হাত পা ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা হাত পা ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান। অনেকের মুখ ও হাত পায়ের রংয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় যা দেখতে খুব বেমানান মনে হয়। বিশেষ করে মেয়েরা যদি এই সমস্যাই পড়ে তাহলে তারা খুব লজ্জা পায়। কারণ ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে ফর্সা হওয়ার প্রবণতা বেশি।
ভূমিকা
আজকের এই আর্টিকেলটিতে হাত-পা ফর্সা হওয়ার কিছু ঘরোয়া নিয়ম কানুন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী তাই সৌন্দর্য চর্চা করতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। তবে মানব কুলের মধ্যে নারীরা বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। তাই তারা এ সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে।
যেমন ফর্সা হওয়ার জন্য কি মাখতে হবে , কি খেতে হবে কোন ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
হাত পা ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
মুখের তুলনায় হাত-পা ফর্সা হোলে যে কাউকে দেখতে বেমানান লাগে।আপনারা মুখের যত্ন যেভাবে করে থাকেন হাত-পায়ের যত্নের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন।তাই মুখ দেখতে ফর্সা লাগলেও হাত-পা ততটা ফর্সা লাগেনা।হাত-পা বেশীরভাগ সময় খোলা থাকে বলে রোদ ও ধুলোবালির কারনে কালচে ভাব হয়ে থাকে।
শরীরে এই ধরনের অসামঞ্জস্যতা থাকলে মাঝে মাঝে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।তাই এই অসামঞ্জস্যতা দুর করতে ঘরোয়া কিছু টিপস মেনে চললে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।
হলুদ ও শশার স্ক্রাব: প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে শশা ও হলুদ ত্বক ফর্সা,কোমল ও মসৃন করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- শশার রস - ৩ টেবিল চামচ
- হলুদ - ১/২ চা চামচ
- লেবুর রস-১ টেবিল চামচ
এই মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে লাগিয়ে দিন।যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তখন হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রনটি ৩ মাস ব্যবহার করলে দেখবেন হাত পায়ের রং বেশ ফর্সা হয়েছে।
বেসন: ত্বক পরিষ্কারক হিসেবে বেসনের সুনাম রয়েছে বিউটিশিয়ানদের মধ্যে।আপনি যদি নিয়মিত বেসনের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন তাহরে দেখবেন আপনার হাত পা কতোটা সুন্দর হয়েছে।
- বেসন - ২ টেবিল চামচ
- হলুদের গুঁড়া - ১ চ চামচ
- কাঁচা দুধ বা গোলাপ জল - ২ টেবিল চামচ
- লেবুর রস - ৩ ফোটা
উক্ত মিশ্রনটি ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করুন।তারপর ভালোভাবে হাত পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন।শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।এইভাবে সপ্তাতে অন্তত ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে দেখবেন ত্বক কতোটা উজ্জল হয়েছে।
অ্যালোভেরা ও মধুর স্ক্রাব: অনেক প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে।অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ বের করে দেয়।ফলে এটি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তাই হাত পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জাদুর মত কাজ করে।
- অ্যালোভেরা জেল - ২ টেবিল চামচ
- মধু - ২ টেবিল চামচ
এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে একটি জেলপেষ্ট তৈরি করে নিন। তারপর এটি হাতে পায়ে ভালোভাবে মেখে শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো হবে পরিষ্কার করে নিন। এভাবে সপ্তাহে এই মাস্কটি ২ থেকে ৩ বার ব্যাবহার করলে দেখবেন হাত পা বেশ উজ্জল হয়ে গেছে।
টক দই: টক দই হাত পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে গোসল করার আগে হালকা ম্যাসাজ করুন। এই কাজটি পাঁচ থেকে দশ মিনিট ধরে তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
- টক দই - ৩ টেবিল চামচ
- লেবুর রস - ১ চা চামচ
এই মিশ্রনটি একটানা ২ মাস ব্যবহার করুন,দেখবেন আপনার শরীরে কালো ছোপ ছোপ দাগ দুর হয়েছে।
মধু টমেটোর স্ক্রাব: টমেটোর মধ্যে এমন কিছু এনজাইম আছে যা আপনার ত্বকের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেড কে তুলে ফেলে ত্বককে সুন্দর,মশৃন ও উজ্জল করে তোলে।
- টমেটোর রস- ৪ টেবিল চামচ
- Brown sugar-২ টেবিল চামচ
- মধু-১ টেবিল চামচ
এই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।তারপর এই পেষ্টটি হাতে পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। এটি শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে আপনার হাত পায়ের রং উজ্জ্বল হবে।
পাকা পেঁপে: পাকা পেঁপে ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে জাদুর মত কাজ করে। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে করে তুলে উজ্জ্বল, কোমল ও মশৃন।
- পেঁপে-১ টুকরা
- মধু-১ চা চামচ
- মুলতানি মাটির গুঁড়া-১ চা চামচ
- কমলার রস-২ চা চামচ
- লেবুর রস-১ চা চামচ
এই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করুন তারপর এই পেষ্টটি হাতে পায়ে লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ১০থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এই মিশ্রনটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার এটি ব্যবহার করলে ২ মাসের মধ্যে দেখবেন আপনার হাত পায়ের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে গেছে।
আলু: আলুর রস ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে জাদুর মত কাজ করে। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে করে তুলে উজ্জ্বল, কোমল ও মশৃন।
- আলু- ১ টা মাঝারি আকৃতির
- লেবুর রস-১ টেবিল চামচ
প্রথমে এই মিশ্রণটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটি মাস্ক তৈরি করুন তারপর এই মাস্কটি হাত-পায়ে লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে দেখতে পাবেন আপনার হাত পায়ের রং উজ্জল হয়েছে।
কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায়
কফি গাছের বীজ থেকে কফি তৈরি হয়ে থাকে যা আমরা শরীর চাঙ্গা রাখতে পান করে থাকি। আফ্রিকা মহাদেশের উষ্ণ অঞ্চলে যে কফি গাছগুলো পাওয়া যায় তা দিয়ে ত্বকের উজ্জলতার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।কফিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন ধ্বংশকারী ফ্রি-র্যাডিক্যালসগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে।
এছাড়া ত্বককে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।ত্বকে নতুন কোষ উৎপাদন করে।ফলে ত্বক হয় মশৃন,কোমল ও ফর্সা।
- কফির গুঁড়া - ১ কাপ
- চিনি - ২ টেবিল চামচ
- অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল - ১ টেবিল চামচ
এই মিশ্রণ দিতে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন তারপর এই পেস্টটিকে হাতে পায়ে ভালোভাবে মেখে নিয়ে কিছুক্ষন মাসাজ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এটি ব্যবহার করুন তাহলে দেখবেন তিন মাসের মধ্যে আপনার হাত পায়ের ত্বক কতটা ফর্সা হয়ে গেছে।
১ দিনে হাত পা ফর্সা করার উপায়
- ডাবের পানি হাত পা কে ফর্সা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- ডিমের সাদা অংশ লাগালে হাত পায়ের রং সাথে সাথে ফর্সা হয়।
- কাঁচা দুধ খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হতে সাহায্য করে।
- ভেজানো আলমন্ড বাদামের পেস্ট ব্যবহার করলে হাত পায়ের রং খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হয়।
- চন্দনের সাথে মুলতানী মাটি মিশিয়ে ব্যবহার করলে হাত পায়ের রং খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হয়।
- গোটা জিরা দিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে হাত পা ধুলে হাত পায়ের রং খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হয়।
- মশুর ডালের সাথে দুধ বা দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেই পেস্টটি যদি হাতে পায়ে মাখেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হবেন।
- কমলার খোসার সাথে দুধ বা দই দিয়ে ব্যবহার করলে হাত পায়ের রং খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হবে।
- দারুচিনি গুঁড়া ও আধা চা চামুচ মধু মিশিয়ে ব্যাবহার করলে হাত পায়ের রং খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হবে।
- আলুর খোসা নিয়ে ত্বকের উপর ঘষলে সাথে সাথে এর ফল পাবেন।
- টাটকা লেবু কেটে হাত পায়ের ত্বকের উপর ঘষলে সাথে সাথে এর ফল পাবেন।
বেকিং সোডা দিয়ে হাত পা ফর্সা করার উপায়
বর্তমানে বেকিং সোডা সর্বক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হচেছ এমনকি রান্নার কাজেও বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়ে।তবে অনেকেই জানেন না ত্বকের যত্নে বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়।বেকিং সোডা ব্যবহার করলে মুখের ব্রন ও ব্ল্যাকহেড ,ঘাড়ের কালো দাগ ,ত্বকের তৈলাক্ত ভাব,ঠোঁটের কালো দাগ ও ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে জাদুর মতো কাজ করে।
ব্যবহারবিধি
- বেকিং সোডা - ১ টেবিল চামচ
- কমলার রস - ১ টেবিল চামচ
- মধু - ১ টেবিল চামচ
- পানি - ১ টেবিল চামচ
মিশ্রনটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে প্রথমে একটি পেস্ট তৈরি করুন।তারপর পেস্টটিকে হাতে পায়ের সব জায়গাতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।এভাবে মিশ্রনটিকে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার হাত পায়ের ফর্সা হয়ে গেছে।
হাত পা ফর্সা করার ভিটামিনযুক্ত খাবার
আমরা সকলেই মানসিক সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং সর্বোপরি সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার শুধুমাত্র শরীরের ভেতরের অংশকেই সুস্থ রাখে তা নয় শরীরের বাইরের দিকটা সুস্থ রাখার জন্য ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হয়।
অর্থাৎ ত্বকের সুস্থতার জন্য ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার আমাদের প্রত্যেকের গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই ত্বকের তারুন্যতা, উজ্জলতা, মশৃনতা, কমনীয়তা ও চর্মরোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। নীচে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবারগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হোল।
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন, খনিজ ও মিনারেল যুক্ত খাবার সমুহের বর্ননা
কোলাজেন হলো ত্বকের একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ।কোলাজেন ধ্বংস হলে ত্বক ঝুলে পড়ে বা ভেতরের দিকে ঢুকে যায় বিভিন্ন ছোট ছোট বলে দেখা তৈরি হয় এবং বয়স্ক ভাব ত্বকের উপর পড়ে। ভিটামিন A,B,C,E ,খনিজ, মিনারেল ও প্রোটিন যুক্ত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা কোলাজেন ধ্বংসকারী ফ্রি-র্যাডিক্যালসকে ধ্বংশ করে দেয়।
এবং ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় ফলে ত্বক থাকে তারুণ্য দীপ্ত ও উজ্জ্বল।
মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ফুলকপি:শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।
ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপির সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে । শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়। আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।
এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।
রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই মশলাটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
বাদাম:বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই সবজিটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে।
আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড।
আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।
কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।
এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।
এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি। এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
আখরোট: বাদাম গোত্রের একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রেটিন,পটাসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।খারাপ কোরলষ্টরেল মাত্রা কমায়।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই ফলটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
মাছ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি তে মাছের ভূমিকা অপরিসীম। তৈলাক্ত মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শরীর গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। দৈনিক একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭০ থেকে ৭৫ গ্রাম মাছ খেতে হবে। কারণ মাছ খাটের অসুখ ও মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া মাছ মস্তিষ্ক সহ শরীরের যে, কোষ প্রাচীর রয়েছে তা গঠন করতে সহায়তা করে।গবেষকরা বলছেন কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খায় তাহলে তাদের মস্তিষ্কের যে নিউরন কোষ রয়েছে তা সুস্থ থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
সেলমন ফিস: তৈলাক্তএই সামুদ্রিক মাছটিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে।এই মাছটি সপ্তাহে অন্তত ৪ আউন্স খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতি মায়েদের ক্ষেত্রে পরিমানের ভিন্নতা দেখা যায়।এই মাছ খেলে হৃদরোগ,স্ট্রোক,ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
টুনা মাছ: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ এক কৌটা টুনা মাছ সপ্তাহে খেতে পারেন। এই থেকেই তার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি মিলবে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।তাই প্রতিদিন একজন মানুষকে ওজন অনুযায়ী মাংস গ্রহন করতে হবে। যেমন:একজন মানুষের যদি ৫০ কেজি ওজন হয় তাকে ৫০ গ্রাম মাংস খেতে পারে। তবে কারো যদি কিডনি বা অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে পরিমান কম করে খেতে হবে।
১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৪%
- ক্যালোরি-১২১গ্রাম
- প্রোটিন-২০গ্রাম
- চর্বি-৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-১৪ মি.গ্রা
- লৌহ-০.৭ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.১মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.১৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-১১.৬মি.গ্রা
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে রয়েছে
- পানি-৬৭%
- ক্যালোরি-১৮০গ্রাম
- প্রোটিন-২১গ্রাম
- চর্বি-১৪গ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৬ মি.গ্রা
- লৌহ-২.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৮মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৬মি.গ্রা
- নায়াসিন-৮.২মি.গ্রা
১০০ গ্রাম খাসির মাংসে রয়েছে
- পানি-৭৫%
- ক্যালোরি-২৯৪গ্রাম
- কোলেষ্টরেল-৯৭মি.গ্রা
- চর্বি-১৪গ্রাম
- সোডিয়াম-৭২ মি.গ্রা
- লৌহ-৪.৩ মি.গ্রা
- ভিটামিন বি১-০.০৭মি.গ্রা.
- ভিটামিন বি২-০.২৭মি.গ্রা
- নায়াসিন-৭.২মি.গ্রা
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
কলিজা: কলিজাতেও ভিটামিন ডি থাকে।৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিত কলিজা খাওয়া যেতে পারে,তবে ৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেলে পরিমিত হারে খাওয়ায় ভালো।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
দুধ: দুধ অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটা সুষম খাদ্য। এই খাবারটিতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান রয়েছে।দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
তাই একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেতে পারেন।
১ গ্লাস দুধ এ রয়েছে
- পানি- ৮৬.৫ শতাংশ
- ফ্যাট - ৪.৮ শতাংশ
- ক্যালসিয়াম-৪.৫ শতাংশ
- প্রোটিন -৩.৫ শতাংশ
- ভিটামিন ও খনিজ -০.৭ শতাংশ
প্রাণিজ দুধ ছাড়াও সয়া ও বাদামের দুধ খুব পুষ্টিকর ।বিভিন্ন দুধের পুষ্টিগুণ বিভিন্ন রকম যেমন
গরুর দুধ: গরুর দুধে তিনটি উপাদান বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন: ক্যালসিয়াম ভিটামিন পটাশিয়াম ননীতলা দুধে রয়েছে ৯০ ভাগ ক্যালরি। ও শূন্যভাগ চর্বি ওজন কমানোর জন্য এটা অত্যন্ত আদর্শ একটি খাবার।এক শতাংশ নানিযুক্ত দুধে রয়েছে ১০২ ক্যালরি, ১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ননিযুক্ত দুধে আসে ৩. ৫ ভাগ চর্বি।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ছাগলের দুধ: এক গ্লাস ছাগলের দুধে সাধারণত প্রোটিনের পরিমাণ ৯ গ্রাম।। এটি অত্যন্ত উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও চর্বি বহন করে। গরুর দুধের চেয়ে ছাগলের দুধে ১৭০ গ্রাম বেশি ক্যালোরি ও ৭ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর দুধের থেকে আলাদা কোন পুষ্টি ছাগলের দুধে পাওয়া যায়না।
চকলেট দুধ: শিশুদের অত্যন্ত পছন্দের খাবার এই চকলেট দুধ।এতে প্রোটিনের অনুপাত হচ্ছে চার অনুপাত এক ভাগ।এই দুধটি বড়রাও খেতে পারেন।সাধারণত ব্যায়াম করার পরে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ছাগলের দুধ খেলে কোন এলার্জি হয় না যেটা গরুর দুধে হয়ে থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
সয়া দুধ: এই দুধ সাধারণত সয়াবিন থেকে তৈরি করা হয়। এই দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। গরুর দুধের মতই পুষ্টিকর একটি দুধ।এক কাপ সয়া দুধে ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৪৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। যারা নিরামিষভোজী বা যাদের ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে অথবা এলার্জির সমস্যা আছে তারা এই দুধ খেতে পারেন।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
কাঠবাদাম দুধ: এক মুঠ কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এই দুধ তৈরি হয়ে থাকে। কাঠবাদাম দুধে ক্যালোরির পরিমাণ রয়েছে ৩০ ভাগ,ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে ৪৫০ মিলিগ্রাম। তাছাড়া আরও রয়েছে প্রোটিন এবং ভালো চর্বি কারো যদি এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা থাকে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
কাজু বাদামের দুধ: এই দুধ খুব ফ্লেভারফুল ও ক্রিম যুক্ত। এতে রয়েছে ক্যালরি ও সামান্য পরিমাণে চর্বি। ১ কাপ কাজুবাদাম দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালরি। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
নারকেল দুধ: বর্তমানে নারকেল দুধ এখন অনেক জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে। ১ কাপ নারিকেল দুধে ১২ গ্রাম চর্বি ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি ও ৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ।এ টি বেশ ক্রিম যুক্ত একটি খাবার।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ফ্ল্যাক্সিড দুধ: যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এই দুধে রয়েছে ২৫ ভাগ ক্যালেরি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
হেল্প সীড দুধ: এটি প্রায় ছয় দুধের মত ক্রিমযুক্ত হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে রয়েছে ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাট ক্যালরির পরিমাণ ৮০ গ্রাম।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ম্যাকাডেমিয়া: এটি কে উদ্ভিজ্জ দূত বলা হয়ে থাকে।যাদের এলার্জির সমস্যা থাকে বা ল্যাকটোজ সমস্যা রয়েছে কিংবা নিরামিষভোজী তারা এই দুধ খেতে পারেন। এক কাপ দুধে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
কালো রাজমা: খুব মানুষ কালো রাজমা সস্পর্কে জানেন।এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন।এই উপাদানগুলো হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের জয়েন্টগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।এর উাপদান রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
ডিম: ডিম পেশি ও হার গঠনে সহায়তা করে। একজন মানুষ ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারে,তবে ডিমের কুসুম দুই তিনটি খেলে কোন সমস্যা হবে না । তবে বয়স যদি ৪০ পার হয়ে যায় তাহলে তিনি সপ্তাহে দুটো ডিম খেতে পারবেন তবে ডিমের কুসুম ছাড়া সাদা অংশ সপ্তাহে চার দিন খেতে পারবেন।
আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
১ টি ডিমে রয়েছে
- ক্যালোরি-১৪৩ এনার্জী
- কার্বোহাইড্রেট-০.৭২গ্রাম
- প্রোটিন-১২.৫৬গ্রাম
- চর্বি-৯.৫১গ্রাম
- ফসফরাস-১৯৮ মি.গ্রা
- পটাসিয়াম-১৩৮ মি.গ্রা
- জিংক-১.২৯ মি.গ্রা
মাশরুম: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সপ্তাহে প্রতিদিন খেতে পারে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
কর্ড লিভার অয়েল:
- ১থেকে ১২ মাস= প্রতিদিন আধা চা চামচ
- ১থেকে ৪ বছর= প্রতিদিন ১ চা চামচ
- ৪ বছরের উর্ধ্বে= ১.৫ চা চামচ
- প্রাপ্তবয়স্ক= প্রতিদিন ২ চা চামচ সিরাপ পানি,দুধের সাথে খেতে পারেন।
পনির: একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পনির খাওয়া উচিত এতে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ,হার্ট ভালো থাকে ,হাড় শক্ত হয়, মস্তিষ্কে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।
তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
দই: একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম দই খাওয়া যথেষ্ট। এই পরিমাণ দই খেলে আপনার ভিটামিন ডি এর অভাব দূর হবে ।তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না কারণ বেশি খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম বেড়ে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দেখা দিতে পারে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।
অতএব আপনার শরীর যদি রোগমুক্ত থাকে তাহলে ত্বকও ভালো থাকবে।তাই এই খাবারটি যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও উজ্জল এবং ফর্সা।
মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম
ফেয়ারনেস ক্রিম কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন এতে নিয়াসিনামািইড, ভিটামিন সি, কোজিক এসিড, লিকোরিস এক্সট্র্যাক্ট বা আলফা আরবুটিন উপাদানসমূহ ও গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক এসিড ময়শ্চারাইজিং উপাদান আছে কিনা।
ফর্সা হওয়ার ক্রিম
- Wow fairness cream
- Himalaya herbal clear complexion
- OLAY white residence
- 03+whitening cream
- Stbotanica pure radiance anti ageing
- & face brightening cream
- Plum E luminence deep moisturizing
- Bella vita papayablem anti blemish
- Lakme absolute perfect residence
- Garnier light complete
- Lotus herbals white glow
লেখকের শেষকথা
উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন হাত পা ফর্সা ও উজ্জল করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার হাত-পা ফর্সা হবে।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url