শাক সবজির পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে শাক সবজির পুষ্টিগুন নিয়ে বর্ননা করা হয়েছে।এছাড়া সবুজ শাক সবজির তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা থেকে আপনারা জানতে পারবেন কোন মাসে কি ধরনের সবজি পাওয়া যায়।আপনি যদি এই আটিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে শাক সবজি সম্পের্কে একটা বিস্তারিত ধারনা পাবেন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন রোগ প্রতিরোধে শাক সবজির অবদান সম্পর্কে।কোন মানুষ যদি মনে করে যে তার খাদ্য তালিকায় শুধু শাক সবজি রাখবে ,তাহলে সে এই খাবার খেয়েই সারা জীবন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।
ভূমিকা
বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে পুষ্টিগুন সস্পূর্ন শাক সবজি নিয়ে বর্ননা করা হয়েছে।এছাড়া এতে রয়েছে সিদ্ধ সবজি খাওয়ার উপকারিতা কোন সবজিতে ভিটামিন বেশি এবং সবুজ শাক সবজির তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আপনারা যারা শাক সবজি খেতে চান না তারা এই আর্টিকেলটি পড়লে অবশ্যই খাবারে শাক সবজিা রাখবেন আশাকরি।
শাক সবজির পুষ্টিগুন
মুলা :মুলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি আমাদের দেশে দুই ধরনের মুলা পাওয়া যায় সাদা মুলা ও লালমুলা। এটা এমন একটি খাবার যা রান্না করে খাওয়া যায় আবার কাঁচাও খাওয়া যায় অথবা সালাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।মূলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A থাকে। এই সবজির ব্যাপক ঔষধি গুন রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে এই সবজিটি দারুন কাজ করে।
এছাড়াও এতে বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আলসার ও বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে ও ওজন কমাতেও এর তুলনা নেই।
সাধারণত কিডনি ও পিত্তথলিতে যে পাথর হয় তা প্রতিরোধে সহায়তা করে এই সবজিটি। এতে ক্যারোটিন থাকায় চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে মূলা খাওয়ালে রক্তের বিলোরোবিন এর মাত্রা কমে যায়। মুলা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। অর্শ রোগ ,শ্বেত রোগে এই সবজির কার্যকারিতা ব্যাপক। বিভিন্ন রকম ক্ষত সারাতেও এটি বেশ কার্যকর।
ফুলকপি:শীতের সবজি গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম পুষ্টিকর একটি সবজি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A,B ও C রয়েছে ।এছাড়াও রয়েছে এতে উচ্চমাত্রায় আয়রন ,ফসফরাস ,পটাশিয়াম সালফার ।শরীরের রক্ত তৈরিতে আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যা গর্ভবতী মা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য একটি উপকারী সবজি ।
ফুলকপি কোলেস্টোরল মুক্ত সবজি হওয়ায় আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।এই সবজি মূত্রথলি এবং প্রোস্টেট, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C থাকায় সর্দি,কাশি,জ্বর প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
বাঁধাকপি:এটিও একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি। বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, মিনারেল,অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন C ও E। বাঁধাকপিতে যে ভিটামিন C রয়েছে তা হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। বয়স্ক মানুষ যারা বাঁধাকপি খায় তাদের হাড়জনিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
এটি ওজন কমাতেও সহায়তা করে কারণ বাঁধাকপি সালাত খেয়েই সারা বেলা থাকা যায়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই সবজিতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আলসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিম :আমিষের অন্যতম উৎস হলো এই সবজি।শিমের মধ্যে যে বীজ রয়েছে তার ডাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় শরীরকে কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
শিম রক্তে ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। শিশুদের পুষ্টি জড়িত রোগ, মেয়েদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান এই সবজি সহায়তা করে ।শিমের ফুল সাধারণত রক্ত আমাশার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
গাজর: এই সবজিও অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু এবং আঁশযুক্ত খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।
গাজরে থাকার ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ত্বকের খসখসে ভাব ও রোদে পোড়া ভাব দূর ত্বককে রাখে মসৃন । গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বক উজ্জল হয়।
টমেটো: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন C আছে ।কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই এই সবজি ফলটি খাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। টমেটোতে যে ভিটামিন C আছে তা ত্বক ও চুলের রুক্ষতা দূর করে। বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে ।টমেটোতে লাইকোপেন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
অতি বেগুনি রশ্মির যে খারাপ প্রভাব রয়েছে তা থেকে মানুষের চামড়াকে রক্ষা করে। টমেটোতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। দেহের ক্ষয় রোধ করে ।দাঁতকে শক্ত মজবুত করে।
পালং শাক: এ সবজিটি অত্যন্ত উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বহন করে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ,ফলিক এসিড ,আয়রন ,ফসফরাস রয়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে ।এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার ওভারিয়ান ক্যান্সার ,আর্থারাইটিস অষ্টিওপরোসিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে তোলে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ব্রুকলি: এটি একটি কপি জাতীয় সবজি।এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি সবজি। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন রাতকানা,চোখের আরও বিভিন্ন রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ধনেপাতা: ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A ও C, ফলিক এসিড যা চুলের ক্ষয় রোধ করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে ।এই সবজিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ।এই সবজিটি শরীরকে চর্বিমুক্ত রাখতে সহায়তা করে ।এই সবজিতে কোন কোলেস্টেরল না থাকাই হার্টের রোগ থেকে মুক্তি।
এই সবজি ঠোট ফাঁটা, জ্বর, সর্দি ,কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি একটি ওষুধি গুণসম্পূন্ন সবজি।
সবুজ শাক সবজির তালিকা
বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ।বৈচিত্রময় ঋতুর কারণে এদেশে নানা ধরনের শাক সবজি উৎপাদন করা হয়।তাই আমাদের দেশের বাজারে সারা বছর ব্যাপি শাক সবজি পাওয়া যায়।
জানুয়ারি মাসের সবজির তালিকা: লাল শাক,পালং শাক, ধনেপাতা, মেথি শাক ,লেটুশ শাক ,মূলা ,বিট ,গাজর ,শালগম ,পেঁয়াজ ,আলু ,মিষ্টি আলু ,বেগুন ,লাউ ,করলা ,মটরশুটি, ফুলকপি, টমেটো, ওলকপি ,বাঁধাকপি ,মরিচ ,পটল।
ফেব্রুয়ারি মাসের সবজির তালিকা: লাল শাক, পালং শাক, ধনেপাতা ,পুঁইশাক, মুখী কচু ,ওল, পেঁয়াজ, রসুন ,শালগম ,বেগুন, লাউ, করলা মিষ্টি কুমড়া ,চিচিঙ্গা ,ধনে ,ধোন্দল, শশা, মটরশুটি ,টমেটো, মরিচ ,ওলকপি ,মরিচ, পটল, ঢেঁড়স।
মার্চ মাসের সবজির তালিকা: মেথি, পুঁইশাক, ডাটা, গিমা, কলমি, ওল, মিষ্টি আলু ,মুখি কচু, মিষ্টি কুমড়া, চিচিঙ্গা, ধনে ,ওল, শশা, মটরশুটি, মরি,চ পটল, ঢেঁড়স, চাল কুমড়া, বরবটি, লতি কচু ,পানি কচু।
এপ্রিল মাসের সবজির তালিকা: পুঁইশাক ,ডাটা গীমা ,কলমি ,পাট শাক, লাল শাক, বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন ,ওল ,মুখি কচু ,আদা, হলুদ মিষ্টি আলু ,উচ্ছে, করলা ,শশা, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, চিচিঙ্গা।
মে মাসের সবজির তালিকা: পুঁইশাক ,ডাটা ,গীমা ,কলমি,ওল, মুখি কচু, মুলা, শাকালু ,বেগুন,করলা, পেঁপে ,ঝিঙা ,শিম, মরিচ ,পটল ঢেঁড়স।
জুন মাসের সবজির তালিকা: পুঁইশাক, ডাটা, গিমা ,কলমি ,লাল শাক, মুখি কচু, বেগুন ,ঢেঁড়স, বরবটি ,মরিচ, করলা, পেঁপে, সজনে।
জুলাই মাসের সবজির তালিকা: পুঁইশাক, ডাটা ,গিমা ,কলমি ,লালশাক ,শাকালু ,মুলা ,বেগুন, ঢেঁড়স ,বরবটি ,মরিচ ,করলা ,ঝিঙে ,পেঁপে ধোন্দল ,কাঁকরোল ,সজনে।
আগস্ট মাসের সবজির তালিকা: ডাটা ,গিমা ,কলমি, লাল শাক, পুঁইশাক, মূলা ,বেগুন ,মরিচ ,আগাম টমেটো ,ফুলকপি ,শিম বাঁধাকপি ঢেঁড়স।
সেপ্টেম্বর মাসের সবজির তালিকা: লাল শাক ,পালং শাক ,ধনে, মূলা ,বিট ,শালগম ,গাজর, বেগুন ,মরিচ ,টমেটো ,ফুলকপি ,বাঁধাকপি ওলকপি ,ক্যাপসিকাম।
অক্টোবর মাসের সবজির তালিকা: পালং শাক, বথুয়া শাক, লেটুস, বিট ,গাজর, আলু ,পেঁয়াজ, রসুন ,শালগম ,মুলা ,মরিচ, বেগুন, টমেটো বাঁধাকপি ,ক্যাপসিক্যাল, শিম।
নভেম্বর মাসের সবজির তালিকা: পালং শাক ,বথুয়া শাক, লেটুস, ধনে, মূলা ,বিট, শালগম, আলু ,পেঁয়াজ ,রসুন ,টমেটো ,ফুলকপি, ব্রকলি বাঁধাকপি, লাউ ,ক্যাপসিক্যাম, মরিচ ,শিম।
ডিসেম্বর মাসের সবজির তালিকা: পালং শাক, লেটুস ,বথুয়, ধনে ,মূলা, বিট, শালগম ,গাজর, আলু ,পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো ,ফুলকপি বাঁধাকপি,ওলকপি ,লাউ ,ক্যাপসিক্যাস শিম, মটরশুটি।
সিদ্ধ সবজি খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা শাক সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রো অর্গানিজম থাকে সেদ্ধ করলে এগুলো মরে যায় ফলে খাদ্যকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গাজর ,ধোন্দল ব্রকলির মতো সবজিগুলো যদি সিদ্ধ করে খাওয়া যায় তাহলে পুষ্টিমান সংরক্ষিত থাকে।
- শাক সবজি সিদ্ধ করে খেলে বিভিন্ন রোগবালাই যেমন: হৃদরোগ, ক্যান্সার, স্থুলতা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
- সিদ্ধ শাকসবজি মানব দেতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বাড়ায় যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে পালং শাক যদি সিদ্ধ করে খাওয়া হয় তাহলে এর পুষ্টিমান দ্বিগুন বেড়ে যায়।
- সিদ্ধ শাকসবজি সহজে চাবানো যায় ফলে তা হজমে সহায়তা করে এছাড়া শাকসবজি সিদ্ধ করলে এর স্বাদ বেড়ে যায়।
- সিদ্ধ করা শাকসবজি আমাদের শরীরে চর্বি বৃদ্ধিতে বাধা দেয় যার ফলে আমাদের ওজন কমে যায়।
কোন সবজিতে ভিটামিন বেশি
বন্ধুগন সব শাক সবজিতেই ভিটামিন রয়েছে,তবে যেসব সবজিতে ভিটামিন বেশী তা নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলো।এগুলো নিয়মিত খেলে আপনারা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন।
ঢ়েঁড়স: পায়খানা পরিষ্কার থাকে শরীর ঠান্ডা হয় রুচি বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
করলা: দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে কৃমি প্রতিরোধ করে এবং ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
লাউ: শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে লাউয়ের ভূমিকা অপরিসীম এছাড়াও এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দেহে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।
বেগুন: বেগুন সাধারণত মস্তিষ্কের নার্ভ গুলোকে স্বচল রাখে ফলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে এছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় কারণ বেগুনে রয়েছে কোলেস্ট্রল কমানোর উপাদান। এছাড়া এতে রয়েছে এক ধরনের উপাদান যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
কচুর লতি: এই সবজি টি আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে যেখানে সেখানে পাওয়া যায় কিন্তু এর ভিটামিন গুন অসাধারণ। এই সবজিটি আমাদের হাড় শক্ত করে ,মুখের ত্বক ও মাথার চুল গুলোকে ভালো রাখে এবং রক্ত স্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা করে।
বিট: বিট এমন একটি সবজি যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে হার্টকে ভালো রাখে এবং যকৃতের কার্যক্ষমতা এমনভাবে বাড়িয়ে দেয় যা অসাধারণ একটা ব্যাপার।
শালগম: এই সবজিটির শারীরিক দুর্বলতা কে কাটাতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে ,ত্বককে মসৃণ করে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
সজনে পাতা: এই অলৌকিক খাবারের মধ্যে আছে কমলালেবুর থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন C ,দুধের থেকে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম,গাজরের থেকে চার গুণ বেশি ভিটামিন A, দই এর থেকে দুই গুণ বেশি প্রোটিন এবং কলার থেকে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম।
গাজর: এই সবজিটি শরীরের শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে এবং আমাদের রক্তকে পরিষ্কার করে এবং অশ্ব রোগ ও পিত্তরোগ সারাতে সহায়তা করে।
পটল: এই সবজিটি আমাদের শরীরে হজম শক্তিকে বাড়িয়ে দেয় হার্ট কে ভালো রাখে এবংশ্লেষ্মা দূর করে।
পেঁপে: এই সবজিটি খেলে হার্ট অত্যন্ত শক্তিশালী হয় ফ্যাটি লিভার কমাতে সহায়তা করে পেটে যে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হয় এগুলো সারাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে ব্যাপক কাজ করে।
লেখকের কথা
বন্ধুগণ উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শাক সবজির গুনাগুন সম্পর্কে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজিগুলো যদি রাখতে পারেন,তাহলে আপনারা সারাজীবন সুস্থ থাকতে পারবেন। এখন নিশ্চয় আপনি খুশি হয়েছেন সজনে পাতার সঠিক ও সত্য তথ্যগুলো পেয়ে।
উপরের আর্টিকেল থেকে যদি আপনি সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url