স্বামীকে ইমপ্রেস করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি সদ্য বিবাহিত মেয়েদের জন্য যারা স্বামীকে ইমপ্রেস করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান।এছাড়া এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে স্বামীকে সুখী রাখার ১০ টি টিপস সম্পর্কে।সদ্য বিবাহিত মেয়েদের বিবাহিত জীবনের অনেক কিছু অজানা থাকে।তাই মনোযোগ দিয়ে এই লেখাটি পড়লে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
ভূমিকা
পুরুষের চরিত্র বর্হিঃমুখি তারা কাজের সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।ব্যবসা,বানিজ্য অফিস আদালতে চাকুরী করতে গিয়ে অনেক সুন্দরী মেয়েদের সংস্পর্শে আসে।ফলে তার স্ত্রী যদি তার মনের মতো না হয় তাহলে সে পরনারীতে আসক্ত হয়ে পড়ে।
তাই এই আর্টিকেলটি যদি সদ্য বিবাহিত মেয়েরা পড়ে তাহলে জানতে পারবে স্বামীকে কিভাবে মুঠো বন্ধী করে রাখা যায়,সুখী করার নিয়ম,আদর করার টিপসগুলো,কিভাবে ইমপ্রেস করবেন ও বিছানাতে আপনার Response কি রকম হবে।
স্বামীকে হাতে রাখার উপায়
বেশিরভাগ স্ত্রীদের মধ্যে একটা আক্ষেপ থাকে যে তাদের স্বামীরা তাদের কথা শোনে না। মেয়েরা এটা সব জায়গাতে গল্প করে সেটা বাস, রেল,মেট্রো রেল অথবা মেয়েদের কোন আড্ডায়।বিবাহিত জীবন টিকিয়ে রাখতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখা খুবই জরুরী একটা বিষয়। মেয়েরা ছোটবেলা থেকেই মনে মনে যে ধরনের স্বামী আশা করে বিয়ের পরে দেখা যায় তার স্বামীটা তার মনের মতো হয়নি।
এই আর্টিকেলে স্বামীকে নিজের ইচ্ছের পক্ষে রাখার কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সম্মান করতে হবে: ছুটির দিনে স্বামীরা বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকে এই সময় স্ত্রীরা কারণে অকারণে তার সাথে খিটমিট আচরণ করে। স্বামীকে নিজের বসে রাখতে হলে অবশ্যই নিজের এই স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটমিটে ও ঝগড়াটে স্ত্রীরা কখনো স্বামীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তাই ঐ সকল স্ত্রীদের উচিত স্বামীকে যোগ্য সম্মান প্রদান করা।
উৎসাহ প্রদান করতে হবে: স্বামীরা সাধারণত টাকা রোজগারের জন্য ঘরের বাইরে বেশিরভাগ সময় কাটায়।এই সময় পুরুষ মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কাজ করতে হয়। ফলে তাদের দ্বারা কোন ভুল হয়ে যেতেই পারে।এর অর্থ এই নয় যে, এই ভুলের কারণে তাদের সাথে সব সময় ঝগড়া করতে হবে।
তাই আগে স্বামী যে ভুল করেছে তা তাকে অনুধাবন করাতে চেষ্টা করুন যে, সে ভুল করেছে। তারপর সেই ভুল কেন করেছে তা নিয়ে স্বামীর সাথে আলোচনা করুন এবং তাকে উৎসাহ প্রদান করুন যে, পরবর্তীতে যেন আর এই ধরনের ভুল না করে। তাহলে দেখবেন আপনার প্রতি তার একটা আত্মবিশ্বাস জন্মেছে আর এই আত্মবিশ্বাস থেকে সে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে সবসময়।
কখনো নরম কখনো গরম: জন্মগতভাবে হয়তো আপনি একটু নরম স্বভাবের। স্বামী যেটা বলে , যেটা সে পছন্দ করে, সে যেটা করতে চায় সব ব্যাপারে হয়তো আপনি তাকে সমর্থন করেন।অবশ্যই আপনি তাকে সমর্থন করবেন ,যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনাদের দুজনের মাঝে কোন সমস্যা সৃষ্টি না করবে।
স্বামীর অন্যায় কাজগুলোকে যদি কাই মনোবাক্যে সমর্থন করেন তাহলে সে, এই ধরনের অন্যায় কাজগুলো করতেই থাকবে। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে একটু গরম হতে হবে এবং যথুপযুক্ত যুক্তি দিয়ে বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে, সে কাজটা সঠিক করেনি। তার ভুলটা যদি সে বুঝতে পারে,তাহলে দেখবেন আপনার প্রতি একটা আস্থা জন্মেছে। ফলে সে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সিক্সসেন্স কে কাজে লাগান: বলা হয় মেয়েদের সিক্সসেন্স অত্যন্ত প্রখর। তারা পুরুষ মানুষের মন পড়তে সিদ্ধহস্ত।আপনার মধ্যে থাকা এই গুনটাকে কাজে লাগান।আপনার স্বামী কি করতে চাই, তার ভালোলাগা ও খারাপ লাগা গুলো বুঝতে চেষ্টা করুন। সে কি ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করে সেটা আগে ভালোভাবে বুঝে নিন।
সব ব্যাপারে স্বামীর বিপক্ষে কথা বলে তাকে রাগিয়ে দেবেন না। তার পছন্দের জিনিসগুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি জিনিস তাকে উপহার দিন। অফিস থেকে ফেরার আগে তার পছন্দের জিনিসগুলো তৈরি করে রাখুন। তাহলে দেখবেন সে আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে।
যৌন জীবনে আপনি সন্তুষ্ট: আপনি হয়তো যৌনজীবনে সন্তুষ্ট না তাই সবসময় আপনি আপনার ভাগ্যকে দোষারোপ করেন।মনে কষ্ট থাকলেও আপনি আপাতত এই বিষয়টি এরিয়ে যান।কারন মেয়েদের থেকে পুরুষেরা খুব সংবেদনশীল হয়।এতে হয়তো আপনার স্বামী হীনমন্যতায় ভুগতে পারে।আবার মানুষিকভাবেও ভেঙে পড়তে পারে।
তাই অভিনয় করে হলেও তাকে বোঝাতে সক্ষম হন যে আপনি যৌন জীবনে কত সুখে আছেন।তারপর সুযোগ বুঝে যৌন বিষয়ে আলোচনা করুন এবং এক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় হবে কিভাবে যৌনজীবনে আরও সুখী হওয়া যায়।
ভুলে যাওয়া কাজ স্বরণ করিয়ে দিন: আপনার স্বামী হয়তো কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকে। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক বিষয়গুলো ভুলে যায়।তাই আপনি যদি কাজগুলো মনে করিয়ে দিন যেমন:মায়ের কাছে টাকা পাঠিয়েছে কিনা, ভাইবোনের পড়াশুনা ঠিকমতো চলছে কিনা অথবা তার বসের সঙ্গে কখন দেখা করতে যাবে।
অথবা গুরুত্বপূর্ন একটি চাকুরীর ইন্টারভিউ কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ইত্যাদি বিষয়গুলির ব্যাপারে আপনি যদি যত্নশীল হন তাহলে দেখবেন সে আপনার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
ছুটির দিনে দুজনে মিলে কাজ করুন: ছুটির দিনগুলোতে স্বামী-স্ত্রী মিলে একসাথে কাজ করুন।দুজনে মিলে খাবার রান্না করুন,বাড়ি পরিষ্কার করুন,ঘর সাজান। এই কাজগুলো যখন করবেন তখন আপনার পোশাক যেন আটোসাটো হয়।
এতে আপনার আর্কষনীয় অঙ্গগুলো দেখে সে যেন মনে শান্তি পায়।মাঝে মাঝে তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাবেন।এতে সে খুব খুশি হবে এবং আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
ভালোবাসি তোমাকে এই কথাটি বলুন: I LOVE YOU এই তিনটি ম্যাজিক্যাল শব্দ আপনার জীবন সঙ্গীর জীবন বদলে দিতে পারে।সে হয়তো কোন কারনে খুব খারাপ সময় পার করছে এই মুহুর্তে যদি তার পাশে থাকেন এবং কেন তার এই সময়টা আসলো তা নিয়ে আলোচনা করুন।
এবং খারাপ সময়টা কাটিয়ে উঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের সমাধান তার কাছে উপস্থাপন করুন তাহলে দেখবেন একটা সমাধান অবশ্যই বের হয়ে আসবে।তাকে উৎসাহ দেন যে তুমি পারবে এবং শেষে যদি বলেন I LOVE YOU তাহলে আপনার স্বামী আপনাকে ছাড়া আর কাউকেই বুঝবে না।
জন্মদিনের তারিখটা ভুলবেন না: অবশ্যই জন্ম দিনের তারিখটা মনে রাখবেন।তারিখটা এলে তাকে সুন্দর একটা উপহার দিবেন যেটা সে পছন্দ করে।তার পছন্দের খাবার রান্না করবেন।তাকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবেন।বেড়াতে যেয়ে চা,ফুচকা,চটপটি খাবেন।রাতে দুজনে হাত ধরে হাঁটবেন,গান করবেন,কবিতা শোনাবেন,গল্গ করবেন।
এতে সে খুব খুশি হবে এবং মনে মনে ভাববে আপনি তার প্রেমময় একটি বউ।
স্বামীকে রোমান্টিক করার উপায়
রোমান্টিকতা আসে মনের ভেতর থেকে। একটু ন্যাকামি করবেন খেয়াল রাখবেন যেন এই ন্যাকামিটা সিরিয়াস মুহুর্তে প্রকাশ না পায়। গোসল করার পর হালকা পারফিউম দিয়ে এমন একটি খোলামেলা টপস পড়বেন যাতে আপনার মশৃন উরু উন্মুক্ত অবস্থায় থাকে। স্বামীর গা ঘেঁষে বসবেন এবং রোমান্টিক কোন নাটক বা সিনেমা দেখবেন।
এই সময় আপনার বক্ষ যুগলের কিছু অংশ বের করে রাখবেন।যাতে এটা দেখে আপনার স্বামী যেন আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়।এরফলে আপনার স্বামীর মধ্যেও রোমান্টিক ভাব সৃষ্টি হবে। তার চোখের দিকে রোমান্টিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথা বলুন এবং তারপর চোখের প্রসংশা করে বলুন তোমার চোখে আমি সাগর দেখতে পাই, সেই সাগরে বহমান আমরা দুজনে হারিয়ে যায়।
তার চেহারা ও ব্যক্তিত্বের প্রসংশা করুন।তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনার চোখে সে কতোটা স্মার্ট,সুন্দর,ও ব্যাক্তিত্ববান পুরুষ।তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান দেখবেন তাঁর মধ্যে কিভাবে রোমান্টিকতা তৈরী হয়।তার সাথে মিষ্টি ভাষায় কথা বলুন।কারন মিষ্টি ভাষা তাকে প্রেমময় করে তুলবে।যখন সে অফিসে থাকবে তখন রোমান্টিক মেসেজ পাঠান।
স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস
আপনি চান যে আপনার স্বামী যেন শুধু আপনাকেই ভালোবাসুক।আপনার প্রতি আকৃষ্ট থাকুক।কিন্তু এই ভাগ্য সকলের হয়না।আপনার উচিত আপনার স্বামীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।তাকে সব কাজে সহযোগীতা করা।মনে রাখবেন আপনি তার শেষ আশ্রয় স্থল।সারাদিন বিভিন্ন ধকল শেষে যখন বাড়ী ফিরে এসে আপনার হাসি মুখটি দেখে তখন তার সব ধকল কাটিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠে।
প্রিয়জনকে সুখে রাখার ১০ টি টিপস
- ঘুমানোর সময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবেন। ভালোবাসা বাড়াতে শারীরিক বন্ধন খুব প্রয়োজন।একে অপরের বাহুবন্ধনে থাকলে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় ও ঘনিষ্ট হয়।
- মোবাইলের মধ্যে ডুবে না থেকে একে অপরের প্রতি মনোযোগী হন।আপনি হয়তো মোবাইলে ফেসবুক ঘাটতে ভালোবাসেন আর আপনার স্বামী এটা পছন্দ করেন না অর্থাৎ বিরক্ত হন এতে দাম্পত্যজীবন কখনো সুখের হয় না।তাই একে অপরে পাশাপাশি বসে গল্প করুন তাহলে বন্ধনটা দৃঢ় হবে এরং দুজনে দুজনাকে জানতে পারবেন।
- সব সময় আপস করার মনোভাব থাকতে হবে।আপনার স্বামী আদর্শিকভাবে হয়তো আপনার বিপরীতে রয়েছে।তবে সেটা যেন চরম পন্থার দিকে না যায়।একে অপরে আলোচনা করে একটা সমঝোতার দিকে যেয়ে আপস করে নিন।
- তার প্রতি আপনার অগাধ বিশ্বাস আছে এটা বোঝাতে সক্ষম হন।অযথায় সন্দেহ করবেন না।অনেক বিষয় আছে যা চোখে দেখার সাথে বাস্তবতার মিল থাকেনা।কোন বিষয়ে যদি সন্দেহ হয়ে থাকে তাহলে তা আলোচনা করে সমাধান করুন।
- তার স্বপ্নের সাথে নিজের স্বপ্নকে সংযোগ করুন।অনেক মানুষের স্বপ্ন থাকে ব্যবসা করে বড় হওয়ার কিন্তু বাস্তবতার চাপে পড়ে তাকে চাকুরীর মতো গোলামি করতে হয়।তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তাকে অনুপ্রানিত করুন এবং পাশাপাশি থেকে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যান।
- তার ভালো কাজের প্রসংশা করুন।কেউ যদি ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রশংসা পায় তাহলে সেটা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মনে রাখে।
- উদ্বেগ,উৎকন্ঠা,ভয়,অভাব তার সাথে ভাগাভাগি করে নিন।সে যদি কোন কারনে উদ্বিগ্ন থাকে তাহলে তা বোঝার চেষ্টা করুন কি কারনে এটি হয়েছে।তাকে সাহস দেন যে এই সম্যাগুলো দুজনে মোকাবেলা করবেন।এতে সে নিজের প্রতি বিশ্বাস ফিরে পাবে।
- কোন কিছু ভুল করে থাকলে সব সময় তাকে দোষারোপ করবেন না।বরং তাক বোঝান যে ভুল মানুষেরই হয়।তাকে বলুন যে ভুলগুলো সে করেছে এতে আপনি কিছু মনে করেননি বরং তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
- সে যদি ঘুরতে পছন্দ করে তাহলে তার সাথে কোন অজুহাত ছাড়ায় বেড়িয়ে পড়ুন।এবং তাকে বলুন আপনিও ঘুরতে খুব পছন্দ করেন।দুজনে মিলে কোথাও একসাথে চা খান,গল্প করুন।
- সবসময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আর্কষনীয় করে রাখুন।এটা আপনি বাসাতে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে করতে পারবেন।
স্বামীকে কিভাবে আদর করতে হয়
আপনি যদি আদর্শ স্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে স্বামীর প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে যা আপনাকে পালন করতে হবে।কারন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর,পবিত্র ও বরকতময়।আপনি যদি পর্যাপ্ত ভালোবাসা আপনার স্বামীকে দিতে পারেন তাহলে সে কখনোই পর নারীতে আসক্ত হবে না।তাই অবশ্যই আপনার জ্ঞান থাকতে হবে কিভাবে স্বামীকে আদর করেতে হয়।
- স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে লজ্জার কোন স্থান নেই।শরীরের অবাঞ্চিত লোম পরিষ্কার করে রাখবেন।সহবাসের আগে মুখ ব্রাশ করে মাউথওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিবেন।কারন দুর্গদ্ধযুক্ত চুমু আদরের মুহুর্তটাকে নষ্ট করে দেয়।
- স্বামির পছন্দের পারফিউম দিয়ে আর্কষনীয় অন্তর্বাস পড়ে স্বামীর সামনে যান।অনেক পুরুষ আছে যারা অর্ন্তবাস খুলতে পছন্দ করে।
- আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সহবাসের সময় পরিবেশ যেন কোন চেঁচামেচি,চিৎকার,হৈ চই বা কোলাহল পুর্ণ না হয়। কারন কোলাহল পুর্ণ জায়গা আপনার উত্তেজনাকে নষ্ট করে দেয়।
- সহবাসের সময় বিভিন্ন সেক্সূয়াল আলাপ করবেন।তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে চুমু দিবেন ও ঐ অঙ্গগুলোতে হালকা কামড় দিবেন এবং খেয়াল রাখবেন কোন অঙ্গগুলোতে সে বেশী উত্তেজনা অনুভব করছে।তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিবেন।তার চাহিদা যেন পুরন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
স্বামীকে ইমপ্রেস করার উপায়
শারিরীক সৌন্দর্য সবার আগে নজর কাড়ে।তাই আপনি একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন নিজেকে। আপনার শারিরীক সৌন্দর্য কতটুকু আছে।শরীরে যদি মেদ থাকে তাহলে তা ব্যায়ামের মাধ্যমে ঝড়িয়ে ফেলুন।কারন মেদযুক্ত নারী শরীর কখনোই দেখতে আর্কষনীয় হয় না।
খেয়াল করে দেখুন আপনার বক্ষযুগল সুডৌল উন্নত কিনা, যদি এতে কমতি থাকে তাহলে সঠিক মাপের অন্তর্বাস পড়ুন এবং ডাক্তারের পরামর্শে বক্ষযুগল উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লোশন পাওয়া যায় তা ব্যবহার করুন।তলপেটে কখনোই মেদ জমতে দেবেন না এটা দেখতে খুব বিশ্রি লাগে।
মাজা সবসময় চিকন রাখবেন।নিতম্ব যেন উঁচু হয় এবং এর গায়ে যেন কোন দাগ না থাকে।কোন রকম দাগ থাকলে তা দুর করার জন্য দাগ নাশক একধরনের লোশন পাওয়া যায় তা ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করুন।শরীরের চামড়া যেন কোমল,মশৃন থাকে এ ব্যাপারে খুব সচেতন হন।
স্বামীর সামনে সেজেগুজে থাকবেন এবং খোলামেলা পোশাক পড়বেন যেমন:এক ধরনের নাইটি টপস পাওয়া যায় যেটি পড়লে আপনার বক্ষযুগল খানিকটা দেখা যাবে।যখন তার পাশে বসবেন তখন যেন উরু ভেদ করে যোনি ও নিতম্বের একাংশ দেখা যায়।তার পছন্দের পারফিউম ব্যবহার করুন।
স্বামীকে বিছানায় খুশি করার উপায়
আপনার স্বামীকে আপনি খুব ভালোবাসেন বা তাকে আপনার নিয়ন্ত্রনে রাখতে চান তাহলে বেডরুমের বিছানাই হলো ভালোবাসা প্রকাশের সর্বশেষ জায়গা।এখানে আপনার পারফরমেন্সের উপর নির্ভর করবে সবকিছু।এখানে যদি আপনি জিতে যান তাহলে কেউ আপনার স্বামীকে আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না বা সে পরনারীতে আসক্ত হবে না।
আপনার চেহারা হয়তো খুব মিষ্টি, খুব নরম ভাষায় কথা বলেন,সব কথা মেনে চলেন কিন্তু আপনার দেহের গঠন খুব একটা আর্কষনীয় নয় ,শরীরে অনেক মেদ যেন একটা পা বালিশের মতো। তাহলে শত চেষ্টা করেও আপনার স্বামীকে আপনি ধরে রাখতে পারবেন না।
আবার যৌন ক্রিয়ার সময় আপনার Response খুব একটা নেই সেক্ষেত্রেও আপনার স্বামী আপনার উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।তাই আপনার দেহ সৌষ্ঠব হতে হবে সুডৌল বক্ষ যুগল হবে টানটান উন্নত, মাজা হবে চিকন, মৃগয়ার মতো নাভী, মেদহীন তলপেট, উচু ঢেউয়ের মতো নিতম্ব, লোমহীন যোনি ও সরু উরু।
শ্যাম্পু করা সিল্কি চুলে, স্নিগ্ধ নয়নে, হালকা পারফিউমে আঁটোসাটো উন্মুক্ত অন্তর্বাস ও বক্ষ বন্ধনী পরে বিছানাতে যাবেন স্বামীর বাহুতলে। বিছানাতে আপনার Response হবে পতীতার মতো।তারপর তার সমস্ত শরীরে চুমু খাবেন,হালকা কামড় দিবেন এতে আপনাকে খুব বন্য লাগবে যা পুরুষেরা নারীর কাছে আশা করে।
এরপর লিঙ্গ স্পর্শ করে মুখে নিবেন হালকা কামড় দিবেন দেখবেন কেমনভাবে সে শিহরীত হয়।তাকে চিৎ করে শুইয়ে লিঙ্গটিকে মুঠোতে নিয়ে আপনার রসালো যোনিতে ঢ়ুকিয়ে তার উপর পা ফাঁক করে বসে পড়বেন। এরপর শুরু হবে আপনার ঢেউয়ের মতো নিতম্ব পরিচালনার কাজ।
এই আসনটি করার সময় চরম সুখমিশ্রিত গোঙানীর আওয়াজ করবেন এতে আপনার স্বামী আরও উত্তেজিত হয়ে পড়বে ও আনন্দ পাবে। এইভাবে কিছুক্ষণ আসনটি করার পর তাকে প্রলুব্ধ করবেন আরেকটি আসনের জন্য। এই আসনে আপনি এবার চিৎ হয়ে শুয়ে আপনার স্বামীকে দুই উরুর মাঝে বসিয়ে লিঙ্গটি প্রবেশ করাবেন।
এভাবে আরো কয়েকটি আসন পরিচালনা করে আপনাদের পবিত্র যৌনমিলনটি শেষ করবেন। এই ভাবেই চলতে থাকবে আপনি ও আপনার স্বামীর যৌনজীবন।
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন স্বামীকে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনার জীবনে প্রয়োগ করেন তাহলে আপনার স্বামী কখনোই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়বে না।স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারবেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url