লিংগ উত্থান সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান - দ্রুত বীর্য পাতের কারন
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা যৌন সমস্যার মধ্যে আছেন। এই আর্টিকেলটিতে লিংগ উত্থান সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান এবং দ্রুত বীর্য পাতের কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এই সমস্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে সাথে সাথে এই সমস্যার সমাধানের জন্য নানান ধরনের কার্যকলাপ ও ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে ।
ভূমিকা
Erection Dysfunction যা পুরুষদের উত্থানজনিত সমস্যা সহজ ভাষায় যেটাকে বলা হয় যৌন অক্ষমতা বা দুর্বলতা।পুরুষদের জন্য এটা খুবই স্পর্শকাতর একটা বিষয়।যৌন মিলনের পূর্ব শর্ত হলো যথাযথভাবে লিঙ্গের উত্থান, কিন্তু দেখা যায় সহবাসের আগে লিঙ্গের উত্থান ঘটছে না ফলে যৌন সঙ্গীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেওয়া সম্ভব হয় না।
বর্তমানে এই সমস্যা মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে দাম্পত্য জীবন সংকটের মধ্যে রয়েছে। আবার নানারকম দ্বিধা-দন্দ,সংকোচের কারণে এই সমস্যার কথা কেউ বলতে চান না। আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা এই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।
এই আর্টিকেলটিতে বর্ণনা করা হয়েছে বীর্যপাতের লক্ষণসমূহ নিয়ে, কি কারণে এটা হয়ে থাকে, বীর্যপাতের চিকিৎসা গুলো কি কি ,প্রাকৃতিক সমাধান উত্থানজনিত স্থায়ী সমাধান ,বীর্যপাতের ব্যায়াম ,হারবাল চিকিৎসা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে।
দ্রুত বীর্য পাতের লক্ষণ
- বীর্যপাত ২ মিনিটের আগে হয়ে যাওয়া।
- ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ সঙ্গিনীর আগেই বীর্যপাত হওয়া।
- স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকা।
- স্ত্রীর মেজাজ খিটমিটে থাকা।
- স্ত্রী সহবাসে তৃপ্ত না হওয়া।
- আপনার মধ্যে যদি এই লক্ষণগুলো দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যাই হচ্ছে।
দ্রুত বীর্য পাতের কারণ
শারীরিক কারণ:
- ডায়াবেটিস
- সিফিলিস
- গনোরিয়া
- হৃদরোগ
- মাদক
- ধূমপান করা
- অতিরিক্ত মদ খাওয়া
- লিঙ্গ বা স্নায়ুতন্ত্র যেকোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
- যৌন বর্ধক ওষুধ খাওয়া
- মূত্রথলির সংক্রম
- থাইরয়েড গ্রন্থির সংস্থা
মানসিক কারণ:
- সেক্স সম্পর্কে ভয় বা ভুল ধারণা
- অতিরিক্ত উত্তেজিত থাকা
- মানসিক চাপ
- শারীরিক দুর্বলতা
- সঠিক জ্ঞানের অভাব
- নিজেকে সবসময় ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করা
- বিকৃত যৌনাচার
- দাম্পত্য কলহ
- হস্তমৈথুন
- অনেকদিন পর সহবাস করা
লিংগ উত্থান সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
বর্তমানে গবেষকরা পরামর্শ দেন যে,আপনি যদি ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে বা ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার এবং সন্তোষজনক যৌন জীবন ধরে রাখা সম্ভব। এই ভিটামিন গুলি যদি আপনারা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন তাহলে লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আসলে লিঙ্গ উত্থান না হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে লিঙ্গের মধ্যে যে রক্তনালীগুলো রয়েছে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত সঞ্চালনের অভাবে কারণে। এই ভিটামিন গুলো যদি আপনারা গ্রহণ করেন তাহলে আপনার লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হবে এবং লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লিঙ্গ উত্থানে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফলে শরীর থাকে রোগ মুক্ত ।স্বাভাবিক যৌনজীবনের জন্য রোগমুক্ত শরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনার এই প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ভালো লাগবে। মন থাকবে প্রফুল্ল। ফলে আপনি আপনার স্ত্রীকে যৌনতৃপ্তি দিতে পারবেন।
মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।
এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।
ফুলকপি: শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে ।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।
ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপি সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়।
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।
এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।
রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
বাদাম:বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যারসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।
আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।
এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড। আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।
কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।
এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।
জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।
এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।
এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি।
এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।এছাড়া এই ফলটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
লিঙ্গ উত্থানে প্রোটিন জাতীয় খাবার
মাছ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি তে মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম মাছ খেতে হবে। কারণ মাছ খাটের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাছ মস্তিষ্ক সহ শরীরের যে কোষ প্রাচীর রয়েছে তা গঠন করতে সহায়তা করে। গবেষকরা বলছেন কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খায় তাহলে তাদের মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ রয়েছে তা সুস্থ থাকে।ফলে এই খাবারটি নিয়মিত খেলে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।যা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৪%
- ক্যালোরি-১২১গ্রাম
- প্রোটিন-২০গ্রাম
- চর্বি-৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-১৪ মি.গ্রা
- লৌহ-০.৭ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.১মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.১৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-১১.৬মি.গ্রা
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে রয়েছে
- পানি-৬৭%
- ক্যালোরি-১৮০গ্রাম
- প্রোটিন-২১গ্রাম
- চর্বি-১৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৬ মি.গ্রা
- লৌহ-২.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৮মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-৮.২মি.গ্রা
১০০ গ্রাম খাসির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৫%
- ক্যালোরি-২৯৪গ্রাম
- কোলেষ্টরেল-৯৭মি.গ্রা
- চর্বি-১৪গ্রাম
- সোডিয়াম-৭২ মি.গ্রা
- লৌহ-৪.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৭মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৭মি.গ্রা
- নায়াসিন-৭.২মি.গ্রা
দুধ: দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।যা মানুষের যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।
১ গ্লাস দুধ এ রয়েছে
- পানি- ৮৬.৫ শতাংশ
- ফ্যাট - ৪.৮ শতাংশ
- ক্যালসিয়াম-৪.৫ শতাংশ
- প্রোটিন -৩.৫ শতাংশ
- ভিটামিন ও খনিজ -০.৭ শতাংশ
প্রাণিজ দুধ ছাড়াও সয়া ও বাদামের দুধ খুব পুষ্টিকর ।বিভিন্ন দুধের পুষ্টিগুণ বিভিন্ন রকম যেমন
গরুর দুধ: গরুর দুধে তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন: ক্যালসিয়াম ভিটামিন পটাশিয়াম ননীতলা দুধে রয়েছে ৯০ ভাগ ক্যালরি। ও শূন্যভাগ চর্বি ওজন কমানোর জন্য এটা অত্যন্ত আদর্শ একটি খাবার।এই খাবার মানুষের যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।এক শতাংশ নানিযুক্ত দুধে রয়েছে ১০২ ক্যালরি, ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
ননিযুক্ত দুধে আসে ৩. ৫ ভাগ চর্বি।
চকলেট দুধ: শিশুদের অত্যন্ত পছন্দের খাবার এই চকলেট দুধ। এই দুধটি বড়রাও খেতে পারেন।সাধারণত ব্যায়াম করার পরে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে। এতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের অনুপাত হচ্ছে চার অনুপাত এক ভাগ।
ছাগলের দুধ: এক গ্লাস ছাগলের দুধে সাধারণত প্রোটিনের পরিমাণ ৯ গ্রাম।। এটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও চর্বি বহন করে। গরুর দুধের চেয়ে ছাগলের দুধে ১৭০ গ্রাম বেশি ক্যালোরি ও ৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
তবে গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর দুধের থেকে আলাদা কোন পুষ্টি ছাগলের দুধে পাওয়া যায়ন। ছাগলের দুধ খেলে কোন এলার্জি হয় না যেটা গরুর দুধে হয়ে থাকে।
সয়া দুধ: এই দুধ সাধারণত সয়াবিন থেকে তৈরি করা হয়। এই দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।এটি গরুর দুধের মতই পুষ্টিকর একটি দুধ।১ কাপ সয়া দুধে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৪৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যারা নিরামিষভোজী বা যাদের ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে অথবা এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই দুধ খেতে পারেন।
এছাড়া এই দুধটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
কাঠবাদাম দুধ: এক মুঠ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এই দুধ তৈরি হয়ে থাকে। কাঠবাদাম দুধে ক্যালোরির পরিমাণ রয়েছে ৩০ ভাগ,ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে ৪৫০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া আরও রয়েছে প্রোটিন এবং ভালো চর্বি কারো যদি এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা থাকে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
এছাড়া এই দুধটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
কাজু বাদামের দুধ: এই দুধ খুব ফ্লেভারফুল ও ক্রিম যুক্ত। এতে রয়েছে ক্যালরি ও সামান্য পরিমাণে চর্বি। ১ কাপ কাজুবাদাম দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালরি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।এছাড়া এই দুধটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
নারকেল দুধ: বর্তমানে নারকেল দুধ এখন অনেক জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ১ কাপ নারিকেল দুধে ১২ গ্রাম চর্বি ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি ও ৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ।এ টি বেশ ক্রিম যুক্ত একটি খাবার।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
ফ্ল্যাক্সিড দুধ: যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এই দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালেরি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
হেল্প সীড দুধ: এটি প্রায় ছয় দুধের মত ক্রিমযুক্ত হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে রয়েছে ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাট ক্যালরির পরিমাণ ৮০ গ্রাম।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
ম্যাকাডেমিয়া: এটি কে উদ্ভিজ্জ দূত বলা হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
কালো রাজমা: খুব মানুষ কালো রাজমা সস্পর্কে জানেন।এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের জয়েন্টগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।এর উাপদান রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
আখরোট: বাদাম গোত্রের একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রেটিন,পটাসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।খারাপ কোরলষ্টরেল মাত্রা কমায়।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
লিঙ্গ উত্থানে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সমূহ
লাল মাংস: লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী লাল মাংস গ্রহন করতে হবে।যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম লাল মাংস খেতে পারে।তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
সেলমন ফিস: তৈলাক্তএই সামুদ্রিক মাছটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে।এই মাছটি সপ্তাহে অন্তত ৪ আউন্স খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতি মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমানের ভিন্নতা দেখা যায়।এই মাছ খেলে হৃদরোগ,স্ট্রোক,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
কলিজা: কলিজাতেও ভিটামিন ডি থাকে।৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত কলিজা খাওয়া যেতে পারে,তবে ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে পরিমিত হারে খাওয়ায় ভালো।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে।এবং যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।
১ টি ডিমে রয়েছে
- ক্যালোরি-১৪৩ এনার্জী
- কার্বোহাইড্রেট-০.৭২গ্রাম
- প্রোটিন-১২.৫৬গ্রাম
- চর্বি-৯.৫১গ্রাম
- ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা
- পটাসিয়াম-১৩৮ মি.গ্রা
- জিংক-১.২৯ মি.গ্রা
মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারে।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে Erection Dysfunction থেকে মুক্তি পাবেন।
কর্ড লিভার অয়েল:
- ১থেকে ১২ মাস= প্রতিদিন আধা চা চামচ
- ১থেকে ৪ বছর= প্রতিদিন ১ চা চামচ
- ৪ বছরের উর্ধ্বে= ১.৫ চা চামচ
- প্রাপ্তবয়স্ক= প্রতিদিন ২ চা চামচ সিরাপ পানি,দুধের সাথে খেতে পারেন।
দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
পনির: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পনির খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ,হার্ট ভালো থাকে ,হাড় শক্ত হয়, মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
দই: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দই খাওয়া যথেষ্ট। এই পরিমাণ দই খেলে আপনার ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে ।তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না কারণ বেশি খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দেখা দিতে পারে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
টুনা মাছ: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ এক কৌটা টুনা মাছ সপ্তাহে খেতে পারেন। এই থেকেই তার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মিলবে।এছাড়া এই খাবারটি আপনার যৌন জীবনকে স্বাভাবিক রাখে।
দ্রুত বীর্য পাতের চিকিৎসা
যৌন মিলন করার সময় সঙ্গীর শারীরিক সুখ অনুভুত হওয়ার আগে পুরুষের বীর্য বের হয়ে যাবার যে প্রবণতা তাকে দ্রুত বীর্যপাত বলা হয়। কত সময় বা মিনিটকে দ্রুত বীর্যপাতের মানদণ্ড ধরা হবে এটা বলার বেশ কঠিন। তবে একজন সুস্থ সবল পুরুষ প্রথম মিলনের সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ মিনিট মিলন করতে পারেন।
কিন্তু দ্বিতীয় বার মিলনের সময় এটা যদি ২ থেকে ৩ মিনিট হয় তাহলে সেটা দ্রুত বীর্যপাত বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে সময়ের এই ব্যাপারটা অঞ্চল ভেদে হেরফের হতে পারে। যেমন:আফ্রিকান বা আরবরা বীর্যপাতের জন্য যত সময় পায়, তার তুলনায় এশিয়া মহাদেশের মানুষ কম পায়।
তাই কতটুকু সময় পেলে সেটা দ্রুত বীর্যপাত হিসাবে গণ্য করা হবে সেটা মেডিকেল সাইন্স নির্দিষ্ট করে দেয়নি।
ধীরে শ্বাস নেওয়া: যৌন মিলন করার সময় ধীরে ধীরে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে।যখন চরম মুহূর্তে যাবেন তার একটু আগে গভীর শ্বাস বন্ধ করে দিবেন, এটা দ্রুত বীর্যপাতের রিফ্লেক্স টাকে নিয়ন্ত্রণ করে। দেখবেন আগের তুলনায় সময় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একাধিকবার মিলন: সারাদিনে একের অধিক বার যৌন মিলনে লিপ্ত হবেন। এতে লিঙ্গের যে sensitivity আছে তা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে বীর্য না থাকার কারণে বীর্যপাত হতে সময় লাগবে। যারা দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রথমবার মিলন করার পর দ্বিতীয়বারে একটু সময় নিয়ে যদি মিলিত হন তাহলে প্রথমবার সময় না পেলেও দ্বিতীয়বার সময় বেশি পাবে। এটি নিয়মিত করতে থাকলে সময় বৃদ্ধি পাবে।
মিলনের আগে উত্তেজক খাবার: মিলনের আগে ব্ল্যাক কফি,তরমুজের জুস বা যেকোনো ধরনের উত্তেজক খাবার খেলে শারীরিক উত্তেজনা বজায় থাকে।কারণ কফির মধ্যে যে ক্যাফেইন রয়েছে তা শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা রাখে।
অবশ করার এক ধরনের জেল বা স্প্রে পাওয়া যায় এটি লিঙ্গের মাথায় লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে যাদের লিঙ্গের শিথিলতার সমস্যা আছে তারা এটা ব্যবহার না করাই উত্তম।
বিরতি দিয়ে মিলন: যৌন মিলনের মাঝে অল্প সময়ে বিরতি দিয়ে মিলন করবেন। এতে বীর্যপাতের সম্ভাবনা কমে যায়। যদিও আপনার সঙ্গীর জন্য এটি খুব বিরক্তিকর ব্যাপার,তারপরও এটা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। এটা কয়েক মাস অনুশীলন করলে দেখবেন সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা যদি নিয়মমাফিক অনুশীলন করতে পারেন তাহলে বীর্যপাত আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আসন: বিভিন্ন ধরনের যৌন আসন যৌন মিলনের সময়কে দীর্ঘায়িত করে। একের দম্পতি ভিন্ন ভিন্ন আসনের জন্য উত্তম।ভালো মিলনের জন্য ৫ থেকে ১০ টি আসন নির্ধারণ করবেন। তাহলে আপনি কাঙ্ক্ষিত লোক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
লিঙ্গ সঞ্চালন: ধীরে ধীরে লিঙ্গ সঞ্চালন করুন যেন সেটা গভীর পর্যন্ত পৌঁছায়।সঞ্চালন এমনভাবে করা যাবে না যাতে লিঙ্গের মাথায় অনুভূতি বেড়ে যায়, এটা ঠিক কোনাকুনি অ্যাঙ্গেলে সঞ্চালন করতে হবে। যখনই আপনার বীর্যপাত হবে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে লিঙ্গটাকে সরিয়ে নিতে হবে। মনে মনে ভাববেন আপনি দীর্ঘ সময় নিয়ে মিলন করছেন।
প্রতিদিন এই ভাবেই ভাববেন তাহলে দেখবেন মিলনের সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। মিলনের সময় চরম মুহুর্তে কঠিন হিসাব নিকাশ করে মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিবেন তাহলে দেখবেন মিলনের সময় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফোর প্লে: ফোর প্লে প্রয়োগ করবেন,এটা এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সহবাসের পূর্বে স্বামী-স্ত্রী আদর ও ভালোবাসার মাধ্যমে ইচ্ছার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছিয়ে যায়। ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতির ফোর প্লে রয়েছে।ব্যাক্তি ভেদে এটা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে।
যেমন:চুমু খাওয়া,যোনিতে স্পর্শ করা,স্তন যুগল হাত দিয়ে আদর করা,শরীরের sexual অংশগুলোতে স্পর্শ করা ইত্যাদি সবগুলোই ফোর প্লে হিসেবে পরিচিত।
দ্রুত বীর্য পাতের ব্যায়াম
কেগেল: প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাটু একটু উপরে তুলতে হবে। হাত দুটো পাশে রাখবেন। এরপর ধীরে ধীরে মাজাটা যতটুকু সম্ভব উপরের দিকে তুলতে হবে। এতে মাজাতে যে রগ আছে তা শক্তিশালী হবে।যার ফলে ব্লাড সার্কুলেশন লিঙ্গে ভালোভাবে হয়।এতে লিঙ্গের ইলেকশন দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়। এই ব্যায়ামটি অন্তত ১৫ মিনিট করতে হবে।
কেগেল ব্যায়াম |
ধনুরাসন: ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন।পাঁ দুটো হাঁটুর পিছন দিক থেকে ভেঙ্গে দিন।তারপর কোমর বাঁকিয়ে দুইহাত পেছন দিক দিয়ে পায়ের দুই গোড়ালি উপরে শক্ত করে ধরুন।প দুটোকে যতটা পারা যায় মাথার কাছে টেনে আনুন।
ধনুরাসন |
মৎস্যাসন
ময়ুরাসন |
উত্থান জনিত সমস্যার স্থায়ী সমাধান
বিবাহ বিচ্ছেদের কতগুলো কারণের মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বা যৌন অক্ষমতা ।যেকোনো বয়সেই এই সমস্যাটি হতে পারে। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে Erection Disfunction এর সমাধান করা যায়। যারা এই সমস্যায় পড়েছেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়েছেন তারা আবার স্বাভাবিক যৌনজীবনে ফিরে গেছেন।
National Kidney & Urologic Disease Information Clearing House অনুসারে ৪০ বছর বয়সের ৫% পুরুষ এবং ৬৫ বছরের ১৫% থেকে ২৫% পুরুষ এই Erection Disfunction এর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ৭০ দশকের প্রথম দিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করতেন যে এই সমস্যার মূল কারণ মানসিক অশান্তি।
কিন্তু বর্তমানে এসে দেখা যাচ্ছে যে, নানান ধরনের ওষুধ সেবন,জীবনযাত্রার ধরন, জাঙ্ক ফুড গ্রহন,এবং ইনজুরি এই সমস্যার মূল কারণ।
লিঙ্গ উত্থানে সময় দিন: কোন পুরুষ মানুষের বয়স বাড়লে তার লিঙ্গ উত্থিত হওয়ার মতো উত্তেজনা হতে একটু সময় লাগে। ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের পুরুষদের লিঙ্গ উত্থিত হতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে সে ক্ষেত্রে চল্লিশোর্ধ বছর বয়সের পুরুষদের লিঙ্গ উত্থিত হতে এক বা দুই মিনিট সময় লাগতে পারে।
আবার ষাটোর্ধ বয়সের পুরুষদের দুই মিনিট বা তাঁর বেশি সময় লাগতে পারে এর অর্থ এই নয় যে তারা যৌনক্রিয়ায় অক্ষম। বীর্য নির্গত হওয়ার পর লিঙ্গ পুনরায় উত্থিত হওয়ার সময়ের যে পরিসর তা বয়স ভেদে ভিন্ন রকম হতে পারে ৬০ থেকে ৭০ বছরের বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ উত্থিত হতে একদিন বা তাঁর বেশী সময় লাগতে পারে।তাই লিঙ্গ উত্থানে সময় দিন।
ঔষধ: Erection Dysfunction এর আরেকটি কারণ হচ্ছে প্রেসক্রিপশনের ওষুধ বা ওভার দা কাউন্টারের ওষুধ যেমন :ডায়াবেটিক অ্যান্টিহিস্টামিনের মতো ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ অথবা ঘুমের ওষুধ। এই ওষুধের প্রতিক্রিয়া একেক জনের ওপর একেক রকম হয়ে থকে ।এই ধরনের ওষুধগুলো Erection Disfunction হতে সাহায্য করে ।
পঞ্চাশোর্ধ বছর বয়সের পুরুষের ক্ষেত্রে বেশি এটি বেশী হয়। প্রায় ১০০ ধরনের ওষুধ রয়েছে যা Erection Dysfunction ঘটাতে পারে। যদি আপনার মনে হয় যে আপনার ওষুধের কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং জেনে নিন ওষুধের ডোজ ওষুধ পরিবর্তন করে কিভাবে তা সেবন করতে হবে।
মদ ছেড়ে দিন: দ্যা ট্র্যাজেডি অফ ম্যাকবেথ নাটকে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছেন মদ যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আকাঙ্ক্ষা জাগায় কিন্তু যৌন ক্রিয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। মদ মানুষের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটায় ফলে নার্ভাস সিস্টেম বিষন্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে মদ পান করলে স্নায়ু ও যকৃত নষ্ট হয়ে যায়।
যকৃত নষ্ট হওয়ার কারণে পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ হওয়া কমে যায় ফলে লিঙ্গের উত্থান বাঁধা প্রাপ্ত হয়। তাই স্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য মদ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।
ধমনী পরিষ্কার রাখুন: লিঙ্গ হল একটি সংবহন তান্ত্রিক অঙ্গ। রক্ত ধমনী হয়ে লিঙ্গের দিকে প্রবাহিত হয় রক্ত প্রবাহ যদি লিঙ্গে সঠিক না থাকে তাহলে Erection Disfunction হতে পারে। চল্লিশোর্ধ কোন পুরুষের লিঙ্গের দিকে রক্তের প্রবাহমানতা কিছুটা কমে যায়। তার কারণ ধমনী সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। তাই আমাদের খাদ্যাভাসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
সেই খাবারই গ্রহণ করতে হবে যা ধমনীর প্রাচীরে যেন কোন কোলেস্টেরল জমা হতে না দেয় এবং রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে।
ধূমপান ছেড়ে দিন: ধূমপান রক্তনালীকে সংকুচিত করে ফলে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। লিঙ্গে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন না হোলে লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাই ধূমপান ছেড়ে দিন।
ওজন কম করুন: এক গবেষণায় দেখা গেছে যে মোটা মানুষের Erection Dysfunction বেশি হয়। যদি আপনি আপনার স্বাভাবিক ওজনের থেকে বিশ শতাংশ বেশি হোন তাহলে তা কমানোর কথা চিন্তা করুন। যৌন ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন আত্মবিশ্বাসের আর এই আত্মবিশ্বাসের কমতি থাকলে Erection Dysfunction হয়।
তাই একজন পুরুষ যত বেশি শারীরিকভাবে ফিট থাকবে,যৌন সঙ্গমে সে ততো বেশি পারদর্শী হবে।
বেশি করে যৌন মিলন করুন: এক সপ্তাহে একবারও যারা যৌন সঙ্গম করেনি তাদের Erection Dysfunction ,যারা এক সপ্তাহে একবার যৌন সঙ্গম করেছে তাদের তুলনায় দ্বিগুন। তাই গবেষকরা এই ব্যাপারে একমত যে নিয়মিত যৌনসঙ্গম করলে পুরুষেরা Erection Dysfunction থেকে রক্ষা পায়।
রিলাক্সে থাকুন: যৌন সঙ্গমের সাথে নার্ভাস সিস্টেমের একটা সম্পর্ক রয়েছে ।নার্ভাস সিস্টেম দুই ধরনের হয়ে থাকে এক সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরেকটি প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম। সিমপ্যাথেটিক নার্ভার সিস্টেম এর কাজ হচ্ছে নেটওয়ার্ক বিস্তার করা যা শরীরকে সতর্ক রাখে। অ্যাড্রিনাল হরমোন আপনাকে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে তোলে।
স্নায়ুবিক দুর্বলতা ,উদ্বিগ্নতা লিঙ্গ থেকে রক্ত পেশির দিকে টেনে আনে ফলে লিঙ্গ উত্থানে বাধা প্রাপ্ত হয়। উদ্বিগ্নতা আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে ফলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যাড্রিনাল হরমোন নিঃসরণ হওয়া সত্বেও লিঙ্গ উত্থানে বাধা প্রাপ্ত হয়।
তাই Erection Dysfunction থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রিলাক্সে থাকুন এবং প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
দ্রুত বীর্য পাতের হারবাল চিকিৎসা
- জিনসেং
- অশ্বগন্ধা
- শতমূলী
- ল্যাভেন্ডার
- ক্যামোমাইল
- মেলিসা
- গোক্ষুর
- শতায়ূ
- শ্বেত চন্দন
দ্রুত বীর্য পাতের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
- Caladium seg
- Conium mac
- Lycopodium
- Agnus castus
- Anacardium ori
- Acid phos
- Salix nig
- Titanium
- Nuphar lut
- Turnera
- Avana sat
- Medorrhinum
- Phosphorus
এ সকল ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
লেখকের কথা
উপরের আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণ জেনে গেছেন উক্ত সমস্যার সমাধানের বিষয়গুলো নিয়ে। আপনারা যদি নিয়মিত বিষয়গুলো মেনে চলেন তাহলে Erection Disfunction এর হাত থেকে মুক্তি পাবেন।এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়ে জীবন পরিচালনা করলে সুস্থ থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url