পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় - দাঁতের পোকা দূর করার উপায়

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় ও দাঁতের পোকা দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার ,জাঙ্ক ফুড গ্রহন,তামাক জাতীয় পন্য সেবন ও দাঁতের প্রতি চরম অবেহেলার কারনে এই রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। 
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়-দাঁতের পোকা দূর করার উপায়
তাই আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং সেই অনুযায়ী জীবন-যাপন পরিচালনা করেন তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ভূমিকা

শরীরের যেকোনো জায়গায় কোন ব্যথা অনুভূত হলে যেকোনো মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর একটি বিষয়।বিশেষ করে দাঁতের ব্যথা হয় তাহলে তা জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। কারণ এই ব্যথা হলে আপনি কোন কাজ ঠিকমতো করতে পারবেন না। উঠা,বসা,চলাফেরা সর্ব অবস্থায় এই ব্যথা আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকে।
আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে দাঁতের ব্যথা কমাবেন,দাঁতের পোকা দূর করবেন , দাঁতের মধ্যে যে গর্তগুলো তৈরি হয় তা কোন চিকিৎসার মাধ্যমে পুরন করবেন এবং পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য কোন কোন ওষুধ গুলো খাবেন সেই সম্পর্কে।

পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

দাঁতের ব্যথা সহ্য করা খুব কঠিন এই ব্যথা হলে কোন কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। ঠিক মতো খাওয়া যায় না ঠিকমতো বিশ্রাম নেয়া যায় না। তাই আমরা চিকিৎসা হিসেবে পেইন কিলার ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের পেইন কিলার খেলে তা কিডনি উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

তাই প্রথমেই আপনারা এই পেইন কিলার না খেয়ে ঘরোয়া টোটকাগুলো ব্যবহার করতে পারেন।যুগ যুগ ধরে মা,খালারা এই টোটকাগুলো ব্যবহার করে উপকার পেয়ে আসছেন। তবে ব্যথা যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

নুন ও গোলমরিচ: নূর ও গোলমরিচ কে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।তারপর ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে একটি পেষ্ট তৈরি করে, পেষ্টটিকে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন। তারপর নিয়মিত এটি সকালে, দুপুরে ,রাতে মুখের মধ্যে দাঁতের ব্যাথার স্থানের উপর ঘষে কয়েক মিনিট রেখে দিন তারপর কুলি করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

এই নিয়মে পেষ্টটিকে কয়েকদিন ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।

রসুন: এক কোয়া রসুন থেঁতো করে লবণ দিয়ে মিশিয়ে দাঁতে ব্যাথার স্থানে ঘষে কিছুক্ষণ রেখ দিন। এতে যদি না সারে তাহলে এক কুয়া রসুন থেঁতো করে তা খেয়ে নিন। তারপর তো কিছুক্ষন পর দেখবেন দাঁতের ব্যথা কিছুটা কমে গেছে।

লবঙ্গ: কয়েকটা লবঙ্গ ভালোভাবে থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করুন। তারপর পেষ্টটিকে দাঁতের ব্যাথার স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন দাঁতের ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে।

পেয়াঁজ: পেঁয়াজের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ,অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুন থাকার কারণে ব্যথা উপশমে সহযোগিতা করে। দাঁতে ব্যথা হলে এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলে ব্যথা দূর করে, পেঁয়াজ খেতে যদি ঝাঁঝ লাগে তাহলে সে ক্ষেত্রে পিঁয়াজের পেস্ট করে সেই পেষ্টটি দাঁতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।

হিং: আধা চা চামচ গুড়ো করা হিং ও দুই টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেষ্টটি দাঁতে ব্যাথার স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর কুলি করে মুখ ধুয়ে নিন।দেখবেন কিছুক্ষণ পর ব্যথা কমে গেছে।

লবন গরম পানি: যেকোনো ব্যথা বিশেষ করে দাঁতের ব্যথায় লবণ গরম পানি খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই লবণ গরম পানি মুখের যেকোনো ধরনের ইনফেকশন সারাতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত আপনি যদি এই লবন গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করেন তাহলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতা চিবিয়ে মুখের মধ্যে কিছুক্ষণ রাখুন অথবা এই পাতা বেঁটে পেস্ট তৈরি করে দাঁতের ব্যাথার স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখলে দেখবেন ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

আলু: আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে আলু দাঁতের ব্যথা উপশমেএকটি দারুন টোটকা হিসেবে কাজ করে। এই আলুকে এক ফালি কেটে তাতে লবণ লাগিয়ে ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে দেখবেন ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

সরিষার তেল: দাঁতের ব্যথা কমাতে সরিষার তেল আরেকটি ভালো টোটকা হিসেবে কাজ করে। সরিষার তেলের সাথে লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগালে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট: কয়েক ফোটা ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট নিয়ে দাঁতের ব্যাথার স্থানে লাগিয়ে দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত দাঁতের ব্যথা না কমবে ততক্ষণ পর্যন্ত এটা কয়েকবার দাঁতে লাগিয়ে ব্যবহার করুন।

দুর্বা ঘাসের রস: আমাদের দেশে বাড়ির আশেপাশে অনেক দুর্বা ঘাস পাওয়া যায় এই দুর্বা ঘাস দাঁতের ব্যথা উপশমে খুব ভালো কাজ করে। এই দুর্বা ঘাসকে বেঁটে একটি টেস্ট তৈরি করুন তারপর এই পেষ্টটি দাঁতে ঘসে কিছুক্ষণ রাখুন।দেখবেন দাঁতের ব্যাথা সেরে গেছে।

আইস কিউব: বরফের একটি টুকরা পাতলা কাপড় বেঁধে দাঁতের ব্যথার উপর চেপে রাখলে দেখবেন কিছুক্ষণ পর ব্যথা কমে গেছে।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড: হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মধ্যে এন্টি সেপটিক ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন রয়েছে। যেই পরিমাণ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিবেন সেই পরিমাণ পানি মিশিয়ে অর্থাৎ ১ চামচ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও ১ চামচ পানে মিশিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট মুখের মধ্যে রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 
এইভাবে কয়েকবার করলে দেখবেন ব্যথা কমে গেছে।

পিপারমেন্ট টি ব্যাগ: কিছু পিপারমেন্ট টি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দাঁতের ব্যাথার স্থানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন দেখবেন ব্যথা অনেকটা কমে গেছে। কারণ পিপারমেন্ট এর একটা ঠান্ডা অনুভূতি আছে যা দাঁতের ব্যথা উপশমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

দাঁতের পোকা দুর করার ঘরোয়া উপায়

আপনারা হয়তো জানেন প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হয়। কিন্তু নিয়মিত দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পরেও দাঁতের মাড়িতে নানারকম ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে ফলে দাঁত ক্ষয়ে যায়। শুধুমাত্র দাঁত ব্রাশ করলেই চলবে না এর সাথে সাথে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে।

ভেষজ টুথপেষ্ট ব্যাবহার: রাসায়নিক সমৃদ্ধ টুথপেষ্ট এর পরিবর্তে ভেষজ টুথপেষ্ট ব্যাবহার করুন। ভেষজ টুথপেষ্টে প্রচুর পরিমানে আয়ুর্বেদিক উপাদান রয়েছে যা দাঁতের ক্ষয় রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার: প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করুন। সকালে খাওয়ার পর ও রাতে খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করুন।দাঁত পরিষ্কার করার জন্য নরম ব্রিসেলস ওয়ালা টুথব্রাশ ব্যাবহার করুন এবং জিহ্বা পরিষ্কার করুন।

কম করে মিষ্টি খান: খাবারের তালিকা থেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।কারন মিষ্টি জাতীয় খাবার দাঁতের ক্ষয় বাড়িয়ে দেয়।

দাঁতের পোকা দুর করতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ,পটাসিয়াম , ফসফরাস , খনিজ ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কেন গ্রহন করবেন

ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে ও হাড় ক্ষয় রোধে সহায়তা করে। ফলে শরীর থাকে রোগ মুক্ত ও যেকোন ধরনের ব্যাথা মুক্ত থাকে।স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য রোগমুক্ত শরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনার এই প্রয়োজনীয় কাজটি করতে ভালো লাগবে,মন প্রফুল্ল থাকবে ।

নিম্নলিখীত এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। 

জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়।মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

ফুলকপি:শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।

ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

ই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

বাঁধাকপি: এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।

এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপির সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

ই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়। এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 
ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়। আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

ই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।

এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই সবজিটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

রসুন: শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় রসুন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ,ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম। রসুনের এই উপাদান গুলো আমাদের দাঁত ও মস্তিষ্কের বিকৃতি থেকে রক্ষা করে।রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।
রসুন কোলন ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। এতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে এটি ভেষজ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মশলা।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই মশলাটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

বাদাম:বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,ফাইবার,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই তামা ম্যাগনেসিয়াম ও রিবোফ্লেবিন। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম,সেলেনিয়াম,জিংক,ভিটামিন বি,নায়াসিন থায়ামিন এবং ফলিক এসিড।বাদাম যে কোন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এটি ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

বাদামে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে তা হাড় গঠনে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে। 

এর মধ্যে যে সেলেনিয়াম আছে তা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।ভিটামিন ই কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই খাবারটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড,শর্করা এবং ফাইবার,ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।কেউ যদি নিয়মিত চিয়া বীজ খায় তাহলে সে হার্টের বোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।এটি দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

এটিতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই বীজটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে। এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

আম: বাংলাদেশের এটি একটি জনপ্রিয় জনপ্রিয় ফল। এই ফল খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সাধারণত এপ্রিল মাস থেকেই আম পাওয়া যায় এবং মে মাসের শুরু থেকে আম পাকতে শুরু করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও সোডিয়াম। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।ক্যান্সার কোষ কে মেরে ফেলে। 

আমে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমে খেলে দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের কাঁচা আম খাওয়া উচিত ।এটি বাইন নামে এক ধরনের এসিড নিঃসরণ করে যা অন্ত্রের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে হত্যা করে নতুন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে। এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন বি, ই সেলেনিয়াম ,এনজাইম ,সাইট্রিক এসিড। আম খেলে মুখের ত্বক মসৃণ থাকে, চুল পড়া কমে,হজমের সমস্যা দূর হয় ,চোখের যে নানারকম রোগ রয়েছে তা দূর হয় এছাড়া এই ফলটি দিয়ে জ্যাম জেলি আচার তৈরি হয়।

কাঁঠাল: এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল কাঁঠাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ১০০ গ্রাম কাঁঠালের রয়েছে ৯০ গ্রাম ক্যালরি খনিজ লবণের পরিমাণ ০.৯ গ্রাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ডায়াবেটিকস রোগীদের কাঁচা কাঁঠাল খুব উপকারী ।

এছাড়াও রয়েছে থায়ামিন,রিবোফ্লেবিন,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম জিংক এবং নায়াসিন। এই ফলে ভিটামিন এ থাকায় এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এছাড়া এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে। এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

লিচু: লিচু সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। লিচুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি শর্করা আমিষ ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি আয়রন রয়েছে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে। এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

জাম: বমি বমি ভাব খাবারে অরুচি ইত্যাদি নিরাময়ে জামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ,আমিষ ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফল শরীরের হাড়কে মজবুত করে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময় করতে সহায়তা করে । জাম ত্বককে ভালো রাখে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে জামের মধ্যে এমন এক ধরনের নির্যাস আছে যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

পেয়ারা: পেয়ারা এমন একটি ফল যা বাংলাদেশে সারা বছরই পাওয়া যায়।একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি, শর্করা ১১.২০ গ্রাম ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

ই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

সফেদা: সফেদায় প্রচুর পরিমাণে গ্লকোজ থাকে। এ ছাড়া এর মধ্যে যে ক্যালসিয়াম ,আয়রন রয়েছে তা হাড় দাঁতকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সফেদা অনিদ্রা,মানসিক টেনশন,উদ্বেগ,বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে।এতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, কপার ,আয়রন সহ বহু প্রয়োজনীয় পুষ্টি এই ফলে রয়েছে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফলটি মানুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার,কলোন ক্যান্সার,ফুসফুসের ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় গরমের দিনে মানুষ পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পায় ফলে শরীর সুস্থ সতেজ থাকে।

এছাড়া এর মধ্যে যে ক্যারোটিন রয়েছে তার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

আমড়া: একটি ১০০ গ্রাম আমড়াতে রয়েছে ৬৬ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি ১৫গ্রাম শর্করা, ১.১০ আমিষ ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩.৯০ মিলিগ্রাম আয়রন ও ৮০০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন ,৮৩.২০ শতাংশ পানি। এটি পিত্ত ও কফ নিবারক এবং রুটি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া আমড়া কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে কোমরের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।

আমলকি: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলটি ঠান্ডা মৌসুমে সর্দি ,কাশি নিবারনে সহায়তা করে ।এছাড়া এই ফলটি রুচি বাড়াতে সহায়তা করে ত্বক ও চুলকে সুন্দর রাখে, রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

বাতাবি লেবু: বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থায়ামিন ,ক্যারোটিন ,আয়রন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রয়েছে। পেশি শক্তির দুর্বলতা ও ব্যাথা বেদনা দূর করতে বাতাবিলেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পেশির দুর্বলতা ও ব্যথা দূর করতে বাতাবি লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়া এই ফলটি ওজন ও এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এ ফলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

কামরাঙ্গা: কামরাঙ্গা ক্ষতিকর কোলেস্ট্রল কমাতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।এই ফলটি যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমানে খেতে পারেন তাহলে কোমরের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।

গাব: গাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ,কার্বোহাইড্রেট ,ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফলটি ওজন হীনতা ও লো প্রেসারে যারা ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ফল ।এই ফলটি খেলে দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর হয়।আবার হাঁড় ক্ষয় রোধ করে বিভিন্ন ব্যাথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়।

ই ফলটি নিয়মিত খেলে দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দুর হবে এবং দাঁতের পোকা লাগা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

দাঁতের গর্ত দূর করার উপায় 

সাধারণত দাঁতের গর্ত দূর করার জন্য দুই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রথমটি ফিলিং চিকিৎসা ও দ্বিতীয়টি রুট ক্যানেল চিকিৎসা। ফিলিং করা মোটামুটি সহজ হলেও রুট ক্যানেল পদ্ধতিটা একটু জটিল , সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। 

গঠনগত দিক থেকে দাঁতের তিনটি স্তর রয়েছে। দাঁতের সামনের স্তরের নাম এনামেল যা শক্ত ও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। এর পরের স্তরের নাম ডেন্টিন যা হলুদাভ বর্নের হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভেতরের অংশটিকে মজ্জা বা দাঁতের প্রাণ বলা হয়ে থাকে।অর্থাৎ 
  • Enamel
  • Dentin
  • Dental Pulp
ফিলিং পদ্ধতি: প্রথম দুই স্তরে যদি দাঁতের ক্ষয় হয় তাহলে সেটা ফিলিং এর মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। এনামেল ক্ষয় হলে দাঁতের উপর তেমন কোন একটা প্রভাব পড়ে না কিন্তু ডেন্টিন ক্ষয় হলে দাঁতে শিরশিরে ভাব অনুভুত হয়। 

এই অবস্থায় দাঁতের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তারা দাঁতের ক্ষয়ের গভীরতা বুঝে এবং দাঁতের রঙের সঙ্গে রং মিলিয়ে ফিলিং এর যে পদার্থগুলো রয়েছে সেগুলো দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গর্ত পূরণ করে দেয়। এই কাজটা এতটাই নিখুঁত হয় যে বোঝাই যায় না যে দাঁতে ফিলিং করা হয়েছে।

রুট ক্যানেল পদ্ধতি: দাঁতের গর্তের গভীরতা যখন মজ্জা বা প্রাণকেন্দ্রে চলে যায় তখন রুট ক্যানেল পদ্ধতি ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়। দাঁতের মজ্জা বা প্রাণকেন্দ্রটি খুব সংবেদনশীল একটি জায়গা। এখানে প্রচুর স্নায়ু রয়েছে যার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন ঘটে। 

মানুষ যখন এই অংশের ব্যথায় আক্রান্ত হয় তখন চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে নিজে নিজেই ওষুধ কিনে খায় ফলে এই ব্যথা আরো জটিল থেকে জটিলতর আকার ধারন করে। এই কাজটি মানুষ করে থাকে রুট ক্যানেল নিয়ে চিকিৎসা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব থেকে অথবা পরিচিত বন্ধু ,বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের পূর্ব খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে। 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বাংলাদেশ অনেক অনুমোদনহীন ডাক্তার রয়েছে যারা দাঁতের চিকিৎসা করে ।এ ক্ষেত্রে সাধারন মানুষেরা অপচিকিৎসার শিকার হন। ফলে তাদের এই রোগটি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে।

অথচ আমদের দেশে রুট ক্যানেল চিকিৎসা উন্নত বিশ্বের মতো হয়ে থাকে। তাই অনুমোদিত ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রাথমিকভাবে দাঁতের গর্তের রোগ শনাক্ত করে ছয় মাস পর পর চিকিৎসা নেওয়া উচিত হবে।

দাঁতের পোকা বের করার গাছ

বর্তমান ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েরা আকন্দ গাছ নামে যে একটি উপকারী গাছ রয়েছে সে সম্পর্কে হয়তো জানে না। এই গাছটি অত্যন্ত অযত্ন অবহেলায় রাস্তার ধারে, ঝোপ জঙ্গলে, পুকুরের পাড়ে অথবা বাড়ির পাশে বড় হয়। গ্রামগঞ্জে এই গাছটিকে আকন গাছ বলে থাকে। এই গাছের পাতা গুলো দেখতে কাঁঠাল পাতার মত হয়ে থাকে। 
এ গাছের পাতা ,ছাল, ফুল ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আপনাদের মধ্যে যারা গ্রামে বসবাস করেছেন এবং যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের উপরে তারা হয়তো জানেন দাঁতে পোকা হলে আমাদের মায়েরা আকন্দ গাছের কষ নরম কাপড়ে ভিজিয়ে দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে দিতেন। ফলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যাথা সেরে যেতো।

দাঁতের পোকা দেখতে কেমন

আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে যে দাঁতে পোকা লেগেছে আসলে তাতে কোন পোকা লাগবে দাঁতের ক্ষয় বা গর্ত হয়েছে। তাদের এক হয় ও গর্ত হওয়াকে আমাদের দেশে পোকা লাগা বোঝায়। এখন আমরা আলোচনা করি আসলে কি দাঁতে পোক লাগে ? চিনি দিয়ে তৈরি কৃত মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের মুখের ভেতরের এক ধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে এসিড তৈরি করে।

এই এসিড দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে দেয় ফলে দাঁতে গর্ত তৈরী হয়। দাঁতের এই গর্ত হওয়া রোগটিকে বলা হয় ডেন্টাল ক্যারিজ। বৃষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের এনামেলের ওপর এক ধরনের আবরণের সৃষ্টি হয় যাকে বলা হয় পেলিক্যাল যাকে বলা হয় ডেন্টাল প্ল্যাক বা দন্তমল। দাঁত ক্ষয় রোগ বা ডেন্টাল ক্যারিজের প্রধান কারণ হলো লাখ লাখ জীবাণুযুক্ত এই দন্তমল।

পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর ঔষধ

ওষুধ খাওয়ার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে কি কারনে দাঁত ব্যাথা হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাবেন না।বাজারে দাঁত ব্যাথার অনেক ওষুধ পাওয়া যায়।ব্যাথা যদি হালকা হয় তাহলে প্যারাসিটামল খেলে ব্যাথা কিছূটা উপশম হয়।ব্যাথা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হবেন।এছাড়া আরোও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে যা নিম্নরুপ:
  • Fenamic 500mg
  • Fanamic 250mg
  • Napa 500mg
  • Tory 120mg
  • Cox-E 120mg
  • Amodis 400mg
  • Algirex 120mg
  • Ecox 120mg
  • Aroxia 12p mg
  • Maxacil 500mg
  • Exilok 20mg
  • Torimon 90mg

লেখকের শেষকথা

উপরের বিস্তারিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা জেনে গেছেন দাঁতের ব্যাথা কি কারনে হয় এবং এই ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।

যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩