কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায় - কি খেলে লম্বা হওয়া যায়
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা লম্বা হতে চান। এই আর্টিকেলটিতে কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায় ও কি খেলে লম্বা হওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সকল মানুষই লম্বা হতে চাই কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাধাগ্রস্ত হয় যেমন জ্বীনগত কারণে হতে পারে আবার পুষ্টি জনিত অভাবের কারণেও এটি হতে পারে।
তাই আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ভূমিকা
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে লম্বা হওয়ার জন্য কিভাবে ঘুমাবেন, কি ধরনের খাবার খাবেন, লম্বা হওয়ার জন্য যে ব্যায়ামগুলো রয়েছে সেগুলো কিভাবে করবেন। এছাড়া একজন মানুষ কতটুকু লম্বা হবে তা তার ছোটবেলার উচ্চতা বৃদ্ধির লক্ষণগুলো দেখলে বোঝা যায়।
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কবলে পড়ে ভুল পথে পরিচালিত হই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কোন কোন বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে কিভাবে ৭ দিনে লম্বা হবেন ।আসলে কি ৭ দিনে লম্বা হওয়া সম্ভব? কখনোই সম্ভব নয়। মানুষের শরীর বৃদ্ধি পায় কতগুলো শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে এই জন্য কিছু নিয়ম-নিতী মেনে চলতে হয়।
নিয়ম গুলো যদি ঠিকমতো মেনে জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। লম্বা হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই কোনো ওষুধ খাবেন না কারণ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মারাত্মক আপনার শরীরে যেকোন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। তাই আজকের আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন যা লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায়
মানব জীবনের অপরিহার্য উপাদান হলো ঘুম। মানুষ যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমায় তাহলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং শরীরের বৃদ্ধি কমে যাবে। তাই প্রতিটি মানুষকে সকল কাজ সেরে ঘুমাতে হবে। সারাদিন পরিশ্রমের পর আমাদের হাড় ও মাংস পেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ে আর এই ক্লান্তি দূর করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিশ্রাম।
আর এই বিশ্রামের পরিপূর্ণতা আছে ঘুমের মাধ্যমে। তবে শুধু ঘুমালেই হবে না ঘুমের কিছু পদ্ধতি আছে তা মেনে ঘুমাতে হবে।আপনি যদি সঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার দেহের বৃদ্ধি অবশ্যই হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আপনারা তো ম্যাগনেট বা চম্বুকের নাম শুনেছেন এর দুটি দিক থাকে উত্তর দিক ও দক্ষিন দিক ঠিক সেরকমভাবে।
আমাদের মাথার দিকটা হয় উত্তর দিক এবং পায়ের দিকটা হয় দক্ষিন দিক। এখন আমরা জেনে নেব কেমন ভাবে বা কোন দিকে মাথা বা পা রেখে ঘুমাতে হবে। আপনারা যদি পৃথিবীর উত্তর দিকে মাথা রেখে ঘুমান তাহলে উত্তর প্লাস উত্তর হয়ে যাবে। তাহলে সেখানে বিকর্ষণ বল কাজ করবে এবং শরীর সংকুচিত হয়ে যাবে।
ফলে মাথা ভারী হবে, রক্তের চাপ বাড়বে। যার ফলে ঘুম ঠিকমতো আসবেনা এবং হার্টবিট বেড়ে যাবে। আর যদি আপনি আপনার মাথার দিকটা দক্ষিন দিক এবং পায়ের দিকটা উত্তর দিকে রেখে ঘুমান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আকর্ষণ বল কাজ করবে। ফলে শরীর প্রসারিত হবে ও ঘুম ভালো আসবে।
যেসব বাচ্চাদের উচ্চতা বাড়ছে এবং যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেছেন অর্থাৎ ২১ থেকে ২২ বছরের নীচে আছেন তারা দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমাবে এবং উত্তর দিকে পা রেখে ঘুমাবে। এতে আপনার শরীরে চম্বুকীয় শক্তি প্রয়োগ হবে এবং আপনার শরীর প্রসারিত হবে। যা আপনার উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
আপনারা এই পদ্ধতিটি আজ থেকেই প্রয়োগ করা শুরু করতে পারেন। আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠবেন দেখবেন আপনার শরীর কতটা আরাম অনুভব করে।আপনারা হয়তো সবাই জানেন পৃথিবীর উত্তর দিক ও দক্ষিণ দিক কোনটা, যদি না জেনে থাকেন তাহলে নিজের ফোনে ই কম্পাস চালু করতে দিতে পারেন।
এছাড়া প্রবীনদের কাছ থেকেও শুনতে পাবেন উত্তর দিকে মাথা রেখে ঘুমানো উচিত নয়। দক্ষিন দিকে মাথা রেখে এবং উত্তর দিকে পা রেখে ঘুমাতে হয়। ধর্ম মতে সাধারণত উত্তর দিকে মাথা রেখে মৃত মানুষকে শুয়ানো হয়।
আপনি সব দিকে মাথা রেখে ঘুমাতে পারবেন শুধুমাত্র উত্তর দিক ছাড়া। তাহলে বন্ধুরা আজকে থেকে এই নিয়ম মেনে ঘুমাতে শুরু করুন তাহলে দেখবেন আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নীচের তালিকায় বয়স ভিত্তিক ঘুমানোর পরিমাণ দেওয়া হলো
কি খেলে লম্বা হওয়া যায়
বর্তমানে গবেষকরা পরামর্শ দেন যে,আপনি যদি ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে বা ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার এবং সন্তোষজনক লম্বা হওয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা। এই ভিটামিন গুলি যদি আপনারা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন তাহলে খাটো বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আসলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করে পিটুইটারী গ্ল্যান্ড যা থেকে গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ করে।এই গ্রোথ হরমোনের অভাবের কারণে মানুষ খাটো বা বেঁটে হয়। সাধারণত ভিটামিন ডি পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে গ্রোথ হরমোন উৎপাদন করে।ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম হাড়ের গঠন শক্ত ও মজবুত করে।
ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস এবং কার্বো-হাইড্রেট কোষ গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।সেকারণে এই ভিটামিন গুলো যদি আপনারা পরিমানমতো গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে এবং লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।নীচে এই ভিটামিনগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
লম্বা হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সমূহ
লাল মাংস: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
সেলমন ফিস: তৈলাক্তএই সামুদ্রিক মাছটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে।এই মাছটি সপ্তাহে অন্তত ৪ আউন্স খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতি মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমানের ভিন্নতা দেখা যায়।এই মাছ খেলে হৃদরোগ,স্ট্রোক,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কলিজা: কলিজাতেও ভিটামিন ডি থাকে।৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত কলিজা খাওয়া যেতে পারে,তবে ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে পরিমিত হারে খাওয়ায় ভালো।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
১ টি ডিমে রয়েছে
- ক্যালোরি-১৪৩ এনার্জী
- কার্বোহাইড্রেট-০.৭২গ্রাম
- প্রোটিন-১২.৫৬গ্রাম
- চর্বি-৯.৫১গ্রাম
- ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা
- পটাসিয়াম-১৩৮ মি.গ্রা
- জিংক-১.২৯ মি.গ্রা
মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কর্ড লিভার অয়েল:
- ১থেকে ১২ মাস= প্রতিদিন আধা চা চামচ
- ১থেকে ৪ বছর= প্রতিদিন ১ চা চামচ
- ৪ বছরের উর্ধ্বে= ১.৫ চা চামচ
- প্রাপ্তবয়স্ক= প্রতিদিন ২ চা চামচ সিরাপ পানি,দুধের সাথে খেতে পারেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
পনির: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পনির খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ,হার্ট ভালো থাকে ,হাড় শক্ত হয়, মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দই: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দই খাওয়া যথেষ্ট। এই পরিমাণ দই খেলে আপনার ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে ।তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না কারণ বেশি খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দেখা দিতে পারে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
টুনা মাছ: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ এক কৌটা টুনা মাছ সপ্তাহে খেতে পারেন। এই থেকেই তার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মিলবে।ই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লম্বা হওয়ার জন্য ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিন যুক্ত খাবার
ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফলে শরীর থাকে রোগ মুক্ত ।স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য রোগমুক্ত শরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনার এই প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ভালো লাগবে,মন প্রফুল্ল থাকবে ।
ফলে আপনার দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকবে এবং খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।
মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর। এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ফুলকপিশীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।
ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপির সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়। এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।
এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।
রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বাদাম:বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।
আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।
এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড। আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।
কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।
এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।
এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।
এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি।
এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লম্বা হওয়ার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার
মাছ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি তে মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম মাছ খেতে হবে। কারণ মাছ খাটের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাছ মস্তিষ্ক সহ শরীরের যে কোষ প্রাচীর রয়েছে তা গঠন করতে সহায়তা করে। গবেষকরা বলছেন কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খায় তাহলে তাদের মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ রয়েছে তা সুস্থ থাকে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৪%
- ক্যালোরি-১২১গ্রাম
- প্রোটিন-২০গ্রাম
- চর্বি-৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-১৪ মি.গ্রা
- লৌহ-০.৭ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.১মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.১৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-১১.৬মি.গ্রা
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে রয়েছে
- পানি-৬৭%
- ক্যালোরি-১৮০গ্রাম
- প্রোটিন-২১গ্রাম
- চর্বি-১৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৬ মি.গ্রা
- লৌহ-২.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৮মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-৮.২মি.গ্রা
১০০ গ্রাম খাসির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৫%
- ক্যালোরি-২৯৪গ্রাম
- কোলেষ্টরেল-৯৭মি.গ্রা
- চর্বি-১৪গ্রাম
- সোডিয়াম-৭২ মি.গ্রা
- লৌহ-৪.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৭মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৭মি.গ্রা
- নায়াসিন-৭.২মি.গ্রা
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুধ: দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।
১ গ্লাস দুধ এ রয়েছে
- পানি- ৮৬.৫ শতাংশ
- ফ্যাট - ৪.৮ শতাংশ
- ক্যালসিয়াম-৪.৫ শতাংশ
- প্রোটিন -৩.৫ শতাংশ
- ভিটামিন ও খনিজ -০.৭ শতাংশ
প্রাণিজ দুধ ছাড়াও সয়া ও বাদামের দুধ খুব পুষ্টিকর ।বিভিন্ন দুধের পুষ্টিগুণ বিভিন্ন রকম যেমন
গরুর দুধ: গরুর দুধে তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন: ক্যালসিয়াম ভিটামিন পটাশিয়াম ননীতলা দুধে রয়েছে ৯০ ভাগ ক্যালরি। ও শূন্যভাগ চর্বি ওজন কমানোর জন্য এটা অত্যন্ত আদর্শ একটি খাবার।এক শতাংশ নানিযুক্ত দুধে রয়েছে ১০২ ক্যালরি, ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ননিযুক্ত দুধে আসে ৩. ৫ ভাগ চর্বি।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
চকলেট দুধ: শিশুদের অত্যন্ত পছন্দের খাবার এই চকলেট দুধ। এই দুধটি বড়রাও খেতে পারেন।সাধারণত ব্যায়াম করার পরে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ছাগলের দুধ: এক গ্লাস ছাগলের দুধে সাধারণত প্রোটিনের পরিমাণ ৯ গ্রাম।। এটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও চর্বি বহন করে। গরুর দুধের চেয়ে ছাগলের দুধে ১৭০ গ্রাম বেশি ক্যালোরি ও ৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর দুধের থেকে আলাদা কোন পুষ্টি ছাগলের দুধে পাওয়া যায়না।
ছাগলের দুধ খেলে কোন এলার্জি হয় না যেটা গরুর দুধে হয়ে থাকে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
সয়া দুধ: এই দুধ সাধারণত সয়াবিন থেকে তৈরি করা হয়। এই দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।এটি গরুর দুধের মতই পুষ্টিকর একটি দুধ।১ কাপ সয়া দুধে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৪৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যারা নিরামিষভোজী বা যাদের ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে অথবা এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই দুধ খেতে পারেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কাঠবাদাম দুধ: এক মুঠ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এই দুধ তৈরি হয়ে থাকে। কাঠবাদাম দুধে ক্যালোরির পরিমাণ রয়েছে ৩০ ভাগ,ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে ৪৫০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া আরও রয়েছে প্রোটিন এবং ভালো চর্বি কারো যদি এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা থাকে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কাজু বাদামের দুধ: এই দুধ খুব ফ্লেভারফুল ও ক্রিম যুক্ত। এতে রয়েছে ক্যালরি ও সামান্য পরিমাণে চর্বি। ১ কাপ কাজুবাদাম দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালরি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
নারকেল দুধ: বর্তমানে নারকেল দুধ এখন অনেক জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ১ কাপ নারিকেল দুধে ১২ গ্রাম চর্বি ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি ও ৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ।এ টি বেশ ক্রিম যুক্ত একটি খাবার।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ফ্ল্যাক্সিড দুধ: যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এই দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালেরি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
হেল্প সীড দুধ: এটি প্রায় ছয় দুধের মত ক্রিমযুক্ত হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে রয়েছে ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাট ক্যালরির পরিমাণ ৮০ গ্রাম।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ম্যাকাডেমিয়া: এটি কে উদ্ভিজ্জ দূত বলা হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে।
ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কালো রাজমা: খুব মানুষ কালো রাজমা সস্পর্কে জানেন।এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের জয়েন্টগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।এর উাপদান রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আখরোট: বাদাম গোত্রের একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রেটিন,পটাসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।খারাপ কোরলষ্টরেল মাত্রা কমায়।
এই খাবারটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি পাবে। ফলে খাটো থাকা বা লম্বা না হওয়া জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লম্বা হওয়ার লক্ষণ
ছেলে মেয়ে ঠিকমতো বেড়েছে কিনা তা বোঝা বাবা ও মায়ের জন্য একটু কষ্টকর কারণ সন্তানের বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেক বাবা মা খুব একটা পারদর্শী নয়। সাধারণত সমবয়সী ছেলে মেয়েদের দেখে তারা কিছুটা বুঝতে পারে তার সন্তানের বেড়ে ওঠার প্রবণতাকে। তবে সবারই দৈহিক বৃদ্ধি এক রকম হয় না।
এটা নির্ভর করে মা-বাবার উচ্চতা ,পুষ্টিজনিত সমস্যা ,জাতীগত বৈশিষ্ট্য ,বংশগত রোগ ও হরমোন জনিত রোগের উপর। ফলে উচ্চতা কমবেশি হতে পারে। দেখা যায় কোন বাচ্চার যদি গ্রোথ হরমোন বেশি হয় তাহলে সে লম্বা হবে ,আর গ্রোথ হরমোন কম হলে সে বেটে হবে। তবে নিম্নলিখিত তালিকাতে উল্লেখিত লক্ষণ গুলো দেখে বোঝা যায় সন্তানের উচ্চতার হার।
সন্তানে উচ্চতার হার
লম্বা হওয়ার ব্যায়াম
মানুষের লম্বা হওয়ার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা দীর্ঘদিনের।এটা মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি।আর এটা মানুষ করে থাকে তার সৌন্দর্যের প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে।কোন ব্যক্তির উচ্চতা ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে। দীর্ঘকায় ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সকলের চোখে আগে ধরা পড়ে।দেখা যায় স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,অফিস, আদালতে দীর্ঘকায় ব্যক্তির গুরুত্ব বেশি।
আবার যেকোন ভাইভা পরীক্ষায় বিশেষ করে সেটা যদি হয় বিসিএস কিংবা ডিফেন্সের কোনো পরীক্ষা তাহলে সেখানে লম্বা ব্যক্তির মূল্যায়ন আগে করা হয়।তাই লম্বা হওয়ার জন্য উপরে বর্ণনাকৃত খাবারগুলো নিয়মিত খেলে, ঘুমের সময়কাল মেনে চললে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
Lying two-way stretch
প্রথমে উপর দিকে মুখ করে টানটান হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর হাত ও পা দুটো একসাথে উপর দিকে তুলতে হবে।এই অবস্থায় ২০সেকেন্ড থাকতে হবে।২০ সেকেন্ড থাকার পর হাত ও পা পূর্বের জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।এভাবে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়ামটি করতে হবে।
Lying two-way stretch |
এই ব্যায়ামটি যদি ক্রমাগত ৩ মাস করতে পারেন তাহলে ৩থেকে ৪ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
Vertical Bends
প্রথমে সমান্তরাল স্থানে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর হাত দুটি মাথা বরাবর উপরের দিকে তুলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শরীরটা যেন পা থেকে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত সমান ভাবে থাকে। তারপর কোমর ভাঁজ করে ফ্লোর স্পর্শ করতে হবে। এই ব্যায়ামটি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পা ও মেরুদন্ড ভেঙে না যায়।
Vertical Bends |
পা ও মেরুদন্ড ভাঙলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না। এই অবস্থায় ২০ সেকেন্ড থাকতে হবে। এইভাবে ব্যায়ামটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ এই ব্যায়াম করলে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। ৩ মাস এই ব্যায়ামটি করলে ৩থেকে চার ৪ ইঞ্চি উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
Vertical stretch
প্রথমে সমান্তরাল জায়গায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর দু পায়ের গোড়ালি মাটি থেকে উপরে উঠিয়ে দুই পায়ের সামনের অংশে ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং দুই পায়ের গোড়ালি যুক্ত অবস্থায় রাখতে হবে। তারপর দুই হাত মাথা বরাবর উপরে উঠাতে হবে এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শরীর যেন সোজাসুজি থাকে।
Hanging
এই ব্যায়ামটি খুব সহজে করা যায়, কোন কিছুর উপর দুই হাত দিয়ে ঝুলতে হবে ।একটু পরপর পা দুটো উপরের দিকে তুলতে হবে এবং নামাতে হবে।
Hanging |
প্রতিদিন এই ব্যায়ামটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট করতে হবে। এই ব্যায়ামটি যদি ৩ মাস করা যায় তাহলে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
Cobra Pose
এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে সমান্তরাল একটি স্থানে উপুড় হয়ে সোজাসুজি শুয়ে পড়তে হবে।তারপর দুই হাত মাটিতে ভর দিয়ে মাথাটা উপরের দিকে তুলতে হবে।এতে শরীরের উপরের অংশে প্রেসার পড়ে যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
Cobra Pose |
এই অবস্থায় ১৫ সেকেন্ড থাকতে হবে। প্রতিদিন এই ব্যায়ামটি ১০ মিনিট করতে হবে। ৩ মাস এই ব্যায়ামটি করলে উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায়
সব সব মেয়েদের মনে একটা আশা থাকে কিভাবে সে লম্বা হবে।কিন্তু লম্বা হওয়ার নিয়ম-নীতি বা পদ্ধতি না জানার কারণে অনেকে আশাহত হয়। মেয়েরা সাধারণত ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এই লম্বা হওয়ার হার ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে মেয়েরা সাধারণত ২৫ বছর পর্যন্ত লম্বা হয়।
তবে সেটা বোঝা যায় না অর্থাৎ ১৮ বছর পার হলে মোটামুটি ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকে তারপর এই হার কমে যায়। তবে এই বৃদ্ধির হার পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত চলে।তবে আমাদের দেশে পুষ্টিজনিত অভাবের কারণে মেয়েদের লম্বা হওয়ার হার কম। কারণ আমাদের দেশে মেয়েদেরকে এখনো গ্রামেগঞ্জে অবহেলার চোখে দেখা হয়।
এছাড়াও কিডনি জনিত রোগ ফুসফুসের কোন রোগ কিংবা গ্রোথ হরমোনে অভাব হলে শরীর বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে। যদি কোন মেয়ে এ ধরনের সমস্যায় পড়ে এব বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিক উচ্চতা বৃদ্ধি না পাই তাহলে চিকিৎসকের স্বরণপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা করালে এই সমস্যা দূর হবে।
এছাড়াও উপরে লম্বা হওয়ার বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও ব্যায়ামের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে লম্বা হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন আশা করি।
৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায়
৭ দিনে লম্বা হওয়ার বিষয়টা একটা অতিরঞ্জিত প্রপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।কখনোই সাত দিনে লম্বা হওয়া যায় না বা সম্ভব নয়।এটা মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটা মাধ্যম। তবে উপরে বর্নীত এবং নীচে উল্লেখিত বিষয়গুলো যদি মেনে চলেন তাহলে ৬ থেকে ১ বছরের মধ্যে কিছুটা লম্বা হওয়া সম্ভব।
- শরীরে কি কি রোগ আছে তা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে বের করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- শরীরের ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য রোদে হাঁটতে হবে
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- কোনভাবেই অতিরিক্ত অতিরিক্ত টেনশন করা যাবেনা।
- পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে।
- নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে।
- বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
কোন ঔষুধ খেলে লম্বা হওয়া যায়
লম্বা হওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ জ্বীনগত। বাবা মা যদি খাটো হয় তাহলে তার সন্তান খাটো হবে আবার বাবা লম্বা মা খাটো বা মা লম্বা বাবা খাটো সেই ক্ষেত্রে সন্তান লম্বা হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে।মানুষ সাধারণত ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এই লম্বা হওয়ার হার ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চলে।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ সাধারণত ২৫ বছর পর্যন্ত লম্বা হয় তবে সেটা বোঝা যায় না অর্থাৎ ১৮ বছর পার হলে মোটামুটি ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত লম্বা হওয়ার সুযোগ থাকে তারপর এই হার কমে যায়। তবে এই বৃদ্ধির হার ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত চলে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চমৎকার বিজ্ঞাপন দেখে যত্রতত্র ওষুধ কিনে খাওয়া যাবে না।
এতে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যার প্রভাব শরীরের উপর পড়তে পারে। মানুষ বেটে হয় সাধারণত গ্রোথ হরমোনের অভাবে যা পিটুইটারি গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত হয়। যদি কোনো কারণে এই হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনার শরীরে কোন গ্রোথ হবে না। একমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসায় এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সেই জন্য আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ,তারপর তাদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চললে কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
আশা করছি ,উপরের আর্টিকেলটি আপনারা খুব ভালো মতো পড়েছেন। ফলে আপনারা জেনে গেছেন লম্বা হওয়ার জন্য কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে যদি সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে ঘুমান, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন ,চটকদার বিজ্ঞাপনের কবলে না পড়েন, যদি সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান তাহলে আশা করা যায় আপনাদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url