আর্টিকেল লেখার ৮ টি নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বন্ধুরা আর্টিকেল রাইটিং করতে গেলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।, নিয়ম-কানুন না মানলে একটি আর্টিকেল কখনোই পূর্ণতা পায় না যদি আপনি আর্টিকেল লেখার নিয়মগুলো না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এখানে আর্টিকেল লেখার ৮ টি নিয়ম সম্পর্কে অলোচনা করা হয়েছে।
ভূমিকা
একটি আর্টিকেল লিখতে গেলে অনেক বিষয়ের উপরে খেয়াল রাখতে হয়। আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নিতে হয়। শুধু স্ক্রিনশট নিলেই হবে না আর্টিকেলটিতে গ্রামাটিকাল কোন ভুল হয়েছে কিনা তা চেক করার নিয়ম জানতে হবে।
এছাড়া কপিরাইট বিশ্লেষণ কিভাবে করবেন সেই ব্যাপারেও একটা স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে আর আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো Plagiarism যা থেকে আমরা জানতে পারবো আমাদের পোস্টগুলি অন্য কেউ নিজের নামে ব্যবহার করছে কিনা।
স্ক্রিনশর্ট কি
কম্পিউটারের মনিটর বা মোবাইলের স্ক্রিনে আপনি যা দেখেন অর্থাৎ যেটা document বা pictureহতে পারে যা আপনার সামনে রয়েছে। সেগুলোকে হুবহু copy করে কোন কিছুর মধ্যে যদি ঢোকাতে চান বা অন্য জায়গায় রাখতে চান তাকে স্ক্রিনশট বলে।
প্রথমে যে পেজের স্ক্রিনশর্ট নিবেন সেই পেজটি কম্পিউটার স্ক্রিনের উপরে রাখতে হবে।তারপর start মেনুতে যেতে হবে।এরমধ্যে sniping tool খুঁজে বের করতে হবে এবং ওপেন করতে হবে।এরপর new button এ চাপ দিতে হবে। তারপর যতটুকু অংশের screen short নিবেন সেটা select করতে হবে।select করার পর একটা ছবি চলে আসবে।
এই ছবিটাকে ctrl+s টিপে সেভ করতে হবে।তারপর save করার window টা চলে আসবে। এরপর আপনার যেখানে ইচ্ছা সেই জায়গাটা দেখিয়ে save করতে হবে।যদি আপনি পুরো ওয়েবসাইটের পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেন এবং মনে করেন সেটাকে কাটতে হবে তাহলে সেটা করতে পারবেন crop tool এর মাধ্যমে।
Crop কিভাবে করতে হয়:স্ক্রিনশট এডিট করার জন্য ফটোশপ সফটওয়্যার টি সবচেয়ে বেশী কার্যকর। ফোন থেকে স্ক্রিনশট নিতে হলে ফোনে যে বাই ডিফল্ট ফটো এডিটর অপশন আছে সেটি দিয়ে crop করা যায়।
প্রথমে ফটো শপ ওপেন করতে হবে।স্ক্রিনশটটি ওপেন করার জন্য ctrl+o একসঙ্গে চাপ দিতে হবে।তারপর স্ক্রিনশটটি select করার পর open করতে হবে।
পাশে যদি অতিরিক্ত কোন অংশ থাকে তা বাদ দিতে হবে এক্ষেত্রে crop tool এর উপর রাইট ক্লিক করে প্রথমে যে crop tool আছে সেটা নিতে হবে।এরপর সিলেকশনের ভিতর রাইট ক্লিক করে প্রথমে clear ratio করে নিতে হবে। অন্য কোনটা select করা থাকলে clear ratio select করে নিতে হবে তাহলে আপনি ইচ্ছামত crop করতে পারবেন।
তারপর bar টিকে ধরে এদিক ওদিক করে ঠিক করে নিতে হবে।এখন আমরা যে অংশটুকু প্রয়োজন সেই অংশটুকু crop করে নিতে পারি।
ছবি চুরি করা ঠেকাতে কিভাবে জলছাপ দিতে হয়: এজন্য প্রথমে স্ক্রিনশটের উপর Text tool চাপ দিতে হবে।তারপর স্ক্রিনশটের উপর mouse রেখে চাপ দিতে হবে।তারপর ফন্ট 10pt বা যতটুকু করলে ভালো লাগে সেটুকু করে নিতে হবে। এর পর CTRL+A চাপ দিয়ে ভেতরের সমস্ত লেখা select করে টেক্সট কালার ইচ্ছামতো চেঞ্জ করে নিতে হবে।
এরপর CTRL+T চাপ দিতে হবে তাহলে Transform option চলে আসবে।রপর সিলেকশনের বাইরে mouse pointer দিয়ে click করে ঘুরিয়ে নিতে হবে তারপর ok করতে হবে।এরপর সব মিলবে ডট কম লেখাটিকে ঝাপসা করার জন্য ফটোশপের Window option এ গিয়ে opacity প্রয়োজন মত কমিয়ে দিতে হবে। তারপর CTRL+SHIFT+ALT+S চেপে save করতে হবে।
Screen Short এ Marketing করার নিয়ম: প্রথমে কিবোর্ড থেকে B চাপ দিয়ে brush tool select করতে হবে।তারপর brush tool এর ওপর রাইট ক্লিক করে নিয়ে নিতে হবে তারপর ইমেজ লেয়ারের উপর ইমেজ লেয়ার সিলেক্ট করে brush tool দিয়ে লিখতে হবে।
গ্রামাটিক্যাল এরর কি
বাংলা, ইংরেজি ২ ভাবে চেক করা যায়
ইংরেজি বানান সংশোধন করার নিয়ম: ইংরেজি বানানগুলোর নীচে লাল দাগ থাকলে তার ওপর রাইট ক্লিক করে loading dictionary এর মাধ্যমে সঠিক বানানের ওপর ক্লিক করলে বানানটি ঠিক হয়ে যাবে।
বাংলা বানান সংশোধন করার নিয়ম: প্রথমে Draft আকারে সব লেখার পর Avro spell cheeker এর মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হবে।
কপিরাইটিং কি
কপিরাইটিং কি: কোন ব্যক্তির মনোযোগ আর্কষন করে কিছু প্রতিশ্রুতি করার মাধ্যমে তার কোন কিছু বিক্রি করা বা কোন সেবা তার কাছে পৌঁছে দেওয়া এটাই হচ্ছে কপিরাইটিং।
কপিরাইটিং ৩ টি বিষয় নিয়ে সংঘটিত হয়।
Attention: আমরা যখন ফেসবুকে বা অন্য কোন মাধ্যমে কোন কিছু দেখে যদি নজর আটকে যায় সেটাই attention অর্থাৎ পাঠকদের বা যাদের কাছে কোন কিছু বিক্রি করা হবে বা যাদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের মনোযোগকে আর্কষন করাই হচ্ছে attention.
Promise: আপনি যে সেবা আপনার কাস্টমার কে দিচ্ছেন তার একটা নির্দিষ্ট successive positive goal থাকতে হবে এই goal টি হচ্ছে Promise.
Call to action: আপনি যখন আপনার কাস্টমারের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারলেন বলে মনে হচ্ছে ,তারপর তাকে বোঝাতে সক্ষম হলেন এর successive positive goal টা কি অর্থাৎ Promise টা কি, তারপর সেবাটা কাস্টমারকে দিয়ে দিলেন বা তার কাছে বিক্রি করে দিলেন সেটাই হচ্ছে Call to action.
Plagiarism কি
বিনা অনুমতিতে কেউ যদি কোন video বা content আংশিক, অর্ধেক ,বা পুরোটাই কপি করে পাবলিশ করে দেয় বা নিজের নামে চালিয়ে দেয় তাহলে তাকে Plagiarism বলে।
কোন পোস্ট চুরি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য copyscape.com এ যেয়ে কোন একটা পোষ্টের copy link address টাকে copyscape এ সার্চ করলে বোঝা যাবে চুরি হয়েছে কিনা।
Plagiarism ৩ ধরনের হয়ে থাকে
Verbatim Plagiarism : কেউ যদি কোন কনটেন্ট সরাসরি copy paste করে তাহলে তাকে Verbatim বলে।
Patchwork Plagiarism: দুই তিনটি জায়গা থেকে বা দুই তিন জন ব্যক্তির লেখা একত্রিত করে নতুন কিছু তৈরি করে চালিয়ে দেয় তাকে Patchwork Plagiarism বলে।
Self Plagiarism: যদি নিজের কোন পুরনো লেখা পুনরায় কপি করে নতুনভাবে অন্য কোথাও Paste করে তাকে Self Plagiarism বলে।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্র্যাপিং কি
আর্টিকেল স্পিনিং: কোন একটা আর্টিকেল থেকে যদি অন্য একটা আর্টিকেল তৈরি করা হয় তাকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে। নতুন আর্টিকেলটি আগের আর্টিকেল থেকে ভিন্নতর হয়ে থাকে।
অর্থাৎ প্রথম আর্টিকেলটিতে শব্দের বিন্যাস যেভাবে ছিল নতুন আর্টিকেলটিতে শব্দের বিন্যাস একই রকম থাকবে না।বরং মানে ঠিক থাকবে কিন্তু অন্য প্রতিশব্দ দিয়ে স্থানান্তর করে আরেকটি রুপ দান করা হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় একটি আর্টিকেল ২০০০ শব্দ দ্বারা লেখা হয়েছে ,এখান থেকে ১০০০ শব্দের প্রতিশব্দ বা অন্য কোন অর্থবোধক শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করে যে নতুন ধরনের আর্টিকেল তৈরি করা হয় তাকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে।কোন আর্টিকেল স্পিন করলে copy right strike এর অধীনে পড়বে না বরং এটাকে unique আর্টিকেল হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
তবে এইভাবে আর্টিকেল লেখা আইনগত কোন পন্থা নয়। google যদি এটা বুঝতে পারে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতি হতে পারে।
আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং: কোন একটা স্ক্র্যাপিং করার ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকোন কিওয়ার্ড দিয়ে কোন একটা বিষয়ে আর্টিকেল লেখার যে প্রবনতা তাকে আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং বলে।যেমন আপনি সব মিলবে ডট কম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আর্টিকেল স্পিনিং এর মতো একটা ওয়েবসাইটে গিয়ে লিখে দিলে, সব মিলবে ডট কম সম্পর্কে একটা আর্টিকেল লিখে দিবে।
এটি যেহেতু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করা হয় তাই এতে অনেক ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। google যদি এটা বুঝতে পারে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতি হতে পারে।
লং টেইল কিওয়ার্ড কি
যারা আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লেখে তাদের জন্য লং টেল কি ওয়ার্ড কি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্য বেশী কার্যকর যারা নতুন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে শুরু করেছেন। তাই আপনি যদি জানতে চান লং টেল কিওয়ার্ড কি তাহলে মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।কিওয়ার্ড কি এটা আমরা সবাই জানি।
আপনি যদি ভালো দক্ষতার সাথে কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ করতে পারেন তাহলে আপনার পোস্টগুলো গুগলে ১ নম্বরে rank করতে পারবে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কিওয়ার্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ।সাধারণত ৩ এর অধিক শব্দ ব্যবহার করে কোন অর্থবোধক কিওয়ার্ড তৈরি করে যে সার্চ করা হয় তাকে লং টেল কিওয়ার্ড বলে।
লং টেল কিওয়ার্ড দ্বারা আমরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফলটি পেয়ে থাকি।যেমন: বার্গার রেসিপি ইন বাংলাদেশ এই লং টেল কি ওয়ার্ড দিয়ে যদি google কিংবা YouTube সার্চ দেই তাহলে আমরা ফলাফলটি স্পেসিফিক পেয়ে থাকি। যারা নতুন ব্লগিং শুরু করেছেন তাদের জন্য লং টেল কিওয়ার্ড দিয়ে কাজ করা।
প্রথম দিকে শর্ট টেইল কিওয়ার্ড গুলো দিয়ে rank এ যাওয়া বেশ কঠিন কারণ শর্ট টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে বেশি সার্চ হয় বলে পুরনো ওয়েবসাইটগুলো এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। তাহলে আপনি যদি শর্ট দিয়ে আর্টিকেল লেখেন তাহলে তাদের পোস্ট গুলোর পরে থাকবে আপনার পোস্টটি।
আর আপনি যদি লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে আর্টিকেল লেখেন তাহলে আপনার পোস্টটি সামনের দিকে থাকবে কেননা লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে খুব কম মানুষ আর্টিকেল লেখে।
বায়িং কিওয়ার্ড কি
আমরা অনেক সময় কোন কিছু জানতে বা ক্রয় করতে গুগলে লিখে সার্চ দেই এবং সেখান থেকে সেই বিষয়ে বা বস্তু সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যায় গুগলে গিয়ে। যে শব্দ বা বাক্যগুলো লিখে সার্চ করা হয় সেই শব্দ বা বাক্যগুলোকে মুলত বায়িং কিওয়ার্ড বলে।
অর্থাৎ একজন ক্রেতা বা তথ্য অনুসন্ধানকারী পণ্য ক্রয় বা তথ্য পাওয়ার জন্য গুগল ব্রাউজারে এসে সেই পণ্য বা সেবার বর্ণনা লিখে সার্চ করে সেটাই মূলত বায়িং কিওয়ার্ড।
গেস্ট ব্লগিং কি
আমরা অন্য কোন ওয়েবসাইটে অতিথি হিসেবে গিয়ে সেখানে কাজ করবো এবং তার বিনিময়ে যে পেমেন্ট পাবো এই ব্যাপারটাকে আমরা গেস্ট ব্লগিং বলি।
গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ৪ ভাবে ইনকাম করা যায়
- ফেরি করে আর্টিকেল বিক্রি করে
- মার্কেট প্লেসে আর্টিকেল বিক্রি করে
- কোন IT প্রতিষ্ঠানে PART TIME JOB করে
- কোন IT প্রতিষ্ঠানে FULL TIME JOB করে
লেখকের কথা
উপরের আলোচনা থেকে এতক্ষণ নিশ্চয়ই জেনে গেছেন কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয় ।কিভাবে গ্রামার চেক করতে হয়।কপিরাইট মানে কি ,Plagiarism কেন করবেন না ইত্যাদি। নিশ্চয়ই আপনারা খুব খুশি হয়েছেন এই তথ্যবহুল আর্টিকেল টি পড়ে।উপরের আর্টিকেল থেকে আপনারা নিশ্চয় উপকৃত হয়েছেন।
যদি এই আর্টিকেল থেকে সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।
সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়
comment url