের।সামান্য বিষয়ে তারা অভিমানি হয়ে পড়ে।

ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের অল্পতেই মন খারাপ হয়ে যায়।মেয়েদের মন ভালো করতে হাসির গল্প শোনালে তা টনিকের মতো কাজ করে। কোন কিছু উপহার পেলে তো কথাই নেই মনের মধ্যে জমে থাকা মেঘ কখন যে দূর হয়ে যায় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সীমার মধ্যে থেকে বেশি বেশি প্রশংসা করবেন দেখবেন তাতে কাজ হয়েছে। 

তাদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে কথা বলা যাবেনা। আপনার ব্যক্তিত্বে যদি কমেডিয়ান ধারা কিছুটা থাকে তাহলে তা আপনার জন্য পজিটিভ সাইট বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। কারণ মেয়েরা হাস্যরস খুব পছন্দ করে তাই মেয়েদের সামনে যদি হাসি তামাশা করেন তাহলে কোন বিষয়ে মন খারাপ থাকলে তা ভালো হয়ে যায়। তাদের বিশেষ বিশেষ দিনে উপহার দিন। 
পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করুন আপনাদের সম্পর্কের শুরুর দিকে কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন মজার কোন স্মৃতি মনে করেন তাহলে দেখবেন মনটা অনেক হালকা হয়ে গেছে। আপনার প্রেয়সি হয়তো কোন একটা সমস্যায় আছে সেই সমস্যাটা জানার পর তা সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করুন দেখবেন আপনার এই একনিষ্ঠতা তার মনকে ভালো করে দিয়েছে।

মনোযোগ দিয়ে আপনার প্রেয়সীর কথা শুনুন তাহলে সে বুঝবে আপনি তার কথার মুল্যায়ন করেন।এতে তার মধ্যে ভালো অনুভুতি কাজ করবে।আপনার প্রেয়সীকে যদি ভুল করে কোন বিষয়ে কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে ভুল স্বীকার করুন।তাকে বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে আপনি যা করেছেন তাতে ভুল ছিল।এরকম ভুল আর আপনি করবেন না।

এতে তার মধ্যে একটা বিশ্বাস জন্মাবে এবং ভরসার জায়গা তৈরী হবে।তাহলে দেখবেন তার মন ভালো হয়ে গেছে।প্রিয় কোন রেস্তোরায় খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারেন।কারন মেয়েরা রেস্তোরায় খেতে খুব ভালোবাসে।মন খারাপ থাকলে এই কাজটি করলে দেখবেন সাথে সাথে মন ভালো হয়ে গেছে।

যেকোনোভাবে আপনি হয়তো জানতে পেরেছেন যে তার আজকে মন খুব খারাপ তাহলে সাথে সাথে তাকে একটি সারপ্রাইজ গিফট উপতার দিন দেখবেন তার মন ভালো হয়ে গেছে।

ছেলেদের মন ভালো করার উপায় 

বেশিরভাগ স্ত্রীদের মধ্যে একটা আক্ষেপ থাকে যে তাদের স্বামীরা তাদের কথা শোনে না। মেয়েরা এটা সব জায়গাতে গল্প করে সেটা বাস, রেল,মেট্রো রেল অথবা মেয়েদের কোন আড্ডায়।বিবাহিত জীবন টিকিয়ে রাখতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখা খুবই জরুরী একটা বিষয়।

মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই মনে মনে যে ধরনের স্বামী আশা করে বিয়ের পরে দেখা যায় তার স্বামীটা তার মনের মতো হয়নি।এই আর্টিকেলে ছেলেদের বা প্রেমিকের অথবা স্বামীর মন ভালো করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

সম্মান করতে হবে: ছুটির দিনে স্বামীরা বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকে এই সময় স্ত্রীরা কারণে অকারণে তার সাথে খিটমিট আচরণ করে। স্বামীকে নিজের বসে রাখতে হলে অবশ্যই নিজের এই স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটমিটে ও ঝগড়াটে স্ত্রীরা কখনো স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তাই ঐ সকল স্ত্রীদের উচিত স্বামীকে যোগ্য সম্মান প্রদান করা।

উৎসাহ প্রদান করতে হবে: ছেলেরা সাধারণত টাকা রোজগারের জন্য ঘরের বাইরে বেশিরভাগ সময় কাটায়।এই সময় ছেলে মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কাজ করতে হয়। ফলে তাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে যেতেই পারে।এর অর্থ এই নয় যে, এই ভুলের কারণে তাদের সাথে সব সময় ঝগড়া করতে হবে।

তাই আগে স্বামী যে ভুল করেছে তা তাকে অনুধাবন করাতে চেষ্টা করুন যে, সে ভুল করেছে। তারপর সেই ভুল কেন করেছে তা নিয়ে স্বামীর সাথে আলোচনা করুন এবং তাকে উৎসাহ প্রদান করুন যে, পরবর্তীতে যেন আর এই ধরনের ভুল না করে। তাহলে দেখবেন আপনার প্রতি তার একটা আত্মবিশ্বাস জন্মেছে ফলে খারাপ মন ভালো হয়ে যাবে।

কখনো নরম কখনো গরম: জন্মগতভাবে হয়তো আপনি একটু নরম স্বভাবের। স্বামী যেটা বলে , যেটা সে পছন্দ করে, সে যেটা করতে চায় সব ব্যাপারে হয়তো আপনি তাকে সমর্থন করেন।অবশ্যই আপনি তাকে সমর্থন করবেন ,যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনাদের দুজনের মাঝে কোন সমস্যা সৃষ্টি না করবে।

স্বামীর অন্যায় কাজগুলোকে যদি কাই মনোবাক্যে সমর্থন করেন তাহলে সে, এই ধরনের অন্যায় কাজগুলো করতেই থাকবে। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে একটু গরম হতে হবে এবং যথুপযুক্ত যুক্তি দিয়ে বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে, সে কাজটা সঠিক করেনি। তার ভুলটা যদি সে বুঝতে পারে,তাহলে দেখবেন আপনার প্রতি একটা আস্থা জন্মেছে। ফলে এতে তার মন হালকা হয়ে যাবে।

সিক্সসেন্স কে কাজে লাগান: বলা হয় মেয়েদের সিক্সসেন্স অত্যন্ত প্রখর। তারা পুরুষ মানুষের মন পড়তে সিদ্ধহস্ত।আপনার মধ্যে থাকা এই গুনটাকে কাজে লাগান।আপনার স্বামী কি করতে চাই, তার ভালোলাগা ও খারাপ লাগা গুলো বুঝতে চেষ্টা করুন। সে কি ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে সেটা আগে ভালোভাবে বুঝে নিন।

সব ব্যাপারে স্বামীর বিপক্ষে কথা বলে তাকে রাগিয়ে দেবেন না। তার পছন্দের জিনিসগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি জিনিস তাকে উপহার দিন। অফিস থেকে ফেরার আগে তার পছন্দের জিনিসগুলো তৈরি করে রাখুন। এতে সে খুব খুশি হবে।

যৌন জীবনে আপনি সন্তুষ্ট: আপনি হয়তো যৌনজীবনে সন্তুষ্ট না তাই সবসময় আপনি আপনার ভাগ্যকে দোষারোপ করেন।মনে কষ্ট থাকলেও আপনি আপাতত এই বিষয়টি এরিয়ে যান।কারন মেয়েদের থেকে পুরুষেরা খুব সংবেদনশীল হয়।এতে হয়তো আপনার স্বামী হীনমন্যতায় ভুগতে পারে।আবার মানুষিকভাবেও ভেঙে পড়তে পারে।
তাই অভিনয় করে হলেও তাকে বোঝাতে সক্ষম হন যে আপনি যৌন জীবনে কত সুখে আছেন।তারপর সুযোগ বুঝে যৌন বিষয়ে আলোচনা করুন এবং এক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় হবে কিভাবে যৌনজীবনে আরও সুখী হওয়া যায়। এতে তার মধ্যে থাকা হীনমন্যতা দুর হয়ে যাবে।মনে জমা মেঘ হালকা হয়ে যাবে।

ভুলে যাওয়া কাজ স্বরণ করিয়ে দিন: আপনার স্বামী হয়তো কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকে। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক বিষয়গুলো ভুলে যায়।তাই আপনি যদি কাজগুলো মনে করিয়ে দিন যেমন:মায়ের কাছে টাকা পাঠিয়েছে কিনা, ভাইবোনের পড়াশুনা ঠিকমতো চলছে কিনা অথবা তার বসের সঙ্গে কখন দেখা করতে যাবে।

অথবা গুরুত্বপূর্ন একটি চাকুরীর ইন্টারভিউ কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ইত্যাদি বিষয়গুলির ব্যাপারে আপনি যদি যত্নশীল হন তাহলে দেখবেন তার মন সব সময় ভালো থাকবে।

ছুটির দিনে দুজনে মিলে কাজ করুন: ছুটির দিনগুলোতে স্বামী-স্ত্রী মিলে একসাথে কাজ করুন।দুজনে মিলে খাবার রান্না করুন,বাড়ি পরিষ্কার করুন,ঘর সাজান। এই কাজগুলো যখন করবেন তখন আপনার পোশাক যেন আটোসাটো হয়। এতে আপনার আর্কষনীয় অঙ্গগুলো দেখে সে যেন মনে শান্তি পায়।মাঝে মাঝে তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাবেন।এতে সে খুব খুশি হবে।

ভালোবাসি তোমাকে এই কথাটি বলুন: I LOVE YOU এই তিনটি ম্যাজিক্যাল শব্দ আপনার জীবন প্রেমিকের জীবন বদলে দিতে পারে।সে হয়তো কোন কারনে খুব খারাপ সময় পার করছে এই মুহুর্তে যদি তার পাশে থাকেন এবং কেন তার এই সময়টা আসলো তা নিয়ে আলোচনা করুন।

এবং খারাপ সময়টা কাটিয়ে উঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের সমাধান তার কাছে উপস্থাপন করুন তাহলে দেখবেন একটা সমাধান অবশ্যই বের হয়ে আসবে।তাকে উৎসাহ দেন যে তুমি পারবে এবং শেষে যদি বলেন I LOVE YOU তাহলে আপনার প্রেমিকের মন ভালো হয়ে যাবে।

জন্মদিনের তারিখটা ভুলবেন না: অবশ্যই জন্ম দিনের তারিখটা মনে রাখবেন।তারিখটা এলে তাকে সুন্দর একটা উপহার দিবেন যেটা সে পছন্দ করে।তার পছন্দের খাবার রান্না করবেন।তাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবেন।বেড়াতে যেয়ে চা,ফুচকা,চটপটি খাবেন।রাতে দুজনে হাত ধরে হাঁটবেন,গান করবেন,কবিতা শোনাবেন,গল্গ করবেন।

এতে সে খুব খুশি হবে এবং মনে মনে ভাববে আপনি তার প্রেমময়ী একজন প্রেমিকা,বউ।

মানসিকভাবে ভালো থাকার উপায়

মানসিক ও শারীরিকভাবে আপনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে আপনি একজন সুখী ব্যক্তি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা শারীরিক সুস্থতার দিকে গুরুত্ব দিলেও মানসিক সুস্থতা কথাটা একেবারেই চিন্তা করিনা। আপনারা কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন জীবন পরিচালনার জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম।

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করুন: মানসিকভাবে ভালো থাকার সবচেয়ে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি হলো সালাত আদায় করা।অনেক কথা আছে যা মা-বাবা,ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী,বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-,প্রতিবেশী কাউকেই বলা যায় না কিন্তু সালাতে দাঁড়িয়ে আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বলা যায়।সালাত হলো একটি উত্তম মেডিটেশন।

নিয়ম মেনে জীবন পরিচালনা করুন: সারাদিন আপনি কি কাজ করবেন তার একটা রুটিন তৈরী করুন।নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করুন।যথাসময়ে খাওয়া,ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠা যা মানসিকভাবে ভালো থাকতে সহয়তা করে।গবেষনায় দেখা গেছে যাওয়া নিয়ম মেনে জীবন পরিচালনা করে তার শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে।

ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম আপনাকে শুধুমাত্র শারিরীকভাবে সুস্থ রাখেনা মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহন: মানসিকভাবে ভালো থাকতে গেলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।খাবার তালিকায় শাকসবজি রাখতে হবে ভিটামিন এ বি সি ডি ও কে যুক্ত খাবার মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত কার্যকর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভিটামিন গুলো প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমানে খেলে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

মস্তিষ্ককে ব্যাস্ত রাখুন: সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকবেন, এই জন্য সংবাদপত্র পড়বেন, পাজল গেম খেলবেন, ক্রসওয়ার্ড সমাধান করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকবে আর মস্তিষ্ক ব্যস্ত থাকলে স্মৃতিশক্তি উন্নততর হবে। যে কোন জিনিস দক্ষতার সাথে শিখতে পারবেন।

বিষন্ন মন ভালো করার উপায় 

সকল বন্ধুদের খোঁজখবর নিন: কোন কাজ না থাকলে স্বাভাবিকভাবে মন খারাপ হবে অর্থাৎ অলস ভাবে জীবন যাপন করা। অলসভাবে সময় পার করতে গেলে জীবনে একঘেয়েমি চলে আসে আর এই একঘেয়েমিতা আপনার মনকে খারাপ করে দেয়। তাই একঘেয়ে ভাব দূর করতে আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধব দের খোঁজখবর নিন। 

বর্তমান যুগ যেহেতু মোবাইলের যুগ সেহেতু বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ করা কঠিন কোন বিষয় নয়। এভাবে যোগাযোগ ঠিক থাকলে আপনার মন ভালো থাকবে এবং বিষন্নতা দুর হবে।

সাইকেল চালান: আপনার মন যখন বিষন্ন থাকবে তখন আপনার বাইসাইকেলটি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ুন। বাইসাইকেলে চড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করুন। তারপর কোন একটা চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে এক কাপ চা খান আর মনে মনে চিন্তা করতে থাকুন অতীত কোন ভালো স্মৃতি নিয়ে। এতে দেখবেন আপনি শারীরিকভাবেও ভালো থাকবেন এবং মনের বিষন্নতা দূর হবে।

ঘর গোছান: বিষন্নতা দূর করতে ঘর গোছানোর কাজটা বেশ টনিকের মতো কাজ করে। কারণ যে বিষয় নিয়ে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কোনভাবেই মাথা থেকে কষ্টটা দূর করতে পারছেন না বারবার মনটা বিষন্ন হয়ে পড়ছে। তাহলে সাথে সাথে ঘর গোছানোর কাজে হাত দিন। ঘর যদি গোছানো থাকে তাহলে আবার অগোছালো করে দিন।
তারপর যেটা যেখান থেকে সরিয়েছিলেন সেটা সেই জায়গায় রেখে দিন। এভাবে এক দুই ঘন্টা কাজ করলে আপনার মধ্যে থেকে কষ্টটা দূর হয়ে যাবে বিষন্ন ভাব কেটে যাবে।

শখের কাজটি করুন: আপনি হয়তো ছাদবাগান করতে খুব ভালোবাসেন। আপনার একটা ছাদ বাগান আছে।সেটাকে আপনি আপনার মতো করে খুব যত্ন করেন।এটি একটি আপনার সবচেযে পছন্দের একটি কাজ এটা আপনার বিষন্নতা কাটাতে ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে এটি করবেন? আপনার মন যখন খুব খারাপ থাকবে সে সময় ছাদ বাগানে একটু বেশী সময় কাটাবেন।গাছগুলোর যত্ন বেশী নিবেন।এভাবে আপনার প্রিয়শখের মাধ্যমে সময় পার করলে বিষন্নতা কেটে যেতে বাধ্য।

খেলাধুলা করুন: আপনার বাড়ির কাছাকাছি বড় একটি মাঠ আছে যেখানে আপনি হয়তো এক সময় খুব ভালো ক্রিকেট খেলতেন ।এখন সময়ের অভাবে ব্যস্ততার জীবনে ঢুকে যাওয়ার কারণে আর খেলতে পারেন না। এটি আপনার বিষন্নতা কাটানোর কার্যকরি প্রক্রিয়া হতে পারে।কিভাবে এটি প্রয়োগ করবেন? হয়তো আপনি খুব বিষন্ন মনে আছেন।

এই সময় আপনি সেই মাঠে চলে যান।নিশ্চয় আপনার ছোট ভাইয়েরা এখন খেলাধুলা করে।তাহলে তাদের সাথে খেলতে নেমে পড়ুন।কিছুক্ষন খেলার পর দেখবেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার বিষন্ন মনটা ভালো হয়ে গেছে।

কি খেলে মন ভালো থাকে

কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে উদ্বেগ বিষন্নতা কেটে যায়।বোল্ডস্কাই নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে এই সাইটে স্বস্থ্য বিভাগে উল্লেখ করা হয়েছে,“পৃথিবীতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে খুব তাড়াতাড়ি মন ভালো হয়ে যায়। এই খাবারগুলো খেলে মস্তিষ্ক থেকে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ করে। এই হ্যাপি হরমোনের প্রভাবে মন ভালো হয়ে যায় বা মনে উৎফুল্লতা আসে”।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা শারীরিক ক্লান্তি দুর করতে সহায়তা করে।টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। 

দেহের ক্ষয় রোধ করে ও বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই সবজি ফলটি নিয়মিত খেলে আপনার মন ভালো থাকবে।

সূর্যমুখীর বীজ: সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত সূর্যমুখীর বীজ খায় তাহলে সে হার্টের রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে মনও সুস্থ থাকবে।

বাদাম: বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে। এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা মস্তিষ্কের ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন নামে হ্যাপি হরমোন আছে তা নিঃসরন করে।

যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে ও বিষন্নতা রোধে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে বিষন্নতা থেকে মুক্তি পাবেন।

চকলেট: চকলেটে আছে প্রচুর পরিমানে আঁশ,লোহা,ম্যাগনেসিয়াম,কপার, ম্যাংগানিজ, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম।এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে জৈব উপাদান যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।জৈব উপাদানগুলো হলো পলিফেনলস, ফ্ল্যাভানল ইত্যাদি।এই উপাদানগুলো বিষন্নতা দুর করে মনকে চাঙ্গা করে তোলে।

কলা: কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম উচ্চমাত্রার অ্যামাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন।এই উপাদানগুলো মস্তিষ্কের ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন নামে হ্যাপি হরমোন আছে তা নিঃসরন করে।এই হরমোনের প্রভাবে মন শিথিল হয় ও মন থেকে বিষন্নতা দুর হয়।

মন ভালো করার ইসলামিক উপায়

আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়,গোটা শরীরটাই তখন ঠিক হয়ে যায়।জেনে রাখ,সেই গোশতের টুকরাটি হল ক্বলব বা অন্তর। (সহীহ বুখারী,হাদিস নং-৫২)

আপনার মন যদি ভালো থাকে তাহলে সব কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন আর মন যদি ভালো না থাকে তাহলে কাজকর্ম, পড়াশোনা কোনো কিছুই ভালো লাগবে না।

ইসলামী কৌশলগুলো

সৎ মানুষদের সংস্পর্শে থাকা: আপনি যদি সৎ মানুষের সংস্পর্শে থাকেন তাহলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় পাবেন। কারণ তাদের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশ আপনার জীবনে চলার পথের পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।আর অসৎ সঙ্গ জীবনকে ধ্বংশ করে দিবে।তাই অসৎ সঙ্গ বাদ দিতে হবে।আর সৎ মানুষের সাথে চলাফেরা করতে হবে।তাহলে মনটা আনন্দে ভরে যাবে।

আল্লাহ সুবহানাহুয়াতায়ালা কোরআন মজিদে বলেন
হে ইমানদারগন,আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও। (সুরা আত তাওবাহ : ১১৯)

আল্লাহ তায়ালাকে স্মরন করা: সালাত হলো আল্লাহ সুবহানাহুয়াতায়ালাকে স্মরন করার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।আপনি যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারেন তাহলে একশ শতাংশ গ্যারান্টি আপনার মন ভালো থাকবে।

আল্লাহ সুবহানাহুয়াতায়ালা কোরআন মজিদে বলেন
যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর যিকির দ্বারা অন্তরকে শান্ত রাখে।জেনে রাখো আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমুহ শান্তি পায়।(সুরা রাদ আয়াত নং-২৮)

আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখা: ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা। কারন ঈমানদারেরা শত দুঃখ কষ্ট বেদনার মধ্যেও আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে ও ভরসা রাখে।

আল্লাহ সুবহানাহুয়াতায়ালা কোরআন মজিদে বলেন
“নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে” (সুরা আল ইনশিরাহ,আয়াত নং-৫)

যখন আপনি দুঃখ কষ্টের মধ্যে পড়বেন তখন ভাববেন এটা চিরস্থায়ী নয়।আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের ওপর এইগুলো দিয়ে পরীক্ষা করেন। রাতের শেষে যেমন দিন আসে ঠিক তেমনি দুঃখ কষ্টের পর আসে সুখ শান্তি।

হিংসা ও অহংকার মুক্ত হওয়া: নিজের মনকে সব সময় হিংসা ও অহংকার মুক্ত রাখবেন। কারণ আগুন যেমন সবকিছু পুড়িয়ে দেয় ঠিক তেমনি ও অহংকার ও হিংসার আগুনে মানুষের স্বাভাবিক জ্ঞান বুদ্ধিকে নষ্ট করে দেয়। 

আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে কখনো পছন্দ করেন না। যার মধ্যে হিংসা ও অহংকার থাকবে সে কখনোই হাসিখুশি থাকতে পারবে না। তাই মন ভালো রাখতে অবশ্যই হিংসা ও অহংকার বাদ দিতে হবে।

আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করতে হবে: আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী দের সাথে যদি আপনার সম্পর্ক ভালো না থাকে প্রতিটি বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে তাহলে আপনার মন কখনোই ভালো থাকবে না। আপনাকে চিন্তা করতে হবে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য কি করা দরকার। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক মজবুত করুন তাহলে বিষন্নতার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাবেন।

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন মন ভালো করার উপায় গুলো সম্পর্কে।আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে পালন করতে পারেন তাহলে মানসিকভাবে বিষন্নতার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩