আত্ম কর্মসংস্থানে বিউটি পারলার কিভাবে করবেন
আপনি কি বিউটি পার্লার দিয়ে আত্ম কর্মসংস্থান করতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যেখানে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে,লেখাপড়া শেষ করে গতানুগতিক চাকুরীর আশায় বসে না থেকে কিভাবে একটি নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়।‘‘মানুষ সুন্দরের পূজারী’’ ছেলে-মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই এই কথাটি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন আপনিও।
আপনি যদি নিজের শাস্তি অথবা অন্যকে সাজাতে ভালোবাসেন, পাড়ায় কোন বিয়ে হলে বর কনেকে সাজানোর জন্য প্রায়ই যদি আপনার ডাক পড়ে তাহলে কোন চিন্তা না করে নেমে পড়ুন এ ব্যবসায়ী বর্তমান বিউটি পার্লার একটি আধুনিক ব্যবসা।
সূচীপত্রঃ আত্ম কর্মসংস্থানে বিউটি পারলার কিভাবে করবেন
ভূমিকা
নেশা,শখ,ভালোলাগা পুজি করে,কিছু মূলধন লগ্নি করে,পরিশ্রম,নিষ্ঠাকে কাজে লাগিয়ে একটু সচেষ্ট হলে আপনি অনায়াসেই এই ব্যবসা থেকে আয় করতে পারেন ভালো অংকের টাকা এই জন্য সবার আগে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন।এই প্রশ্নের উত্তর গুলোর মধ্যেই নিহিত আছে আপনার ভবিষ্যৎ অর্থাৎ একটি বিউটি পার্লার প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ইচ্ছা।
প্রশ্নগুলো হল
- আপনার মধ্যে কি সত্যিই রয়েছে রূপচর্চার অদম্য নেশা ভালোলাগা?
- নিত্যনতুন সাহায্যে কোন রূপসীকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন ?
- বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের শখ শ্রম নিষ্ঠাকে কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করার ইচ্ছা আছে ?
উত্তর। হ্যাঁ হলে আপনি প্রাথমিকভাবে নিজের বাড়িতেই দিতে পারেন বিউটি পার্লার।
প্রাথমিক শুরু
যেকোনো পেশার প্রাথমিক চাহিদা হল এই পেশা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষিত হয়ে এই ব্যবসায়ী নামলে যে কেউ পেতে পারেন সফলতা। অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার নাম ডাক। তাই প্রথমেই ভালো কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিটিফিকেসন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। তাদের কাছে ভালো করে জেনে শিখে নিন রূপচর্চার প্রয়োজনীয় তথ্য,নিয়ম কৌশল।
এরপর বাছাই করুন কিছু দক্ষ কর্মী। প্রয়োজনে তাদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসুন। তারপর যোগ দিতে বলুন আপনার পার্লারে। তবে এদের কাজে নেওয়ার আগে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, তাদের মানসিকতা যেন ভালো হয়, কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা যেন না থাকে এবং সর্বোপরি সময় জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন থাকে।
স্থান নির্বাচন
যেকোনো ব্যবসার সফলতা ও সমৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভর করে স্থানের উপর। পরিবেশের ওপর যেকোন ব্যবসার পরিচিতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। আপনার বাড়ির অবস্থানটি যদি সেরকম হয়ে থাকে তাহলে এখন থেকেই যাত্রা শুরু করতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে,যে কক্ষে পার্লারের কাজ করবেন সেখানে যেন পর্যাপ্ত আলো,বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে।
কক্ষ সংলগ্ন একটি বাথরুম এবং বাইরে থেকে ঢোকার আলাদা দরজারযও ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে কক্ষের সামনে ছোট্ট একটি বসার জায়গা রাখবেন যাতে গ্রাহকের সঙ্গে আশা অন্যরা সেখানে বসে অপেক্ষা করতে পারেন। প্রয়োজনে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কে দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নিন।
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩০ টি উপায়।
পেশা শুরুর আগে
পার্লারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে ফেলুন। এক্ষেত্রে প্রথমেই লাগবে বিশাল কয়েকটা আয়না। তার সঙ্গে কয়েকটি তাক, অবশ্যই আয়নার নিচে থাকবে সেগুলো ডানে বামে, সামনে-পেছনে ঘোরানো যায় এমন কয়েকটি চেয়ার। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কসমেটিক্স তো লাগবেই। গ্রাহকের আরামের কথা চিন্তা করলে অবশ্যই কিনতে হবে একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র।
সম্ভব হলে রাখতে হবে জেনারেটরের ব্যবস্থা।ঠিক করে ফেলুন পার্লারের একটা সুন্দর নাম,সেই সঙ্গে ছাপিয়ে ফেলুন নাম,ঠিকানা, ফোন নম্বর সহ পার্লারের কার্ড, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। খোঁজ নিয়ে ঠিক করে ফেলুন একজন মোটামুটি নামই বিউটিশিয়ান, এতে সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে আপনার বিউটি পার্লারে কাজ করার জন্য বলুন।
প্রচারেই প্রসার
এলাকা ও আশেপাশের চেনাজানা মানুষজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মুখে মুখে জানিয়ে দিন আপনার পার্লারের কথা। ইচ্ছা করলে লিফলেট, পোস্টার ছাপিয়ে পাড়ার বিভিন্ন দেয়ালে লাগিয়ে দিতে পারেন। আপনার পাড়ার কাগজওয়ালাকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে আপনার পার্লারের লিফলেট প্রচারের ব্যবস্থা করুন।
পার্লারের কার্ড নিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয় বা আশেপাশের কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে। যাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আসতে পারে কনে সাজানোর অর্ডার।এ ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এস মাধ্যমেও প্রচারণা চালাতে পারেন।
শেষ কথা
তাই চাকুরি নামক সোনার হরিণের আশায় বসে না থাকে শুরু করতে পারেন বিউটি পার্লারের ব্যবসা। বদলাতে পারেন আপনার ভাগ্যের চাকা। সফলতা আসবে জীবনে।এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url