বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায় - কিভাবে চামড়ার ভাজ দূর করবো

বন্ধুরা,আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে আরও আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে চামড়ার ভাঁজ দূর করবেন।মুলত এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে আমাদের খাদ্যাভ্যাস, দুষিত আবহাওয়া ও কিছু বদঅভ্যাসের কারনে।
বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায় - কিভাবে চামড়ার ভাজ দূর করবো
এত সমস্যার মধ্যেও আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে জীবন চালাতে পারি তাহলে চেহারাকে বয়সের ছাপমুক্ত রাখেতে পারবো।

ভুমিকা

আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন বয়সের ছাপ দুর করতে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফেসমাস্ক তৈরী করতে হয়।কি ধরনের খাবার খেতে হবে।এই সমস্যা সমাধানের কোন ওষুধ কি বের হয়েছে? কোন কোন ব্যায়ামগুলো করলে চেহারা চীর সবুজ থাকবে এবং এই সমস্যার কারনগুলো কি কি ইত্যাদি।

বয়সের ছাপ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় - চামড়ার ভাজ দূর করার উপায় 

প্রতিটি মানুষ চাই তার ত্বক যেন উজ্জল ও প্রানবন্ত থাকে।স্বাভাবিক ভাবেই উজ্জল ও প্রানবন্ত ত্বক মানুষে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের দেশের অতিরিক্ত দুষন ও মানসিক দুশ্চিন্তায় মানুষের ত্বক ধীরে ধীরে প্রাণহীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে চেহারাতে বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায়। যাদের বয়স ৩০ হয়েছে তাদেরকে দেখতে ৫০ বছর বয়সীদের মতো মনে হয়। 
তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার প্রবনতা কমিয়ে এনে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যায়।

পেঁপে ও মধু: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে পেঁপে ও মধু ত্বক ফর্সা, সতেজ, কোমল ও মসৃন করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • পেঁপের পেষ্ট - ২ টেবিল চামচ
  • মধু - ২ চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

কমলার খোসা: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে কমলার খোসা ত্বক ফর্সা,কোমল , মসৃন ও সতেজ করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • কমলার খোসার পাওডার - ১ টেবিল চামচ
  • বেসন - ২ চা চামচ
  • দুধ - ১ টেবিল চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।কারন কমলার খোসার মধ্যে যে সাইট্রিক এসিড,ভিটামেন সি তা কোলাজেন গঠন করতে সহায়তা করে। 

এতে ত্বক থাকে টান টান।ত্বকের ফটোজিং ও হাইপারপিগমেন্টেশন কমে যায়।সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

তরমুজ ও শসা: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে তরমুজ ও শশা ত্বক ফর্সা, সতেজ, কোমল ও মসৃন করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • শসা - ১টা মাঝারি সাইজের
  • তরমুজ - ১ টুকরা
  • লেবুর রস - কয়েক ফোঁটা
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।এই মিশ্রনটিতে লাইকোপেন এর উপস্থিতি থাকায় সকল ধরনের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। 
আরোও পড়ুনঃ কোমর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় - অল্প বয়সে কোমর ব্যাথার কারন
সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

পেঁপে ও কলা: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে পেঁপে ও কলা ত্বক ফর্সা, সতেজ, কোমল ও মসৃন করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • পেঁপে - ২/৩ টুকরা
  • পাকা কলা - ১/২ টি বা অর্ধেক
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।এই মিশ্রনটিতে পেপেইন এর উপস্থিতি থাকায় সকল ধরনের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। 
সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

টমেটোর মাস্ক: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে টমেটোর মাস্ক ত্বক ফর্সা, সতেজ, কোমল ও মসৃন করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • টমেটোর রস - ৩ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস - ১ টেবিল চামচ
  • দুধের ক্রিম - ২ টেবিল চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।এই মিশ্রনটিতে লাইকোপেন ও অ্যান্টি এজেন্ট এর উপস্থিতি রয়েছে। 

যা সকল ধরনের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বককে করে তোলে সতেজ। সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

হলুদ ও শশার স্ক্রাব: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে শশা ও হলুদ ত্বক ফর্সা,কোমল ও মসৃন করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • শশার রস - ৩ টেবিল চামচ
  • হলুদ - ১/২ চা চামচ
  • লেবুর রস-১ টেবিল চামচ
এই মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে লাগিয়ে দিন।যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রনটি ৩ মাস ব্যবহার করলে দেখবেন হাত পায়ের রং বেশ ফর্সা হয়েছে।

বেসন: ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে বেসনের সুনাম রয়েছে বিউটিশিয়ানদের মধ্যে।আপনি যদি নিয়মিত বেসনের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন তাহরে দেখবেন আপনার হাত পা কতোটা সুন্দর হয়েছে।
  • বেসন - ২ টেবিল চামচ
  • হলুদের গুঁড়া - ১ চ চামচ
  • কাঁচা দুধ বা গোলাপ জল - ২ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস - ৩ ফোটা
উক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করুন।তারপর ভালোভাবে হাত পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন।শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।এইভাবে সপ্তাতে অন্তত ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে দেখবেন ত্বক কতোটা উজ্জল হয়েছে।

অ্যালোভেরা ও মধুর স্ক্রাব: অনেক প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে।অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ বের করে দেয়।ফলে এটি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তাই হাত পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জাদুর মত কাজ করে।
  • অ্যালোভেরা জেল - ২ টেবিল চামচ
  • মধু - ২ টেবিল চামচ
এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে একটি জেলপেষ্ট তৈরি করে নিন। তারপর এটি হাতে পায়ে ভালোভাবে মেখে শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো হবে পরিষ্কার করে নিন। এভাবে সপ্তাহে এই মাস্কটি ২ থেকে ৩ বার ব্যাবহার করলে দেখবেন হাত পা বেশ উজ্জল হয়ে গেছে।

টক দই: টক দই হাত পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে গোসল করার আগে হালকা ম্যাসাজ করুন। এই কাজটি পাঁচ থেকে দশ মিনিট ধরে তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
  • টক দই - ৩ টেবিল চামচ
  • লেবুর রস - ১ চা চামচ
এই মিশ্রনটি একটানা ২ মাস ব্যবহার করুন,দেখবেন আপনার শরীরে কালো ছোপ ছোপ দাগ দুর হয়েছে।

মধু টমেটোর স্ক্রাব: টমেটোর মধ্যে এমন কিছু এনজাইম আছে যা আপনার ত্বকের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেড কে তুলে ফেলে ত্বককে সুন্দর,মশৃন ও উজ্জল করে তোলে।
  • টমেটোর রস- ৪ টেবিল চামচ
  • Brown sugar-২ টেবিল চামচ
  • মধু-১ টেবিল চামচ
এই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।তারপর এই পেষ্টটি হাতে পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। এটি শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে আপনার হাত পায়ের রং উজ্জ্বল হবে।

পাকা পেঁপে: পাকা পেঁপে ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে জাদুর মত কাজ করে। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে করে তুলে উজ্জ্বল, কোমল ও মশৃন।
  • পেঁপে-১ টুকরা
  • মধু-১ চা চামচ
  • মুলতানি মাটির গুঁড়া-১ চা চামচ
  • কমলার রস-২ চা চামচ
  • লেবুর রস-১ চা চামচ
এই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করুন তারপর এই পেষ্টটি হাতে পায়ে লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ১০থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এই মিশ্রনটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার এটি ব্যবহার করলে ২ মাসের মধ্যে দেখবেন আপনার হাত পায়ের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

আলু: আলুর রস ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে জাদুর মত কাজ করে। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে করে তুলে উজ্জ্বল, কোমল ও মশৃন।
  • আলু- ১ টা মাঝারি আকৃতির
  • লেবুর রস-১ টেবিল চামচ
প্রথমে এই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটি মাস্ক তৈরি করুন তারপর এই মাস্কটি হাত-পায়ে লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে দেখতে পাবেন আপনার হাত পায়ের রং উজ্জল হয়েছে।

নিমপাতা: নিম পাতা অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ভেষজ উদ্ভিদ।এটি ত্বক পরিষ্কারক ও ত্বকের সংক্রমন প্রতিরোধে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। নিয়মিত নিম পাতা ত্বকের মাখলে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গোলাপ জল: এটিতে অ্যান্টি এজেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার কারনে লোমকুপ থেকে তেল ও ময়লা বের করে দেয় ফলে ত্বক থাকে যৌবন দীপ্ত ও টান টান।
  • গোলাপ জল - ২ টেবিল চামচ
  • গ্লিসারিন - ৩/৪ ফোঁটা
  • লেবুর রস - ১/২ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।এই মিশ্রনটিতে অ্যান্টি এজেন্ট এর উপস্থিতি থাকায় সকল ধরনের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। 
ফলে ত্বককে করে তোলে সতেজ। সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

ক্যাস্টর অয়েল: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।দিনে দুইবার ক্যস্টর অয়েল মুখে দিয়ে ১০ মিনিট ধরে হালকাভাবে ম্যাসেজ করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এভাবে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ত্বক প্রানবন্ত ও উজ্জল হয়ে উঠেছে।

ওটমিল, দই ও মধুর মাস্ক: ওটমিলকে বলা হয় প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল বের করে দেয় অর্থাৎ এটি সাবানের ন্যায় কাজ করে।এটি নিয়মিত ব্যাবহারে রয়সের ছাপ দুর হয় ত্বক থাকে ঝকঝকে।
  • ওটমিল - ১ টেবিল চামচ
  • দই - ১ টেবিল চামচ
  • মধু - ১ টেবিল চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।এই মিশ্রনটিতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এর উপস্থিতি রয়েছে। 

যা সকল ধরনের বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বককে করে তোলে সতেজ। সপ্তাতে ২ থেকে ৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

বয়সের ছাপ দূর করার খাবার

বয়সের ছাপ দুর করতে ও চামড়া টানটান করতে ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার সমুহের বর্ননা

কোলাজেন হলো ত্বকের একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ।কোলাজেন ধ্বংস হলে ত্বক ঝুলে পড়ে বা ভেতরের দিকে ঢুকে যায় বিভিন্ন ছোট ছোট বলে দেখা তৈরি হয় এবং বয়স্ক ভাব ত্বকের উপর পড়ে। ভিটামিন A,B,C,E ,খনিজ, মিনারেল ও প্রোটিন যুক্ত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা কোলাজেন ধ্বংসকারী ফ্রি-র‌্যাডিক্যালসকে ধ্বংশ করে দেয়।

এবং ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় ফলে ত্বক থাকে তারুণ্য দীপ্ত ও উজ্জ্বল।

মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। 

অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ফুলকপি: শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।

ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।

এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপির সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

শিম : আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে । শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়। আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।

এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।
রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

বাদাম:বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি নিয়মিত খাবেন।তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।

আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড।

আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।

এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন, রিবোফ্লেবিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।

এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি। এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

আখরোট: বাদাম গোত্রের একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রেটিন,পটাসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।খারাপ কোরলষ্টরেল মাত্রা কমায়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

মাছ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি তে মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম মাছ খেতে হবে। কারণ মাছ খাটের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাছ মস্তিষ্ক সহ শরীরের যে, কোষ প্রাচীর রয়েছে তা গঠন করতে সহায়তা করে।গবেষকরা বলছেন কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খায় তাহলে তাদের মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ রয়েছে তা সুস্থ থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

সেলমন ফিস: তৈলাক্তএই সামুদ্রিক মাছটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে।এই মাছটি সপ্তাহে অন্তত ৪ আউন্স খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতি মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমানের ভিন্নতা দেখা যায়।এই মাছ খেলে হৃদরোগ,স্ট্রোক,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

টুনা মাছ: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ এক কৌটা টুনা মাছ সপ্তাহে খেতে পারেন। এই থেকেই তার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মিলবে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী মাংস গ্রহন করতে হবে। যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম মাংস খেতে পারে। তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।

১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে রয়েছে
  • পানি-৭৪%
  • ক্যালোরি-১২১গ্রাম
  • প্রোটিন-২০গ্রাম
  • চর্বি-৪গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম-১৪ মি.গ্রা
  • লৌহ-০.৭ মি.গ্রা
  • ভিটামিন বি১-০.১মি.গ্রা.
  • ভিটামিন বি২-০.১৬মি.গ্রা
  • নায়াসিন-১১.৬মি.গ্রা
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে রয়েছে
  • পানি-৬৭%
  • ক্যালোরি-১৮০গ্রাম
  • প্রোটিন-২১গ্রাম
  • চর্বি-১৪গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম-৬ মি.গ্রা
  • লৌহ-২.৩ মি.গ্রা
  • ভিটামিন বি১-০.০৮মি.গ্রা.
  • ভিটামিন বি২-০.২৬মি.গ্রা
  • নায়াসিন-৮.২মি.গ্রা
১০০ গ্রাম খাসির মাংসে রয়েছে
  • পানি-৭৫%
  • ক্যালোরি-২৯৪গ্রাম
  • কোলেষ্টরেল-৯৭মি.গ্রা
  • চর্বি-১৪গ্রাম
  • সোডিয়াম-৭২ মি.গ্রা
  • লৌহ-৪.৩ মি.গ্রা
  • ভিটামিন বি১-০.০৭মি.গ্রা.
  • ভিটামিন বি২-০.২৭মি.গ্রা
  • নায়াসিন-৭.২মি.গ্রা
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কলিজা: কলিজাতেও ভিটামিন ডি থাকে।৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত কলিজা খাওয়া যেতে পারে,তবে ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে পরিমিত হারে খাওয়ায় ভালো।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে হবে।

তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

দুধ: দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।

১ গ্লাস দুধ এ রয়েছে
  • পানি- ৮৬.৫ শতাংশ
  • ফ্যাট - ৪.৮ শতাংশ
  • ক্যালসিয়াম-৪.৫ শতাংশ
  • প্রোটিন -৩.৫ শতাংশ
  • ভিটামিন ও খনিজ -০.৭ শতাংশ
প্রাণিজ দুধ ছাড়াও সয়া ও বাদামের দুধ খুব পুষ্টিকর ।বিভিন্ন দুধের পুষ্টিগুণ বিভিন্ন রকম যেমন

গরুর দুধ: গরুর দুধে তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন: ক্যালসিয়াম ভিটামিন পটাশিয়াম ননীতলা দুধে রয়েছে ৯০ ভাগ ক্যালরি। ও শূন্যভাগ চর্বি ওজন কমানোর জন্য এটা অত্যন্ত আদর্শ একটি খাবার।এক শতাংশ নানিযুক্ত দুধে রয়েছে ১০২ ক্যালরি, ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ননিযুক্ত দুধে আসে ৩. ৫ ভাগ চর্বি।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

চকলেট দুধ: শিশুদের অত্যন্ত পছন্দের খাবার এই চকলেট দুধ।এতে প্রোটিনের অনুপাত হচ্ছে চার অনুপাত এক ভাগ।এই দুধটি বড়রাও খেতে পারেন।সাধারণত ব্যায়াম করার পরে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।ছাগলের দুধ: এক গ্লাস ছাগলের দুধে সাধারণত প্রোটিনের পরিমাণ ৯ গ্রাম।এটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও চর্বি বহন করে। গরুর দুধের চেয়ে ছাগলের দুধে ১৭০ গ্রাম বেশি ক্যালোরি ও ৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। 
তবে গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর দুধের থেকে আলাদা কোন পুষ্টি ছাগলের দুধে পাওয়া যায়না।ছাগলের দুধ খেলে কোন এলার্জি হয় না যেটা গরুর দুধে হয়ে থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। 

তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

সয়া দুধ: এই দুধ সাধারণত সয়াবিন থেকে তৈরি করা হয়। এই দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। গরুর দুধের মতই পুষ্টিকর একটি দুধ।এক কাপ সয়া দুধে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৪৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যারা নিরামিষভোজী বা যাদের ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে অথবা এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই দুধ খেতে পারেন।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কাঠবাদাম দুধ: এক মুঠ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এই দুধ তৈরি হয়ে থাকে। কাঠবাদাম দুধে ক্যালোরির পরিমাণ রয়েছে ৩০ ভাগ,ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে ৪৫০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া আরও রয়েছে প্রোটিন এবং ভালো চর্বি কারো যদি এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা থাকে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কাজু বাদামের দুধ: এই দুধ খুব ফ্লেভারফুল ও ক্রিম যুক্ত। এতে রয়েছে ক্যালরি ও সামান্য পরিমাণে চর্বি। ১ কাপ কাজুবাদাম দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালরি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।

নারকেল দুধ: বর্তমানে নারকেল দুধ এখন অনেক জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ১ কাপ নারিকেল দুধে ১২ গ্রাম চর্বি ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি ও ৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ।এ টি বেশ ক্রিম যুক্ত একটি খাবার।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ফ্ল্যাক্সিড দুধ: যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এই দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালেরি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয় না। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

হেল্প সীড দুধ: এটি প্রায় ছয় দুধের মত ক্রিমযুক্ত হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে রয়েছে ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাট ক্যালরির পরিমাণ ৮০ গ্রাম।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ম্যাকাডেমিয়া: এটি কে উদ্ভিজ্জ দূত বলা হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কালো রাজমা: খুব মানুষ কালো রাজমা সস্পর্কে জানেন।এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের জয়েন্টগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।এর উাপদান রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

১ টি ডিমে রয়েছে
  • ক্যালোরি-১৪৩ এনার্জী
  • কার্বোহাইড্রেট-০.৭২গ্রাম
  • প্রোটিন-১২.৫৬গ্রাম
  • চর্বি-৯.৫১গ্রাম
  • ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা
  • পটাসিয়াম-১৩৮ মি.গ্রা
  • জিংক-১.২৯ মি.গ্রা
মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খাবেন।

তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

কর্ড লিভার অয়েল
  • ১থেকে ১২ মাস= প্রতিদিন আধা চা চামচ
  • ১থেকে ৪ বছর= প্রতিদিন ১ চা চামচ
  • ৪ বছরের উর্ধ্বে= ১.৫ চা চামচ
  • প্রাপ্তবয়স্ক= প্রতিদিন ২ চা চামচ সিরাপ পানি,দুধের সাথে খেতে পারেন।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

পনির: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পনির খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ,হার্ট ভালো থাকে ,হাড় শক্ত হয়, মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।

ফলে বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দেয়না। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

দই: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দই খাওয়া যথেষ্ট। এই পরিমাণ দই খেলে আপনার ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে ।তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না কারণ বেশি খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দেখা দিতে পারে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে এবং বয়সের ছাপ চেহারায় সহজে পড়তে দিবেনা। তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে ভাঁজহীন টানটান, সুস্থ ও উজ্জল এবং সতেজ।

ছেলেদের বয়সের ছাপ কমানোর উপায় 

পুরুষেরা বেশীরভাগ সময় বাইরে থাকায় ত্বকের উপর নির্যাতন বেশী হয়। রোদ ও ধুলোবালির কারনে ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি হয়।একটু সচেতন হলে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।ফেসওয়াশ ও স্ক্র্যাব ব্যবহার করতে পারেন।তবে ফেসওয়াশ শুধুমাত্র মুখের ত্বকের উপরের অংশ থেকে ময়লা পরিষ্কার করে থাকে। 
সেখানে স্ক্র্যাব ত্বকের ভেতর থেকে তেলতেলেভাব ও ময়লা বের করে ত্বককে সতেজ করে তোলে। ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না।সপ্তাহে ২ দিন স্ক্র্যাব করলে আপনার ত্বক থাকবে টান টান ও যৌবন দীপ্ত।

স্ক্র্যাব তৈরীর ৩টি পদ্ধতি

গমের ভুসির স্ক্র্যাব
  • গমের ভুসি - ১/২ চা চামচ
  • জলপাই তেল - ১ টেবিল চামচ
  • দানা গুড় - ১/২ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ২/৩ মিনিট ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।

ওটের স্ক্র্যাব
  • ওট - ১ টেবিল চামচ
  • জলপাই তেল - ১ টেবিল চামচ
  • মধু - ১ চা চামচ
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ২/৩ মিনিট ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।

ক্লিনজিং মিল্ক
  • ক্লিনজিং মিল্ক - পরিমানমতো
  • গমের ভুসি - পরিমানমতো
উপরোক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।তারপর হাত দিয়ে আপনার মুখের ত্বকে ২/৩ মিনিট ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট রাখার পর তা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।কিছুক্ষন পর দেখবেন ত্বক প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে এবং উজ্জল দেখাচ্ছে।

বয়সের ছাপ দূর করার ব্যায়াম 

নতুন কোষ তৈরির সময় হচ্ছে শৈশব, কৈশর ও যৌবনে এই সময় চেহারায় লাবন্য থাকে অটুট।যত বয়স বেশী হতে থাকে ততই শরীরের মেটাবোলিজমের গতি কমে যায়।এই সময় মৃত কোষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারনে চেহারাতে বয়সের ছাপ পড়ে।তাই নিয়মিত যোগাসন করলে শরীরে মেটাবলিজমের গতি বেড়ে যায় নতুন কোষ তৈরি হয় ফলে দেখতে যৌবনদীপ্ত লাগে।

হলাসন: প্রথমে টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন তারপর দুই পা উপরের দিকে তুলে দুই হাত দিয়ে কোমর ধরুন।শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে দুই পা ভাঁজ করে পায়ের আঙুল মাথার পেছন দিকে মাটিতে স্পর্শ করুন।এক্ষেত্রে কোনোভাবেই হাঁটু ভাঙ্গা যাবেনা। এ অবস্থায় শ্বাসপ্রশ্বাস ধীরে ধীরে নিবেন এবং ছাড়বেন।
হলাসন
আগের জায়গায় ফিরে আসতে কোমরে হাত রেখেই টা দুটো টানটান করে উপরের দিকে রাখুন।তারপর কোমর থেকে হাত সরিয়ে ধীরে ধীরে নিতম্ব মাটির উপর রাখুন। এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা দুটি মাটিতে রাখুন।এটি ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড করে ৩ থেকে ৫ বার করুন।

চক্রাসন:দুই পায়ের মধ্যেখানে আনুমানেক কাঁধের সমান দুরত্ব রেখে শুয়ে পড়ুন। পা এমনভাবে ভাঁজ করে রাখবেন যেন নিতম্বের সঙ্গে গোড়ালির স্পর্শ হয়।দুই হাত আস্তে আস্তে উপরে তুলুন মাথার দুইপাশে হাতের পাঞ্জা দুটি রাখুন।সমান্তরালভাবে কনুই দুটি রাখুন।শ্বাস নিয়ে নিতম্ব ও কোমর উপরের দিকে তুলুন।
চক্রাসন
তারপর হাতের উপর ভর দিয়ে পিঠ ও মাথা উপরের দিকে তুলে ফেলুন।এ অবস্থায় শ্বাস প্রশ্বাম স্বাভাবিক রাখবেন।আসন থেকে ফেরার সময় প্রথমে পিঠ পরে কোমর নামান।এটি ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড করে ৩ থেকে ৫ বার করুন।

পশ্চিমোত্তসন: দুই পা টান টান করে সোজা হয়ে বসুন।দুই হাত মাথার উপরে তুলবেন শ্বাম নিতে নিতে।শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই হাত কোমর থেকে সামনের দিকে ঝুঁকুন এবং মুখমন্ডল হাঁটুতে স্পর্শ করাতে চেষ্টা করুন।যখন এই আসনে থাকবেন তখন পেটকে হালকা টেনে রাখুন।শ্বাস প্রশ্বাস ধীরে ধীরে নিন এবং ছেড়ে দিন।
পশ্চিমোত্তসন
আসন থেকে ফিরে আসার সময় শ্বাস নিতে নিতে হাতসহ উঠুন এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নামিযে ফেলুন।এটি ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড করে ৩ থেকে ৫ বার করুন।

বয়সের ছাপ কমানোর ঔষধ

মানুষের দুই ধরনের বয়স আছে প্রথমটি হলো ক্রোনোলজিক্যাল,দ্বিতীয়টি হলো বায়োলজিক্যাল।জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের যে বয়স তাকে বলে ক্রোনোলজিক্যাল।পরিবেশগত কারন ও জীবনযাপনের ধরন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ত্বক ও চুলের উপর যে প্রভাব পড়ে তাকে বলা হয় বায়োলজিক্যাল বয়স।

এই বায়োলজিক্যাল বয়সই নির্ধারন করে কতোটা বয়সের ছাপ শরীরে পড়েছে বা বুড়িয়ে গেছে।এই বায়োলজিক্যাল বয়স থামিয়ে দিতে পারলে বা বিলম্বিত করলে বার্ধক্য দেরিতে আসবে বা বয়স কমে যাবে।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস এন্ড ব্রিডিং এর শিক্ষক স্টিভ হরভাট একটি ঘড়ি আবিষ্কার করেন যার নাম “এপিজেনেটিক ঘড়ি”। 

এপিজেনেটিক মেকানিজম হলো অভিযোজন দ্বারা প্রভাবিত একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতি জেনেটিক কোড পরিবর্তন না করেই জিনের প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। এপিজেনেটিক ঘড়ির মাধ্যমে শরীরের এপিজিনোম হিসাব করা হয়।মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে DNA মেথালেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে। 
এর নমুনা থেকেই বায়োলজিক্যাল বয়স জানা যায়।এই নমুনার উপর তিনি ওষুধ প্রয়োগ করে বায়োলজিক্যাল বয়স কমানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি একটি গবেষনা পরিচালনা করেন যাতে বলা হয়েছে মানুষের বায়োলজিক্যাল বয়সের ঘড়ি সামনের দিক থেকে পেছনের দিকে অর্থাৎ উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব।

এই গবেষনা কাজে তিনি ৩ ধরনের ওষুধ নিয়ে কাজ করেছেন।এর একটি গ্রোথ হরমোন বাঁকি দুটি ডায়াবেটিসের ওষুধ।এক্ষেত্রে তিনি একটি পরীক্ষাও পরিচালনা করেন।পরীক্ষাতে দেখা যায় যারা অংশগ্রহন করেছিলেন তাদের বায়োলজিক্যাল বয়স প্রায় আড়াই বছর কমে গেছে।

বয়সের ছাপ কমানোর ক্রিম

আদিকাল থেকেই রুপচর্চার জন্য মানুষেরা প্রাকৃতিক উপাদানের উপর নির্ভর করে আসছে।আপনাদের মধ্যে অনেকের মধ্যে দেখা যায় বয়স ৩০ হওয়ার আগেই বলিরেখা পড়ে গেছে। এ কারনে অনেক দামি ক্রিম করে থাকে।এতো দামি ক্রিম ব্যবহার করার পরেও প্রকৃতপক্ষে কোন ভালো ফল পাওয়া যায় না।এজন্য আপনি ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারবেন অ্যান্টি-এজিং ক্রিম।
  • আমন্ড ওয়েল - ১/৪ কাপ
  • নারকেল তেল - ২ টেবিল চামচ
  • ভিটামিন ই অয়েল - ১/২ চা চামচ
  • শিয়া বাটার - ১ টেবিল চামচ
  • এসেনশিয়াল ওয়েল - ২/৩ ফোঁটা
উপরোক্ত উপকরনগুলো একটি কাঁচের পাত্রে রেখে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।তারপর একটি পাত্রে পানি গরম করে নিন।তারপর গরম পানির উপর কাঁচের পাত্রটি বসান। চুলা বন্ধ করে দিন।এই গরম পানির ভাপে সব উপকরন গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।এরপর কাঁচের পাত্রটিকে ভাপ থেকে উঠিয়ে ঠান্ডা করতে দিন।ঠান্ডা হয়ে গেলে ক্রিমটি ফ্রিজি রেখে ব্যবহার করুন।

চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার কারণ 

সময়ের সাথে সবকিছু বদলে যায়।সময় এগিয়ে যাই ,বয়স বাড়তে থাকে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার প্রভাব শরীর এবং মনের উপর পড়ে।যার ফলে পরিবর্তন হয় ত্বকে। ত্বক কুঁচকে যাই ,বলি রেখা পড়ে। এগুলো স্বাভাবিক একটি ঘটনা। সকলেরই সময়ের আগে চেহারাতে বার্ধক্যের ভাব কাম্য নয়। কিন্তু বর্তমান যুগে মানুষের মধ্যে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

নিজস্ব কিছু বাজে অভ্যাসের কারনেও মানুষ অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাচ্ছে। এই বাজে অভ্যাসগুলো শরীর এবং ত্বকের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে।

মানসিক চাপ: বর্তমানে ঘরে এবং বাইরে উভয় জায়গাতে আমাদের মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়। এই মানসিক চাপ মানুষের মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি করে। কোন একটা ঘটনা ঘটলেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি অস্থির হয়ে পড়ি।এই ধরনের অস্থিরতার কারনে মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পড়ে যা আপনার চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ ফেলে দেয়।

রোদে ঘোরাঘুরি: সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্ষতির এই প্রভাব এতটাই ব্যাপক যে আপনাদের ত্বক অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে। আপনাকে বিভিন্ন কারণে বাইরে যেতে হয় এবং রোদের মধ্যে থাকতে হয়। তাই বাইরে বেরুনোর আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিবেন এবং সানগ্লাস ব্যবহার করবেন এতে আপনার দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকবে এবং ত্বকও ভালো থাকবে।

খাদ্যাভ্যাস: বর্তমান সময়ে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আমাদের অল্প বয়সে বার্ধক্যের আরেকটি অন্যতম কারন। সকল ধরনের ফাস্টফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ত্বকের কোলাজেন ভেঙ্গে ফেলে।এর ফলে মুখে বলিবেখা ও বার্ধক্যের ভাব ফুটে উঠে। অতিরিক্ত চিনি আমাদের ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত কোমল পানি পান করলে দাঁত ও হাড়ের ক্ষতি করে। 

ফলে আমাদেরকে খুব অল্প বয়সেই বুড়ো মানুষের মত মনে হয়।

ধুমপান ও মদ্যপান: ধুমপান ও মদ্যপান ত্বকের হাইড্রেশন, কোলাজেন, এলাস্টিন এবং অক্সিজেনকে নষ্ট করে দেয়।আপনারা যারা ধুমপান করেন তাদের ত্বকে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয় ফলে ত্বক দেখতে বুড়ো মানুষের মতো মনে হয়।এছাড়া অতিরিক্ত ধুমপান ও মদ্যপান আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কমিয়ে দেয়।

পরিশ্রম না করা: একটি গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে এ পৃথিবীতে যত মানুষ মারা যায় ঠিক সেই পরিমাণ মানুষ মারা যায় অলসতা ও পরিশ্রম না করার কারনে। বিষয়টা শুনতে আজব লাগলেও এটাই সত্যি।কায়িক পরিশ্রম যদি না করেন তাহলে নানা ধরনের রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে। আর শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে স্বাভাবিকভাবে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়বে।

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন বয়সের ছাপ কিভাবে দুর করা যায় তার উপায় গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চেহারা থাকবে সবসময় তারুন্যদীপ্ত, সুস্থ,সতেজ ও উজ্জল।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩