দুর্বল হার্ট সবল করার উপায় - হার্টের সমস্যা সম্পর্কে জেনে নিন

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে দুর্বল হার্ট সবল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করি এছাড়াও হার্টের সমস্যা বোঝার উপায় জানার পর সেই মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবো।কারণ বর্তমান এই প্রতিযোগিতার যুগে যে পরিমান মানুষিক চাপ নিতে হয় আমাদের তাতে হার্টের রোগ হওয়া অসম্ভব কিছু না।
দুর্বল হার্ট সবল করার উপায় -হার্টের সমস্যা সম্পর্কে
শরীরের সবচেয়ে মূল্যবান অংশটি যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে পুরো শরীরের উপর এর প্রভাব পড়ে।

ভুমিকা 

আজকের এই আর্টিকেলটিতে হার্টকে কিভাবে সবল রাখবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আলোচনা করা হয়েছে কি ধরনের খাবার খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় বা হার্টের ব্লক দূর হয়। এছাড়াও হার্টের জন্য যে সকল ক্ষতিকর খাবার রয়েছে তা আপনাদের সচেতন করার জন্য বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। 

যতটা সম্ভব এই খাবারগুলো এড়িয়ে চললে আপনার হার্ট ভালো থাকবে। শুধুমাত্র ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চললেই হবে না হার্ট ভালো রাখার জন্য যে সকল ব্যায়ামগুলো রয়েছে সেগুলোও নিয়মিত করতে হবে।

দুর্বল হার্ট সবল করার উপায়

খাদ্যাভাস পাল্টানো: আমরা সাধারণত স্যাচুরেটেড যুক্ত খাবার খেতে খুব ভালোবাসি। যেমন:রেডমিট চর্বিযুক্ত দুধ খাদ্য তালিকা থেকে বর্জন করতে হবে। এতে আপনার শরীরের সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ কমবে। শরীর থেকে ক্যালোরি ঝরে যাবে। লবণ যতটা সম্ভব কম খেতে হবে তবে একেবারে ছেড়ে দিলে বেশি ভালো হয়। 
সপ্তাহে একদিন দুপুরের যে নিয়মিত খাবার খান তার বদলে হালকা খাবার অল্প পরিমাণে খেতে হবে। দিনে অন্তত পাঁচ রকমের শাকসবজি খাবেন।তাহলে হার্ট ভালো থাকবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম: বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অফিস গুলোতে কাজের প্রচুর চাপ থাকে। ফলে আমরা কাজ করতে করতে অনেক সময় হাপিয়ে উঠি যা আমাদের হার্টের উপর প্রভাব ফেলে।, তাই কাজের ফাঁকে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে এবংমাঝে মধ্যে কাজ ফেলে উঠে দাঁড়াতে হবে। বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে সাংসারিক এবং অফিসের কাজ ভুলে যেতে হবে। 

তারপর বিশ্রাম নেওয়ার পর দেখবেন শরীরটা বেশ ভালো লাগছে। যাদের রাত জাগার অভ্যাস আছে তাদের হার্টের রোগ অন্যদের চেয়ে ৪৫ ভাগ বেশি থাকে।তাই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। অতিরিক্ত ঘুমানো আবার হার্টের জন্য খারাপ কারণ এতে স্থুলকায় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে।
জন কমাতে হবে: যারা মোটা মানুষ তাদের চিন্তার শেষ নেই ।তারা অনেক সময় ধরে ব্যায়াম করে ক্যালোরের হিসাব করে তারপরও ওজন কমে না। এটা হওয়ার একমাত্র কারণ অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। ক্যালোরি যুক্ত খাবার বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টি যুক্ত খাবার খেতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। 

লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে। কোথাও গেলে অবশ্যই পায়ে হেঁটে যেতে হবে।

ধূমপান ত্যাগ করুন: আমরা সকলেই জানি ধূমপানে বিষ পান।কিন্তু তারপরও আমরা এ কাজটি করে থাকি। এই বদ অভ্যাস টি ছাড়তে হবে এটি ছাড়ার নির্দিষ্ট কোন পথ নেই তবে যে যার মত করে ছাড়ার চেষ্টা করতে হবে ।ধূমপান ছাড়তে যদি কষ্ট হয় তাহলে এর ক্ষতির দিকগুলো সব সময় মাথায় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। 

চেষ্টা করতে হবে যে সকল বন্ধুদের আড্ডায় ধূমপান করা হয় সেই সকল আড্ডা ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে।আপনাকে ধূমপানের সাথে সাথে মদ পান বন্ধ করতে হবে কারণ মদ পানের সাথে ধুমপানের একটা সম্পর্ক আছে। সব সময় নিজেকে কর্মব্যস্ত রাখলে এই বদভ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন। 

আবার শক্তিবর্ধক যে এনার্জি ড্রিংসগুলো বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এগুলো কোন উপকারে তো আসেই না বরং রক্তচাপ বাড়িয়ে আপনার শরীরের ক্ষতি করে।

Stress কমাতে হবে: মানসিক প্রশান্তি ছাড়া হার্ট ভালো রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান কর্মক্ষেত্র গুলোতে মানুষ নানাভাবে চাপের মধ্যে থাকে।এই চাপ থেকে মানুষের বিভিন্ন ধরনের হার্টের অসুখ হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের চাপগুলো মোকাবেলা করতে হবে। তার সাথে প্রতিদিনের কাজের চাপ শেষ করে একটু সময় নিজের জন্য বের করতে হবে।

অপনার পছন্দের কাজগুলো করবেন যেমন: আপনার পছন্দের বিষয়ে বই পড়া ,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা বন্ধু বান্ধবের সাথে গল্প করা এবং প্রিয়জনদের যথেষ্ট পরিমাণ সময় দেওয়া। মনের মধ্যে কোন রাগ পুষে রাখবেন না যদি আপনার কোন বিষয়ে খারাপ লেগে থাকে তাহলে যাকে নিয়ে এই ঘটনা তার সাথে বিষয়টি শেয়ার করুন। 

কারণ রাগ-পুষে রাখলে হার্টের ক্ষতি হয়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৯৮০ সালের পর থেকে দ্বিগুণ পরিমান মানুষ একাকীত্ব অনুভব করছে।অর্থাৎ ১৯৮০ সালে যেটা ছিল ২০শতাংশ বর্তমানে তা ৪০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান, বলছে কেউ যখন কারো সঙ্গে কথা বলে তখন হরমোন নিঃসরিত হয় ফলে মস্তিষ্ক ও হার্টের মধ্যে একটা সংযোগ স্থাপন হয় ।

এতে হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম ভালোভাবে চলতে থাকে।তাই মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং আশেপাশের মানুষের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যারা তার সঙ্গীর সাথে মাসে একবার শারীরিক সম্পর্ক করে তাদের থেকে সপ্তাহে যারা দুইবার বা তার চেয়ে বেশি বার শারীরিক সম্পর্ক করে তাদের হার্ট সুস্থ থাকে। 
কারণ শারীরিক সম্পর্ক স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টকে নিরাপদ রাখে ঠিক যেমন পোশাক তাপমাত্রার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

দুষিত বায়ু এড়িয়ে চলা: বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে দূষিত বাতাসের পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে ,শীতের সময় সকালের দিকে বায়ুতে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে ,এই দূষিত পদার্থ শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে মানুষের শরীরের ভিতরে ঢুকে ধমনির প্রাচীর কে পূরু করে তোলে। ফলে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্থ হয়।

হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়

বুকে ব্যথা: হার্টে যদি সমস্যা হয় তাহলে বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় এবং সেটা আস্তে আস্তে চোয়াল থেকে বাম কাধঁ তারপর হাতে ছড়িয়ে পড়ে। এরকম ব্যথা দেখা দিলে অবশ্যই বুঝতে হবে আপনার হার্টের সমস্যা হয়েছে। এবং সাথে সাথে চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হতে হবে। বুকে এই ধরনের ব্যথা অনুভূত না হলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো আছে।

শ্বাসকষ্ট: আপনার যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা না থাকে তাহলে শ্বাস নেওয়ার সময় কষ্ট অনুভূত হয়। এটা হৃদরোগের লক্ষণ। সাধারণত হৃদরোগ হলে ফুসফুসে পানি জমে এবং বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাম কষ্ট দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম হারিয়ে যায় এবং মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন অনুভূত হয়। 

যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো আছে।

অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, শরীর হঠাৎ করে খারাপ লাগা হার্ট আ্যাটাকের লক্ষণ। এরকম যদি অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। 

ঘামের পরিমাণ যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি হার্ট ঝুঁকিতে নেই।

কাশি: দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনি কাশির সমস্যায় থাকেন এবং কাশির সাথে সাদা বা ঘোলাটে কফ বের হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে আছেন,আপনার হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাশি সব সময় যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ সেটা নাও হতে পারে।

এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাশির চিকিৎসা করবেন।

হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া: আপনি হয়তো কোন কাজ করছেন এমন সময় হঠাৎ মনে হচ্ছে যেন শরীরটা আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে যাচ্ছে এবং আপনি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন, এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনি হাটের সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। যদি এই অবস্থা আপনার মধ্যে বিরাজ না করে তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো আছে।

ক্লান্তি বোধ করা: আপনি যদি কোন কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করেন তাহলে ক্লান্ত হয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি কাজের শুরুতেই ক্লান্ত হয়ে যান বা কাজ করার সময় বুক ধড়ফড় করে তাহলে বুঝতে হবে আপনি হার্টের সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে।তাই দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

ক্লান্তি যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো আছে।

মাথাব্যথা: যাদের হার্টের সমস্যা হয় তাদের ক্ষেত্রে সব সময় মাথা ব্যথা করে। যে কোন কাজ করতে গেলে মাথাব্যথা করে । এরকম সব সময় মাথাব্যথা হোলে বুঝতে হবে আপনি হার্টের রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই মাথাব্যথা কে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
মাথাব্যাথা যদি স্বাভাবিক হয় এবং ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে যদি সেরে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিক আছে।

পালস রেট: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি মিনিটে পালস রেট থাকে ৬০ থেকে ১০০ বিট।মানুষিক এবং শারীরিক চাপের কারণে সাধারণত শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত চলে বিধায় হার্ট দ্রুত সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। যদি দৌড় দৌড়ায় তাহলে হার্টের রেট বাড়বে ।আর স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের যদি শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে হার্টের রেট কমবে। 

তাই যদি দেখেন আপনার পালস রেট ৬০ থেকে ১০০ বিটের মধ্যে আছে তাহলে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ভালো আছে।

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার 

লাল মাংশ: অতিরিক্ত লাল মাংশ খেলে হার্টের রোগ হয় এটা সকলেই জানে।হার্টের রোগ যে শুধুমাত্র রেডমিট খাওয়ার জন্য হয় তা নয়,এক গবেষনায় দেখা গেছে রেডমিট ভেঙ্গে কারনিটাইন নামে একটি যৌগ তৈরী হয় যা ট্রিমাথাইলেমাইন এন অক্সাইড নিঃসরণ করে। এই ট্রিমাথাইলেমাইন এন অক্সাইড ধমনীতে ব্লক তৈরী করে।

চিনিযুক্ত খাবার: কেক,পেস্ট্রি,পুডিং, আইসক্রিম প্রতিটি খাদ্য চিনি দিয়ে তৈরী হয়।এই চিনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে চিনির সাথে বিদ্রোহের সম্পর্কটা কোথায় তা বোঝা না গেলেও দেখা গেছে মিষ্টি জাতীয় পানীয় ,খাবার ব্লাড প্রেসার কে বাড়িয়ে দেয়। 

ফলে লিভারের তৎপরতা বেড়ে যায় যার কারণে রক্তে ক্ষতিকর ফ্যাট নিঃসরন করে। এই দুটো কারণেই এই হার্টের রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

তৈলাক্ত খাবার: তেলে ভাজা খাবার খুবই উপাদেয় এবং মুখরোচক। কিন্তু খাবার যত তেলে ভাজা হয় তত তার খাদ্য গুন কমতে থাকে, তার সাথে যুক্ত হয় ক্ষতিকর চর্বি।ভাজার পরিমাণ এতই বেশি হয় যে এক পর্যায়ে এতে আর কোন খাদ্যগুণ বজায় থাকে না। 

যেমন: কোন খাবার বা মাংস যখন তেলে ভাজা হয় তখন তেলের মধ্যে বুদবুদ উঠে ,এর কারণ খাবারের মধ্যে যে পানি থাকে তা তেলে ছেড়ে দেয়ার ফলে সেটা বেরিয়ে আসে এবং তেলের তাপ ও চাপে তা শুকিয়ে যায়।ফ্রাই হতে হতে এমন এক পর্যায়ে পৈাঁছায় যখন আর কোন পানি থাকে না ফলে বুদবুদ উঠা বন্ধ হয়ে যায় । 

এমনিতেই মাংস বা এই জাতীয় খাবার গুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে তার মধ্যে তেল ঢুকে আরও ফ্যাটের পরিমান বাড়িয়ে দেয়।

নারিকেল তেল: হংকং এবং সিঙ্গাপুরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে মারা গেছে হংকং এর চেয়ে অন্তত তিনগুণ মানুষ। গবেষকদের ধারণা, সিঙ্গাপুরের অধিবাসীরা প্রচুর পরিমাণে নারিকেল তেল ও পাম তেল খেয়ে থাকে ,আর এই নারিকেল তেলে থাকে অন্তত ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্টের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

ঘি-মাখন-ডালডা: ঘি মাখন এবং ডালটা দিয়ে তৈরিকৃত খাবার খুব স্বাদের হয় এগুলো সাধারণত প্রাচ্যের অভিজাত খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয়। এগুলো দিয়ে তৈরি যে কোন খাবার খুব স্বাদের হলেও এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট সাথে থাকে পলিটিক এসিড যা ধমনীতে ব্লক সৃষ্টিতে সহায়তা করে। 

তাই এগুলোর বদলে অলিভ ,সরিষা ,সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমে রয়েছে উচ্চমাত্রার কোলেস্টরল। একটি বড় আকারের মুরগির ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে যার পুরোটাই ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকে। একজন হৃদরোগী ২০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্ট্ররল গ্রহণ করা তার জন্য ক্ষতিকর। তাই ডিমের কুসুমের বদলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।

ফাস্টফুড: আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্টে দেখা গেছে যে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিতভাবে যারা একবার ফাস্টফুড গ্রহণ করে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি অর্থাৎ যারা দুই বা তিন বার খায় তাদের সম্ভাবনা ৫০% এর বেশি হয়। আর যারা সপ্তাহে চার বা তার চেয়েও বেশি ফাস্টফুড তাদের সম্ভাবনা ৮০% বেশি হয়ে থাকে।

মাছের মাথা-ডিম: মাছের মাথা বা মাছের ডিম খেলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল LDL ও ট্রাই-গ্লিসারাইড এর মাত্রা বেড়ে যায়।ফলে রক্তে লিপিড প্রোফাইলের মাত্রাও বেড়ে যায়।

চিংড়ি: চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল,তবে এতে ক্যালোরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম। সাড়ে তিন আউন্স ওজনের একটা সালমন মাছে রয়েছে ৬২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল আর চিংড়িতে রয়েছে ১৮৯ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। তাই হৃদরোগীদের জন্য চিংড়ি মাছ খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কলিজা,মগজ ,হাড়ের মজ্জা: এগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে এবং এতে যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে তা মানুষের শরীরে সম্পৃক্ত চর্বি হিসাবে জমা হয় ।এছাড়া এই খাদ্যগুলো ধমনীতে ব্লক সৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।তাই আমাদের এই ধরনের খাবারগুলো বর্জন করা উচিত।

হার্ট ভালো রাখার ব্যায়াম

যোগ ব্যায়াম

উৎকটাসন: সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর দুই হাত সোজা করে সামনের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে। এবার মেরুদন্ড সোজা রেখে চেয়ারে বসার মত করে ধীরে ধীরে কোমর সহ নিতম্বকে নামাতে থাকুন। পুরো দেহের ভঙ্গি টা হবে হবে বাংলার এর মত। তবে হাত সামনের দিকে ছড়ানোই থাকবে।খেয়াল রাখতে হবে বুক যেন সোজা থাকে। 
উৎকটাসন
এবার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ১০ পর্যন্ত গুনতে হবে। এভাবে তিনবার করতে হবে।

বজ্রাসন: হাঁটু ভাঙ্গা অবস্থায় পায়ের পাতা মুড়ে গোড়ালি ফাঁক করে তার ওপর বসতে হবে। এমন ভাবে বসতে হবে যেন মেরুদন্ড সোজা থাকে। দুই হাত দুই হাটুর উপর রাখতে হবে ।শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে। এভাবে দশ সেকেন্ড পর্যন্ত করতে থাকুন। আস্তে আস্তে এটা বাড়িয়ে দুই মিনিট পর্যন্ত করতে হবে। 
বজ্রাসন
এভাবে আসনটি তিনবার করুন। প্রতি বার আসনটি করার পর ৩০ সেকেন্ড করে বিশ্রাম নিন।

অর্ধপদ্মাসন: এই আসনটিকে সুখাসনও বলা হয়ে থাকে। প্রথমে বাবু হয়ে বসতে হবে। তারপর এক পা তুলে অন্য পায়ের উরুর উপর রাখতে হবে। তারপর অন্য পা মাটির উপর রাখতে হবে। এভাবে ১০ সেকেন্ড থাকার পর পা পরিবর্তন করতে হবে। এভাবে আসনটি দুই মিনিট পর্যন্ত করবেন।
অর্ধপদ্মাসন
উত্থান পদাসন: এই আসন টি করার জন্য প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। তারপর দুই হাত শরীরের দুই পাশে রেখে শ্বাস নিতে নিতে দুটি পা জোড়া অবস্থাতেই মাটি থেকে যতটা সম্ভব উপরেরর দিকে তুলুন। পা দুটি তুলতে না পারলে একটি পা তুলে আসনটি অভ্যাস করা যায়। এইভাবে ১০ সেকেন্ড থাকার পর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নামান। 
উত্থান পদাসন
এবার অন্য পা তুলে আবার আসনটি করুন।

যষ্টি আসন: প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর মাথার উপরে দুই হাত টানটান করে উঠিয়ে দিন।খেয়াল রাখতে হবে যেন হাতের কোনুই মাটি স্পর্শ করে ।আর দুই হাতের বুড়ো আঙ্গুল পরস্পরকে স্পর্শ করে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে চলতে দিন। এইভাবে মনে মনে বিশ পর্যন্ত গুনতে থাকুন।শবাসনে বিশ্রাম নিয়ে একই ভাবে এই আসনটি তিনবার করুন। 
যষ্টি আসন
এরপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার আগের মতই মাথার ওপর হাত উঠিয়ে দিন।

পবন মুক্তাসন: প্রথমে আপনি চিৎ হয়ে শুয়ে পড়বেন তারপর পা দুটো লম্বা করে সামনের দিকে রাখুন। পায়ের আঙ্গুলগুলো বাইরের দিকে থাকবে। দুটো হাত শরীরের সাথে লাগিয়ে রাখুন। তারপর আস্তে আস্তে ডান পাটা উপরের দিকে তুলে হাঁটু ভেঙ্গে বুকের কাছাকাছি নিয়ে আসুন। 
পবন মুক্তাসন
তারপর পা দুটো এমন ভাবে দুই হাত দিয়ে ধরতে হবে যেন বাম হাতের উপর ডান হাতটি থাকে। তারপর আস্তে করে বুকের উপর হালকা চাপ দিন। এভাবে অন্তত ৩০ সেকেন্ড আসনটি করুন। এভাবে একটি পা হয়ে গেলে আবার আরেকটি পা করুন।

অ্যারোবিক ব্যায়াম: যে সকল ব্যায়াম করার জন্য বাড়তি শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে সেগুলো ব্যায়ামকে অ্যারোবিক ব্যায়াম বলা হয়। এই ব্যায়াম করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসহ সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সহনশীলতা বাড়ানো। এই ব্যায়াম করতে শরীরের মাংসপেশীগুলোকে ব্যবহার করা হয়।ফলে শরীরে অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায়।
অ্যারোবিক 
যেমন:সাইক্লিং,সাতার,হাইকিং,টেনিস,ফুটবল ইত্যাদি আদর্শ অ্যারোবিক ব্যায়াম।

অ্যানেরোবিক ব্যায়াম: যে সকল ব্যায়াম করার জন্য বাড়তি শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না সেগুলো ব্যায়ামকে অ্যানেরোবিক ব্যায়াম বলা হয়। এই ব্যায়াম করলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং হাড় দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়। এছাড়া এই ব্যায়াম করলে শরীরের ভারসাম্য বৃদ্ধি পায়।
অ্যানেরোবিক
যেমন:পুশআপ, বাইসেপ কার্লস, পুলআপ, ভারত্তোলন ইত্যাদি আদর্শ অ্যানেরোবিক ব্যায়াম।

ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্ট্রেচিং ব্যায়াম: এই ব্যায়াম শরীরের মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই ব্যায়াম করার উদ্দেশ্য হলো শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের রক্ত সঞ্চালনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি করা যাতে আঘাতের প্রবণতা হ্রাস পায়।
ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্ট্রেচিং 

কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়-হার্টের ব্লক দূর করার খাবার 

আমাদের খাদ্য তালিকায় যে সকল খাদ্যগুলো রয়েছে যেমন:বিভিন্ন ধরনের ফল ,শাকসবজি,মাছ,মাংশ ইত্যাদি সবকিছুতেই পুষ্টি রয়েছে যা হার্ট ভালো রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু খাবার রয়েছে যার পুষ্টিগুণ খুব বেশি এবং হার্টের জন্য খুবই উপকারি। এদেরকে সুপারফুড বলে চিহ্নিত করা হয় । 

নিয়মিত এই সকল পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যদি খাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে এবং রোগবালা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এই খাবারগুলি দেহের প্রতিটি অংশের চাহিদা মিটিয়ে থাকে ।এর মধ্যে কিছু সুস্বাদু খাবার রয়েছে আবার স্বাদহীন খাবার রয়েছে ।যদি সুস্বাদু খাবারের সাথে সাথে স্বাদহীন খাবারগুলোকেও খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন তাহলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।

মাছ: মাছ খেতে আমরা সকলেই কম বেশি ভালোবাসি। তবে পৃথিবীতে এমন দুটি মাছ রয়েছে যার পুষ্টিগুণ সবার উপরে এবং হার্টের জন্য খুব ভালাে।এই মাছ গুলির নাম হচ্ছে সালমন ও সার্ডিন ।এই দুইটি মাছে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হৃদপিণ্ড কে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই মাছগুলি যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমার থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।এছাড়া নিয়মিত এই মাছগুলো খেলে হতাশা ও স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাবেন।

রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।হার্টকে সুস্থ রাখে।
রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।

বাদাম: বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে। এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে যে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে তা সুগারের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

কোপি: বাঁধাকপি,ফুলকপি এবং ব্রকলিকে সুপারফুড বলা হয়ে থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কারণ এই সবজিগুলোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইটোনিট্রিয়েন্টস,ফোলেট, ভিটামিন ই এবং ফাইবার যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এটি সাধারণত শীতকালে হয়ে থাকে কারণ শীতকালে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে মানুষ আক্রান্ত হয় যার কারণে ওই সকল জটিল রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে এই সবজিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যারসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

কালো রাজমা: খুব মানুষ কালো রাজমা সস্পর্কে জানেন।এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের জয়েন্টগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।এর উাপদান রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

আখরোট: বাদাম গোত্রের একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রেটিন,পটাসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।খারাপ কোরলষ্টরেল মাত্রা কমায়।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

দই: দই আমাদের শরীরে প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। দই অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া কমায়।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় গঠনে সহায়তা করে। দই পেটকে ঠান্ডা রাখে।

মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। 

জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।

ফুলকপি: শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে ।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।

ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।

এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপি সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিম : আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।

গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে। এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।ফলে হার্টকে সুস্থ রাখে।

এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।

আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।

আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে। এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড। আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।

কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।

এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।

তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।

এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি। এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।এছাড়া হার্টের সুস্থতায় এটি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

লেখকের কথা

উপরের আলোচনা থেকে এতক্ষণ জেনে গেছেন হার্ট সবল রাখার উপায়গুলো সম্পর্কে।হার্ট ভালো রাখার জন্য আমাদের কি ধরনের খাবার খেতে হবে।ক্ষতিকর খাবার গুলো কেনোই বা এড়িয়ে যাবো। কি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবারগুলো কেনো গ্রহণ করবো। এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়ে জীবন পরিচালনা করলে সুস্থ থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩