চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন।বর্তমান দ্রুততার যুগে ফাষ্ট ফুড গ্রহন,অনিয়মিত জীবন যাপন ও ভেজাল খাদ্য গ্রহনের কারেণে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।তাই আজকের আর্টিকেলটিআপনার জন্যই।এই আর্টিকেলে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়

ভুমিকা

আমরা যদি একটু খেয়াল করে দেখি তাহলে দেখতে পাবো প্রত্যেক ঘরে এক পাতা করে গ্যাসের ওষুধ রয়েছে। একগাদা ওষুধ খাওয়ার পরেও এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাচ্ছি না। বিভিন্ন কারণে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে ,যেগুলো নিয়ে আর্টিকেলটিতে বর্ণনা করা হয়েছে। 

এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে গ্যাস্ট্রিক দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে। আরো আলোচনা করা হয়েছে গ্যাস্ট্রিক হলে কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না এই গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলোই বা কি এবং গ্যাস্ট্রিক হলে কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায় সেগুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

কি কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় 

আমরা যে খাবারটা খেয়ে থাকি তা পাকস্থলীতে যাই। পাকস্থলী ওই খাবারটিকে হজম করার জন্য কিছু এসিড তৈরি করে। এসিড এবং খাবার সাধারণত নীচের দিকে জমতে থাকে। যদি এসিড নীচের দিকে না নেমে গলার দিকে উঠে আসে তখনই আমরা বুক জ্বালা অনুভব করি।

  • বেশি মসলা দিয়ে খাবার রান্না করলে সেই মসলার প্রভাবে মুখ জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • অনেকের কফি খাওয়ার কারণে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • আপনি যদি বারবার একই খাবার গরম করে খান তাহলে এই সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে সফট ড্রিংকস খেলেও এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
  • যারা ধূমপান করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত টেনশনে থাকেন সেই ক্ষেত্রেও আপনার গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
  • আপনি যদি স্থুলকায় হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রেও আপনার গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
  • গর্ভবতী মায়েদের ও এই গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
  • হায়টাস হারনিয়া রোগে যারা ভুগছেন তারা এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।এটা হয় কারণ পাকস্থলীর কিছু অংশ বুকের উপর চলে আসে।
  • অ্যাসপিরিন,আইবুপ্রুফেন টাইপের ওষুধ গুলো খেলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
প্রতিকার
  • একবারে বেশি খাবার খাওয়া যাবেনা সারাদিনে ভাগ ভাগ করে খেতে হবে।
  • নিয়মিত খাবার খেতে হবে।
  • যেসব খাবারগুলো আপনার গ্যাস্টিক সমস্যা তৈরি করে সেই ধরনের খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার তিন-চার ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে।আপনি যদি এগারোটার দিকে ঘুমাতে যান তাহলে ৮ টার আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে।
  • রাতে ঘুমানোর সময় কোমরের চেয়ে মাথা ও বুক ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উঁচুতে রাখতে হবে।
  • ওজন বেশি হলে তা কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
  • ধূমপান যদি ছেড়ে দেন তাহলে আপনার এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশই কমে যাবে।

অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ 

  • মসলাদার ও তৈলাক্ত খাবার খেলে বুক ও পেটের মাঝখানে জ্বালাপোড়া করে এবং টক ঢেকুর উঠে।
  • পেটের কোথাও কোথাও ব্যথা অনুভূত হয় এবং বুকের মাঝখানে ব্যথা হয় এবং অস্বস্তি লাগে।
  • বমি বমি ভাব অনুভূত হয়।
  • খাবারের পর পেট ফেঁপে যায় এবং অতিরিক্ত গ্যাস বের হয়।
  • খাবারে অরুচি ভাব আসে।
  • অধিকাংশ খাবার খেলে বুক জ্বালা করে।
  • দুর্গন্ধযুক্ত ঢেকুর উঠে।

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়

নীচে যে খাবার গুলোর নাম দেওয়া হলো তা যদি আপনারা নিয়মিত ও পর্যাপ্ত খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা সারা জীবন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।আমাদের দেশে এই খাবারগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং দামেও মোটামুটি সস্তা হওয়ায় আপনারা অবশ্যই এগুলো নিয়মিত খাবেন।

পানি: প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করুন এই পানি পাকস্থলীতে গ্যাস জমতে দেয় না। তাই গ্যাসমুক্ত থাকতে হলে প্রতিদিন পানি পান করতে হয়।

টমেটো: টমেটোতে আছে পটাশিয়াম যা শরীরের সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে যার ফলে পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কলা: কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এই পটাশিয়াম রক্তের সোডিয়ামকে নিয়ন্ত্রণ করে ফলে পেটে গ্যাস উৎপাদন হয় না। তাই কারো যদি পেটে গ্যাস হয় তাহলে সে একটি কলা খেয়ে নিতে পারে। এছাড়া কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সারাদিনে অন্তত দুইটি কলা খাওয়া যেতে পারে।

আনারস: আনারস গ্যাস মুক্ত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর একটি ফল। আনারসে আছে ব্রোমিলিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি অ্যাসিড এজেন্ট যা আমাদের পেট ফাঁপা রোদে সহায়তা করে এবং গ্যাস হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।

শসা: শসা খুব ঠান্ডা একটি খাবার। এটিতে রয়েছে ফ্লেভালয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাস উৎপাদন হতে বাধা দেয়।

পেঁপে:নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলে গ্যাসের প্রবনতা কমে যায়।এবং হজম শক্তি বাড়ায়। পেঁপেতে পাপায়া নামক এক ধরনের এনজাইম রয়েছে।

দই: দইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এইসব ব্যাকটেরিয়া আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে কার্যকর রাখতে সহায়তা করে ফলে পেট ফাঁপা দূর হয় ও গ্যাস হওয়া রোধ করে।

ঠান্ডা দুধ:পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক এসিডকে দূর করে এই ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে এসিডিটি থেকে দূরে থাকা যায় তবে কারো যদি আমআশা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলাই ভালো।

মাঠা: পেটের গ্যাস প্রতিরোধে মাঠা একটি অতি কার্যকর খাবার। এতে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা পেটের গ্যাসের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি দেয়।

আদা: আদাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট যা পাকস্থলীর সুস্বাস্থ্যের জন্য আদার ভূমিকা অনস্বীকার্য,আদার মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে যা পাকস্থলী ও খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। আদা কুচি করে তা মুখে রেখে চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে 

এতে করে বমি বমি ভাব দূর হয় এবং বদহজম দূর করতেও আদা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এক টুকরো আদা খেলে তা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মত কাজ করে।

কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি কাঁচা হলুদ খেতে অসুবিধা হয় তাহলে আদার মতো কাঁচা হলুদ ছিলে পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি খাওয়া যেতে পারে।

দারুচিনি:পানিতে ১/২ চা চামচ দারুচিনির গুড়া ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে।তারপর দিনে ২ থেকে ৩বার এই পানি খেলে পেট গ্যাসমুক্ত হয়।

জিরা: জিরা পেটের গ্যাস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করে। পাকস্থলীতে যে এসিড হয় জিরা তাকে নিরপেক্ষ করে পেটের ব্যথা দূর করে এবং খাবার হজমে জিরা বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এক গ্লাস পানিতে সামান্য জিরার গুড়া মিশিয়ে বা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রতিবেলা খাবার পর খেতে পারেন ।
লবঙ্গ: পেটে যদি গ্যাস অনুভূত হয় তাহলে দুই তিনটি লবঙ্গ মুখের মধ্যে দিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে এতে একদিকে বুক জ্বালা ও বমি বমি ভাব দূর হয়। ফলে পেট গ্যাসমুক্ত হয় সাথে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

রসুন: তিন চারটি রসুনের কোয়া ভালোভাবে ধুয়ে দুই কাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে তৈরি করা যেতে পারে রসুনের চা যা খুব দ্রুতই এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পাবেন।

এলাচ: এলাচের চা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি চা,এই চা খেলে পেটে গ্যাস দূর হয়, কারণ এলাচের মধ্যে রয়েছে পাকস্থলীতে গ্যাস উৎপাদনকারী এসিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।এটা লবঙ্গের মতো করে চিবিয়েও খাওয়া যায়।

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা আপনার পেটের অম্লতা দুর করে গ্যাস ও বমি বমি ভাব থেকে সাথে সাথে রক্ষা করে। এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে দিনে অন্তত দুই তিনবার পান করা যেতে পারে।পুদিনা পাতার পানি যদি খেতে না পারেন তাহলে পুদিনা পাতার পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার গ্যাসের প্রবনতা কমে যাবে।

পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে পানি ছেকে ‍নিয়ে যদি সেই পানি পান করেন তাহলে গ্যাস মুক্ত থাকবেন সারাদিন।

মৌরির পানি: মৌরিকে পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর সেই পানি কে ছেঁকে নিয়ে যদি দিনে দুই থেকে তিনবার এই পানি খাওয়া যায় তাহলে আপনি গ্যাস মুক্ত থাকতে পারবেন।

আলু: রাতের বেলা আলুকে ভালোভাবে ছিলে কয়েক টুকরো করে তা লবণ দিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে যদি সেই পানি খাওয়া যায় তাহলে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জাওন: জাওন গ্যাস প্রতিরোধে অতি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।কোন খাবার খাওয়ার পরে যদি এক চিমটি জাওন খাওয়া যায় তাহলে তার পেটের মধ্যে কোন গ্যাস উৎপাদন হবে না। কারণ খাওয়ার পর পেটের মধ্যে যে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপাদিত হয় ।জাওন ঐ এসিডকে দমন করতে ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

আপেল সিডার ভিনেগার: ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ভিনেগার দিয়ে প্রতিদিন পান করলে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বেকিং সোডা: আপনি যদি ১ গ্লাস পানিতে ১/৪ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করেন তাহলে তা গ্যাস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না

  • প্রথমে আপনাকে তেল মশলা যুক্ত খাবার ত্যাগ করতে হবে ।যদি খেতেই হয় তবে অল্প পরিমাণে খাবেন।
  • কখনোই কাঁচা ছোলা খেতে পারবেন না কারণ কাঁচা ছোলা একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যা পেটের গ্যাস উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • কচু জাতীয় তরকারি যেমন মুখী কচু এটা খাওয়া যাবে না কারণ এটি গ্যাস্ট্রিককে বাড়িয়ে দেয়।
  • শীতকালীন সবজির মধ্যে মুলা খাওয়া পরিহার করতে হবে কারণ এই মূলা খেলে পেট ফেঁপে যায় এবং পেটে গ্যাস হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে যেমন সয়াবিন ,ছোলা বুট ,এই জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সুগার ফাইবার থাকে যা সহজে হজম হতে চায়না ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়।
  • শীতকালীন আরো কিছু সবজি যেমন পাতাকপি ,ব্রকলি এই জাতীয় সবজি পরিহার করতে হবে।
  • লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ লবণে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা হজম প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়।
  • চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে কারণ চর্বিযুক্ত খাবারের প্রচুর প্রোটিন থাকে যা পেটে গ্যাস উৎপাদন করে।
  • বাদাম ও মটরশুটি খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কারণ এই দুটি খাবারে পেটে গ্যাস উৎপাদন হয়।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম 

পেট ম্যাসাজ: যদি যদি আপনি পেট ফাঁপা অনুভব করেন তাহলে পেট মেসেজ করতে হবে। ধীরে ধীরে পেট মেসেজ করতে থাকুন এবং পেটের উপরি ভাগ মেসেজ করুন। এরপর বুকের খাঁচার নিচের দিকে ধরতে হবে এবং গোল ভাবে মেসেজ করতে হবে। এভাবে যদি পেট মেসেজ করেন তাহলে গ্যাস নিচের দিকে নেমে পাউডার দিয়ে বের হয়ে যাবে। 
অর্ধ অপনাসন: প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এরপর একটি পা ভাঁজ করে বুকের উপর উঠে আনতে হবে। এই সময় আরেকটি পা সোজা করে উঁচু করে রাখতে হবে সামান্য পরিমাণে এক্ষেত্রে মাথা উপরে রাখতে হবে এবং দুই হাত দিয়ে কাজ করা পা ধরে রাখতে হবে। তিন থেকে পাঁচ মিনিট এই ভঙ্গিতে থাকতে হবে। 
ঠিক একইভাবে অন্য পা নিয়েও একই কাজ করুন তাহলে পেটের গ্যাস মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে যাবে।

মালাসানা যোগ: এই ব্যায়ামটি করতে দুই পায়ে ভর করে বসতে হবে। শরীরের উপরের অংশ যেন অবশ্যই টানটান সোজা হয়ে থাকে। দুই হাতের তালু দুই হাঁটুর বরাবর রাখতে হবে।এভাবে বসে থাকতে হবে তিন থেকে পাঁচ মিনিট । এই আসন করার সময় গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে।
নিয়মিত হাটুন: গ্যাসের সমস্যা দূর করতে হাটা অত্যন্ত কার্যকর একটি ব্যায়াম। নিয়মিত যদি আপনি হাঁটতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা কম থাকবে।

চক্র ভাকাসন: এই আসন করতে হলে দুই হাত এবং হাটুতে ভর করে অনেকটা চার পায়ে জন্তুর মতো ভঙ্গি করতে হবে এবার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে থাকুন পেট ভিতর দিকে রাখার চেষ্টা করতে হবে এ সময় পিট একেবারে তীরের মতো গোলাকার হবে। এরপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন এবং পিট সোজা করার চেষ্টা করুন। বেশ কয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনাগুলো থেকে আপনারা এতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।এই জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। যেগুলো খাবার খেলে আপনাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তা পরিহার করবেন।

তাই ধূমপান ছেড়েদিন। বাইরের ভাজাপোড়া খাবার ত্যাগ করুন। তাহলে আপনারা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাবেন। নিশ্চয়ই আপনারা খুব খুশি হয়েছেন এই তথ্যবহুল আর্টিকেল টি পড়ে।

উপরের আর্টিকেল থেকে যদি আপনারা সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আবারও এই ধরনের আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন আমাদের এই সাইটটিতে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সব মিলবে ডট কমের নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা যায়

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩